নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমার চোখের তারায় আমার হাজার মৃত্যু!

অতন্দ্র সাখাওয়াত

তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!

অতন্দ্র সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই হলো গণতন্ত্র

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৮

শহরের বুকে নেমে এসেছে শতশত নয় হাজার হাজার সামরিক বিমান। অনেকগুলো বিমান উড়তে উড়তে এসে একটি শহরের উপরে আঘাত করল। সম্ভবত বিমানগুলো ধ্বংস হলো। শোনা গেল কয়েক হাজার মানুষ সাথে সাথে নিহত। আগুনের ফুলকি আমার গায়ে এসে লেগেছে। যদিও আমি ছিলাম পানিতে। নদীতে গোসল করছিলাম। চারিদিকে তাকিয়ে দেখি, সবার যেখানে ছোটাছুটি করার কথা, ভয়ে আতঙ্কে অস্থির হয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু কেউ ছোটাছুটি করছে না। সবাই হত বিহ্বল হয়ে গেছে। হতভম্ব হয়ে গেছে সাময়িক আঘাতের এই অভাবনীয় ঘটনা ঘটায়। একটি দল নির্বাচন ছাড়াই দেশ দখল করে ফেলেছে। তারা শহরের শহরে তাদের বিপ্লবী টি-শার্ট বিতরণ করছে। টি-শার্ট সবাইকেই পড়তে হবে। বাধ্যতামূল। আমিও পড়লাম। টি-শার্টের মধ্যে দলীয় স্লোগান লেখা আর কি। সবাইকে আরেকটি t-shirt সংগ্রহ করতে বলা হচ্ছে। আমি সংগ্রহ করার জন্য দোকান খুঁজছি, যে দোকানের কথা আমাকে বলা হয়েছে। সবাই কানাকানি করছে। বিরোধী দল মিছিল বের করেনি? না, আসলে কোন মিছিল বের হয়নি। আমি টি-শার্ট খুঁজতে খুঁজতে এলোমেলোভাবে একটি বিল্ডিং এর ‌এক ফ্লোর থেকে আরেক ফ্লোরে চলে আসি। খুবই জাঁকজমকপূর্ণ একটি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করি। ‌ দরজা খোলা। একদিন গিয়ে প্রবেশ করে অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যাওয়া যায়। প্রথমে দরজা খুজে পাচ্ছিলাম না। চট করে একটি দরজার সামনে চলে এলাম। আমি দরজার সামনে যেতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে দরজাটি খুলে গেল। বাইরে নেমে এলাম। সেখানে তো এলাহী কাণ্ড। দেশের জাতীয় সংগীত বদলে গেছে। দলে দলে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা সে জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে লাইন ধরে চলছে। সেইসব লাইনের আগে আগে চলছে উক্ত দলের প্রধান প্রধান ব্যক্তিবর্গ। তারা হাত তুলে সবার ‌অভিবাদন গ্রহণ করছে। ফিসফিস করে অনেকে ধিক্কার জানাচ্ছে। প্রথমে মনে হচ্ছিল এটি ভারতীয় কোন হিন্দি ভাষার সংগীত। কিন্তু না এটি একটি বাংলা সংগীত। এটি দেশাত্মবোধক একটি গান।

আমি হয়তো ব্যাপারটা আকস্মিকতায় খুবই আহত হয়েছিলাম। তাই চারপাশে মানুষ অন্বেষণ করতে থাকি। মানুষের মতামত জানার আমার খুব ইচ্ছা। ‌ আমার দেখতে ইচ্ছে করছে তারা কিভাবে ব্যাপারটাতে রিএক্ট করেছে। ‌

মানুষ খুঁজে পেলাম। একটা বিশাল রুমে সবাই বিপ্লবী টি-শার্ট পরে বসে আছে। আমিও বসে আছি। দেখে মনে হচ্ছে তারা সবাই বিপ্লবের অংশ। কিন্তু না। তারাও আমার মত জোর করে টি-শার্ট পরেছে। কিছু সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালি রুমে প্রবেশ করল। ‌ তারা বলল, একটি নির্দিষ্ট দল ক্ষমতা দখল করেছে। ‌ আপনাদের কোন আপত্তি আছে কিনা। সবাইকে একে একে প্রশ্ন করা হচ্ছিল। সবাই বলছিল আমাদের কোন আপত্তি নেই। আপত্তি থেকেই বা কি হবে! আমিও বললাম। কিন্তু তারা আমাকে কেমন যেন সন্দেহ করল। যেহেতু আমি কবি, তাই আমার বলার ভঙ্গিটা অন্যরকম ছিল। সৈনিক মহোদয় আমার হাতে একটু লাঠি দিলেন। বললেন মনে করুন সামনে জনৈক‌বিরোধী পার্টির নেতা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আছে। ‌ আপনি তাকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করুন। আমি আঘাত করতে উদ্যত হলাম। হয়তো আঘাত করলাম। হয়তোবা আঘাত করলাম না। তাতে কি এসে যায়। এটা কি আমার সত্যিকারের অবস্থা। এটাতো একটা পরিস্থিতি। সৈনিক মহোদয় রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। আমরা বাইরে এসে দেখলাম, শহরজুড়ে একজন বিরোধী দলের নেতার অশ্লীল সব ভার্চুয়াল ইমেজ গ্রাফিতির মত ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রাফিতি তে তার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দেখা যাচ্ছে। মুহূর্তে সেখানে একটা বিশাল এলাকা জুড়ে প্রজেকশন লাইট এসে পড়ল। দেখে মনে হচ্ছে সেটা বাস্তব। ‌ কিন্তু না সেগুলো ভার্চুয়াল প্রজেকশন লাইট। সেখানেও না বিপ্লবী স্লোগান লেখা। আমি দেখতে দেখতে এগিয়ে যাচ্ছি।

হঠাৎ দেখি, কিছু লোক ওদের বিরুদ্ধে মিছিল শুরু করেছে। মিছিলে আর্মিরা তাদের লাঠিপেটা করছে। কেন তাদের লাঠিপেটা করছে? তাদের হাত তো বন্ধুক আছে, তবু গুলি করছে না কেন?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩২

বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশে সবাই গণতান্ত্রিক। শুধু ফলাফল ভিন্ন।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৩৭

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৩

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৩৭

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০৬

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: গনতন্ত্রের মত একটা সেলফ ডিস্ট্রাকটিভ বিষয় থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.