![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!
আমার অপেক্ষায় ছিল পৃথিবীর সব ভালোবাসা।
আমি পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে ধ্বংস পর্যন্ত—
সব কালে ভ্রমণ করে, সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে
এসেছি কেবল তোমার কাছে।
তোমার মুখে দেখেছি ঐশ্বরিক কোমলতা,
যার প্রেমে আমি শুকনো রুটির মতো ভেঙে পড়ি।
তুমি আমার অজানা দেশ—যেখানে আমি নির্বাসিত,
তুমি আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর ফড়িং,
যে ফড়িং চাঁদের ওপর বসে ধ্যানমগ্ন হওয়ার কথা।
তুমি আমার এমন একটি বাড়ি—
যা মাতৃত্বের মতো মমতাময়।
তুমি সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে একমুঠো বারুদ।
বিলাসিতার স্তন্য কী তোমার মুখে?
তাই আমার চোখে একবারও তাকাওনি।
তুমি ভেবেছ—আমার কণ্ঠস্বরই
অসীম বনানীর স্তব্ধতা।
অথচ তুমি কোনো গম্ভীর ধ্যানে নেই;
তাই আজও আমি অস্তিত্বহীন।
যতই কাছে যাই, ততই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি তোমার থেকে।
কেন মৃত্যুর মতো সুন্দর তোমার হাসির শব্দে
আমি অনুপস্থিত?
কেন আমার অর্ধ উলঙ্গ শরীরে নেই
তোমার স্মৃতির স্পন্দন?
তুমি কি হতে পারতে না
এক নির্বাক চলচ্চিত্রের নীরব অভিনেত্রী?
যখন তাকাও, কবরের নীরবতা ভেঙে
লকলকে জিহ্বা বার করো—
তখন মনে হয় তুমি ভাঙা কলসির মতো
আমাকে ধারণ করছো।
আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তুমি আমায় বন্দি করেছো,
যেখানে পলাশীর যুদ্ধ চলেছে তোমার আমার মাঝে।
তুমি সম্রাজ্য গড়েছো, একতারার মতো—
শুধু আমাকে বাজাতে।
তোমার মানবিক বোধ—
আমাকে অমানবিক করে দেয়, প্রিয়া।
তাই আমি ভুল হয়ে তোমার কানে বাজি হৃদপিণ্ডের মতো।
আমার যন্ত্রণা তুমি বোঝ না—
তুমি যন্ত্র, তুমি পুঁজি।
তবুও, তোমার কোলে মরার
এত সাধ কেন আমার?
২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে কবিতাটি পড়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন সুখে থাকুন।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:১০
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: চমৎকার কবিতা
২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর কবিতা।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:১৫
লোকমানুষ বলেছেন: প্রেম, বেদনা আর অস্তিত্বহীনতার টানাপোড়েন দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। রূপক আর চিত্রকল্পে ভর করে ভালোবাসার গভীরতা যেমন প্রকাশ পেয়েছে, তেমনি অভিমান আর হাহাকারও স্পষ্ট। যেন এক দীর্ঘশ্বাস ছড়িয়ে আছে প্রতিটি লাইনে।