![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!
ইঁদুরের গলে পচে যাওয়া দেহের মতো
এই পৃথিবীও মৃত—
নীরব, পচনশীল, উপেক্ষিত।
তার গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে
সময়ের গহ্বরে, সভ্যতার নাকে।
দোষটা কে দেবে কাকে?
মশা-মাছি চুষে নেয়
শুধু মৃতদেহের রস নয়—
চুষে নেয় আমাদের বিবেক,
ভবিষ্যতের সম্ভাবনাটুকু।
লক্ষ-কোটি ইঁদুরের লাশে
ভারী হয়ে ওঠেছে আকাশ,
যেন শোকের ছাতা খুলে
নেমে আসে নীরবতার বৃষ্টি।
ইঁদুরেরা শুধু মহামারীতেই মরে?
ইঁদুর মরলে কি শুধু ইঁদুরই মরে?
মরে যায় না বাস্তুতন্ত্রের হৃদপিণ্ড?
মরে যায় না মানবতার ছায়া?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দপ্তরে
কেউ ইঁদুরের জন্য
আবিষ্কার করে না আধুনিক ভ্যাকসিন—
এসব ইঁদুরগুলো কে বাঁচাবে?
শুধু বিবৃতি, শুধু দুঃখের আনুষ্ঠানিকতায় কি হয়?
কিছু মৃতপ্রায় ইঁদুর বসে থাকে একা,
কারো সাথে কারো হয় না দেখা,
স্রষ্টার কাছে মুক্তির আকুতি জানায়—
কিন্তু উত্তর আসে না,
আসে শুধু নীরবতা।
বাজারে বাজারে প্রচারণা—
“ইঁদুরের বংশ করে দাও ধ্বংস!”
শান্তির নামে চলে নির্মমতা,
একে তো মহামারীর আতঙ্ক,
পাশাপাশি চলে নির্বিকার গণহত্যা।
ধর্মীয় নেতারা, রাজনৈতিক সম্রাট,
শান্তিদূত—সবাই সম্মত,
ইঁদুরের দরকার নেই
এই সভ্যতার মানচিত্রে।
তবু একদল তরুণ
গুহার ভেতর আশ্রয় দেয়
ছয় জোড়া ইঁদুর—
প্রতিবাদের জন্ম হয়।
হাজার ফর্মুলা, হাজার সম্মেলন—
সব ইঁদুরকে নিঃশেষ হতে দেওয়া যাবে না,
অথচ সব ইঁদুরই নিঃশেষ হয়ে যায়।
শুধু গুহায় আশ্রয় পাওয়া ইঁদুরেরা ছাড়া।
অবশেষে প্রকাশিত হয় ইঁদুর বিজ্ঞানীদের রিপোর্ট:
“আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।”
ইঁদুরেরা ততদিনে অদৃশ্য।
তদন্ত কমিটি জানায়—
মৃত্যু হয়েছে অপঘাতে, মহামারীতে,
ডিজিটাল ফাঁদে, বিড়ালের থাবায়,
অথবা পরমাণু ঝড়ে।
যে বিড়াল সভ্যতাকে রক্ষা করেছিল,
সেও একদিন ধরা পড়ে সেই ফাঁদেই—
ইঁদুরের আত্মা ভর করে
তার চোখে, তার নখে।
নতুন বিড়াল জন্মায়
ইঁদুরের কান নিয়ে—
জাতিসংঘের বারান্দায়
মানুষ লাইন দেয়
নিজেদেরই মৃত্যুর ফাঁদ কিনতে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৩
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: গঠনমূলক সমালোচনা করলে ভালো হয়
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে লিখুন।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: ঠিক আছে ভাই
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫২
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর।
ব্যাখ্যা রয়েছে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
গার্বেজ