![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!
ভাগ্যের চাকার ঘূর্ণনে সে এক খেলার পুতুল,
মুখে তার কখনো মধু,
কখনো বা নির্গত হয় তিক্ত ধূম্র।
তার অভ্যন্তরে এক নিবিড় অন্ধকার,
বহির্দেশে আরেক অন্ধকারের দৃঢ় প্রাচীর।
সে ভালোবাসে না তার নারীকে,
বসন্তে বসন্তে করে তাকে অন্তঃসত্ত্বা;
চল্লিশে থমকে আছে তার বয়সের কাঁটা,
দেহবর্ণ কালো এক প্রস্তরফলকের ন্যায়,
দৈর্ঘ্য ছয় ফুটেরও ঊর্ধ্বে এক স্মৃতিস্তম্ভের মত।
মাথায় চুল নেই, টাকের এক প্রশস্ত মরুভূমি,
আর ঠোঁটে চিরন্তন এক রহস্যময় হাসির আভাস।
আয়নায় নিজ মুখচ্ছবি দেখে সে
ফেটে পড়ে এক বিষাদময় অট্টহাস্যে।
দাড়ি তার উজ্জ্বল, ইস্পাতের মতো কঠিন,
পরনে ফ্যাকাশে লুঙ্গি,
আর ঝকঝকে সাদা পাঞ্জাবি—
একটি পতাকার মতো নতজানু।
তার জিহ্বার আড়ালে লুকায়িত
পারমাণবিক বিস্ফোরণ;
কারো কারো চোখে তা অদৃশ্য,
কিন্তু হৃদয়ের গুহায় তারা
অনুভব করে শীতল স্পন্দন।
সেই ব্যক্তি, যে হাসিমুখে ক্ষমা করে,
আর হাসতে হাসতে নেয় নিষ্ঠুর প্রতিশোধ।
নজর তার তীক্ষ্ণ শিকারী পাখির মত,
চোখের কোটর দুইটি বিশাল, নিষ্প্রভ মহাকাশ;
বাহুদু’টি যেন প্রশান্ত কিন্তু বিপজ্জনক মাঠ;
আর কণ্ঠস্বরে—হাজার মাইকের উত্তেজনা।
মিছিলের স্লোগান মিশেছে তার কণ্ঠনালীতে।
তার মৃত্যুতে আত্মীয়-স্বজন কাঁদবে না বটে,
কাঁদবে গোলাপের কুঁড়িগুলো এক গভীর শূন্যতায়।
সাদা প্রজাপতির দল ঝাঁক বেঁধে নীরবে আসবে
শোক জানাতে; পাখিরা দেবে নৈঃশব্দ্যের স্যালুট।
স্ত্রী থাকবে নিথর,
কিন্তু কাঁদবে তার হাতের চুড়িগুলো—
বন্দিনী বেদনার মত।
তার জীবন সম্পর্কে আমি বলবো এভাবে:
সে এক ছদ্মবেশী প্রেমিক, এক জীবন্ত মহাকাব্য।
কী মহান সেই মানুষ! কি চিত্তাকর্ষক জীবনী কাব্য!
©somewhere in net ltd.