নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোলাপের মাঝে নিহিত আলোকবিন্দু

হানিফ রাশেদীন

প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ : নিকাশের দায় রেখে (২০১২)

হানিফ রাশেদীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো থেকো সুরঞ্জনা, তোমার সমস্ত আকাশ জুড়ে ভালো থেকো তুমি

১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৭

দু'তিনটা লেখা পড়ার পরে সুরঞ্জনা আপার ''না বলা কথাটুকু'' পড়ে বুঝলাম যে তিনি আমার মায়ের বয়সি হবেন। তারপর থেকে বেশ সত:স্ফুর্তভাবেই আমি তাঁর পোষ্টে কমেন্ট করছি। কারণ অনেক মেয়েই নিজেদেরকে 'মেয়ে' ভাবেন, আর 'মেয়ে' বলে ছেলেদের বিশেষ দৃষ্টি তাদের প্রাপ্য মনে করেন। অনেক ছেলেও আবার এই মহাকাব্যে নিজের নাম লেখান, নিজের নামটি এই মহাকাব্যে দেখতে পেয়ে সুখী বোধ করেন। আমি যে এই সুখে কখনো শিহরিত হয়ে উঠতে চাইনি, তা নয়, এতটা নির্দয় আমি নই। কিন্তু আমি দেখেছি, অন্য আরো অনেক কিছুর মত এই সুখ আমার কপালে সয় না। কেনো এই সুখ আমার কপালে সয় না, তা না বুঝলেও এটি স্পষ্ট যে, মেয়েদের চোখ বাঁকা নয়, ভঙ্গি বাঁকা নয়, চলন বাঁকা নয়, এ আমার কপালেরই দোষ। আর যেহেতু আমারই কপাল, তো, যত মন্দই হোক, আমার এই মনের দু:খ কাউকে বলতেও পারি না। যাক, আমার এই মনের দু:খ মনে রেখেই মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। আমার মনের দু:খ আপনারা শুনবেন কেনো?



আমাদের যাপিত জীবনে, ফুল আর কাটা বিছানো আমাদের পথে, পথের বাঁকে কত যে চিহ্ন, কত না রঙবেরঙের। কত জনের সাথে কত রকমের সখ্যতা গড়ে উঠে আমাদের। ''না বলা কথাটুকু''তে আমার বা'বুকে বেঝে উঠে বিচ্ছদের এই করূন সুর : ছেলেবেলার খেলার সাথী, সহপাঠি, এবং আরো কত জনের সাথে যে আর দেখা হয় না! কারো কারো সাথে হয়তো এ-জীবনে আর দেখা হবে না। এই আমি বেঁচে আছি, ওরা বেঁচে আছে, তবু এই আমরা মৃত্যুর সমান, (অন্তত যাদের সাথে আর দেখা হবে না)। কী ছোট মানুষের জীবন। কোনো দৃশ্য বা জায়গার বেলায়ও এটি প্রযোজ্য, যেমন আমাদের স্কুল, স্কুল আমরা অনেক দেখি, কিন্তু আমরা যে স্কুলে পড়ে এসেছি, সেই স্কুলের পাশ দিয়ে হেটে গেলে আমাদের মন কেমন যেন হয়ে যায়, যা অন্য কোনো স্কুলের পাশ দিয়ে গেলে হয় না। ''না বলা কথাটুকু'' আমার চিত্ত বীণার তারে এই সাড়া দিয়ে গেলো।



''ছেলেবেলার খেলার সাথিরা আজ কে কথায় আছে, কেমন আছে জানিনা। তাদের সবার নাম আজ আর মনে নেই।'' এই বাক্য দুটো পড়া মাত্রই আমাদের চোখ চলে যায় বা ফিরে যায় আমাদের ছেলেবেলায় বা ফেলে আসা অথবা পার হয়ে আসা দিনগুলোয়। আমাদের চোখে অনেক মুখ ভেসে উঠে, অনেক দৃশ্য ভেসে উঠে। আবার অনেক মুখ ও দৃশ্য কেমন যেন, ভেসে উঠতে উঠতে তলিয়ে যায়, ভেসে উঠতে পারে না, ভেসে উঠতে অনেক চেষ্টা করে, তবু পারে না। এই মুখ ও দৃশ্যের এ-প্রচেষ্টা, ব্যর্থ এ-প্রচেষ্টা কষ্টের ঢেউ হয়ে আমাদের বুকে আছড়ে পড়ে। আবার যে মুখ ও দৃশ্য চোখে ভেসে উঠে, তার মধ্য থেকেও অনেক মুখ ও দৃশ্য কষ্টের ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়ে আমাদের বুকে, বুকের ভেতরে। আর কোথায় যেন হারিয়ে যাই আমরা, না জানি কোথায় যেন হারিয়ে ফেলি নিজেদেরকে। উদ্ধৃতি বাক্য দুটো ''খেলার সাথিরা কোথা আজ তোরা, ভুলিইয়াই গেছি নাম...'' এর প্রথম দু'বাক্য।



এখানে যে অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে, একে এরিক ফ্রমের ভাষায় বললে ''ভ্রাতৃপ্রেম বা সখ্য''। তিনি বলেছেন, ''সর্বপ্রকার প্রেমের ভিত্তিস্থলে সখ্য বা ভ্রাতৃপ্রেম। ভ্রাতৃপ্রেম সর্বপেক্ষা মৌলিক প্রেম। যে-প্রেমের উপাদান, অন্যব্যক্তির জীবনের প্রতি যত্নশীলতা, শ্রদ্ধা, দায়িত্বশীলতা ও শুভেচ্ছা ইহা সেই প্রেম।'' যাদের ভেতরে এই প্রেম নেই, নি:সন্দেহে প্রেমের দেখা তারা পাইনি। প্রেম কেবল মাত্র কোনো ব্যক্তিবিশেষের প্রতি হতে পারে না। যার ভেতরে ভ্রাতৃপ্রেম যতটা প্রবল, সে ভালো-মন্দ মিলিয়ে বা একটা পর্যায় ভালো-মন্দ ছাপিয়ে মানুষকে মানুষ হিশেবে দেখতে পায়, এবং সে নিজে ক্রমশ আরো বড় মানুষ হয়ে ওঠে, ''একজন মানুষ'' হয়ে উঠে। সুরঞ্জনা আপাকে আমরা এরই প্রতিরূপ হিশেবে দেখতে পাই, তাই এ-কথাগুলো বলা। আর মানুষের মানুষ হয়ে ওঠা একটা নিরন্তর প্রক্রিয়ার বিষয়। এটি কতিপয় বা নির্দিষ্ট কোনো নৈতিকতা বা মাপকাঠির বিষয় নয়।



''আমি মা'' আপার যত্নশীলতা, দায়িত্বশীলতা ও অনুভূতিপ্রবণতা সম্পন্ন, এবং আমাদের ভেতরে এইসব বৈশিষ্ঠের চিন্তার উদ্রেক করা এ-পোষ্টে আমার কমেন্ট ও তাঁর রিপ্লাই তুলে দিলাম : ''এই যে আপনার অনুভূতি, আপু, এই অনুভূতি প্রত্যেক মায়ের অনুভূতি হয়ে উঠুক; এই শুভ কামনা।'' (কমেন্ট)। ''হানিফ, এই মা'এর ভালোবাসা আর আশীষ নিও।'' (রিপ্লাই)।



সুরঞ্জনা আপার লেখা খুবই বৈচিত্রময়, তিনি তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ জীবনের কথা আমাদের শোনান, ''আমি বিজয় দেখেছি...'' পোষ্টে সেই সময়কার সুরঞ্জনা, এক কিশোরীর চোখে আমরা মুক্তিযুদ্ধেরর বিভিষিকা দেখতে পাই। এখন চলছে ''স্মৃতি ১৯৭১''। ''কোথায় আছ কেমন আছ মা...''-এ দেখতে পাই এক সন্তানের আর্তি। পারিবারিক ভালোবাসার গল্প ''কত দিন দেখিনি তোমায়''। ফুল নিয়ে আছে তাঁর নানা তথ্য ও অনুভূতির কথা, ''ফুলের বনে যার কাছে যাই তারেই লাগে ভালো...''-এ যেমন : ''ফুটবে আবার দোলনচাঁপা চৈতী রাতের চাঁদনী / আকাশ ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাঁদনী...'' নজরুলের এই লাইন তুলে দিয়ে বলেছেন, ''নজরুল কত সুন্দর করে দোলনচাঁপার কথা বলেছেন। অতো সুন্দর করে না বলতে পারলেও নজরুল থেকে কম ভালবাসিনা। এটা আমার অনেক প্রিয়। যখনই বাগান করেছি প্রিয় সব ফুলের সাথে অবশ্যই দোলনচাপাও বাগানে লাগিয়েছি। গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা এই ফুলটিও বর্ষায় ফোটে।'' ''বাবার চিঠি''-তে উঠে আসে সেই সময়কার বিদ্যমান সমাজিক অবস্থা। এখানেই শেষ করি।



ভালো থেকো সুরঞ্জনা। আজীবন সুন্দর আর চিরসবুজ থেকো। ভালো থেকো সুরঞ্জনার সকাল ও সন্ধ্যা। ভালো থেকো সুরঞ্জনার দিন ও রাত। ভালো থেকো সুরঞ্জনার স্বপ্ন ও সাধ। ভালো থেকো সুরঞ্জনার দু'চোখর মণি। সবখানে ছড়িয়ে তোমার চেতনার আলো, তোমার সমস্ত আকাশ জুড়ে ভালো থেকো তুমি।

___________________

কমেন্টগুলোও দেখার অনুরোধ রইলো। কারণ অনেক কমেন্টই বেশ প্রাসঙ্গিক। আমি ত্রাতুল ভাইর '২৪' নং কমেন্টটির কথা বলতে পারি, এখানে সুরঞ্জনা আপা ছাড়াও কয়েকজন ব্লগার এবং আরো কিছু প্রসঙ্গ এসেছে। অবশ্য অনেক কমেন্টই উল্লেখযোগ্য। এ-বিষটি আমি এ-জন্য বললাম যে, কে কাকে নিয়ে কি বলছে, তার চেয়ে গরুত্বপূর্ন হলো, মানুষকে মানুষ হিসেবে গন্য না করার এই দিনে, এখানে যে শ্রদ্ধ্যা, ভালোবাসা ও সখ্যতা প্রকাশ পেয়েছে তা।

মন্তব্য ১০৮ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (১০৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৩১

সুরঞ্জনা বলেছেন: এমন করে আমায় পোস্টমর্টেম করেছ হানিফ? পোস্টমর্টেমের বাংলা কি হবে? ব্যাবচ্ছেদ?
আমার প্রতিটি লেখা শুধু আমারই নয়, তোমাকে দেখেছি যখনই কোনও পোস্ট পড় তার গভীরে ঢোকার চেষ্টা করো। যা সাধারনত খুব কম ব্লগারের মাঝেই দেখা যায়। তাই বলে প্রতিটি পোস্ট পড়ে এভাবে আমাকে আবিস্কার করা? আমি নিজেও হয়তো তা পারবোনা।

তোমার এ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আমি মাথা পেতে নিলাম। আর কি লিখবো ভাষা খুজে পাচ্ছিনা।
সত্যি আমি অভিভূত, আনন্দিত, গর্বিত।

ভালো থেকো রাশেদীন। অনেক অনেক ভালো থেকো তোমার স্বচ্ছ, নির্মল চিন্তা চেতনা নিয়ে।
শুভ কামনা নিরন্তর!

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৩৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হ্যাঁ, ব্যাবচ্ছেদ। আর 'ব্যাবচ্ছেদ' শব্দটাই সুন্দর। শুনতে এবং ভাবগত দু'দিক থেকেই। আর এর পরের কথার রিপ্লাই হলো 'হাসি'

এছাড়া আপা, পোষ্টে বলেছি ''মানুষের মানুষ হয়ে ওঠা একটা নিরন্তর প্রক্রিয়ার বিষয়। এটি কতিপয় বা নির্দিষ্ট কোনো নৈতিকতা বা মাপকাঠির বিষয় নয়।'' এটি আপা, আমার নিজের বেলায় অনেক বেশি প্রযোজ্য, প্রত্যেক মানুষের বেলায়ই। আমি নিজে নিজেকে পর্যলোচনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাই। প্রতিনিয়ত মানুষ হয়ে উঠতে চাই। নিজে নিজের কাছে জবাবদিহী করি, অন্য কারো কাছে নয় কিন্তু

আর ব্লগে কিছু কিছু বিষয়ের মধ্যে আমি (সব ক্ষেত্রেই অবশ্য) সবার 'দৃষ্টিভঙ্গি' খুব গুরুত্ব দিই। আর আপনার কথা, আপনার কমেন্ট ও রিপ্লাই তো মানবিক অনুভূতির জায়গা থেকে অসাধারণ।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০৫

শায়মা বলেছেন: বুঝেছি আমার সাথে শত্রুতা!

আমি হলাম সুরন্জনা আপুর সবচাইতে প্রিয় মানুষ। বিশ্বাস না হয় তাকে জিগাসা করে দেখো। তবুও যদি আপু লজ্জায় না বলে তবে তার প্রিয় লিস্টে সবার উপরে কার নাম সেটা দেখো।


আপু কত ভালো লিখে না লিখে সেটা মূল্যায়ন করার ক্ষমতা আমার নেই। শুধু সহজ ভাষায় প্রতিটা বাক্য যেখানে বুঝি আমি সেটাই আমার কাছে ভালো লেখা।সেই ক্ষেত্রে আপুর লেখা প্রথম স্থান অধিকারী।:)

সবার উপর আপুটা একজন অনেক অনেক ভালো মানুষ। বড় আপু হতে পারে তবে বন্ধুবৎসল একটা আপু এমনি মনে হয় আমার।:)

রাশেদীন ভাইয়া

আপুকে নিয়ে লেখাটা অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে!!!:) :) :)

গুড জব!!!


:P

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৫২

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: সবার উপর আপুটা একজন অনেক অনেক ভালো মানুষ। এটাই আসল কথা।

সেই কথা আমি জানি, সুরঞ্জনা আপুর সবচাইতে প্রিয় মানুষ শায়মা । আমি যাদের ব্লগে নিয়মিত তাদের যেখানেই কোনো কমেন্ট দেখি, তা-ও পড়ি।

''বুঝেছি আমার সাথে শত্রুতা!'' মানে? আমার সাথে আপনার শত্রুতা? যেহেতু আপনার সাথে আমার শত্রুতা নেই তাহলে তাই হবে।

যাক, যদি আর কোনো সম্পর্ক না থাকে, শত্রুতাই থাক। লোকজনকে অন্তত এই কথা তো বলতে পারবো যে, শায়মা আপার সাথে আমার শত্রুতা। সবাই হিংশার চোখে আমার দিকে তাকাবে, আর মনে মনে বলবে, এ তো যে কারো সাথে শত্রুতা না, সয়ং শায়মার সাথে।




৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:১৮

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেক প্রিয় একজনকে নিয়ে লেখাটা ভালো লাগলো। আপু মানে শিউলি ফুলের সুরভি।
অনেক সুন্দর একটা লেখা হানিফ।
মন ছুঁয়ে গেলো।

অনেক ভালো থেকো। শুভকামনা রইলো।

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৫৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপা, আপনি আসবেন, এটি কিন্তু, দেখছি, প্রত্যাশিত হয়ে গেছে । অনেক ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।

আপু মানে শিউলি ফুলের সুরভি।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৪১

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: ভালো থেকো সুরঞ্জনা। আজীবন সুন্দর আর চিরসবুজ থেকো। ভালো থেকো সুরঞ্জনার সকাল ও সন্ধ্যা। ভালো থেকো সুরঞ্জনার দিন ও রাত। ভালো থেকো সুরঞ্জনার স্বপ্ন ও সাধ। ভালো থেকো সুরঞ্জনার দু'চোখর মণি। সবখানে ছড়িয়ে তোমার চেতনার আলো, তোমার সমস্ত আকাশ জুড়ে ভালো থেকো তুমি




অনেক অনেক ভাল লাগল।

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৫৮

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো। ভালো থাকবেন।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৪৬

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
দিদির ব্যবচ্ছেদ টা ভালোই হয়েছে।

আমার বাবা মা আমাকে তুই ডাকেন। বাবা মারা যাবার পর, মা একা তুই ডাকতেন। মা এর সাথে সাথে এখন আর একজন আমাকে তুই ডাকেন।
তিনি হলেন আমার সুরঞ্জনা দিদি। আমি নিজে খুব গর্বিত এজন্য।

অনেক ভালো লেগেছে লেখাটা।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:০৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: জিসান ভাই, 'তুই' প্রসঙ্গে যে সম্পর্কের কথা আপনি বললেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ, এর মাঝে আবার যেভাবে সুরঞ্জনা আপা আসলেন, আমাদের ''মানুষ'' পরিচয়ে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার একটা কবিতার এ দু'লাইনের কথা মনে পড়লো :

''আমার মন জানে, সবার সাথেই
সখ্যতা আমার ভিন্ন ভিন্ন বন্ধনে।''

ভালো থাকবেন।

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:৫৬

মুনসী১৬১২ বলেছেন: অধিকাংশই ১-ডি-তে দেখে---কিছু কিছু ২-ডি---আর তোমার মতো অসাধারণ যার তারা ৩-ডি-তে--যা খুবই কঠিন ভাল থাকবেন রাশেদিন ভাই- আর সুরুদি তো অবশ্যই

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:১৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হা হা হা... ভালোই বলেছেন!

ভালো থাকবেন মুনসী১৬১২। শুভ কামনা।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:৩৬

বীনা বলেছেন: ........... উপযুক্ত মানুষটাকে নিয়ে আর একজন উপযুক্ত মানুষ লিখেছেন........
এর চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে.............
............ সবকিছুই ভাল হয়েছে............
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখক.............
ভাল থাকবেন।

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩১

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো বলেছেন বীনা, বীনা আপা। আবার ''লেখক'' বললেন! কেউ ''কবি'' বললে আমার একেবারেই ভালো লাগে না। কবিদের আমি দু'চোখে দেখতে পারি না।

আচ্ছা, অনেক ভালো লাগা রইলো। ভালো থাকবেন। আর দীর্ঘ বিরতি না দিয়ে পোষ্ট দেয়ার অনুরোধ রইলো।

সুরঞ্জনা আপা অনেক ভালো একজন মানুষ।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন হানিফ রাশেদীন। আপনি একজন ভালো পাঠকবলেই এমন সুন্দর বিশ্লেষনী লেখা লিখতে পেরেছেন-যার প্রতিটা শব্দে, বাক্যে সুরঞ্জনা আপুর লেখনী, ব্যাক্তিস্বত্বার পুর্ণতা ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

পোস্টের শিরোনাম আমার প্রার্থনা।

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৮

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আমাদের অনেকেই লেখক, ভালো পাঠক নয়, ভালো পাঠক না হলে লেখক হওয়াও সম্ভব নয়। আর কোনো পাঠ বুঝতে পারলে, গভীরে ঢুকতে পারলে, জুল ভার্ন ভাই, তার যে আনন্দ, এর তুলনা নেই।

ভালো থাকবেন, অনেক শুভ কামনা, সঙ্গে আছি।

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪৮

জুন বলেছেন: সুরন্জনা আমারও একজন প্রিয় ব্লগার রাশেদীন যেমনটি তুমি। তোমার হাতে সুরন্জনার ব্যবচ্ছেদ অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে।

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪২

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হা হা হা... আচ্ছা আপা।

সুরঞ্জনা আপা ছাড়াও আমার অনেক প্রিয় ব্লগার আছে। তার মধ্যে আপনিও একজন।

ভালো থাকবেন। শুভ কমনা।

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৬

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: কিছু কথা যা আমি বলতে চাচ্ছিলাম.......

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: কী কথা, উপত্যকা ভাই? আমার মনে হয় আপনি আমাকে নির্দিধায় বলতে পারেন, এতোদিনে, এই প্রত্যাশা আপনি করতে পারেন। যেমন আমি এই প্রত্যাশা করতে পারি যে, ''সীমা'' থেকেই আপনি বলবেন।

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৪

বৃষ্টিধারা বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেলো।

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো। ভালো থাকবেন বৃষ্টিধারা।

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:০২

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: বৃষ্টিধারা, চানাচুর এর ব্লগে আপনি কমেন্ট করেছেন ''১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৩''-এই সময়ে। আর এখানে কমেন্ট করলেন ''১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৪'' ১ মিনিট ব্যবধানে বুক সাইজে ২ পেইজের এই লেখাটা পড়লেন, কমেন্ট করলেন, এর আগে আবার কোনো লিঙ্ক ধরে এই ব্লগে এসেছেন। এতো অল্প সময়ে পাঠ এর এই প্রতিভা আমি এর আগে কোথাও আর দেখিনি।

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৫৩

সাদা পাতা বলেছেন: আমি এই ব্লগে নতুন...সময়ের অভাবে ইচ্ছে থাকলেও সবাইকে পড়া হয় না...তাই সবাইকে সেভাবে জানিনা। কিন্তু এই লেখা আর মন্তব্যগুলো পড়ে খুব ভালো লাগল...আবার খানিকটা মনও খারাপ লাগছে! আপনারা সবাই কতো ভালো লিখেন...আমি যদি এমন লিখতে পারতাম! নিজেকে ক্ষূদ্র, অতিক্ষূদ্র পিপঁড়ে মনে হচ্ছে :(

১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: তাহলে দেখছি আমার চেয়েও কেউ ক্ষূদ্র, অতিক্ষূদ্র আছে। যাক, ভালোই লাগলো, ভালো লাগারই কথা!!

আসল কথা হচ্ছে, সাদা পাতা, আমাদের বোঝাপড়ার জায়গাট এবং দৃষ্টিভঙ্গি। আর আমরা এ-ব্লগে কেউই সবার লেখা পড়ি না বা পড়া হয় না। মন্তব্যও পড়েছেন, আমিও সাধারণত মন্তব্য পড়ি। অনেক ভালো লাগলো আপনাকে। ভালো থাকবেন। কথা হবে।

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় হানিফ রাশেদীন, লগ ইন করেছি শুধু মাত্র এই পোস্টের ১১ নম্বর মন্তব্যের জবাবে আপনি যা লিখেছেন-সেই জন্য অভিনন্দন জানাতে।

আমিও লক্ষ করেছি-অনেক ব্লগার/পাঠক বন্ধুরা একেবারেই পোস্ট নাপড়ে শুধু মাত্র "হাজিরা" দিতেই পোস্টে মন্তব্য করেন।"হাজিরা" মন্তব্যের ধরন হলো-"ভালো লাগা রেখে গেলাম"/"চমতকার লিখেছেন"/"ভালো লাগলো"/ "হুম" কিম্বা শুধুই একটি ইমো দিয়ে চলে যাওয়া! আসলেই কি আমাদের অমন পাঠকের "হাজিরা" অত্যাবশ্যক?

আমরা কি লেখায় অনেক অনেক অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য পেতে চাই? আমরা কি একই ব্যাক্তির একাধিক মন্তব্য পেয়ে মন্তব্য পাবার 'রেকর্ড' গড়তে চাই-নাকি অল্প কয়েকজন হলেও পাঠকদের যথার্থ প্রাসংগীক মন্তব্য পেতে চাই?

শুভ কামনা।

২১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: না, আমাদের ''হাজিরা'' মন্তব্য অত্যাকশ্যক নয় এবং প্রত্যাশিত নয়। যারা কেবল 'ইমো' দেয় তাদের তো আমি রিপ্লাই-ই দিই না, আমার এখানে আসা নিয়মিত ব্লগার হলেও না।

অনেককেই দেখা যায়, কমেন্ট পাওয়ার মধ্যেই তাদের ব্লগার জীবনের স্বার্থকতা। আমার তো প্রায়ই পোষ্টেই অপ্রসঙ্গিক (প্রশংশা-মূলক হলেও) মন্তব্য দেখে খুবই বিরক্ত লাগে। এর আগের পোষ্টে আমার একটা রিপ্লাই এর অংশ :

''এই পোষ্টে আমি খুবই বিরক্ত! ৯৯ ভাগ কমেন্টই বোঝা যাচ্ছে যে, এরা কবিতাটি একেবারেই ধরতে পারে নি। আমি দেখেছি, এমন হলে আমার খুবই বিরক্ত লাগে।''

আরেকটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি, অনেক ব্লগারকে আমরা চিন্তাগত জায়গা থেকে উন্নত মনে করি। কিন্তু কিছু কিছু পোষ্টে তাদের কমেন্ট ভয়াবহ। যেসব পোষ্ট আমরা পড়ি না, যেসব পোষ্টের লেখক ও কমেন্টকারীরা দেশ ও জাতীর উদ্ধার করার জন্য সদা প্রস্তুত। যেমন নাস্তিক-আস্তিক, কাল না কবে যেন দেখলাম খেলা নিয়, এরকম আরো বিষয় আছে।

আর হ্যাঁ, যারা যথার্থ প্রাসংগীক মন্তব্য করে, বোঝাপড়ার একটা জায়গা আছে, আমাদের ব্লগে তারাই আবশ্যক হওয়া উচিৎ। আর বিশ্বাশ করুন, জুল ভার্ন ভাই, উদাহরণ-স্বরূপ বলি, টিভির টকশো এর উপস্থাপক মেয়ে এসে যদি আমার কবিতার ভুল প্রশংশা করে, আমার তো খুবই বিরক্ত লাগবে। সে কথা বলবে লিপস্টিক নিয়ে, সে প্রশংশা করবে পারফিউমের (ছেলে উপস্থাপকের বেলায়ও এটি প্রযোজ্য)। এখানে অনেক ব্লগারও তা-ই। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, কেউ একটু কম বুঝলে সেটা ভীন্ন কথা, কিন্তু ''পচা'' মানসিকতাকে প্রশ্যয় দেয়া যায় না।

অনেক কথা বললাম । শুভ কামনা।

ও! আরেকটা কথা, ১১ নং রিপ্লাই-এ আমি লক্ষ্য রেখেছি যে, ''বিষয়টি'' বলতে, (যা, তা তো বলতেই হবে) তার ব্যক্তিত্ত্বকে যাতে অশ্রদ্ধা করা না হয়।

১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:১২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: নিজেকে খুবই অভাগা মনে হচ্ছে...

এই অল্প সময়ে অনেক ব্লগারের লেখা পড়েছি কিন্তু দিদির ব্লগে যাইনি...
আপনার পোস্টমার্টেম পড়ে আফসোসটা আরও বাড়ছে....

চমৎকার লেখেছেন...

২১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:১৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হা হা হা... সুপান্থ সুরাহী ভাই।

অনেক ভালোর সাথেই আমরা পরিচিত নই। সময়, সুযোগের অভাবে আর না জানার ফলে। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা। কথা হবে নিশ্চয়ই।

১৫| ২১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:০০

মানবী বলেছেন: অসাধারন পোস্ট!!!

সুরঞ্জনা আপুকে ধন্যবাদ, তাঁর সহজ সরল আন্তরিক লেখার গুনে এই চমৎকার পোস্টটি পড়ার সুযোগ হলো।

কোন ব্লগারের লেখার প্রতি মুগ্দ্ধতা এমন স্নিগ্দ্ধ সুন্দর নির্মল ভাবে প্রকাশ করতে এই ব্লগে আজ পর্যন্ত দেখিনি!
খুব ভালো লেগেছে পোস্টটি...

অনেক ধন্যবাদ হানিফ রাশেদীন। ভালো থাকুন।

২১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:১৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগলো আপনাকে দেখে। বেশ আগে সুরঞ্জনা আপার পোষ্টে আপনার কমেন্ট পড়া হয়েছে আমার।

সহজ সরল আর আন্তরিকতা, কোনো লেখার এই গুন বা বৈষিষ্ঠ অনিবার্য, এবং সততা। এরপর যে প্রসঙ্গ এনেছেন, তা-ও বেশ তাৎপর্যময়।

অনেক ভালো লাগলো মানবী, মানবী আপা। শুভ কামনা।

১৬| ২১ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় হানিফ রাশেদীন, আমি সাধারানত একই পোস্টে একাধিকবার মন্তব্য করিনা বললেই চলে এবং পোস্ট/প্রসংগের বাইরেতো নয়ই। কিন্তু আপনার সুন্দর একটি পোস্ট এবং সুধী পাঠকদের প্রতিক্রিয়া/মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই পোস্টে একাধিকবার মন্তব্য করার রেকর্ড করছি।

আমি প্রায় সব লেখকদেরই ভালো লেখাটুকুর অকুন্ঠ প্রসংশা করি-কারন, মনোযোগী পাঠকদের সঠিক প্রতিক্রিয়াই একজন লেখকের ভালো লেখায় আরো সচেতন করতে উতসাহীত করে।কিন্তু "নাম"(নিক) দেখেই "আগে প্লাস দিয়ে গেলাম-পড়ে পড়বো"-তেমন পাঠক একজন পেলকের কাম্য হতে পারেনা, তেমনি লেখার মান বিবেচনা নাকরেও লেখার প্রসংশা কিম্বা নিন্দা(সাধারানত নিন্দা করা হয়-সমগোত্রীয়/সিন্ডিকেট ব্লগার) করাটা সমুচীণ মনে করিনা।

আমাদের অনেক ব্লগার বন্ধুরা আছেন-যারা ব্লগে এসেই যা-তা কিছু একটা লিখেই নিজেদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল, সেক্সপিয়ার পর্যায় মনে করেন! তারাই মুলত "বুদ্ধিজিবী মার্কা হাসি"র মত কিম্বা "চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলা" মতই "হুম"/"ইমো" দিয়ে নিজের বিজ্ঞতা প্রমান করেন! ঐ শ্রেনীর ব্লগারদের দেখবেন মহিলা নিক দেখলেই সেখানে মন্তব্য করবে। আবার ওদের নিকের যেকোনো "আউল-ফাউল" পোস্টেও ঝাক বেঁধে মন্তব্য করার হিরিক পরে যায়!

আপনি যেমন সুন্দর করে সুরঞ্জনা আপুর লেখার যেভাবে পোস্টমর্টেম করেছেন-তেমন সুন্দর করেই মন্তব্যের পোস্টমর্টেম করেছেন।

ধন্যবাদ।

২১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪০

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হা হা হা... প্রিয় হানিফ রাশেদীন!

একাধিকবার মন্তব্য আমিও করি না। তবে করা যেতেই পারে যদি তা ফাইজলামি আর ন্যাকামি না হয়ে চিন্তার আদান প্রদান হয়, বোঝাপড়ার একটা জায়গা থাকে। আমি কিন্তু কারোরে প্লাস-মাইনাস কিছুই দিই না, এখন নতুন ফর্মেটে ''ভালো লেগেছে''তে ক্লিক করি না, কেবল মন্তব্য করি। আর কোন ব্লগারকে আমি কীভাবে নেব, তা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। আমি দেখি কার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, অফ লাইনে আমি অনেক ব্লগেই যাই, অনেক সময় পোষ্ট না পড়ে কেবল মন্তব্য ও রিপ্লাই পড়ি, পড়ে দেখি, একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি এ মানসিকতা।

ব্লগে এক দল আছে চরম মূর্খ আর বিকৃত মানসিকতার, এদের মধ্য কতিপয় নাস্তিক আর আস্তিক বেশী, এছাড়াও অনেক সময় একেকটা উদ্ভট বিষয় নিয়ে এরা হাজির হয়। তাদের মন্তব্য ও রিপ্লাই দেখবেন ভূল বানানে লিখে, এভাবে কেউ কাউকে ইনসাল্ট করা কাম্য হতে পারে না, এবং কী অকথ্য গালি। পারস্পরিক কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। যুক্তির ধার ধারে না, গায়ের জোরে কথা বলে। একেকজন পণ্ডিত, কিন্তু মানুষ নয়। মানুষ হয়ে ওঠা, এটাই আমাদের প্রথম ও সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয় হওয়া উটিৎ।

আমরা ইতিহাসে যত বড়ো ব্যক্তি দেখি, সবাই মানুষ হিসেবে অনেক বড়ো। তাদের সামনে (কাজের) আমি তো কেবল জ্ঞানের জায়গাতে নয়, মানুষ হিসেবেও অসহায় বোধ করি। এখানে বলা যায়, আপনি (কেউ একজন) আমাকে যত যাই বলেন তাতে আমি তেমন ভেঙ্গে পড়ি না, ভেতরে শক্তি সঞ্চায়ের উৎস খুঁজি। কিন্তু আমি নিজে যদি বুঝি যে, এখানে আমার অন্যায় হয়ে গেছে, তাহলে আমি একেবারেই ভেঙ্গে পড়ি। আর তাই আমি এ-বিষয়ে সতর্ক থাকি।

ব্লগে আরেক দল আছে, যারা, উপরে যাদের কথা বললাম ওদের মত ভয়ানক নয়, একটু মজা করে, কৌতুক করে, যেহেতু কাউকে আঘাত করে না, অশ্রদ্ধা করে না, সেহেতু ওদেরকে আমরা কিশোর কিশোরি বলে এড়িয়ে যেতে পারি, আবার কখোনো ক্ষেত্র বিশেষ প্রশ্রয় দিতে পারি।

"চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলা" কী হুমায়ুন আজাদকে মিন করছেন? তিনি আমাদের অনেক ক্ষতি করেছেন, (কোনো নেই প্রসঙ্গে গেলাম না, বিস্তৃত বিষয়)। যদিও তাঁর ভালো কিছু কাজ তো আছেই, এবং আমি তাঁকে একটা পর্যয় পর্যন্ত পছন্দও করি।

এই তো, জুল ভার্ন ভাই, শুভ কামনা...

১৭| ২১ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:০০

বৃষ্টিধারা বলেছেন: আমার নেট স্পীড ভালো না । প্রথমে ব্লগে ঢুকেই সাম্প্রতিক মন্তব্যের সব গুলা পেইজ ওপেন দেই । লোড হইতে হইতে ঘরের কাজ করি । কাজ শেষে বসে সব লিখা পড়ি,তারপর,একসাথে কমেন্ট দেয়া শুরু করি । :)

মাঝে মাঝে তো কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে আমার মন্তব্য পাবলিশ হয় ।

২২ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৪১

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আচ্ছা। । আমি যা করি, সাধারণত আমার পোষ্টের কমেন্ট ঘর থেকে ব্লগারের নামে ক্লিক করে সবার ব্লগে যাই। তো, একবারে কয়েকজনের নামে ক্লিক করে পেইজ ওপেন করি। তারপর এক এক করে পড়ি আর কমেন্ট করি।

আর যা হলো এর জন্য না আপনি দায়ি! না আমি! হয়তো ব্লগের পরিবেশকে আমরা দায়ি করতে পারি, ব্লগে এমন পরিবেশ, আমরা জানি যে বিদ্যমান। তো, সেখান থকে আমি বলবো, আমার আচরণ অস্বাভাকিক বলা যায় না। কিন্তু তা বলা আমার উদ্দেশ্য নয়, আমার আসল কথা হচ্ছে, আশা করি আমরা উভয়ে বিষয়টি ভুলে যাবো।

ভালো থাকবেন বৃষ্টিধারা, বৃষ্টিধারা আপা। শুভ কামনা। আশা করি এর পর আর আমাদের পরস্পরের মাঝে কোনো জটিলতা ও ইতস্ততবোধ থাকবে না।

১৮| ২২ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:০৪

নাআমি বলেছেন: আপনার মানসিকতাকে শ্রদ্ধা জানাই......।

২২ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: যে-বিষয়টি আপনি বললেন, মানসিকতা, স্বভাবতই অনেক ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন নাআমি, শুভ কামনা।

১৯| ২২ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪

বৃষ্টিধারা বলেছেন: হুম,আপনি ঠিক বলেছেন ।
সমস্যা নেই,ভুলে গেলাম । :)

ভালো থাকুন অহর্নিশ ।

২২ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আচ্ছা, ২০টি ধারা আপু (আপনারই কোনো এক কমেন্টে দেখেছিলাম, কেউ কেউ আপনাকে '২০টি ধারা' বলে। আমি তা বলবো না, এখন কৌতুহলবশঃত একবারের জন্য বললাম আর কী)।

ভালো থাকবেন। কথা হবে।

২০| ২২ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:২৮

শোশমিতা বলেছেন: সুরঞ্জনা আপু আমার ও অনেক প্রিয়
আপুর সব কটি লিখা আমি পড়ি
আর নতুন লিখা স্মৃতি ১৯৭১ পড়ে মনে হচ্ছিল আমি চোখে সামনে সব দেখতে পাচ্ছি.....অনেক কিছু জানলাম আপুর লিখা পড়ে ।
সুরঞ্জনা আপু কে নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন হানিফ রাশেদীন
তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।






২২ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো শোশমিতা। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।

২১| ২২ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৫

kisuna বলেছেন: তিনি আমার অতি প্রিয় মানুষ আর প্রিয় ব্লগার।

২২ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো kisuna। ভালো থাকবেন।

২২| ২২ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ফাইরুজ বলেছেন: বাহ ভাঈয়া দারুন মিলিয়েছেন তো ।আপু আমার অনেক পছন্দের একজন ব্লগার ।

২২ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:০৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: সুরঞ্জনা আপা অনেকেরই পছন্দের একজন ব্লগার। হয় কী, আমরা কে কী লেখি, আর কী করি... এসব কিছু ছাপিয়ে আমাদেরকে সর্ব প্রথম একজন ভালো মানুষ হতে হয়; যা সুরঞ্জনা আপা।

এই তো... আপনার কী খবর? নতুন লেখা?

২৩| ২২ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: অসাধারণ হানিফ ভাই!!! সুরাপু সম্পর্কে শুধু একটা কথাই বলবো যদিও তাকে আমি আপা ডাকি, তাকে আমার মায়ের মতোই মনে হয়. . . . . ওনার মতো মাতৃভাব সম্পন্ন নারী আমি খুব কমই দেখেছি. . . . . .

২২ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:০৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হ্যাঁ, আপা খুব মাতৃভাব-সম্পন্ন নারী। 'আপা' বললেও, আমারো তাঁকে মায়ের মতই মনে হয়। মা, এর পেছনেও আসলে মানুষের কথা আসে, ভালো মানুষ না হলে, কোনো সম্পর্ক বা জীবনের কোনো পর্যায়েই ভালো হওয়া যায় না।

শুভ কামনা আপা।

২৪| ২২ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৩৩

ত্রাতুল বলেছেন:

সবার উপর আপুটা একজন অনেক অনেক ভালো মানুষ।

কি যে বলব বুঝতে পারছি না। অনেক দিন ব্লগে আসা হয়না। আমি সর্বশেষ মন্তব্য করেছি ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:১৫ তে। ফেসবুক-এ লিঙ্ক দেখে পড়তে আসলাম, আর কেন যেন অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করল। নিজের ব্যাক্তিগত কিছু ঝামেলার কারণে ব্লগ থেকে সাময়িক দূরে আছি। কিন্তু ব্লগের প্রতি যে একটা মমত্ববোধ আর টান তৈরি হয়ে গেছে সেটাকে কখনোই এড়িয়ে যেতে পারিনা। আমার প্রায় মিইয়ে যাওয়ার সময়টাতে এই ব্লগটাই আমাকে কিভাবে যেন জাগিয়ে তুলেছিল। তাই চাইলেও অনেক কিছু অবজ্ঞা করতে পারিনা। ভুলে যেতে পারিনা।

আমি কোন জাতের লেখক না। লেখক হওয়ার ইচ্ছাও নাই আর মেধাও নাই আসলে। ব্লগিংটা অনেক ভালো একটা কমিউনিটি মনে হয় আমার কাছে। অচেনা মানুষগুলো কেমন করে ভাব-ভাষার লেনাদেনায় দিনে দিনে এতো কাছে চলে আসে আমার কাছে সত্যি অবাক লাগে এটা ভেবে।

আপনার লেখাটা পড়ে আর কিছু প্রিয় মানুষের আন্তরিক গোছানো মন্তব্য পড়ে এতো ভালো লাগলো বলে বোঝাতে পারবোনা। গুছিয়ে সুন্দর করে কথা বলাটা আমার কাছে অনেক কঠিন একটা কাজ মনে হয়, যেটা মনে হয়না সারা জীবনেও আমি রপ্ত করতে পারবো। আপনি কিভাবে নিচ্ছেন জানিনা। মনে আছে, আপনার সাথে প্রথম পরিচয়ে একটা ছোট্ট ভুল বোঝাবুঝির মতো হয়েছিল...? :D

আমি ব্রাউজার থেকে নিয়মিত ব্লগে না আসলেও কাজের ফাঁকে যখন একটু সময় পাই আমার মোবাইল ফোন থেকে ঘুরে ঘুরে দেখি। কেন যেন ভালো লেখাগুলোর সাথে মন্তব্যগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তে আমার ভালো লাগে। লেখক হতে না পারলাম, ভালো পাঠক হতেতো পারবো, অন্তত এরকম মনে হয়; যদিও কাজটা যে খুব একটা সহজ নয় সেটাও মানি। আর বিভিন্ন লেখায় আপনার সৎ আর চুলচেরা মন্তব্যগুলো দেখে নিজেকে পাঠক বলতেও কেন যেন ইতস্তত লাগে। অনেক দিন কিছু লেখা হয়না, মন্তব্যও করা হয়না তাই মনে হচ্ছে লিখেই যাই শুধু। আমার ক্ষেত্রে একটা বিষয় হয়, দায়সারা মন্তব্য করতে কখনোই ভালো লাগেনা। যেখানে যা বলি, বুঝে শুনে গুছিয়ে বলার চেষ্টা করি। এজন্য মন্তব্য করা হয় খুব কম। তবে মন্তব্য করলে মনে রাখি কোথায় কি বললাম। পরে আবার দেখে আসার চেষ্টা করি কি উত্তর দেয়া হয়েছে। অনেকে এটাকে বেশি বেশি মনে করে, কিন্তু আমার তাতে কিছু যায় আসেনা। নিজের কথা, কাজকে যদি একটু হলেও অর্থপূর্ণ করতে পারি সেটাই এই অর্থহীন-ফালতু জীবনে আমার পাওয়া হয়ে থাকবে। আর আপনাকে দেখে মনে হয় আমি বোধ হয় একা নই এরকম।

আপনার লেখায় আর মন্তব্যের অনেকগুলো কথা আমার মনে হয়েছে একেবারেই আমার নিজের কথা। আমার সাথে যাদের যাদের কথা হয়, আমার বিশ্বাস, এটা তারা ভালো বলতে পারবেন। অনেকেই বলে, জীবনটা এতো জটিল করে দেখার কি আছে? সহজ করে দেখলেই হয়! আমি কেন যেন ঐ দলে নিজেকে দেখতে চাইনা। নিজেকে বোঝা, ভাঙ্গাগড়া আর নিয়ত পরিবর্তনের মধ্যে ছুটে চলাটাই আমার কাছে কাম্য মনে হয়। তাই একটু বুঝে, একটু জেনে, একটু যুক্তি দিয়ে অন্তত নিজের কাছে নিজে সৎ থাকার চেষ্টা করি আর নিজের ভাবনাকে, চেতনাকে, অবস্থানকে স্পষ্ট রাখার চেষ্টা করি। আপনার কথাগুলো পড়ে নতুন করে সাহস পেলাম যেন। আমার মনে হয় যদি সব কিছু গুছিয়ে ভাবা যায় তাহলেই জীবনটাকে সহজ করে দেখা হয়।

যাইহোক, অনেক অপ্রাসাঙ্গিক কথা বলে ফেললাম, এখন যাকে নিয়ে এই পোস্ট তাকে নিয়ে কিছু কথা না বললে সেটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে যাবে। আমি ফেসবুক মন্তব্যে একটা কথা বলেছি- যদি বলা হয়, ব্লগে কাকে তুমি সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা কর? আমি চোখ বুজে একজনের নামই বলব, তিনি সুরঞ্জনা আপু। ওনাকে আপু বলছি ঠিকই, কিন্তু ব্লগে এসে সর্বপ্রথম স্নেহের দৃষ্টিটা মনে হয় ওনার কাছ থেকেই পেয়েছিলাম, যদিও সেটা ক্ষণিকের জন্যই, ওনার মনে আছে কিনা জানিনা; কিন্তু সেই পাওয়াটা আমার কাছে অন্য রকম অর্থ হয়ে আছে এখনো। তখন থেকেই একটা মাদারলি এফেকশান ফিল করতাম ওনার কাছ থেকে। আর ওনার লেখা নিয়ে আমার কথা মনে হয় শায়মা আপু বলে দিয়েছেন ঠিক ঠাক মতো, আর কিছু বলার থাকে না আসলে।

মেয়ে ব্লগারদের নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আর প্রাসাংগিক অন্য বিষয়গুলোতে আমারও আপনার মতো কিছু ধারণা কাজ করে যেটা ছেলে হিসেবে আমার ক্ষেত্রে অস্বস্তির জন্ম দেয় অনেক সময়। কিন্তু এই আপুর মতো মানুষ আছে বলেই ব্লগটাকে নিজের খুব আপন একটা পৃথিবীর মতো মনে হয়। এখানে আরো কয়েকজন মন্তব্য করেছেন, যাদেরকে আমি শ্রদ্ধার চোখে দেখি এবং সমীহ করি, যদিও সবার সাথে আমার ঐভাবে ইন্টারএ্যাকশান হয়নি বা নিজেকে ওনাদের সামনে উপস্থাপন করতে যোগ্য মনে করিনি। আমার সশ্রদ্ধ সালাম আর শুভ কামনা থাকবে আমার প্রিয় আপুটার জন্য, সব সময়; যদিওবা ব্লগ ছেড়ে অনেক দূরে কোথাও হারিয়ে যাই কখনো। আপনার মাধ্যমে তার কাছ থেকে দোয়া আর স্নেহ চেয়ে নিচ্ছি; দোয়া করবেন আপু, এই অভাগার জন্য।

শায়মা আপু- কিছু বলার নাই, চেলাকাঠের পিটুনি খেতে চাই না... :P

সাজি আপু- অনেক প্রিয় মানুষ, যদিও উনি সেটা কখনো জানবেননা। আসলে কেউ কেউ থাকে, নিভৃতে শুভ কামনা করে যায়, কখনো বলেওনা বা বুঝতেও দেয়না, এটা আমাকে দিয়ে বুঝি আমি। বেঁচে থাকাটাই একটা দারুণ ব্যাপার... :)

জুন আপু- ওনার স্নেহ আর অনুপ্রেরণা আমার পাথেয় হয়ে থাকবে সারাটা জীবন। যদিও ইদানিং ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি ওনার কাছে থেকে... :!>

মানবী আপু- অনেকের কাছেই নাম শুনেছি, কিন্তু আমার সাথে কখনো ওনার কথা হয়নি। আমার শ্রদ্ধাভাজনদের মধ্যে তিনিও একজন।

জুল ভার্ন ভাই- ওনার কথা ব্লগে অনেক শুনেছি। ব্লগে অনেক কিছু দেখলামও ওনাকে নিয়ে। আর সেই সময়টাতে মেয়েদের মধ্যে সুরঞ্জনা আপুকেই দেখেছি স্পষ্টবাদী হতে আর সাহসী কথা বলতে। আমার সাথে জুল ভার্ন ভাইয়ের ঐভাবে পরিচয় হয়নি, কিন্তু কোন না কোন ভাবে উনি আমার শ্রদ্ধাভাজন হয়ে গেছেন। ওনার দৃষ্টিভঙ্গি, কথা, লেখা থেকে অনেক ভাবনার উৎস খুঁজে পাই।

জেশান শা ইকরাম- ব্লগের অনেকেরই মামা হন তিনি। তারুণ্য কাকে বলে, ওনার কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। শুনেছি উনি বরিশালের বাসিন্দা। আমার বাড়ি সাগর কন্যার দেশে হওয়াতে ওনাকে কাছের মানুষ মনে হয়, যদিও কখনোই ঐভাবে কথা হয়নি ওনার সাথে। সালাম আর শ্রদ্ধা রইল।

আর হানিফ রাশেদিন- আপনাকে নিয়ে চিন্তায় আছি। এত ভাবেন কি করে? আপনি মনে হয় বয়সে আমার খুব বেশি বড় হবেননা। আপনার মন্তব্য আর লেখা পড়ে অনেক সময় বিরাট চিন্তায় পড়ে যাই, আমি কেন এভাবে পারিনা? কবে যে মানুষ হব? এটা কিন্তু একদম সিরিয়াসলি বললাম, ফান করে না। :|

লেখা আর মন্তব্য থেকে অনেকগুলো বাক্য কপি-পেস্ট করে দিলেই আমার সব কথা বলা হয়ে যেত। তারপরও কেন যে সবার সামনে এতগুলো কথা বলার দুঃসাহস করলাম বুঝতে পারছিনা। আশা করি, আমার এই দুঃসাহসকে এক অর্বাচীনের ছেলেমানুষি ভেবে প্রশ্রয়ের চোখে দেখবেন। দূরে, আড়ালে থাকলেও আমার প্রিয় মানুষগুলোর স্নেহ আর আশীর্বাদ আমি নিজের করে নিয়ে নেব সব সময়।

শেষে একটা কথা বলি শুধু, মাঝে মাঝে খুব হিংসে হয়, আমার প্রিয় মানুষগুলো কেন শুধু আমারই প্রিয় হয়না, অন্যদেরও প্রিয় কেন হতে হবে? X( :#>

অনেক অনেক অনেক অনেক শুভ কামনা- ভাই, বন্ধু, সুহৃদ... :)

২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪২

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ত্রাতুল ভাই, প্রথম কথা হচ্ছে, আমি অভিভূত। আর আগে নিচের কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম (আমি সাধারণত এমন করি না), ভাবলাম আপনার কমেন্টের রিপ্লাইতে অনেক কথা বলবো। কিন্তু এখন দেখছি, বলার মত কিছুই পাচ্ছি না।

আমার সব পোষ্টেরই কমেন্ট অংশ আমার একেবারেই ভালো লাগে না, ২/১টা কমেন্ট বাদে। এ-পোষ্টে সবার কমেন্টই ভালো লাগলো, বিশেষ করে পরস্পরের প্রতি পরস্পরের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখে। আর আপনর এতো কথা বলার থাকতেই পারে, কিন্তু এই কথাগুলো আপনি আমাকে বললেন, অর্থৎ আমাকে বলার উপযুক্ত মনে করলেন, এটি আমার জন্য এক বড়ো পাওয়া, এতে করে এই ভালোবাসা স্বভাবতই সামনে এগিয়ে যেতে আমার জন্য সহায়ক হবে।

যাক, আপনার কমেন্টটি, এবং এই পোষ্টের অনেকের কমেন্টই মানুষ হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখকর। একটা গানে আছে, ''লাখো লাখো জনম হায়! হিয়ায় হিয়ায় বাঁধিনু, তবু হিয়া জুড়ান না গেলো।'' আবার, ''যদি চলে যাই পথে শ্যাম যায় মোর সাথে সাথে, চরনে চবনে ঠেকাইআ।'' মানুষে মানুষে কী একাত্ববোধ, কী সখ্যতা। আবার নজরুলের কীর্তনে ''আমি ধূলি হবো, শ্যাম যে-পথ দিয়ে চলে যাবে সেই পথেরই ধূলি হবো, সে চলে যেতে দলে যাবে সেই সুখে লো ধুলি হবো''। এই গানে কখনো আমার চোখে কেবল মাত্র প্রেমিক-প্রেমিকা আসে না। মানুষ বা মানুষের ভাবনা আসে। আমরা দেখি মুনুষের জন্য মানুষের হাহাকার। সখ্যতা ও মিলনের আকাঙ্খা।

বলেছেন, ''ব্লগিংটা অনেক ভালো একটা কমিউনিটি মনে হয় আমার কাছে। অচেনা মানুষগুলো কেমন করে ভাব-ভাষার লেনাদেনায় দিনে দিনে এতো কাছে চলে আসে আমার কাছে সত্যি অবাক লাগে এটা ভেবে।''

অসলেই, আমারো অনেক ব্লগারের প্রতিই একটা টান হয়ে গেছে। ইন্টরনেটে যে এটি সম্ভব আমি আগে একেবারেই বিশ্বাষ করিনি। আমাকে অনেকেই অনেক আগেই এখানে একাউন্ট করতে বলেছে, করিনি, বলেছি যে, ওখানে তো সবাই কেবল ফাইজলামি আর মজা করে । তারপর নিজের অজান্তেই একসময় একাউন্ট করা।

আপনি, ত্রাতুল ভাই, এই লেখাটা পোষ্ট দিতে পারেন কিন্তু।

আর কী বলবো, বিচ্চিন্নভাবে কীসব বললাম!

২৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৭:২৪

ইসরা০০৭ বলেছেন: সুরঞ্জনা আপু আমার অনেক পছন্দের একজন ব্লগার। আপুর লেখার ভক্ত বলতে পারেন। আমার চোখে আপু অনেক ভালো একজন লেখিকা।


চমৎকার লিখেছেন হানিফ ভাইয়া।

২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:১৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক ভালো লাগা রইলো ইসারা। ভালো থাকবেন। আপার লেখা অনেক মার্জিত।

২৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:৩৫

পোষ্টপেইড বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন হানিফ ভাই। উনার সবথেকে বড় গুনটি হলো উৎসাহ দেয়া, নতুন পুরানো সবাইকে। উনি এখনো এই বয়সে এসে যা একটিভ (ব্লগে এবং ফেসবুকে) তার পাচ ভাগের এক ভাগও আমি নয় :( :( :(

২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ''...বড় গুনটি হলো উৎসাহ দেয়া'' আপা সবাইকে বেশ আন্তরিক কমেন্ট করেন ও রিপ্লাই দেন।

ভালো থাকবেন পোষ্টপেইড। শুভ কামনা।

২৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:৪০

জেরী বলেছেন: সুরঞ্জনা আপুকে এবং উনার লেখা ও পছন্দ করি।

এফবিতে ও মাঝে মাঝে আমাদের মেসেজ চালাচালি হয় আর উনি বুয়া সমিতির একজন বুয়া হিসেবে সবসময় নিয়োজিত থেকে দেশের এবং বুয়া সমিতির মুখ উজ্জ্বল করে চলছেন:)

২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৮

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হা হা হা... জেরী আপা, এবং উনি আমাদের ভেতরে চির সবুজ ও মানসলোকের শিখা জ্বালিয়ে যান।

অনেক ভালো লাগা রইলো।

২৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১২

সত্যবাদী মনোবট বলেছেন: অনেক দিন ধরেই ব্লগে আসতে পারছি না..........

কিন্তু যখন ই ভাইয়া এই পোষ্টটি চোখে পড়লো আর না ঢুকে পারলাম না..........


দিদি......... আমার দেখা চির সবুজের প্রতীক।
দিদির মন মানুসিকতা, চিন্তাধারা ও লিখা পড়ে অনেক আগেই আমি উনার ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার কোন বড় ভাই কিংবা বোন না থাকায় আমি এর মর্ম বুঝতাম না কিন্তু দিদির সাথে মাঝে মাঝে যখন কথা হতো তখন একটা ভরসা পেতাম। আমার প্রিয় মানুষটার জন্য সব সময় অন্তর থেকে দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।

ভাইয়া তোমায় অনেক অনেক ধন্যবাদ এত দারুন একটা পোষ্ট দেয়ার জন্য।


সর্ম্পকগুলো বাঁধা অদৃশ্য বন্ধনে
কত শত সর্ম্পক গড়েছি ভালোবাসার দামে


২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন:
সর্ম্পকগুলো বাঁধা অদৃশ্য বন্ধনে
কত শত সর্ম্পক গড়েছি ভালোবাসার দামে


অসাধারণ প্রকাশ।

অনেক ব্লগারই আছে, বেশ জনপ্রিয়। আমার মনে হয় (দেখছি) সুরঞ্জনা আপার মত কেউ নেই, যার সাথে ব্লগারদের এমন শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আন্তরিকতার গভির সম্পর্ক। আমি জনি আপাকে শুভেচ্ছা জানাতে আরো অনেকেই আসত, কেবল আমার ব্লগ বলেই আসবে না।

ভালো লাগা রইলো সত্যবাদী।

২৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:২৪

একুয়া রেজিয়া বলেছেন: সুরন্জনা আপুকে আমি চিনি চতুর্মাত্রিক থেকে।তার অসাধারণ লেখনী আমাকে বার বার মুগ্ধ করেছে।
কিছু কিছু মানুষ কে চিরসবুজ গাছের মত মনে হয়।আপুও ঠিক তেমন।

পোষ্টটি অসম্ভব ভাল লাগল।:)

২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো একুয়া রেজিয়া। আপা অনেক ভালো মনের একজন মানুষ। এই 'ভালো' বলায় আসলে কিছু বোঝা যায় না। সাধারণ মানুষদের যে নানাবিধ জটিলতা দেখা যায় তা আপার মধ্য নাই-ই বলা যায়।

৩০| ২৩ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সুরঞ্জনা আপু তাঁর স্নেহ আর মমতা দিয়ে এমন করে জড়িয়ে রেখেছেন প্রতিটা সময়ে, এখন তিনি একটা অভ্যেসের মত হয়ে গেছেন। আপুতো আদর আর ভালবাসা দেবেনই, যাই হোক না কেন! কিছু কিছু মানুষ থাকেন, যাঁদের মধ্যে মা ভাব প্রবল, যাঁরা মায়ের মত মমতায় সবাইকে আগলে রাখেন। সুরঞ্জনা আপু তেমনই একজন মানুষ। উনি কখনো কারো কথা ভোলেন না।

খুব সুন্দর করে লিখেছেন ভাইয়া। আপুর জন্য অনেক অনেক ভালবাসা।

শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: কিছু কিছু মানুষ থাকেন, যাঁদের মধ্যে মা ভাব প্রবল, যাঁরা মায়ের মত মমতায় সবাইকে আগলে রাখেন। সুরঞ্জনা আপু তেমনই একজন মানুষ।

হ্যাঁ, আপার ভেতের এই ধারাটি প্রবল। এ-বিষয়টির আমি বিস্তারিত বলিনি (আসলে লেখাটা তো অনেক ছোট) কারণ, 'মাতৃত্তবোধ' 'মা জাতী' এগুলো অনেক সময় একেবারে সস্তা শ্লোগানের মত শোনায়, তাই ঝুলে পড়ার ভয়ে, এ-বিষয়টি তেমন টানিনি।

অনেক ভালো লাগা ও শুভ কামনা রইলো সমুদ্র কন্যা। ভালো থাকবেন।

৩১| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:১৫

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: ওনার প্রতিটা লেখার মধ্যে জীবন্ত কিছু পাওয়া যায়।

২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:২২

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আন্তরিকতা ও সততা থাকলে, কেবল লেখাতে নয়, সমস্ত জীবনে; তাহলে লেখাতেও এর ছাপ পড়ে। লেখা অনেক জীবন্ত হয়ে উঠে।

ভালো লাগা রইলো।

৩২| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:১৬

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
ত্রাতুল বলেছেন : জেশান শা ইকরাম- ব্লগের অনেকেরই মামা হন তিনি। তারুণ্য কাকে বলে, ওনার কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। শুনেছি উনি বরিশালের বাসিন্দা। আমার বাড়ি সাগর কন্যার দেশে হওয়াতে ওনাকে কাছের মানুষ মনে হয়, যদিও কখনোই ঐভাবে কথা হয়নি ওনার সাথে। সালাম আর শ্রদ্ধা রইল।


অনেক ধন্যবাদ ত্রাতুল।
জি আমি বরিশালের। বরিশালেই থাকি । একই এলাকার বলা যায়।
ফেবুতে আপনি আমি বন্ধু কিনা বুঝতে পারছি না।

৩৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:০৪

চেম্বার জজ বলেছেন: একটা পোস্টের মন্তব্যগুলোও যে এতো সুন্দর হতে পারে-তা এই পোস্টে আবার নাএলে বুঝতেই পারতামনা।

২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩২

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো চেম্বার জজ। ভালো থাকবেন।

৩৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:০৫

জুন বলেছেন: জুন আপু- ওনার স্নেহ আর অনুপ্রেরণা আমার পাথেয় হয়ে থাকবে সারাটা জীবন। যদিও ইদানিং ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি ওনার কাছে থেকে...
কেনো ত্রাতুল কি করেছি আমি যে ভয় পাচ্ছো :(
আমি তো কখনো কাউকে কোনো কঠিন কথা বলেছি বলে তো মনে পরেনা। আর তা আমি পারিও না। আমাকে কেউ বল্লে আমি যেমন কস্ট পাই। অন্যকে বলার তো প্রশ্নই উঠেনা।
মানুষ কি অবলীলায় একজন আরেক জন কে কত অপদস্থ অপমানই না করছে। ভাবতেও আমি অবাক হয়ে যাই।
স্নেহ আর অনুপ্রেরণাটা আমার অক্ষুন্নই থাকবে যতদিন বেচে থাকবো ত্রাতুল।

৩৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪৯

শায়মা বলেছেন: শায়মা আপু- কিছু বলার নাই, চেলাকাঠের পিটুনি খেতে চাই না...


হি হি হি


সাবধানে থাকো আর ভুই পাও আরও !!!!!! :P


)আর হানিফ রাশেদিন- আপনাকে নিয়ে চিন্তায় আছি। এত ভাবেন কি করে? আপনি মনে হয় বয়সে আমার খুব বেশি বড় হবেননা। আপনার মন্তব্য আর লেখা পড়ে অনেক সময় বিরাট চিন্তায় পড়ে যাই, আমি কেন এভাবে পারিনা? কবে যে মানুষ হব? এটা কিন্তু একদম সিরিয়াসলি বললাম, ফান করে না। )

দোয়া করি ত্রাতুল পিচকা তুমি আর একটু বড় হয়ে রাশেদীন ভাইয়ার মত একজন চিন্তুক হও! :)

২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৬

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আমাকে নিয়ে ত্রাতুলের বলা কথা ফান নয়, সিরিয়াস। কিন্তু অতি বিনয়। আমরা বিনয়কেও শ্রদ্ধা করি, তবে ''এই আমাকে'' সামনে রেখে এমন বিনয় দেখে, আমার অজ্ঞতার দিকে তাকান ছাড়া আমি আর কী বলবো!

আর এখানে, শায়মা আপা, আপনি আবার আমাকে বলেছেন ''চিন্তক''! ভালোই!! মধুর অপবাদ!!!

৩৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:০৬

মেহবুবা বলেছেন: সুরঞ্জনা আপার লেখা খুবই বৈচিত্রময়, তিনি তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ জীবনের কথা আমাদের শোনান; আমরা নিজেদের সৌভাগ্যে নিজেরা পুলকিত না হয়ে পারি না ।

ব্লগের অনেক প্রিয়জনেরা অনিয়মিত , অনুপস্থিত ।
সুরঞ্জনাকে নিয়মিত তার জীবনবোধ, স্মৃতিময়তা, ভাবনার উপস্থাপন নিয়ে সবার জন্য সব সময়ের জন্য দেখতে চাই ।

এ পোষ্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৫০

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো মেহবুবা আপা। ভালো থাকবেন।

৩৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:১৩

ত্রাতুল বলেছেন:

জিসান শা ইকরাম- স্যরি, আগেরবার নামের বানান ভুল করেছিলাম। ভাই ডাকব না মামা ডাকব বুঝতে পারছিনা... হাহাহা। আর ফেসবুকে আছিত, বন্ধুই আছি। :)

জুন আপু- স্নেহ না দিয়ে কোথায় যাবেন শুনি? আর ভয়?- হাহাহা, এইযে ব্লগে আসতে পারিনা, আপনার বাড়িতে যেতে পারিনা, তাই ভয় লাগে; কখন আবার সামনে পড়ে যাই আর বকা দেন। :P

শায়মা আপু- ভুই পাওয়া ভাল। :)

রাশেদীন ভাই- অনেক বড় মানুষের বিনয় থাকে, আমিতো সে দলে পড়িনা। আমি সাধারণ মানুষ, সাধারণ হয়েই বাঁচতে চাই। দোয়া করবেন।


আজতো আমাদের মায়ের জন্মদিন।

শুভ জন্মদিন, মা।
লক্ষ্য বছর বেঁচে থাকুক আমাদের মা, আমাদের দেশ।

২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৫

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হা হা হা... দেখবেন, প্রকৃত বড়ো মানুষরাই সাধারণ মানুষ।

ভালো থেকো মা, আমাদের দেশ।

৩৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:২০

ফাইরুজ বলেছেন: পোস্ট পড়ব না কমেন্ট পড়ব ?দুটো মিলে এই পোস্ট একটা আলাদা রকম ভালো লাগা তৈরি করেছে ।

২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৬

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হা হা হা...ফাইরুজ।

৩৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:২০

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: ১১ নং কমেন্ট এর জবাবটা দেখে একটু হাসবো বলে আসলাম, লাভ হলোনা, শেষে দেখি আপনার কোলাকুলি করে নিলেন।



১৩ নং কমেন্ট এবং তার জবাবটা বেশ ভাল লাগল।

৪০| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২৯

নীরব 009 বলেছেন: সত্যিকারের একটা ভাল পোস্ট এবং সত্যিকারের কিছু সুহৃদ মানুষের দেখা পেলাম আজকে।মনে হল আমার যতোটুকু ভুলত্রুটি ছিল এ ব্লগ লেখায় তা ধরতে পেরেছি।আমি সবসময় সাজেস্ট করি ব্লগ পড়ার এবং সুচিন্তিত,সৃষ্টিশীল সমালোচনা করার এবং আমি তাই করি।যদিবা পা ফসকে এ ধারা থেকে একটু সরে আসছিলাম কিন্তু এ পোস্ট আমাকে অনেক শিক্ষিত করেছে।বিভিন্ন পোস্টের মন্তব্যগুলো দেখলেই বোঝা যায় কোন গুলো হাজিরা দেয়ার জন্য আর কোন গুলো পঠিত নির্যাস থেকে আসা।


আমি নতুন ব্লগার।সুরন্জনা আপুকে দেখেছি অনেক ব্লগারের পোস্টে মন্তব্য করতে।খুব ইচ্ছে হত ওনার সুন্দর মন্তব্যগুলো আমার পোস্টে দেখতে,কিন্তু তা হয়নি।আজ অনেক কিছু জানলাম,শিখলাম আর সুরন্জনা আপুর অজানা রূপটির সাথে সাথে হানিফ রাশেদীনকেও খুঁজে পেলাম।


শুভ রাত্রি।ভাল থাকার প্রত্যাশায়।

২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৫৮

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আপনার মানসিকতা ভালো লাগলো নীরব 009।
অনেক ভালো লাগা রইলা। ভালো থাকবেন। কথা হবে।

৪১| ২৭ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:১১

মহাবিশ্ব বলেছেন: আকাশজোড়া শুভকামনা প্রিয় সুরঞ্জনাদিদির জন্য। এই উজ্জ্বল চেতনার রঙ নিয়ে আজীবন গভীর অনুভবের সুবাস ছড়িয়ে যাবেন, এই প্রার্থনা রইল। তাঁর নীরোগ সচেতন দীর্ঘায়ু কামনা করি।
আর আপনার ঝকঝকে রোদ্দুরমাখা অনুভূতি প্রকাশের জন্য একরাশ অভিনন্দন রইল।
সুপ্রভাত হানিফ।

২৭ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৫১

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক ভালো লাগা রইলো মহাবিশ্ব। আশা করি ভালো আছেন। ভালো থাকবেন।

৪২| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৩০

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:

কিছূ কিছূ অনুভূতি ভাষায়ও প্রকাশ করা সম্ভব হয়ে উঠেনা................


শুভকামনা

সুরন্জণা আপু আর যিনি তাকে নিয়ে এত সুন্দর করে লিখতে পেরেছেন

২৮ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:১২

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হা হা হা... সকাল, সকাল ভাই,
আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন।

৪৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৩৬

ভাঙ্গন বলেছেন: সুরঞ্জনা আপুর ভক্তকুলের তালিকা দেখে ঈর্ষান্বিত হবার মত ঘটনা! একজন মানুষ কীভাবে এত প্রিয় হয়ে ওঠেন, সেটা এখানেই প্রমাণ।
......................

ভার্চূয়াল সীমানা পেরিয়ে আপু বাস্তবেও চমৎকার একজন মানুষ।
আপুর প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসাসহ-

২৮ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: যারা সত্যিকারের ভালো মানুষ, তারা সর্বত্রই 'এক' আর 'সাধারণ'। এবং তাঁদের একটা স্বকিয়তা থাকে, লোক দেখানো কোনো ভণিতা থাকে না, (আরো অনেক বৈশিষ্ঠ বলা যায়) যা আমরা সুরঞ্জনা আপার বেলায়ও দেখি।

আপার ব্লগে অনেক কমেন্ট পরে, তাঁর চেয়েও কারো কারো ব্লগে আরো বেশি। তবে আমার মনে হয় আপার প্রতি সবার যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, আন্তরিকতা, তা অনেক কম ব্লগারের বেলায়ই প্রযোজ্য।

শুভ কামনা ভাঙ্গণ ভাই।

৪৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:২৫

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: হা হা হা, হানিফ ভাই, এই পোস্টের কমেন্টগুলো পড়ে বেশ মজা পেলাম । আসলে কিছু কিছু পোস্টের চেয়ে কমেন্ট পড়ে বেশি মজা পাই । এই পোস্ট টা তেমন একটা পোস্ট । আসলে কি জানেন হানিফ ভাই, আমরা ব্লগার রা সব সময়েই বোধহয় চেনা পরিচিত মানুষের লেখাকে একটু আলাদা রকম গুরুত্ব দেই (সবাই না বেশির ভাগ)। এটা একটা স্বাভাবিক বিষয় ।

তো যেটা বলতে চাচ্ছি, এই কারণে অনেক সময় বেশ ভালো ভালো লেখা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। আমাদের এই বিষয়টার দিকে খেয়াল রাখা উচিত । আর শুধু পড়ে চলে আসা উচিত না । কারণ কমেন্টই ব্লগিং এর প্রাণ ।

এই জন্যে আমি বৃষ্টিধারাকে সাধুবাদ জানাই ।

৩০ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৩৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হ্যাঁ, অনেক সময় বেশ ভালো ভালো লেখা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। আর আসলে হয় কী, সময় করে অনেকের ব্লগে যাওয়া কঠিন। এবং আমরা অনেককে জানিও না, কারা ভালো লিখে?

কমেন্টই ব্লগিং এর প্রাণ, এটি তো এক কথায় যেকেউ মানবে। তবে আমি কমেন্টে হাই-হ্যলো করা আর ছেবলামি করা একেবারেই পছন্দ করি না।

কথা হবে তানিম ভাই।

৪৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬

ছোটমির্জা বলেছেন:
আমাদের প্রিয় ব্লগার হুপফূলফরইভার এর বাবা আর নেই- বাবাকে ভালবেসে চোখ ভিজাতে পড়ে আসুন

৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০৬

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: দেখলাম ছোটমির্জ।


ভালো থাকবেন।

৪৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১২

সকাল রয় বলেছেন:
লেখাটা আগেই পড়েছি কমেন্টও করেছি.........................................................
সুরন্জনা দি'কে কি আর বলবো মনে হয় ব্লগে না এলে এমন মানুষের সাথে দেখাই হতোনা।
আপনার বিশ্লেষনি ক্ষমতা প্রসংশনীয়


অঃটঃ

আমার ভক্তকুল নেই; আলোকিত হবার বাসনাও নেই; কিন্তু যাদের লেখা গুলো পড়ি তা ভাল লাগে বলেই পড়ি। আমার লেখা খুব কম লোকেই পড়ে আর যারা পড়ে তারা হয়তো তাদের ভালো লাগা থেকেই পড়ে তাই পাঠক বা ব্লগারদেরকে নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই।

৩০ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অঃটঃ'তে লেখা শেষ পেরা বুঝলাম না সকাল ভাই। তবে এটুক আমি বলতে পারি, বেশ জোর দিয়েই বলতে পারি যে, আপনাকে আমি পছন্দ করি। আর ''লেখাটা আগেই পড়েছি কমেন্টও করেছি...........'' তা আমি বুঝতে পেরেছি। ... তা আমি জানি

অনেক ভালো লাগা ও শুভ কামনা। ও! একটা কথা বলি, ফেসবুকে কোনো লিঙ্ক দিলে আর তার রিপ্লাই না পেলে। মাইন্ড না করার অনুরোধ রইলো। ফেসবুকে আমি একটিভ নই, ভালো লাগে না, ঠিকমত ব্যবহারও করতে পারি না। আমি কেবল আমার ব্লগের লিঙ্ক দিই ওখানে।

৪৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:১২

সুরঞ্জনা বলেছেন: এই রাশেদীন পাগলা? এই পোস্ট দিয়ে তুমি কি করলে বলতো? এত্তো এত্তো মানুষের ভালোবাসার প্রকাশে আমি মুগ্ধ, কৃতজ্ঞ। কি করে তাদের ধন্যবাদ জানাই? আর এই ভালোবাসা, শ্রদ্ধার জন্য ধন্যবাদ শব্দটিও অনেক হালকা হয়ে যাবে।

হানিফ রাশেদীন, শায়মা, সাজি, বিভেস১১, জিসান শা ইকরাম, বীনা, সাদা পাতা, জুন, জুলভার্ন ভাইয়া, মুনসী১৬১২, শূণ্য উপত্যকা, বৃষ্টিধারা, ফাইরুজ, জেরী, রেজোওয়ানা, সুপান্থ সুরাহী, মানবী, নাআমি, শোশমিতা, কিসুনা, ত্রাতুল, ইসরা, পোস্টপেইড, সত্যবাদী মনোবট, একোয়া রেজিয়া, সমুদ্র কন্যা, দুপেয়ে গাধা, চেম্বার জজ, মেহবুবা, ভাঙ্গন, নীরব ০০৯, মহাবিশ্ব, অরুদ্ধ সকাল, সকাল রয়, তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবোনা।

শুধু এটুকুই বলবো- আমি তোমাদেরই লোক। আমি তোমাদের খুব কাছের একজন বলে নিজেকে মনে করি। আমি তোমাদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসি, স্নেহ করি।

অনেক অনেক ভালো থেকো তোমরা সবাই।

@ শায়মা, রাশেদীন বয়সে তোমার অনেক ছোট হবে। তবে কিন্তু জ্ঞানের জাহাজ। একটুও বাড়িয়ে বলছিনা। :)
ভালো থেকো রাশেদীন, তোমার আকাশ জুড়ে, তোমার জগত নিয়ে তুমি অনেক অনেক সুখে থাকো। শুভ কামনা নিরন্তর!!!!!

৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:১১

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হা হা হা... আপা। কী বলবো...
সবার এমন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখে আমারো খুব ভালো লাগছে।


এমনি সুন্দর ও ভালো থাকার প্রত্যাশায় শুভ কামনা।

৪৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:৩৫

ইসতিয়াক আহমদ আদনান বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে এসে বেশ চমৎকার কিছু লেখার দেখা পেয়ে গেছি। সুরঞ্জনাদির সম্পর্কে কিছুই বলার নেই, ওনার লেখাগুলা আসলেই অতুলনীয়। আপনিও খুব চমৎকার করে ওনার লেখার ব্যবচ্ছেদটা করতে পেরেছেন। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য...

৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:১৬

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আদনান ভাই, অনেক ভালো লাগলো আপনাকে দেখে। অনেক দিন দেখতে না পেলেও, কেউ কেউ আছেন, যাদেরকে মনে হয় কাছেই আছেন, তাদের মধ্যে আপনি একজন।


শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।

৪৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪০

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: হানিফ ভাই, আপনার এই কথাটার সাথে আমি মোটামুটি একমত -" আমি কমেন্টে হাই-হ্যলো করা আর ছেবলামি করা একেবারেই পছন্দ করি না। " সম্পূর্ণ ভাবে একমত হওয়া একদমই সম্ভব নয় কেনণা কিছু মানুষ ব্লগিং করেই ছ্যাবলামি করার জন্যে ।

যাই হোক, ব্লগে যেদিন থেকে লেখা শুরু করেছি সেদিন থেকেই আমি ব্লগ বিষয়ে কিছু জিনিস ভাবছি । বলা চলে ব্লগের অব্যবস্হাপনা থেকে উদ্ধার পাবার জন্যে কি করা যায় । আপনি কি আমার সাথে যুক্ত হবেন এই ব্যাপারটাতে ?? আমি জানি আপনি যদি আমার সাথে এই বিষয়ে একমত হন, অনেকেই এগিয়ে আসবেন । আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: তানিম ভাই, ''কিছু মানুষ ব্লগিং করেই ছ্যাবলামি করার জন্যে'' বলে আমাদের ''সম্পূর্ণ ভাবে একমত হওয়া একদমই সম্ভব নয়'' হতে পারে না। আমাদের কী কাঙ্খিত আর কী কাঙ্খিত হওয়া উচিৎ? কেমন ব্লগ আমরা দেখতে চাই? এই জায়গা থেকে আমাদেরকে ভাবতে হবে। তার মানে বাস্তবতাকে পছন্দ না হলেও একটু একটু মেনে নেয়া না। শুভ বোধ, কল্যানকর, মিনিংফুল আর সুন্দরের জায়গা থেকে দেখা, এর বিপরিতে বাস্তবতা থেকে নয়। এখানে আবার প্রশ্ন আসে বিপরিতমুখি বাস্তবতাকে আমরা কেমন করে দেখব, তা-ই।

''ব্লগের অব্যবস্হাপনা'' বুঝলাম। আপনি কী করতে চাইছেন তা স্পষ্ট করে বলেননি। যাক, আমার মনে হয় এইসব কোনো কাজে আসবে না, আমরা যেটা করতে পারি, ''এই আমরা'' নিজেদের মধ্য কথা বলবো। আমি আপনার সঙ্গে আছ। তবে ব্লগে অনেকের সাথেই আমি কথা বলবো না, সম্ভব না।

শুভ কামনা তানিম ভাই।

৫০| ৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:১৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপু ইজ আপু....সত্যিই অতুলনীয় একজন মানুষ। আমি প্রথমে আপু ডাকতাম পরে একদিন যখন বলি আপনি তো আন্টির মতন...আপু বলেন আন্টিনা বরং নানুর বয়সী। আপু ডেকে ফেলেছি এখন কি... :-*
পরে আপু কি বলেন জানেন? বলেন সমস্য নেই এখনকার বাচ্চারাতো নানুকে আপি ই ডাকে তুমিও না হয় সে হিসেবে আপুই বোলো
এই হলেন সুরঞ্জনা আপু :)

০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হা হা হা... মজার অভিজ্ঞতা তো! তবে আপাকে বয়সে অতো বড় দেখতে আমার ভালো লাগবে না

অনেক ভালো থাকবেন নীল-দর্পণ। শুভ কামনা।


আপু সত্যিই অতুলনীয় একজন মানুষ।

৫১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:০০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আমি অফলাইনে যে কয়জনের ব্লগ করি - তারমধ্যে উনি একজন - যদিও উনার সাথে ঐরকম পরিচয় নাই :)

উনি ইদানিং চতুরেও লিখেন - ঐখানে উনার লাষ্ট পোষ্টে আমার কমেন্ট আছে :)

সহব্লগারদের প্রতি এরকম অনুভূতি সত্যিই মুগ্ধ করে - ভাল থাকুন সবসময়

০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫২

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আমার বেশ ভালো লাগলো অনেকের আন্তরিকতা-সম্পন্ন কমেন্টে দেখে। পরস্পরের প্রতি এমন ভালোবাসা, সত্যিই দারুন এক ব্যপার।

আর আপনার কী খবর মাসুম ভাই? অনেক দিন পর ব্লগে দেখলাম। আশা করি ভালো আছেন। শুভ কামনা।

৫২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:৩৫

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
ব্লগে ঘনিষ্টতা পুরোটাই পারষ্পরিক মন্তব্য লেনদেনে। কিন্তু কখনো কারো কারো উপস্থিতিই এমন যে খোলা জানালার মতো অক্সিজেন বয়ে আনে। অনেক মন্তব্যে ভিড়ে তাদের মন্তব্যে আন্তরিকতা থাকে। সুরঞ্জনা নিরবে সেই কাজটি করে যান।

আর হানিফকে প্রয়োজনীয় একটি প্রশংসা করি - সুরঞ্জনার জন্য তার পোস্টটি একটা দৃষ্টান্ত তৈরী করল। আগে ভাঙ্গনের গল্প নিয়ে তার পোস্টটি এখনো স্মৃতিতে আছে।

ভাল থাকবেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫৬

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আমার কাছেও এই পোষ্টটি ''বিশেষ'' মনে হয়। লেখাটা যেমনই হোক, লেখাটির উপলক্ষে পরস্পরের প্রতি যে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সখ্যতা প্রকাশ পেয়েছে। এর তুলনা নেই।

শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।

৫৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩৮

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ভাল থাকুক সুরন্জনা,ভাল থাকুন তিনি।:)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: সর্বদা সজিব থাকুক এই শুভ কামনা।
ভালো লাগা রইলো মাহী।

৫৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০৯

সাহারা খাতুন বলেছেন: আমার অসম্ভব প্রিয় একজন ব্লগার সুরঞ্জনা আপু-তাঁকে নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। তাঁর লেখা খুবই বৈচিত্রময়, তিনি তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ জীবনের কথা আমাদের শোনান-যা আমাদের জীবন চলার পথের অনেক শিক্ষনীয়। ধন্যবাদ জানাই সুরঞ্জনা আপুকে, ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:২৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক ভালো লাগা রইলো আপনার প্রতি। ভালো থাকবেন।

৫৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৫১

সানজিদা হোসেন বলেছেন: সকালবেলা একবার ব্লগে ঢ়ুকেছিলাম। কিছু ব্লগারের চুলছেড়াছেড়ি দেখে মন খারাপ করে কমেন্ট না করে বের হয়ে গেছি।এখন এই লেখাটা পড়ে মন ভাল হয়ে গেল।আমরা এখোনো ভালকে ভার বলতে পারি।আমরা এখোনো ন্ষ্ট গয়ে যাইনি।অস্থির সময় আমাদের অস্থির করেছে ঠিকিই।কিন্তু এখোনো গ্রাস করতে পারেনি ।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের এই সত্যিটুকু সামনে আনার জন্য ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:২৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: যা বললেন, দেখা যায় যৌক্তিক জায়গা থেকে একেবারেই ভিত্তিহীন আর তর্কের বিষয়টির জায়গা থেকেও একেবারেই ভিত্তিহীনভাবে একেকজন জগত উদ্ধার করে। যা অসুস্থ বিনোদন ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি, বলা যায় নিশ্চিত যে, এর মধ্য দিয়ে ওরা বিকৃত আনন্দ পায়। ওদের এই বিকৃত আনন্দের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও বলা যায়। যাক, অনেক সময় দেখা যায়, এমন ভয়াবহ গালাগালি! কারো প্রতি কারো কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। নিজের প্রতিও না। আর ওদের কথা যে কত কৃত্রিম তা বোঝা যায়, দেখবেন, ওরা মুখে যা বলে... কিন্তু ওদের মধ্যে কোনো দায়িত্ববোধ নেই। প্লিজ, Click This Link

এটি ধর্ম নিয়ে হলেও, এছাড়াও অনেক সময় অনেক বিষয় নিয়েই ওদের চুলছেড়াছেড়ি দেখা যায়। আমি আগে কৌতুহলবশঃত দেখতাম, আর বিরক্ত লাগতো, এখন আর দেখিই না। ব্লগে তেমন ঘুরি না। কেবল কিছু ব্লাগারের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকি।

অনেক কথা বললাম হয়তো। আপনার কবিতা বেশ ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.