নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মৌমাছি

TOMORROW>>>>>>>>>>>

হারুনূর

প্রয়োজন নাই ।

হারুনূর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখনই সময় জেগে উঠার!

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:১৭

স্বীয় অধিকার আদায় আর অন্যায়ের প্রতিবাদে এই জাতি কখনো পিছপা হয় নি। ইতিহাস তার সাক্ষী হয়ে আছে। কোন অপশক্তির কাছে আমার পূর্বপূরুষ কখনো মাথা নত করে নি আমিও করব না। পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যায়ের জবাব দিয়েছিল সাত কোটি বাঙ্গালী। আজ আমরা ভারতের অন্যায়ের জবাব দিতে জেগে আছি ষোল কোটি বাঙ্গালী। আজকে আমাদের শক্তি অনেক বেশি কারণ আমাদের আছে বিশ্ব স্বীকৃত একটি জাতি সত্তা। এই সত্তার নাম বাঙ্গালী জাতি সত্তা। এই সত্তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রাণ দিয়েছিল তিরিশ লক্ষ অকুতোভয় সৈনিক। সেই সত্তাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে আমরা কি পারি না নিজের বিবেক বুদ্ধি আর মেধার একটু প্রয়োগ ঘটাতে?



আসুন একটু জেনে নেই ভারতের হীন চরিত্রের একটি দিক। ১৯৭৫ সালে তারা ভারতের পার্শ্ববর্তী একটি ক্ষুদ্র স্বাধীন রাষ্ট্রকে দখল করে নিজ ভূমিতে অন্তর্ভূক্ত করে। যা তাদের সেভেন সিষ্টার্স খ্যাত রাজ্যগুলোতে বিভিন্ন চরম পন্থী গেরিলা বাহিনীর জন্ম দেয়। সর্বশেষ গুন্ডে ছবির কাহিনীতো সবারই জানা। এ থেকে কি প্রমাণিত হয় না যে আমাদের প্রতিবেশী দেশটি বিজাতির জন্যে কতটুকু হুমকি স্বরুপ? তারা কখনোই বিজাতির জাতিস্বত্তার প্রতি নুন্নতম শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে না। যা ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে এবং এখনো প্রতিনিয়ত তার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে।



ফারাক্কা মরণ ফাঁদের কথাতো সবারই জানা। এই বাঁধ আমাদের উত্তরাঞ্চলে মরুকরণ প্রক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। গঙ্গার পানি বন্টণ চুক্তিকে ভারত কখনোই মানে নি। তিস্তার পানি বন্টন প্রক্রিয়াকেও তারা ঝুলিয়ে রেখেছে। এখন আবার শুরু হয়েছে নতুন উদ্বেগ। আর সেটা হচ্ছে টিপাইমুখ বাঁধ। এই সবই আসলে ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের অংশ। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের নদীগুলো সব মরে যাবে। জীব বৈচিত্র ধংস হয়ে যাবে। পুরো ইকোসিষ্টেম লস হয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিবে। পানির স্তর নিচে নেমে যাবে যা আর্সেনিক দূষণকে ভয়াবহ রুপ দিবে। জনসাস্থ্য বিপর্যস্ত হবে। বন্যার সময় অতিরিক্ত পাহাড়ি ঢলের কবলে পড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাবে। সর্বপরি দেশের অর্থনীতি ধংস হয়ে যাবে।



ভারতের এই আন্তঃনদী প্রকল্প সম্পূর্ণরুপে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। কিন্তু ভারতের দাদাগিরি আমাদের উপর এই অন্যায় চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করছে। যা আমাদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে। তাই আমাদেরকে অতি দ্রুত পরিবেশবাদী আন্দোলনে সক্রিয় হতে হবে। রুখে দিতে হবে ভারতের এই নব্য ঔপনিবেশিকতার অপচেষ্টাকে।



ভারতের সাথে আমাদের রয়েছে অসম বাণিজ্য ঘাটতি। বার বার ভারতকে এই বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্যে অনুরোধ করা হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করে না। সিমান্তের অমিমাংসীত ৬১৫ কি. মি. এলাকা নিয়ে তারা যৌথ জরিপ কমিশন গঠন ও সমাধানের ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখায় না। যার স্বীকার হচ্ছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ। তারা সীমান্ত এলাকাকে এক মৃত্যু কূপে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় জেগে উঠা দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপকে ভারতীয় নৌবাহীনি দখল করে নেয় অবৈধভাবে শক্তির জোরে। এখন অবশ্য দ্বীপটির অস্তিত্ব নেই। এছাড়া সিটমহল সমস্যাতো আছেই। যা সমাধানে বাংলাদেশ বারবার আগ্রহ দেখালেও ভারতের এতে বরাবরই অনিহা।



এখন আবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে ট্রানজিট চুক্তি। যা বাংলাদেশের অখন্ডতা আর সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিবে। এই ট্রানজিট দিলে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে কিন্তু আমাদের স্বার্বভৌমত্বকে ধংস করবে। এমনকি তখন বাংলাদেশে সেভেন সিষ্টার্সের গেরিলা বাহিনী গুলোর তান্ডবলীলা শুরুর আশংকা রয়েছে। ভারতের স্বস্তা পণ্যের সাথে বাজারে টিকে থেকে আমারা অর্থনৈতিক ভাবে কখনোই এই চুক্তির দ্বারা লাভবান হতে পারব না।



তাই বলা যায় যে, ভারত আমাদের সাথে সহযোগিতার হাত কখনোই প্রশস্ত করবে না। তারা বরাবরই এই এলাকায় নব্য ঔপনিবেশ গড়ে তুলতে চায়। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে। আমাদের কৃষিকে ধংস করে দিচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ধংস করে দিচ্ছে। আর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার পায়তারা করছে। সর্বপরি আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।



এখনি সময় জেগে উঠার। দেশের ভিতরে ও বাইরে সারা বিশ্বে জনমত গড়ে তোলেন। একবংশ শতাব্দির এই পৃথিবীতে কেউ একা নয়। আমাদের ছোট ছোট পদক্ষেপই পারে আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমিকে রক্ষা করতে। আমার পূর্বপূরুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই সত্তার মান আমি রাখবোই। নতুন প্রজন্মের কাছে এটা আমার অঙ্গীকার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.