নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মৌমাছি

TOMORROW>>>>>>>>>>>

হারুনূর

প্রয়োজন নাই ।

হারুনূর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিএসসির হর্তাকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ!

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

ঘটনার তারিখঃ ৩১ মার্চ ২০১৪

স্থানঃ মহিলা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট, আগারগাও।



ঘটনার বিবরণঃ

৩৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার শেষ পরীক্ষা ছিল আজ। প্রতিদিনের মতো সবাই ৯টা ৩০মিনিটে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করল। অনেকের সাথেই মোবাইল ছিল কারণ আজকে শেষ পরীক্ষা ও অনেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবে। পরীক্ষা শুরুর আগেই অনেকে দায়িত্বরত কর্মকর্তার কাছে মোবাইল জমা দিয়ে দিল আবার অনেকে নিজের কাছে রেখে দিল। যারা মোবাইল নিজের কাছে রেখে দিল তাদেরই একজন মোবাইল ব্যাবহার করে কিছু একটা লিখছিল। দায়িত্বরত ম্যাজিষ্ট্রেট স্বাভাবিকভাবেই তাকে বহিস্কার করে দিল। পাশাপাশি তিনি আরেকটি অদ্ভূত কাজ করলেন। যেই মোবাইলগুলো পূর্বে (পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে) জমা দেওয়া হয়েছিল সেইগুলো তিনি জব্দ করলেন। পাশাপাশি প্রতিটি মোবাইল নম্বরের বিপরীতে রেজিষ্ট্রেশন নম্বর লিখে নিলেন।



পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরের ঘটনাঃ

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ভোক্তভোগীরা মোবাইল ফোন ফেরত পাওয়ার জন্যে স্বাভাবিক ভাবেই উক্ত কেন্দ্রের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রন কক্ষে গেল। সবাইকে বলা হলো যে, সব মোবাইল পিএসসিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা পিএসসিতে গেল। কিন্তু পিএসসিতে বলা হল যে, "এখানে কোন মোবাইল পাঠানো হয় নাই"। তারপর তারা আবার পরীক্ষা কেন্দ্রের ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে আসলো। তিনি বললেন যে পরীক্ষার্থীদের সাথে নাকি উনার কোন কথা নেই।



আমার মতামতঃ

এখানে যাদের মোবাইল জব্দ করা হলো তারা অবশ্যই অপরাধী। কারণ পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু যারা মোবাইল জমা না দিয়ে সাথে রেখেছিল তারা আরও বেশি অপরাধী। যদি বিচারের কাঠগরায় দাড় করাতে হয় তবে যারা নিজের সাথে পরীক্ষার সময় মোবাইল রেখেছিল তাদেরকে আগে শাস্তি দিতে হবে। অথচ যারা আত্নস্বমর্পণ করল তাদেরকে ফঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো। এখানে কোন শাস্তির বিধান কর্যকর করার আগে সবার বডি অবশ্যই সার্চ করা উচিত ছিল এবং প্রত্যেকের জন্য বিচারের সমতা নিশ্চিত করা উচিত ছিল। এখানে কোন ন্যায় বিচার হয়নি। গভীর ভাবে চিন্তা করলে মূলত যাদের মোবাইল জব্দ করা হলো তারা তেমন বড় কোন অপরাধ করেনি। কারণ তারা পরীক্ষা শুরুর আগেই মোবাইলগুলো জমা দিয়েছিল।



এদের ভাগ্যে আসলে কী ঘটেছে তা কেউ জানে না। এখানে দুইটা সম্ভাবনা আছে। প্রথমত, এদের সবাইকে বহিস্কার করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক কারণ তারা তাহলে আর কখনোই পিএসসির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমার অনুমাণ যদি সঠিক হয় তাহলে এই সংখ্যাটা ১০০ বা তার কাছাকাছি হবে। দ্বিতীয়ত, মোবাইলগুলা ওই মেজিষ্ট্রেটের কাছেই আছে। উনার যা আচরণ আজকে দেখলাম তাতে আমার মনে হয় না উনি সোজা রাস্তায় ক্যাডার পাইছে। তার পক্ষে মোবাইল ব্যাবসা করা অসম্ভব কিছু না। উল্ল্যেক্ষ্য তিনি একজন অল্প বয়স্কা মহিলা ম্যাজিষ্ট্রেট। আমি আগে থেকেই জানতাম যে মহিলা মানুষের বুদ্ধি নাকি হাটুতে থাকে। আজকে তা নিজের চোখে দেখলাম। পিএসসি কীভাবে অযোগ্য লোকের হাতে ক্ষমতা তুলে দিচ্ছে!



মোবাইলগুলা পিএসসিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ওই মেজিষ্ট্রেট যে মিথ্যাচার করেছেন তা খুবই দুঃখজনক। তাছাড়া এখানে অনেকের অনেক দামী মোবাইলও ছিল। এটা অবশ্যই অবৈধভাবে সম্পত্তি আত্নসাতের সামিল।

বিচার এবং ন্যায় বিচার দুটো ভিন্ন জিনিস। আমি যাকে ইচ্ছা অপরাধের শাস্তি দিলাম আর যাকে ইচ্ছা ছেড়ে দিলাম, এটা ন্যায় বিচার নয় বরং বিচার। বিচার প্রক্রিয়ার যদি নিজের বিবেককে কাজে না লাগাতে পারি তাহলে আমার সাথে মেশিনের পার্থক্য কোথায়?



পিএসসির উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের বিশেষ অনুরোধ, এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে যেন ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হয়। একজন প্রর্থীও যেন অবিচারের শিকার না হয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: এইডাতো ভাই আজব পিএসসির গজব কাহানী...কেমনে কি?

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

হারুনূর বলেছেন: আমি ঘটনার কোন ব্যাখ্যা খুজে পাচ্ছি না। আমি এই ঘটনার স্বীকার না হলেও খুবই কাছ থেকে ঘটনাটা দেখেছি। আমার কাছে ব্যাপারটা খুবই অদ্ভূত লেগেছে।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে নিকৃস্ট জাতি আমরা! না করা সত্বেও মোবাইল আনবে কেন, মোবাইল জব্দ হলে ফেরৎ আনতে ঝামেলা হবে কেন?

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

হারুনূর বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়। তবে মোবাইলগুলো যারা পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই জমা দিলো তাদেরকেই শাস্তি দেওয়া হলো। যারা মোবাইল নিজের সাথে রাখলো তাদের কিছু হলো না। আমার কাছে ব্যাপারটা খুবই হাস্যকর মনে হয়েছে বিচারকের নির্বুদ্ধিতা দেখে।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

মুহাম্মদ তৌহিদ বলেছেন: এ জীবনে অনেক অনেক পরীক্ষা দিয়েছি। কিছু স্কুলের অধীনে, কিছু কলেজ, কিছু শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছি। এর মধ্যে আমার দেখা সবছেয়ে খারাপ অথরিটি হল পিএসসি। সবছেয়ে অবাক হলাম যখন ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সময় সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দিলনা। পরবর্তীতে হলের সকল পরীক্ষার্থী মিলে সিদ্ধান্ত কঠোর প্রতিবাদ করার পরে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দিল। কর্তৃপক্ষের নিকট আমার প্রশ্ন, সাধারণ ক্যালকুলেটর দিয়ে sqrt(tan37) এর মান একজন পরীক্ষার্থীর পক্ষে কি স্বল্প সময়ে বের করা সম্ভব? সবছেয়ে বড় কথা, তাতে কি লাভ? পেশাগত জীবনে প্রয়োজনে কোন ক্যাডার নিশ্চয় সাধারণ ক্যালকুলেটর কিংবা tangent table কিংবা log table ব্যবহার করেন না।

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

হারুনূর বলেছেন: পিএসসি হচ্ছে কিছু নির্বোধ ব্যাক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। দেশকে ঠিক করতে হলে আগে পিএসসিকে ঠিক করতে হবে। কারন এরাই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.