নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজ কাল নিজেকে আমার অচেনা লাগে। চেনার জন্য নিজের চেহারায় হাত বোলাই। বোয়সের ছাপ পরা চেহারা জানান দেয়- সময় হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে দিন দিন, একটু একটু করে।

মেংগো পিপোল

তোমরা কখনো হীনমন্যতায় ভুগবেনা ও দুঃখিতও হবেনা বরং তোমরাই হবে বিজয়ী যদি তোমরা ইমানদার হও। ( সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৩৯)

মেংগো পিপোল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অশরীর বা লালশা, প্রেম মিলে মিশে একাকার।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১২





























মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় মোনার, তার খুব পানির তৃষ্ণা হচ্ছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। মাথার কাছে টেবিলের উপর জগে পানি রাখা আছে, কিন্তু সে নড়তে পারছেনা। ডিম লাইটের অস্পষ্ট নীল আলোয় সে তার পায়ের দিকে তাকায়। কে জেন তার পায়ের কাছে বসে আছে! যে বসে আছে তার মুখ দেখা যাচ্ছেনা, তবে লোকটা তার দিকে স্হির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এটা সে বুঝতে পারছে। সে তার ঘার ঘুড়িয়ে ঘড়ির দিকে তাকাতে চেষ্টা করে, কিন্তু সে ঘার ঘুড়াতে পারছেনা। ঘরিটা ডং ডং শব্দ করে উঠে। দেয়ালে একটা টিক টিকি- "টিক টিক" শব্দে ডেকে ওঠে। মোনার স্বাশ কষ্ট হচ্ছে, সে কি মারা যাচ্ছে নাকি মরে গেছে? তার খাটের নিচে এক প্রকারের শব্দ হচ্ছে। কেউ কি তার খাটের নিচে বসে আছে! সে পায়ের দিকে দেখার চেষ্টা করছে। সেখানে কাউকে এখন আর দেখা যাচ্ছে না, একেবারে কর্পুরের মতন উবে গেছে। তার দাদীজান তাকে একটা দোয়া শিখিয়েছিলেন বিপদে পরলে সেই দোয়া পড়তে হয়। মোনা দোয়াটা মনে করার চেষ্টা করছে। দোয়া মনে আসছেনা। কেবল মনে আসছে "টুইংকেল- টুইংকেল লিটেল স্টার" ছড়া। সে মনে মনে "টুইংকেল টুইংকেল" পড়ে বুকে ফু দেবার চেষ্টা করছে, পারছেনা। মুখ দিয়ে ফু বের হচ্ছেনা। হুট করে তার মনে পরে দাদীজান "দোয়াএ কুনুদ" শিখিয়ে ছিলো। কিন্তু এই "কুনুদ" দোয়ার প্রথম লাইন মনে আসছেনা। তার মনে পরছে "আলহামদু সুরা" সে সেই সুরা পড়ে তার বুকে ফুদিতে চেষ্টা করে এবার সে ফু দিতে পারছে। তার শরির হালকা হয়ে যাচ্ছে, বুকের ভাড়টা কিছুটা নেমে গেছে। সে তার ডান পাসে ফিরে ঘড়ির দিকে তাকায়। ঘড়িতে রাত দুটা বাজে।



সে ডাক্তারী পড়ছে, ভুত প্রেতে বিস্বাস তার নাই। সাইকোলজী তার প্রিয় সাব্জেক্ট, সাইকোলজীর ক্লাস গুলো সে মন দিয়ে পড়ে, তার ইচ্ছা সাইক্রেটিষ্ট হবার। বিচিত্র মানুষের অদ্ভুত আচারন তাকে কাছে ডাকে আয়-আয় বলে। সে জানতে চায় মানুষ কেন স্বপ্ন দেখে। রাগ, অভিমান, খোভ বা কান্যা- হাসির উৎপত্যি কোথায়। গত পরশুর সেই লোকটাকে দেখার পরথেকে তার মাথার ভেতর সেই লোকটার চেহারা ঘোর-পাক খাচ্ছে, এই লোকটার মনের ভেতর কি আছে? সেই ক্রু চেহারার অন্তরালের মানুষ টা আসলে কেমন? সে কেন এতটা উসখুস করছিলো।



মাহাবুব মেডিক্যাল কলেজে মোনার সিনিয়ার সে সার্জন, মোনার প্রতি তার কিছুটা দুর্বলতা আছে। মোনা টের পায় তবে কখোন কিছু বলেনি। তবুও মাহাবুব কে দেখলে মোনার বুকের ভেতর কেমন একটা ছ্যাত টাইপ অনুভুতি হয়শ, এই অনুভুতির নাম কি প্রেম না ভালোবাসা, কে জানে? পরশু রাতে তার আর মাহাবুবের নাইট ডিউটি ছিল। সে রাতেই মোনা দেখেছিলো লোকটাকে। গায়ে খাকি পোষাক, কোমরে পিস্তল। বার বার অপারেশন থিয়েটারের দরজা দিয়ে ভেতরে দেখছিল। মাহাবুব যখন ও,টি থেকে বের হল লোকটা সাথে সাথে ওকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে কিছু জানতে চেয়ে ছিল। মাহাবুব "কাজ হয়ে গেছে" এই টাইপের একটা জবাব দিয়েছে সেটা মোনা খুব বুঝতে পেরেছিলো। মোনা মাহাবুবের কাছে জানতে চেয়েছিলো কি ব্যাপার? যে মাহাবুব মোনার সাথে কথা বলার জন্য আকুলি -বিকুলি করে, সেও সেদিন কি এক অদ্ভুত কারনে বলেছিলো "তেমন কিছুনা, তুমি ওয়ার্ডে যাও, এখানে কি কর?" মোনা টের পেয়েছিলো দুমঘরের ওপাস টায় এক ধরনের জটলা। বড় বড় গাড়ি গুলো আসছে আর হেড লাইট জ্বালিয়ে কিছুক্ষন পর চলে যাচ্ছে।



মোনা গ্রামের মেয়ে। ইন্টারের পরীক্ষায় সে বোর্ডে স্ট্যান্ড করে বসলো ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হবে। সেই ডাক্তার হবার ইচ্ছা বুকে নিয়ে চলে আসলো ঢাকা, এই শহরে। পিছনে ফেলে এলো গ্রামের বেনী দোলানো শৈশব-কৈশর বা খেলার সাথী ছগির দের। ছগির ওর পাশের বাড়ীর ছেলে সারা দিন ছেলেটা মোনাদের বাড়ীতেই থাকতো মোনা আর ও একসাথে স্কুলে যেতো, ঘর কান্যা খেলতো। মোনা কখনো ভালোবাসেনি ছগির কে। ছগিরটা মনে হয় প্রেমে পরে গিয়েছিলো "মোনার"। ছগিরের চান্স হয়েছিল ঢাকা ভার্সিটিতে। সাবজেক্ট নিয়ে ছিলো বোধহয় বাংলা ওর যা বাংলার প্রতি ঝোক। কৈশর থেকেই কবিতা লিখত। মোনার মনে আছে সগির ওকে একটা কবিতা টাইপ ছড়া লিখে, পড়ে শুনিয়ে ছিল সেই মেট্রিকের বছর। সব গুলো লাইন মনে নেই শেষ দুইটা লাইন মনে আছে তার।



মাটি খুরে আনব মানিক, হাজার টাকার সোনা।

বন্ধু তুমি সাথি আমার পাশের বাড়ীর মোনা।



সগির সাথে অনেক দিন দেখা হয়না মোনার। পরশু গুলি হয়েছে ভার্সিটির রাস্তায়, পুলিশ এলো পাথারি গুলি করেছে। কি এক অদ্ভুত কারনে মোনার মনে হচ্ছে সগিরটা আবার গুলির মুখ পড়লো নাতো?! ছোট বেলা থেকেই যে সাহোসি। একবার মনে আছে মোনার, একটা সাপ মোনাকে কামরে দিতে এসেছিলো সগিরটা লাঠি দিয়ে, কি জোড়েই না মেরে ছিলো সাপটাকে! এক বারিতে সাপ বাবার জীবন শেষ। বড় হয়ে অবশ্য বুঝেছে সেদিনের সে নিরীহ প্রানীটা সাপ ছিলো না, তার নাম কেচো। তাতে কি? ছগির সাহস তো দেখিয়ে ছিল।



মোনা উঠে এক গ্লাস পানি খায়। মাথার ভেতর একটু আগের ঘটনা টা ঘোরপাক খায়। সে এসব কি দেখলো? যে লোকটা ওর পায়ের কাছে বসে থাকতে দেখেছে সেকি কোন অশরীর কিছু! ও থাকে ওর এক খালার বাসায়, খালা চাকরী করে সোনালী ব্যাংকে। ডিভোর্সি বিয়ে থা করেনি আর, করবেওনা মনে হয়। নিমতলির বাড়ীটা খালার নামেই। ব্যাংক থেকে লোন করে পুরোন এই বাড়ী কিনেছেন। এই বাড়ীর আগের মালিক কি কারনে বাড়ী বেচে দিয়েছে বিষয়টা জানতে পারলে একটু সুবিধা হতো, বাড়ীতে ভুত প্রেত আছে কি না জানার। পুরো বাড়ীতে ওরা দুজনই থাকে। ওর কেন যেন মনে হয় বাড়ীটাতে ভুত আছে। কিন্ত ডাক্তারীপড়া একজন মানুষ যদি এভাবে অবলীলায় ভুত-প্রেতে বিশ্বাস করে তাহলে তো হয়েছে, আর রুগী সুস্হ করা হবেনা, নিজেরই থাকতে হবে পাগলা গারদে।



তবে মাঝে মাঝে ওর রুমে কিরকম যেন অস্বস্তি কর ব্যাপার ঘটে। এই যেমন এখন পুরো ঘর মাছের গন্ধে ভরে যাচ্ছে, ও কোন একটা বইয়ে পরেছে ভুতের শরীর দিয়ে নাকি মাছের গন্ধ আসে। গন্ধে ওর কেমন যেন বমি বমি লাগছে। খালার ঘরে চলে যাবে না কি? না থাক সারা দিন চাকরী করে এসে ঘুমিয়েছে খালা এখন জাগানো ঠিক হবেনা, ভেবে ও খাটের উপর বসে। ওর কেন যেন মনে হয় কেউ একজন ওর পিছনে বসে ওর দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে অপলক। মোনার অস্বস্তি বাড়তে থাকে। সে তার ঘারের কাছে নিঃস্বাস নেবার শব্দ শুনতে পায়। এখন একটা চিৎকার দিলে কেমন হয়? তার আগেই পিছন থেকে একটা চেনা গলা জানতে চায়" মোনা কেমন আছো তুমি?"

মোনা কোন কথা বলে না, সে কি সত্যি কন্ঠটা শুনেছে? সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করে। আবার পেছন থেকে জানতে চায় "মোনা কেমন আছো তুমি?"

মোনা মেডিকেলের বইয়ে পড়েছে অধিক টেনশানে মানুষের হ্যালুশিনেসন হয়। মোনারও তাই হচ্ছে। নাহলে ছগির কোথা থেকে আসলো? তার ঘরে। মোনা হ্যালুসিনেশনের ব্যাপারটা বোঝার জন্য সিদ্ধান্ত নিলো সে কথা বলবে সগিরের সাথে। মোনা কাপা গলায় বলে" আমি ভালো আছি, তুমি কেমন আছো সগির?" সগির কিছুখন চুপ করে থেকে বলে "খুব ভালো নেই, বুকের ব্যাথাটা জানন দিচ্ছে খুব।"

-কি হয়েছে তোমার? ,

ও কিছুনা।

- তুমি ক্যানো এসেছো?

তোমাকে একটা কথা বলতে।

-বলো,

আমি তোমাকে ভালোবাসতাম মোনা।

- ভালোবাসতাম বলছো কেন? এখন ভালোবাসোনা।

না এখন আর বাসিনা, ডাক্তার মাহাবুব তোমাকে ভালোবাসে, খুব ভালোবাসে। লোকটার বাংলার প্রতি ভালো বাসা কম কিন্তু তোমার প্রতি অনেক।

-মানে কি তুমি এসব কিভাবে জান?

আমি জানি, আমাদের জানতে হয় তাইনা হলে ছাত্র নেতা।

- তুমি মাহাবুব কে কোথায় দেখেছ?

দেখেছি খুব কাছ থেকে দেখেছি, এক হাতের ব্যাবধানে দেখেছি, কথাও হয়েছে আমার ওর সাথে।ওই বলেছে আমাকে ও তোমাকে ভালোবাসে। -কদিন আগে তোমার সাথে দেখা হয়েছে মাহাবুবের?

এই তো গত পরশু।

-বল কি, সেদিন তো মাহাবুব,,,,,,।

মোনা আমাকে যেতে হবে, মসজিদে আযান হচ্ছে, আমি চলি।



মোনা পিছনে তাকায় সেখান সাদার উপর লাল চেকের শার্ট পরে হ্যাংলা টাইপের একটা ছেলে বসে আছে। তার হাত বুকের উপর আংঙ্গুলের ফাঁক গলিয়ে রক্ত ঝড়ছে। সে ছেলেটার মুখের দিকে তাকায় তার মুখ দেখা যায় না। অসচ্ছ-ঘোলাটে কুয়াশার চাদর ভেদ করে সরে যেতে থাকে সগির। মোনা জ্ঞান হারায়।



সাল ১৯৫৩ তারিখ ২১শে ফেব্রুয়ারী ভোর ৬ টাঃ



মোনা বিছানায় শুয়ে আছে পাশেই সুয়ে আছে মাহাবুব। পাকিস্তান সরকারের সাথে মাহাবুবের মহরম দহরমের কারনে সে বিশাল কোয়াটার পেয়েছে, মোনার সাথে তার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৬মাস। মাহাবুবকে কিছুটা বিঃসন্ন দেখায়। সে বিছানায় শুয়েই একটা সিগারেট ধরায়। মোনা জানতে চায়- কি হলো? তারা তারী কর, প্রভাত ফেরীতে যাব। মাহাবুব কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে- "কি যে করোনা তোমরা! শহীদের জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করো আল্লহতালার কাছে, আল্লাহ যেন তাদের বেহেস্ত নাসীব করেন, ঐসব প্রভাতফেরী টেরীতে কিচ্ছু হয়না, মোনা ভদ্র ভাবে বলে- "শোন মাহাবুব শহীদ দের জায়গা বেহেস্তে হবে এটা আল্লাহ তালা ঘোষনা দিয়েছেন, তোমাকে এটা চিন্তা করতে হবেনা। দোয়া তো তাদের জন্য করবই। ফুল না দিলাম ঘটনাটা যে খানে ঘটল সেখানে গিয়ে কিছুক্ষন নিরবে দ্বাড়িয়ে থাকলেও তো মনে সান্তি মেলে। তুমি চল তো তারাতারী," মাহাবুব অনিচ্ছা নিয়ে উঠে দাড়ায়। মোনা উঠে গিয়ে তোয়ালেটা মাহাবুবের হাতে দিয়ে বলে- যাও গোসল কর।



মোনা মাহাবুবের কাপর রাখার আলমারীটা খোলে ওর সাদা পান্জাবীটার খোঁজে, এই ৬মাসে ও কখোন খোলেনী আলমারীটা যত দরকারী অদরকারী কাগজে ঠাসা। পন্জাবী খুজতে গিয়ে কাপরের ভাঁজ থেকে একটা ভাঁজ করা কাগজ ছিটকে পরে মেঝেতে। মোনা কাগজটা হাতে তুলে নেয়। কাগজে এখনো লেগে আছে রক্তের দাগ। কাপা হাতে কাগজ টা খোলে মোনা,



ছোট বেলায় পড়া পংতি গুলো চোখের সামনে ভেষে ওঠে একে একে, এই কবিতাটাই তো লিখেছিলো সগির মোনাকে নিয়ে। এই কবিতার গায়ের রক্ত কেন?! সে পড়তে আরম্ভ করে, তার চোখের জ্বল আর কাগজের গায়ের শুকিয়ে যাওয়া রক্ত মিলে মিশে একা কার হয়ে যেতে থাকে কবিতার ছন্দের বেদনায়,





তুই বুঝিস না তোর কারনে মনের ভেতর আগুন,

তোরই জন্য ফুল বাগানে নতুন ফুলে ফাগুন।



তুই বুঝিস না তুই না এলে ফুল ফোটেনা বনে,

তোর কারনেই মন পাখিরা ডাকছে না আর মনে।



তোরই আশায় ছন্ন ছাড়া দিন গুলো হয় গোনা,

তোর গালারই গলার মালায়, সাদা রংয়ের সোনা।



চাদের আলোয় ভাসে পুকুর, ভাসে সাদা হাস,

তোর কারনে আকুল আমি আকুল দুর্বা ঘাস।



নয়ন তারায় চোখের ভেতর তুই যে ঘুরে বেরাস,

সাঝ সকালে শিতে ভোরে তোর প্রেমেরী আভাস।



চন্দ্র বিন্দু চাদের কনা মুক্ত ঝরা রোদ,

তোর হাতের ঐ কাচের চুড়ী সুখের নতুন বোধ।



রাত পাহারায় নামছে পরি নামছে জোনাকীরা,

তোর নাকেরই নাকের ফুলে শিশির কনার হীরা



আমি ভাবি তুই ভাবিস প্রেম ছাড়া কি চলে?

আকাশ কুশুম নগ্ন ফুলের মালা তোর গলে।



নীল শাড়ী তে হাটবি একা, চলবি নুপুর পায়ে,

স্বচ্ছ জ্বলের ঘোলা কাদা লাগবে না তোর গায়ে।



তোর জন্য পাগল আমি, না পাই যদি দেখা,

সত্যি বলছি পালিয়ে যাবো, চাদে যাবো একা।



মাটি খুরে আনব মানিক, হাজার টাকার সোনা।

বন্ধু তুমি সাথি আমার পাশের বাড়ির মোনা।







শেষ কথাঃ



মোনার আর যাওয়া হয়না মাহাবুবের সাথে প্রভাত ফেরীতে। মাহাবুবের কাছে মোনা কেবল জানতে চেয়েছিল সেদিন রাতে সেই পুলিশ অফিসার তোমাকে বলে ছিলো সগির কে মেরে ফেলতে তাইনা? সগিরের বুকে গুলি লেগেছিল। সগির তোমাকে অপারেশনের থিয়েটারে বলেছিলো আমার কথা আমি ওর পরিচিত এই হাসপাতালেই পড়ি। তুমি অপারশন করতে গিয়ে এই কবিতাটা পেলে ওর বুক পকেটে। তাই আমাকে পাবার জন্য, তুমি মেনে নিলে পুলিশ অফিসারের কথা মেরে ফেললে সগির কে। এর পর লাশ দুমঘর থেকে তুলেদিলে পুলিশের জিপে, গুম করে ফেলার জন্য। আমি ৫২র ২১ তারিখের পরথেকে খুজেছি সগিরকে গ্রামে খবর নিয়েছি ও নেই- কোথাওনেই। পুরা বাংলার কেউ জানলোনা, তোমরা কি ভাবে একজন শহিদের নাম লুকিয়েদিলে ইতিহাস থেকে, মুছে দিলে একটা মানুষের স্বপ্ন ভালোবাসা বা দেশ প্রেম।



মোনা একাই থাকে তার সেই খালার বাসায় খালার সাথে, মাহাবুবের সাথে ছাড়া ছাড়ি হবার সময় মোনা জানতে চেয়েছিলো তুমি কি আমাকে সত্যিই ভালো বাসতে, মাহাবুব বলেছিল না, আমি কেবল তোমার শরির টাকে চেয়েছি আর আহাম্মক ছগির চেয়েছিলো তোমার মন। এখনো মাঝে মাঝে মাঝ রাতে ছগির এসে দাড়িয়ে থাকে মোনার বিছানার পাশে, অপলক চেয়ে থাকে মোনার দিকে, নিরবে। মোনারও ভালো লাগে ছগিরকে কাছে পেয়ে, তার কাছে আহম্মক ছগিরই সত্যি কারের ভালো বাসা। সে নিস্চিন্তে ঘুমায়।



মাঝে মাঝে মোনার খুব মন খারাপহয় সে সগিরের চেহারাটা দেখতে পারেনা। আর পারবেই বা কিভাবে? ঘাতকরা তো সেদিন ছগিরের লাশের মুখটাকে থেতলে দিয়েছিল ব্যানেটের খোচায়, ওর আইডেন্টিটি মুছে দেবার জন্য।



মুখ বন্ধঃ এই গল্পের সব চরিত্র কাল্পনিক, কেবল আমার দেখা একটা স্বপ্ন হুবহু ঢুকিয়ে দিয়েছি। আমি কবিতা লিখিনা, কবিতা লিখতে গেলেই ছড়া টাইপের হয়ে যায়। তাই লিখেছি ছড়া টাইপের কবিতা। গল্পে ব্যাবহারিত ছড়াটা আমারই লেখা, যারা কবিতা লেখেন আমার ধৃষ্টতা ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাষা আন্দলনের যে কজন শহিদের নাম আমরা জানি, তারা ছাড়াও আরো কয়েকজন শহিদ হয়েছিলেন সেদিন, যাদের কে গুম করে ফেলেছিলো পাকিস্তান পুলিশ। তথ্য সূত্রঃ আমার বাবা। সেই রকম শহীদদের একজন কে কল্পনায় এনে এই লেখার জন্ম। আর হ্যা অনেকদিন ভাবছি ভুত নিয়ে কিছু লিখি, যদিও আমি নিজে কোনদিন ভুত দেখিনি। তবে চেষ্টা করেছি দেখার, হানা বাড়ীতে গিয়েছি, কবরস্হান, সশানে গিয়েছি ফল হয়নি। তবে এক রাতে বাশঝাড়ের নিচ দিয়ে যাবার পর কিন্চিত বমি আর পেট খারাপের মতন হয়ে ছিল, তবে পরে বুঝেছিলাম সেটা মামার সাথে বেশি পরিমানে বাদাম খেয়ে ফেলার কারনে হয়ে ছিল। ভালো থাকবেন সবাই। লেখাটা বড় হয়ে গেলো। কষ্ট করে যারা পড়বেন তাদের আগাম ধন্যবাদ। রাত জেগে লিখলাম কিছু টাইপো আছে সকালে ঠিক করে দিবো।



অদৃশ্য কোন এক কারনে কোরআনের একটা আয়াত লিখি, "সত্য এসে যখন মিথ্যার সামনে দ্বাড়ায় মিথ্যা বিলুপ্ত হয়।"



উৎসর্গঃ জানা অজানা সকল শহীদ দের উদ্যেশ্যে, ভালো থাকুন শহীদেরা জান্নাতে চির শান্তিতে।









ফেইস বুকে আমার পেইজ দেখতে চাইলে নিচের লিংকে যানঃ


Click This Link



আমার রিসেন্ট একটি লেখাঃ

অচেনা বিছানায় চুরি সম্মান বা এই আমরা।

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭

নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: কমেন্ট করে রাখলাম। সকালে পরবো। B:-/ 8-|

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

মেংগো পিপোল বলেছেন: ঠিক আছে শরিফ ভাই প্রথম কমেন্টসের জন্য ধন্যবাদ। পড়ে জানাবেন কেমন লাগল।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫

মেলবোর্ন বলেছেন: শরীর টা ভালো হয়েছেতো নাকি এখনো অসুস্থ

চমৎকার হৃদয় স্পর্শী গল্প- জানা অজানা সকল শহীদ দের উদ্যেশ্যে, ভালো থাকুন শহীদেরা জান্নাতে চির শান্তিতে।


আর্ন্তজাতিক মাতৃ ভাষা দিবস- অমর একুশে এবং বিশ্ব
Click This Link

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

মেংগো পিপোল বলেছেন: এখন কিছুটা ভালো আছি ভাই। আপনি কেমন আছেন? ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন মেলবোর্ন সব সময়।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪

রোজেল০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো।

একুশের ভাষা শহীদদের প্রতি রইল শ্রদ্ধা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সব সময়।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: একুশ আমার মায়ের মুখের
১ম শেখা অ,আ,ক,১,২ বুলি
শহীদ স্মৃতি স্মরণে
শ্রদ্ধাঞ্জলি / শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবনা ।
রাখব এ সোনার বর্ণমালা হৃদয়ে জ্বালি ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

মেংগো পিপোল বলেছেন: এইতো জীবন ভালো বাসার। এইতো জীবন স্বপ্ন আশার। ভালো থাকুক বাংলা মা।

ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

htusar বলেছেন: খুব ভাল লেখসেন। কবিতাটা অনেক সুন্দর।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি কবি নারে ভাই। চেষ্টা করেছি এই যা। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: ৫++++++++++++++

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সত্যিই আমরা তাদের কোন দিন ভুলবনা।

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

আরজু পনি বলেছেন:

মন খারাপ করিয়ে দেয়া লেখা।

হয়তো বা ইতিহাসে তোমাদের নাম লেখা রবে না..... :|

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। অনেক ব্যাস্ততার মাঝেও কষ্ট করে কমেন্টস করেছেন দেখে ভালো লাগল।

আমাদের মনের মাঝে থেকে যাবে তাদের নাম। ভালো থাকবেন।

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২১

বাদশা নামদার বলেছেন: ভাল লাগল

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন সব সময়।

৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

রানা িসরাজুল বলেছেন: খুব ভাল লেখসেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন আপনিও। সব সময়।

১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

বিপদ সংকেত! বলেছেন: নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: কমেন্ট করে রাখলাম। সকালে পরবো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

মেংগো পিপোল বলেছেন: আমি বলেছি, ঠিক আছে শরিফ ভাই প্রথম কমেন্টসের জন্য ধন্যবাদ। পড়ে জানাবেন কেমন লাগল।

১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২০

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: কিছু কিছু লেখায় আমি শুধু সুন্দর আর অসাধারন ছাড়া আর কিছুই মন্তব্য করার মতো খুজে পাই না। অনন্য লিখেছেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন। আপনাদের জন্যই লিখি আপনাদের ভালো লাগে জেনে ভালো লাগে।

১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

শার্লক বলেছেন: কবিতা ভাল হয়েছে। :)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

মেংগো পিপোল বলেছেন: আপনার কমেন্টসো ভাল হয়েছে। ভালো থাকবেন শার্লক ভাই।

১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: অসাধারন সুন্দর!!!!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।

১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।

আলাদা একটা ঢঙ আছে লেখায়।

অনুসারিত। :)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্টস করার জন্য। অনুসারিত। করার জন্যও ধন্যবাদ।

১৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

নীল বেদনা বলেছেন: অসাধারণ!!! এক কথায় বলতে গেলে এবছর শহীদ দিবসের সবচেয়ে ভাল লেখাটা গল্পটা পড়লাম।

তবে, গল্পের আসল নামটা ব্যবহার করার জোর সুপারিশ জানাচ্ছি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

মেংগো পিপোল বলেছেন: নীল বেদন ভাই ভালো থাকবেন। আমি সাধারন মানুষ লিখি আপনাদের জন্য। সামন্য চেষ্টা লেখার। লিখে যাচ্ছি আপনাদের ভালো লাগে জেনে আবার লিখি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আমার লেখা ভালো লেগেছে জেনে।

লেখাটার প্রথম প্যারাটা লিখেছিলাম ২ মাস আগে, হুট করে গতরাতে শেষ করলাম বাকি টুকু। প্রথমে অশরীর নামে ড্রাফট করে ছিলাম।

ভালো থাকবেন।

১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

ধাতবগোলক বলেছেন: কি ভাবে যেন গল্পের শুরুটা পড়েই কাহিনীটা আঁচ করতে পারলাম।যাই হোক,আপনে উপন্যাস লিখা ধরেন,বড় আকারের লিখায় আপনি ভাল করবেন বলে মনে হচ্ছে :) :D

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

মেংগো পিপোল বলেছেন: সত্যি বলতে কি ভাই, মাহাবুব "কাজ হয়ে গেছে" এই টাইপের একটা জবাব দিয়েছে সেটা মোনা খুব বুঝতে পেরেছিলো। এই লাইনটা দিয়েই আমি লেখাটার অনেকাংশ প্রকাশ করে দিয়েছিলাম কিছুটা ইচ্ছা করেই। লেখার ঐ অংশটায় একটু লুক চুরী খেললে পারতাম খেলিনি।

আপনার বিষ্লেশন ধর্মি কমেন্টস ভালো লাগলো। এখন কার উপন্যাস গুলোকে কেন যেন মনেহয় ছোট গল্পকে টেনেই বড় আকারে লেখার একটা প্রবনতা। হয়তো কোনদিন চেষ্টা করব লিখতে তবে আপাদত ছোট গল্প লিখতেই ভালো লাগে বেশি।

ভালো থাকবেন।

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: পুরোপুরি স্পীচলেস। খুব ভালো লাগলো।

আপনার পোস্টে কমেন্ট করার জন্যেই লগ ইন করলাম।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।

১৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নাছির84 বলেছেন: ‌দাগ কেটে গেছে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

মেংগো পিপোল বলেছেন: কষ্ট দিয়ে ফেল্লাম কি না! কে জানে? তবে কষ্টের মধ্যেই দেশ প্রেমের সৃষ্টি।

১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৮

মৃন্ময় বলেছেন: আপনার পোস্টে কমেন্ট করার জন্যেই লগ ইন করলাম।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।

২০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

রুপ।ই বলেছেন: মন খারাপ করা লিখা.........।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

মেংগো পিপোল বলেছেন: আমাদের অর্জনের ইতিহাস কিছুটা কষ্টের। বহু ত্যাগের পর আমাদের এই বাংলা দেশ ভাষা এবং স্বাধীনতা। ভালো থাকবেন।

২১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬

একজনা বলেছেন: ভালো লাগল। ভালো থাকুন শহীদেরা জান্নাতে চির শান্তিতে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

মেংগো পিপোল বলেছেন: ভালো থাকুন শহীদেরা জান্নাতে চির শান্তিতে।

২২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২

েরদওয়ান রহমান বলেছেন: +++++

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর হোক আপনার প্রতিটি দিন।

২৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখাটা। গল্প, গল্পের ভিতর কবিতা সবকিছুই সুন্দর। কিন্তু মন খারাপ হয়ে গেলো।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আমাদের অর্জনের ইতিহাস কিছুটা কষ্টের। বহু ত্যাগের পর আমাদের এই বাংলা দেশ ভাষা এবং স্বাধীনতা। কবিতা লেখা হয়না সচরাচর। হয়তো বছরে ৩টা, তার একটা দিয়ে দিলাম। ভালো থাকবেন।

২৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৫

আরিফুল ইসলাম সনেট বলেছেন: সচরাচর, কোন বড় লেখা পুরো পড়া হয় না। তবে আপনার লেখা একদমে পড়ে ফেললাম। খুব ভালো লাগলো । বিশেষকরে কবিতাটা ।

জানা-অজানা সকল ভাষা শহীদ এর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২০

মেংগো পিপোল বলেছেন: কষ্টকরে এত বড় লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই। কবিতা লেখা হয়না সচরাচর। হয়তো বছরে ৩টা, তার একটা দিয়ে দিলাম। ভালো থাকবেন।

জানা-অজানা সকল ভাষা শহীদ এর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।

২৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৯

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: লোকটার বাংলার প্রতি ভালো বাসা কম কিন্তু তোমার প্রতি অনেক|

ভাল লিখছেন|

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২০

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। ভালো থাকবেন।

২৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৪

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: মোনা জানতে চেয়েছিলো তুমি কি আমাকে সত্যিই ভালো বাসতে, মাহাবুব বলেছিল না, আমি কেবল তোমার শরির টাকে চেয়েছি |

মাহাবুব ভালোবাসতে পারত!!!!!!!!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২২

মেংগো পিপোল বলেছেন: খুনীকে প্রেমিক বানানোর ইচ্ছা ছিলো না আমার। একজনের ভালো বাসা পাবার জন্য কেউ আর একজন কে হ্ত্যা করলে সে আমার মতে প্রেমিক হতে পারেনা, সে লোভী।

ভালো থাকবেন।

২৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২০

তারছেড়া লিমন বলেছেন: সারা বছর তোমাদের ভুলে থাকি .......... শুধু একদিন এর জন্য মনেকরি আবার ভুলে যাই........... শুধু পড়ে থাকে যেই লাউ সেই কদু...............শুধু একদিনের জন্য বাঙ্গালী সাজি..........আর একদিন তোমাদের স্মরন করি.........সারা বছর কেউ খোঁজ নিইনা শুধু একদিন................ভা্বতে কষ্ট হয় এই একদিন মনে করার জন্য তোমরা নিজেদের জীবন দিয়েছ..............তবুও ভালথেক ওপারে......মহান স্রষ্ঠা তোমাদের ভাল রাখুন .......শুধু এতটুকু চাইবার আছে.......এর বেশিকিছু নয়।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২২

মেংগো পিপোল বলেছেন: আমরা তোমাদের ভুলবনা।

২৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অসাধারণ। ছুঁয়ে যাওয়া এক গল্প।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ *কুনোব্যাঙ* ভালো থাকবেন ভাই। সব সময়।

২৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৪

গ্যাম্বলার বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন!

ধন্যবাদ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

মেংগো পিপোল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে এত বড় লেখাটা পড়ার জন্য।

৩০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

রোদেলা দুপুর বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। আপনি উপন্যাস লিখলে সত্যি অনেক ভাল করবেন। কেউ না কিনুক আমি অন্তত একটা কিনব।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩২

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য ভালো লাগলো। কখনো উপন্যাস লিখলে আপনাকে জানাব।

৩১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২২

আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: একটু কঠিন তার পরেও ভাল লেগেছে

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৪

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ আতিকুল ভাই। ভালো থাকবেন।

৩২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

হারানো দিন বলেছেন: লেখাটা বড় হলেও কি একটা মোহ কাজ করে Sompurnota পড়ার জন্য
পড়ে অনেক ভাল লেগেছে

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩১

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কষ্ট করে এত বড় লেখা পড়ে ছেন তাই।

ভালো থাকবেন, সব সময়।

৩৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: ভাল হয়েছে। এতো আইডিয়া কথা থেকে পান?

জানা অজানা সকল ভাষা শহিদদের প্রতি স্রদ্ধা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২

মেংগো পিপোল বলেছেন: ভাই জীবন থেকে পাই, আইডিয়া। কেবল চোখ বুজে চরিত্র গুলোর শরীর বানিয়ে ফেল্লেই হলো ব্যাস।

ভালো থাকবেন সব সময়।

৩৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৫

ইকথিয়ান্ডর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। ছড়া টাইপ হোক, আর যে রকমই হোক, কবিতা ভালো লেগেছে।

০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫২

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি কবি না ভাই। মাঝে মাঝে কিছু বিচ্ছিন্ন শব্দ মাথার ভেতর ঘোর পাল খায়। সেই শব্দ গুলোকে এক করে লিখে ফেলি এই যা। কবিতা আপনার ভালো লেগেছে জেনে বিশেষ খুশি হলাম।

ভালো থাকবেন।

৩৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১০

রোবান মাহমুদ বলেছেন: donnobad amake mone rakar jonno ! ২৫ শে নভেম্বর, ২০১২ te apni amake jigges korechilen kemon achi ! ami valo achi. apni kemon achen? blog a kub akta asa hoina. akon aslam DESHER kobor nite !! bydwy, onek valo takben.

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

মেংগো পিপোল বলেছেন: রোবান ভাই পুরানো ব্লগার দের মধ্যে আপনাকে মনে পড়ে। মাঝে মাঝে যাই আপনার ব্লগে যাই দেখি কিছু লিখলেন কি না? অনুরোধ করবো আবার সক্রিয় ব্লগিং করেন। ভালো থাকবেন ভাই।

৩৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দূর্দান্ত। মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। :)
শুভেচ্ছা রইল।

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৭

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কষ্ট করে এত বড় লেখা পড়ে ছেন তাই।

ভালো থাকবেন, সব সময়।

৩৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: vai,apni khub valo likhen,etao khub sundor hoyese...

sorir niye amar ekta likha ase,smy kore porben..
insallah valo lagbe..
Click This Link

৩৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

তাহসিব বলেছেন: গল্প লেখার প্রতিযোগিতা
কলম আমার মনের দুয়ার

‘ক’ বিভাগ: ১৬ বছরের নীচে যাদের বয়স তারাই অংশ নিতে পারবে এই বিভাগ থেকে।
‘খ’ বিভাগ: ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে যাদের বয়স তারাই অংশ নিতে পারবে এই বিভাগ থেকে।
‘গ’ বিভাগ: ২২ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে যাদের বয়স তারাই অংশ নিতে পারবে এই বিভাগ থেকে।
‘ঘ’ বিভাগ: ৩৫ বছরের উর্ধ্বে যাদের বয়স তারাই অংশ নিতে পারবে এই বিভাগ থেকে।

বিষয়: যে কোন বিষয়ের উপর লেখা (১) ছোট গল্প এবং (২) উপন্যাস জমা দেয়া যাবে। ছোট গল্পের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শব্দসংখ্যা হতে হবে ৪০০০, উপন্যাসের ক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

পুরস্কার
সারা দেশে পরিচালিত এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা মনোনীত করবো ৫০ জন লেখককে। লেখার মানদন্ডে বিজয়ী লেখকবৃন্দের একক বই প্রকাশিত হবে। এছাড়াও থাকবে নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা।

অন্যান্য নিয়মাবলী
০১. গল্প পাঠানোর শেষ তারিখ আগামী ১০ই জুন ২০১৩ খৃস্টাব্দ।
০২. গল্প মনোনীত হবে দুই ধাপে। প্রাথমিক মনোনয়নের পর ফেসবুক আর ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে গণভোটের জন্য। সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্তদের মধ্য হতে নির্বাচিত হবে দ্বিতীয় ধাপের প্রতিযোগীরা।
০৩. হাতে লিখে বা কম্পিউটারে কম্পোজ করে লেখা পাঠানো যাবে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই লেখা পরিষ্কার বোধগম্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। প্রতিটি পৃষ্ঠার পিছনে লেখকের নাম, ফোন নম্বর এবং বিভাগের নাম অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
০৪. স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্দেশিত শিক্ষকের কাছে লেখা জমা দিতে হবে। অন্যথায় লেখা পাঠাতে হবে এই ঠিকানায়:
বুক-মেকার পাবলিকেশন (বাংলাদেশ) লি:
কক্ষ # বি৮৫, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, কাঁটাবন, শাহবাগ, ঢাকা-১২০৫।
অথবা, পাঠানো যাবে আমাদের ফেসবুক পেজে http://www.facebook.com/BMPBL
০৫. প্রাপ্ত রচনাগুলো আমাদের নিজস্ব পর্যালোচকবৃন্দ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন। এই বিষয়ে পর্যালোকবৃন্দের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
০৬. বিজয়ী লেখকদের নাম এবং পুরস্কার প্রদান বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে আগামী ১৫ই জুলাই ২০১৩ খৃস্টাব্দ।
০৭. প্রতিযোগিতার সম্পর্কে যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ/বর্জন/পরিমার্জন/পরিবর্ধন করার একমাত্র অধিকার সংরক্ষণ করে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বুক-মেকার পাবলিকেশন (বাংলাদেশ) লি: এবং বাস্তবায়ন সহযোগী একতা৭১ ফাউন্ডেশন।
০৮. যে কোন বিষয়ে তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে এই ফোন নম্বরে-- ০১৯৭২-৬২৮৪৭৪, ০১৬১১-৮২৪৭৪২।

এই প্রতিযোগিতাটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে--
একতা৭১ ফাউন্ডেশন
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংগঠন

প্রচার সহযোগী হিসেবে সহায়তা করছে--
সাপ্তাহিক সময়ের চিত্র
সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা
ত্রৈমাসিক প্রলাপ
lekhok.net

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

মেংগো পিপোল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। দেখি যোগা যোগ করা যায় কিনা আপনাদের সাথে। সময় করে উঠলেই যোগা যোগ করব।

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.