নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেড ফোর্স

যেড ফোর্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাপমুক্ত থাকতে - মাংপেশির শিথিল করন বা progressive muscular relaxation

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪১

বর্তমানে আমরা সবাই খুব ব্যস্ত সময় পার করছি । নিজের জন্য একটু সময় বের করা মনে হচ্ছে কঠিন হয়ে পরেছে। এভাবে দিনের পর দিন পার হবার কারনে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি ভর করছে। অথচ একটু সচেতন হলেই আমরা এক থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির জন্য শিথিল করন খুবই জরুরি। দিনের মধ্যে মাত্র ১৫-২০ মিনিট ব্যয় করেই এটা করা সম্ভব।



শিথিল করন কয়েক ভাবেই করা যায়। যেমনঃ



Breathing Relaxation



progressive muscular relaxation



imaginary relaxation techniques



শিথিল করন এমন একটি পদ্ধতি যা শরীর ও মনকে শান্ত করে।



এটা কেন প্রয়োজন:



শিথিল করন নিয়মিত করলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট রেট কম থাকে, Autonomic nervous system এর কাজকরম নিয়ন্ত্রনে থাকে। মনে রাখতে হবে অনেক সময় শারীরিক অস্থিরতা আমাদের মানসিক অস্থিরতাকে বারিয়ে দেয়।



নিয়মিত শিথিল করন Heart Attack ও Stroke এর ঝুঁকি কমায়।



বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা যেমন উদ্বিগ্নতা, বিষণ্ণতা , ঘুমের সমস্যা, ভয় শুচিবায়ুগ্রস্ততা ইত্যাদি খেত্রেও এটি খুবই ফলপ্রসু ।



শিথিল করন পদ্ধতিঃ



শিথিল করন পদ্ধতি একজন থেরাপিষ্ট এর কাছ থেকে শেখাই ভালো। তবে অন্য কোন উপায় না থাকলে আপনি নিজে নিজেও এই পদ্ধতি টি শিখে নিতে পারেন।



পা থেকে মাথা পর্যন্ত কিভাবে একজন ব্যক্তি শিথিল করবেনঃ



প্রস্তুতিঃ প্রথমত আমাদের মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। এটা আমরা ঘরে বসে করতে পারি। হাতে ঘড়ি অথবা পশাক আঁটসাঁট হলে অবশ্যই ঢিলে ঢালা করে নিতে হবে। মানস্ক প্রস্তুতি নিব আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত আরাম হবে এবং আমি বিশ্রাম নিব। কোন প্রকার দুশ্চিন্তা করবনা। সব রকম কষ্ট, চাপা অশান্তি দূর করব।





বাহু ও হাতঃ বাহু ও হাত সজা করে উপরে তুলবো। দুই হাত দিয়ে শক্ত ভাবে মুষ্টি বানাবো এবং সাথে সাথে কবজি ও কনুই ভাঁজ করব। আরও জোরে মুষ্টি করব এবং আরাম বিহীন চাপ অনুভব করব। ১০ সেকেন্ড পর হাত দুটো এমনভাবে ছেড়ে দিব যেন ধপাস করে ফেলে দিচ্ছি। এভাবে ৪ বার করব এবং ক্রমান্বয়ে অনুভব করব হাতগুলো relax হচ্ছে।





চোখ ও কপালঃ কপাল ও চোখের মাংসপেশিগুলো আসতে চোখ বন্ধ করে জোরে টাইট করব এবং চাপ অনুভব করব। ১০ সেকেন্ড পর আস্তে আস্তে চোখ খুলব। এভাবে ২-৩ বার করব।



ভ্রুঃ ভ্রু উপরের দিকে উথাব এবং নামাব।



মুখঃ মুখ জতদুর সম্ভব খুলে বড় হা করতে হবে। ঠোঁট, নাক ও চোখ দুটো একসাথে সংকুচিত করতে হবে এবং পড়ে আরাম করতে হবে।





জিহ্বা : এবার জিহ্বা বের করুন জতদুর সম্ভব। আরাম করে জিহ্বা মুখে রাখব। মুখ গহ্বর এর ছাদে জিহ্বাকে জোরে উপরের দিকে চেপে ধরতে হবে। এরপর ছেড়ে আরাম করতে হবে।



ঘার ও গলা: গলা সহ দান কান কাঁত করে দান কাঁধের সাথে স্পর্শ করতে হবে। একই ভাবে বাম কান কাঁত বাম কাধে স্পর্শ করব। অথবা দুই কাঁধ কানের সাথে স্পর্শ করব। এরপর relax করব। তিন বার এটি করতে হবে।



চিবুকঃ সাম্নের দিকে কাঁত করে চিবুক বুকের কাছে ছোঁয়াতে হবে ও শিথিল করতে হবে।



বুকঃ গভীরভাবে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে হবে এবং আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে।





কাঁধ পাকস্থলি ও পেট : কাঁধ পেছনে নিব শিথিল করব এবং সামনে আনব ও শিথিল করব। পাকস্থলি ও পেটের মাংসপেশি শক্ত করব ও শিথিল করব। পেট ফুলিয়ে বড় করব এবং আস্তে আস্তে শিথিল করব।



কোমর, পা ও পায়ের আঙ্গুল : চেয়ারে ঠেস দিয়ে শরীর সামনে আনব এবং শিথিল করব। পা সোজা করব উপরে তুলবো এবং শিথিল করব। উরুর মাংসপেশি শক্ত করব। পায়ের গরালি জোরে চেপে ধরব। এবার আরও জোরে করে ছেড়ে দিব। এভাবে পায়ের আঙ্গুলগুলো একবার উপরের দিকে এবং একবার নিচের দিকে শক্ত ভাবে উঠাবো এবং আরাম করে ছেড়ে দিব। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিব এবং ছেড়ে দিব।



উপরের প্রতিটি ধাপে চাপজনক ও চাপহীন উভয় অবস্থাই অনুভব করতে হবে। এভাবে দৈনিক অন্তত দুইবার করতে হবে। একটা বিষয় আমরা সবসময় মাথায় রাখব ভরপেটে কখনো আমরা এই ব্যায়াম করবোনা। খালি পেটে অথবা খাওয়ার ২-৩ ঘণ্টা পর করব।







আরও লেখা পড়ুন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.