নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Nature

হুতুম

হুতুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ ১% মানুষের হাতে

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

বিশ্বে সম্পদবৈষম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাড়তে থাকা এই বৈষম্যের কারণে আগামী বছর নাগাদ বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ চলে যাবে মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে। অর্থাৎ বাকি ৯৯ শতাংশের হাতে থাকবে তাঁদের সমপরিমাণ সম্পদ।
গতকাল সোমবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এ তথ্য। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে কাল বুধবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ৪৫তম বৈঠক। এতে অংশ নেবেন বিশ্বের ১ হাজার ৫০০ ব্যবসায়ী নেতা এবং ৪০টি দেশের সরকারপ্রধান। বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বৈঠকের আগেই ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের এ চিত্র তুলে ধরল অক্সফাম। খবর এএফপির।
২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ডব্লিউইএফের বৈঠক। বৈঠকে সম্পদের এই অসাম্যের চিত্র বেশ নাড়া দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অক্সফামের গবেষণায় বলা হয়, ২০০৯ সালে বিশ্বের ১ শতাংশ মানুষের হাতে ছিল ৪৪ শতাংশ। ২০১৪ সালে তাঁদের সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ শতাংশে। এ হারে বাড়তে থাকায় ২০১৬ সাল নাগাদ ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তি ৫০ শতাংশের মালিক হয়ে যাবেন।
অক্সফামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ৮০ ব্যক্তির সম্পদ দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বের ৮০ শতাংশ মানুষ মোট বৈশ্বিক সম্পদের মাত্র ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মালিক।
অক্সফামের নির্বাহী পরিচালক ও ডব্লিউইএফের ছয় সহসভাপতি উইনি বিয়ানিমা প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বলেন, ২০০৮-০৯ সালের বৈশ্বিক মন্দার পর থেকে সম্পদ ব্যাপকভাবে এককেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। ভয়াবহ এই প্রবণতার পরিবর্তন দরকার।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিয়ানিমা বলেন, ‘বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর পক্ষ থেকে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের কাছে এই বার্তা তুলে ধরতে চাই যে বাড়তে থাকা এই অসাম্য ভয়াবহ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সুশাসনের জন্যও এটি খারাপ। এভাবে সম্পদ এককেন্দ্রিক হওয়ায় এসব সম্পদশালী ক্ষমতাও দখল করে ফেলছেন। চাপা পড়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কণ্ঠ। তাঁদের স্বার্থ দেখারও কেউ নেই।’
গত বছর ডব্লিউইএফের বৈঠকের সময় অক্সফাম এক গবেষণায় বলেছিল, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৮৫ জনের হাতে যে পরিমাণ সম্পদ আছে, তা দরিদ্রতম ৫০ শতাংশ মানুষের সম্পদের সমান।
বিয়ানিমা বলেন, ‘আপনি কি এমন একটি বিশ্বে থাকতে চান, যেখানে অর্ধেক সম্পদ মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে বন্দী থাকবে?’
অসাম্য কমাতে কাজ করা যুক্তরাজ্যের আরেক প্রতিষ্ঠান ইকুয়ালিটি ট্রাস্ট এক গবেষণায় বলেছে, দেশটির মাত্র ১০০ ধনী ব্যক্তি সে দেশের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের সমপরিমাণ সম্পদের মালিক।
ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লাগার্দে সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাড়তে থাকা অসাম্যের রাশ না টেনে ধরতে পারলে বিশ্ব অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়বে।
বৈশ্বিক অসাম্য কমাতে অক্সফাম সাত দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেছে। এর মধ্যে আছে ধনশালী ব্যক্তি এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রোধ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ বাড়ানো, শ্রম শোষণ রোধ করতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও এ-সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন। এ ছাড়া নারীরা যেন মজুরিবৈষম্যের শিকার না হন, সে জন্য নীতিমালা তৈরি এবং চরম দরিদ্র মানুষের জন্য পর্যাপ্ত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি চালুরও প্রস্তাব দেয় অক্সফাম ..
হায়রে মানুষ কিছু'ই বুজতে পারছিছ না------------ কেন এমন পার্থক্য? তোদের মানব ধর্ম কথায় গেল? পুজিবাদ গণতন্ত্র দিয়ে কখনও একটা ব্যাল্যান্স (ধনী- গরীবের) পৃথিবী সম্ভব নয়। আরও বুজতে পারবে যখন গরীবরা ধনীদের ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাওয়া শুরু করব-----------------


মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

নিলু বলেছেন: ধন / দৌলত সৃষ্টিকর্তার হাতে , তিনি যাকে দেন সেই পায় যে ,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.