![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় সমবেদনা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে মহানুভবতা দেখিয়েছেন। তাকে ফিরিয়ে দেওয়া স্বাভাবিক সৌজন্যতার ধারাকে ব্যাহত করেছে। তবে যদি প্রতিপক্ষ বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনার ইচ্ছা থাকে তাহলে এটিই শেষ সুযোগ চলে গেছে বলা ঠিক হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সরাসরি আলোচনার সুযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. আকবর আলি খান বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট কাটানোর মতো ইস্যু নিয়ে যদি আলোচনা করার মতো বিষয় হয়ে থাকে, তাহলে তারা আবার উদ্যোগ নিতে পারে। শুধু একবার সমবেদনা জানানোর মতো যে বিষয় সেখান থেকেই সব ঠিক হয়ে যেতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই। সুতরাং রাজনৈতিক দিক থেকে কী ক্ষতি হয়েছে সেটা বিচার-বিবেচনার প্রয়োজন আছে। ব্যক্তিগত দিক থেকে এখানে শেখ হাসিনা মহানুভবতা দেখিয়েছেন। তবে ব্যক্তিগত সৌজন্যতার বিবেচনা করতে গেলে আগেও বিভিন্ন সময়ে যেসব ব্যক্তিগত ঘটনা ঘটেছে সেগুলোও বিচারে রাখতে হবে। ড. আকবর আলি খানের কাছে প্রশ্ন ছিল দুই নেত্রীর সাক্ষাতে রাজনৈতিক আলোচনা না হলেও পারস্পরিক সহমর্মিতা প্রদর্শন থেকে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব অবসানের সুযোগ তৈরি হতো কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, ভালো একটি পরিস্থিতি তৈরি হতো কিনা সেজন্য ওই ঘটনার আগে পরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দলীয় পক্ষ থেকে কী ধরনের বক্তব্য প্রদান করা হচ্ছে সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই দুই দল এখনো যুদ্ধাংদেহী অবস্থানে রয়েছে। আসলে এই দুই দলের যে মতবিরোধ তা প্রায় তিন দশকের। এর নিরসনের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। হঠাৎ কোনো আলোচনার মাধ্যমে এটি নিরসন হয়ে যাবে ভাবার কোনো কারণ নেই। তাই শনিবার রাতে দুই নেত্রীর দেখা হওয়াতেই সংকট নিরসন হয়ে যেত কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া শক্ত। বর্তমান পরিস্থিতির উত্তরণের উপায় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ড. আকবর আলি খান বলেন, পরিস্থিতির একটি দিক বিবেচনা করলে রাজনৈতিক অস্থিরতার যেসব উপসর্গ তা নিরসন করতে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে অসুস্থ রাজনীতির কারণেই মূলত আজকের এই সমস্যা। এই অসুস্থ রাজনীতির অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দুই দলকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
ড. আকবর আলি খান
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
সাগরের হাসি বলেছেন: কারও কাছে সম্মান পেতে চাইলে আগে সম্মান দিতে জানতে হয়।
তিন বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া কেমন সম্মান পেয়েছেন হাসিনার কাছ থেকে?
- নিজের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ
- একের পর এক মিথ্যা মামলা
- নিজের ছেলেদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা
- সর্বরকম গালিগালাজ
- ইট বালির ট্রাক দিয়ে বন্দী করে রাখা
- নিজ কর্মীদের নামে শত শত মিথ্যা মামলা
সেই হাসিনা কি সম্মান পাবার যোগ্য? নিজ চেহারা আয়নায় দেখা উচিত।