নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Nature

হুতুম

হুতুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবাই সংলাপ চায়, সরকার নয় কেন!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারি দল ছাড়া প্রায় সকল রাজনৈতিক দল সংলাপ চায়। আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমঝোতায় এসে সহিংসতা বা সংঘাতের পথ পরিহার করতে সংলাপের বিকল্প নেই মনে করছেন বিদেশি বন্ধুরা। সংলাপ চায় ব্যবসায়ীরাও। অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে সংলাপ খুবই জরুরি বলে দুই নেত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন পোশাক রফতানিকারকরা। কারণ তাদের ৩০ শতাংশ রফতানি আদেশ ইতিমধ্যে মার খেয়েছে।
গণতন্ত্র সংলাপ চায়। যারা দাবি করেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যেই তারা রাজনীতি করছেন তাদের সংলাপের পথ পরিহার করার কোনো উপায় নেই। কারণ চাপ বা শক্তি প্রয়োগে বিপক্ষ দল থেকে একই ধরনের সমান চাপ বা শক্তি প্রয়োগের আশঙ্কা থাকে এবং এর সুযোগ নেয় রাজনীতিতে তৃতীয় কোনো পক্ষ। তখন সংলাপে বসতে চাইলেও তার সকল সম্ভাবনা তিরোহিত হয়ে যায়।

সংলাপ চায় চেম্বার নেতৃবৃন্দ। সংলাপ চায় টকশোতে অংশগ্রহণকারী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। সংলাপ চান বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকবৃন্দ। তবে সরকারের পক্ষে যারা কলমবাজি করেন তাদের অনেকে মনে করছেন যারা সংলাপ চায় তাদের অধিকাংশ ভন্ড। ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সংলাপ এ মুহূর্তের দাবি হলেও সংলাপের পক্ষে যারা কথা বলছেন তাদেরকে সন্ত্রাসী, জঙ্গী, অসভ্য বা তাদের দোসর হিসাবে অভিহিত করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও এর শরীক দলের নেতারা।
সংলাপ যদি না হয় তাহলে সহিংসতা আরো বাড়বে। প্রাণহানি বাড়বে। একশ্রেণীর মিডিয়া সংলাপ চায় কি না তা এখনো পরিস্কার হয়ে ওঠেনি। তবে সংলাপ চাইলে যুক্তি প্রমাণ ও দাবি আদায়ে যে মনস্তাত্তিক লড়াইয়ের প্রয়োজন হবে তাতে মেধা ও মনন ব্যবহারের একটা বিষয় রয়েছে। যদি সংলাপ না চেয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এভাবে সরকার নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতায় বসে থাকতে চায় তাহলে অর্থনীতি, মানুষের জানমাল ও আয় রোজগার পরিস্থিতি ও সামাজিক নিরাপত্তা কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা কেউ চিন্তা করতে পারছেন না।
তবে মূল সঙ্কট এবং এর কারণে সৃষ্ট সংঘাত-সহিংসতার পুরো দায় একে অপর পক্ষের ওপর চাপিয়ে দিতে বা মিডিয়া প্রপাগান্ডার সাহায্য নিতে উভয় পক্ষ পিছপা হচ্ছে না। এতে সার্বিক পরিস্থিতিকে ধামাচাপা দিয়ে সাময়িক সুবিধা পাওয়া গেলেও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই। সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও তা সম্ভব হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার পুলিশকে বলেছেন যে কোনো উপায়ে নাশকতা দমন করতে, দায় তার। অথচ হরতালের সংখ্যা বাড়ছেই। দেশের ২২ জেলার সঙ্গে হরতালে যোগ হচ্ছে আরো জেলা। কেউ হরতাল ও অবরোধ চায় না। কিন্তু সংলাপ চাওয়ার ব্যাপারে সরকারের এত আপত্তি কেন তা সাধারণ মানুষের কাছে পরিস্কার নয়।
অর্থনীতি ভেঙে যাচ্ছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে, মানুষ চরম কষ্টে রয়েছে বলে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা সংলাপে দুই নেত্রীকে বসতে অনশন শুরু করতে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকার যতই অনীহা দেখাক না কেন ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকরা চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার সমালোচনা করার পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এর আগে ইউরোপিয় ইউনিয়ন দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারি বাজেট তথা তহবিল ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে অনীহা প্রকাশ করে।
সংলাপের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক ঘোর অমানিশা কাটাতে ধারাবহিকভাবে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের প্রকাশ করে গত ২১ জানুয়ারি বৃটিশ হাউজ অব কমনসের পক্ষে আন্তর্জাতিক বিষয়ক এবং নিরাপত্তা সেকশনের পক্ষে জন লুন প্রেরিত ষ্ট্যার্ন্ডাড নোটে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার পাশাপাশি সংলাপের তাগিদ দেয়া হয়।
সংলাপ চাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনও। অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল সংলাপের ইঙ্গিত দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের গবেষক লিসা কার্টিজ বলেছেন , ‘আমার ধারণা-চীন এবং ভারতের পক্ষ থেকে এ ব্যপারে তেমন সহযোগিতা আসবে না। ভারত বিশ্বাস করে সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকান্ডে শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থ রক্ষার্থে ভালো সহযোগী। ফলে বিরোধীদলের সঙ্গে সমঝোতা করতে ভারত শেখ হাসিনাকে চাপ দেবে তা মনে হয় না। তাই বর্তমান অবস্থা নিরসনের চেষ্টা করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কিছু ইউরোপীয়ন দেশ তাদের কূটনৈতিক প্রভাব কাজে লাগাতে পারে’।
সংলাপ নিয়ে পরিস্থিতি যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছে তাতে দেশে ও দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সবাই সংলাপ চাচ্ছে একমাত্র সরকার ছাড়া। তাহলে সংলাপ না হলে সহিংসতা ও সংঘাতের দিকে কারা ঠেলে দিচ্ছে দেশের মানুষকে। রাজনৈতিক নেতারা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রাণ হারাচ্ছেন। যা গুমের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার চাইলে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দল সংলাপে বসতে না পারলে সে দায় কেন জনগণ নেবে!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নিসঙ্গ স্বপ্নদেব বলেছেন: সরকার চাইবে কেন? এটাতো বেশ্যা সরকার। অবৈধ সরকার।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

কলাবাগান১ বলেছেন: নিজের বাচ্চার ছবি সামনে রেখে যারা এমন কুৎসিত গালি দিতে পারে, তাদের মানসিকতা যা কি তা বুঝতে কস্ট হয় না @নিসঙ্গ স্বপ্নদেব

আুগুন দিয়ে বাসের ৩০ জনকে হত্যার জন্য খালেদার বিচার হওয়া উচিত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.