নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Nature

হুতুম

হুতুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওরা ইসলাম থেকে বিচ্যুত, বললেন অজয় রায়

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

ইসলামের নামে জঙ্গিগো্ষ্ঠী যা করছে তা প্রকৃত ইসলাম নয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ওরা মূলত ধারণ করে মউদুদী ইসলাম ও সৌদি আরবের ওয়াহাবি ইসলাম যা মূল ইসলাম থেকে বিচ্যুত।



কথাগুলো বললেন অধ্যাপক ড. অজয় রায়। ব্লগার লেখক অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় ছেলেকে হারিয়ে এখন আরও দৃঢ়চেতা। এইসব তথাকথিত ইসলামবাদীদের সব কিছুই ঠুনকো। ওদের লেখা পড়া নেই, ওরা মৌলবাদীও না ওরা স্রেফ সন্ত্রাসী, বলেন তিনি।



অজয় রায় মনে করেন, বারবার মুক্তমনাদের ওপর হামলা, হত্যা করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলেও অ্যাকাডেমিকেলি ওই গোষ্ঠিটি খুবই ইমম্যাচিউরড।



ওরা যে লেখালেখি করে তা খুবই একঘেঁয়ে। যার ভিত্তি হচ্ছে কিছু ভুল দর্শন আর অপব্যাখ্যা, বলেন তিনি।



শনিবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় ছেলে অভিজি‍ৎ হত্যা ও ছেলেবউ রাফিদা বন্যা আহমেদকে জখমকারীদের বিষয়ে কিছু কিছু সন্দেহের কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষক অজয় রায়। যা রোববারে প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। ** টিএসসিই কেনো হত্যার লীলাভূমি? প্রশ্ন অজয় রায়ের



এর পাশাপাশি তিনি দীর্ঘ আলাপচারিতায় তুলে ধরেছেন দেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির কথা। তার নিজস্ব ভাবনার কথা।



অজয় রায় মনে করেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রকৃত দর্শন প্রচার করতে গিয়েই তথাকথিত ইসলামী জঙ্গিদের টার্গেটে পরিণত হয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছে অভিজিৎ। তাকে হত্যার মাধ্যমে জঙ্গীবাদী গোষ্ঠি ‘সিগন্যাল’ দিয়েছে যে এ ধরনের মানুষকে বাংলাদেশে বাড়তে দেওয়া হবে না। কিন্তু যারা আদর্শভিত্তিক এবং বিজ্ঞান মনস্ক লেখক তাদের কলম থেমে গেল চলবে না। কারণ অভিজিৎদের এ আত্মদানই কাঙ্খিত বাংলাদেশের প্রেরণা। সেভাবেই তাদের লেখালেখি ও কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে হবে।



একুশে পদকজয়ী এই শিক্ষক বলেন, বাংলাদেশকে আমরা দেখতে চাই সেক্যুলার ডেমোক্রেটিক রাষ্ট্র হিসেবে। যদি কখনো অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে তাহলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ যেন মোটামুটি সমভাবে বণ্টিত হয়। আর সে কারণেই মুক্তমনাদের বেশি বেশি লিখতে হবে।



অপশক্তিরাও অব্যাহতগতিতে কনটেন্ট তৈরি করছে, অনলাইন ঘাঁটলে তা চোখেও পড়ে এ অবস্থায় মুক্তমনাদেরও বেশি বেশি কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে তাদের সেসব প্রতিক্রিয়াশীল লেখালেখিকে ছাপিয়ে থাকে মুক্তমনাকে লেখালেখি, বলেন অজয় রায়।



তিনি বলেন, চরিত্রগত দিক থেকে বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যেখানে ধর্ম নির্বাসিত হবে না, কিন্তু ধর্মের অপব্যবহারও থাকবে না। যে যার ধর্ম পালন করবে, মুক্তভাবে যার যার ধর্মালয়ে যাবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বরং উৎসাহ দেবে। কারণ সব ধর্মের সুরক্ষা রাষ্ট্রকেই দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকবে না, সব ধর্মের মানুষের জন্যই থাকবে রাষ্ট্র।



অভিজিৎ তার বিভিন্ন প্রবন্ধ ও গ্রন্থের মাধ্যমে একথাগুলোই তুলে ধরতে চেয়েছে একথা জানিয়ে অজয় রায়ের প্রশ্ন, এটা করতে গিয়ে যদি সে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গিদের টার্গেটে পরিণত হয় তাহলে বাংলাদেশটা কোথায় যাচ্ছে?



তিনি বলেন, এমন এক জায়গায় তাকে হত্যা করা হল আমরা মনে করি সেটা আমাদেরই জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর, যেখানে মুক্ত মনের মানুষরা বিচরণ করে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিচরণ করে। যেখানে বাংলা একাডেমি, পরমানু শক্তি কমিশনসহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত। যেটাকে আমরা মনে করি সামগ্রিকভাবে মুক্তমনা মানুষদেরই এলাকা।



‘কত বড় দুঃসাহস যে সেই এলাকাতে এসেই অভিজিতের মত একজন মানুষকে হত্যা করল,’ বলেন একজন ক্ষুব্ধ অজয় রায়।



তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তারা এই সিগন্যাল দিতে চায় যে বাংলাদেশে আমরা এধরনের মানুষকে বাড়তে দেব না। যদি বাড়তে চাও তাহলে তোমাদেরও এই পরিণতি হবে। এমনকি তারা একাজে সফলও হয়েছে। কারণ তারাতো চায়ই যে যুক্তিবাদীরা চুপ করে থাক।



অভিজিৎ রায়কে যেই সন্ধ্যায় হত্যা করা হয়, সেই রাতে তাকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, এসব ‍হুমকিকে ভয় পেলে দেশ সঠিক পথে এগুতে পারবে না।



অজয় রায় মনে করেন বাংলাদেশের জঙ্গীগোষ্ঠির আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রয়েছে। কখনো হুজি, কখনো আনসারুল্লাহ নাম নিয়ে থাকলেও গোষ্ঠিটা একই।



এই গোষ্ঠির অনেকে বিভিন্ন স্তরে ঢুকে পড়েছে এমন আশঙ্কা করে অজয় রায় বলেন, ওরা কিন্তু বসে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রশাসনযন্ত্রে সবখানেই তাদের বিচরণ। বইমেলায়ও তারা ঢুকে পড়ছে অনায়াসে। এ বিষয়টি গভীরভাবে ভাবতে হবে।



আমি সরাসরি অভিযোগ করছি না কিন্তু এটা অসম্ভব নয়, ওই দিন টিএসসি’র ওই এলাকায় পুলিশ প্রশাসনের যারা নিযুক্ত ছিলেন, তারাও হয়তো ইনফ্লুয়েন্সড ছিলেন, নতুবা তারা তাদেরই লোক, বলেন অজয় রায়।



তিনি বলেন, আমি বুঝলাম যে অভিজিতের ওপর হঠাৎ আক্রমণ হয়েছে যেখানে পুলিশের কিছু করার ছিলনা। কিন্তু হামলার পরে তারা কেন নিষ্ক্রিয় ছিল? একজন ফটো জার্নালিস্ট তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেল। অথচ যে কাজটি করার কথা ছিল পুলিশের।



তবে অভিজিৎদের এ আত্মদানের মধ্য দিয়েই নতুন প্রত্যাশিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। এবং তরুণ প্রজন্ম যারা রাষ্ট্রের প্রকৃত দর্শন ধারণ করেণ তাদের ক্রিয়াশীলতা ও সৃষ্টিশীলতার মধ্যমেই সেটি সম্ভব বলে প্রত্যাশা অধ্যাপক অজয় রায়ের



তাহলে আমদের অবশ্য জানা উচিত অভিজিৎ কোন দর্শন প্রচার করেছেন। জানতে হলে এই লিঙ্কে ঃ Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: প্রফেসর অজয় রায় একথা ভালো করেই বুঝবেন এই ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা কেন হতো । অজয় রায় ব্রিটিশ ইন্ডিয়া দেখেছেন, পাকিস্তানের জন্মলগ্নের বীভৎস দৃশ্য অবলোকন করেছেন , ৬১, ৬৫র দাঙ্গার শিকার হয়েছেন। ১৯৭১ তোঁ প্রতিটি হিন্দুর জন্য অভিশাপ নিয়ে এসেছিল। অভিজিত একজন পি এইচ ডি করা যুবক। আমেরিকায় জীবন কাটানোর উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। তার ভিন্ন ধর্মী লেখায় আমি বেশ হতভম্ব হয়েছিলাম। হতে পারে সে নাস্তিক এটা যার যার ব্যাপার। তারতো যথেষ্ট জ্ঞান থাকা উচিত যে একটি ধর্মের নির্বোধ কিছু লোক বিধর্মীদের কিভাবে মারছে, অত্যাচার করছে এবং দাস হিসাবে বিক্রি করছে। জ্ঞানদান খুবই ভালো বিষয় যদি তার থিসিস থেকে দিতেন। অভিজিত এমনই এক জায়গায় নাড়াচাড়া করছিলেন , তিনি জানতেন এর সম্ভাব্য পরিনতি কি হতে পারে এবং হয়েছে। তিনি একটি ব্লগ পর্যন্ত খুলেছিলেন শুধু ধর্মীয় বিষয়কে ঘৃণা ও আঘাত করার উদ্দেশ্যে। একজন পি এইচ ডি করা জ্ঞানীর জন্য এটি একধরনের আহাম্মকি ছাড়া আর কিছু নয়।

অজয় রায় সন্তান হারিয়েছেন কিন্তু দমেননি এতটুকু। তারতো উচিত অন্য অনুসারিদের বলা এই পারস্পরিক ঘৃণার পথ পরিহার করো। নাস্তিকরাও একটি সম্প্রদায়ের মানুষ। দয়া করে বাকিদের মুসলিম জঙ্গিদের মতো আরেক জঙ্গি হবার উৎসাহ যোগাবেন না। ঈশ্বর আমাদের মঙ্গল করুক।।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

দস্যুরাজা বলেছেন: সহমত @শাহ আজিজ

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

অস্তিত্বহীন বলেছেন: সহমত @শাহ আজিজ

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

অস্তিত্বহীন বলেছেন: "এমন এক জায়গায় তাকে হত্যা করা হল আমরা মনে করি সেটা আমাদেরই জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর, যেখানে মুক্ত মনের মানুষরা বিচরণ করে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিচরণ করে। যেখানে বাংলা একাডেমি, পরমানু শক্তি কমিশনসহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত। যেটাকে আমরা মনে করি সামগ্রিকভাবে মুক্তমনা মানুষদেরই এলাকা।" :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.