নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

~ An Average, An Explorer ~

ওমর ফারুক কোমল

অজ্ঞ এক মানবসন্তান

ওমর ফারুক কোমল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুড়িগঙ্গা তীরের নর্থব্রুক হল

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৮



ঢাকা মানেই শত বছরের প্রাচীন ইতিহাস, ঢাকা মানেই শত বছরের পুরনো ঐতিহ্য। এই ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে আজও দাড়িয়ে আছে কিছু প্রাচীন নিদর্শন। এসব নিদর্শনের ঘ্রাণ নিতে আমি ছুঁটে বেড়িয়েছিলাম (এবং বেড়াই) নগরীর এ গলি থেকে সে গলি। সেই দর্শন স্মৃতি থেকেই আজ এখানে কিছু লিখছি।

দিনটি ছিল শুক্রবার। আমি আর আমার বন্ধু শাহারিয়ার বেশ সক্কাল সক্কাল বেড়িয়ে পরেছি। গন্তব্য পুরান ঢাকার সুত্রাপুর থানা। ঝিগাতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে মালঞ্চ নামক বাসে করে সোজা সুত্রাপুর এলাকার লোহারপুল নামলাম। নামার পরে কয়েকজন রিক্সাচালক ভাইদের জিজ্ঞাসা করলাম নর্থব্রুক হলের কথা। আগে থেকেই জানা ছিল হাঁটা পথ, তাই আর রিক্সা নিলাম না। নির্দেশনা মেনে এগুতে থাকলাম। প্রায় ১৫ মিনিট হেঁটে যাওয়ার পর দেখা মিলল নর্থব্রুক হলের।





নর্থব্রুক হল, যার আরেক স্থানীয় নাম লালকুঠি (লাল রঙের কারনে ভবনটির এমন নাম প্রচলিত হয়)। ১৮৭৪ সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল জর্জ ব্যরিং নর্থব্রুক ঢাকা সফরে এলে এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই ভবনটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৮৭৯ সালের শেষের দিকে নর্থব্রুক হলের নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং গভর্নর নর্থব্রুকের সম্মানেই এই ভবনের নামকরণ করা হয় নর্থব্রুক হল। প্রথমে ভবনটিকে টাউন হল হিসেবে ব্যবহার করা হলেও পরে একে পাঠাগারে রূপান্তর করা হয়। শুনেছি পাঠাগারটি রাজধানীর সবচেয়ে পুরোনো পাঠাগার। তবে জানা যায় বর্তমানে এর অবস্থা বড়ই করুণ। ইতিহাস থেকে আরও জানতে পারি ১৯২৬ সালের ৭ কি ৮ ফেব্রুয়ারি এখানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে ঢাকা পৌরসভা সংবর্ধনা দিয়েছিল।

মূল ভবনের সৌন্দর্য আকর্ষণ করার মতই। তবে আশপাশের অবস্থা নিয়ে আমি বড়ই শঙ্কিত হয়েছি। দেখার যেন কেউ নেই! যাহোক, ভবনের চারপাশটা ঘুরে দেখতে লাগলাম। মূল ভবনের দুই পাশে আরও দুটি ভবন রয়েছে একটি কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে আর আরেকটি ব্যায়ামাগার/ক্লাব হিসেবে ব্যবহিত হচ্ছে। মূল ভবনটির দরজা তালাবন্ধ ছিল। একজনকে জিজ্ঞাসা করায় বলল অনুষ্ঠান হলে এই ভবন খোলা হয়। ভবনের পেছনে রয়েছে কিঞ্চিৎ খালি জায়াগা যেখানে কমিউনিটি সেন্টারের খাবার তৈরির কাজ চলছিল। পেছনের দিকে ছোট্ট একটি ভবন দেখতে পেলাম যেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি সাইনবোর্ড ঝোলানো ছিল, যাতে লিখা ছিল, "ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ ভবনে বসবাস করা নিরাপদ নয়।"



খানিকটা আফসোস হচ্ছিল। কারণ পাঠাগারটি দেখার বেশ ইচ্ছা ছিল। হয়তো ছুটির দিন ছিল বলে আর দেখা হয়নি। শুনেছি নির্মাণের পর নর্থব্রুক হল থেকে বুড়িগঙ্গা নদী দেখা যেতো। তবে সেটা এখন কল্পনার অতীত। বর্তমানে ভবনটির দায়িত্ব রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।


ছবিঃ বুড়িগঙ্গা থেকে নর্থব্রুক হল, ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দ। উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহকৃত।



সবশেষে মূল গেটের সামনে এসে পুরো ভবনটার উপর আরও একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে সেখান থেকে প্রস্থান নিলাম।


-০৫/জুন/২০১৬ ইং

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইন্টারেস্টিং

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.