নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

~ An Average, An Explorer ~

ওমর ফারুক কোমল

অজ্ঞ এক মানবসন্তান

ওমর ফারুক কোমল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালের স্মৃতিচিহ্ন মুসা খাঁর মসজিদ

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০২



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের পাশের রাস্তা দিয়ে একদিন হেঁটে যাচ্ছিলাম। কিছুদূর যেতেই রাস্তার বামপাশে চোখে পড়ল শহিদুল্লাহ হল। এই ছাত্রাবাসটিতে ঢোকার ফটকের বাম পাশে হটাত খেয়াল করলাম জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে থাকা একটি ছোট দোতলা প্রাচীন মসজিদ। তো মসজিদটির পেছন দিকটাই চেয়ে আছে মূল রাস্তার দিকে তাই সামনের দিকটা দেখার উদ্দেশ্যে হলের গেটের ভিতরে প্রবেশ করলাম। একটা মসজিদের সামনের দিকটার অবস্থা এমন হতে পারে তা এই মসজিদটি না দেখলে আমার ধারণাই হত না।







মসজিদটি বেশ খানিকটা উঁচু প্লাটফর্মের ওপর নির্মিত। যার নিচের অংশে কিছু ঘর রয়েছে যা পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পেলাম। আর উপরের অংশটাই নামাজের জন্যে ব্যবহিত হচ্ছে। পাশে একজন মুসল্লিকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম এই মসজিদটির কি নাম-পরিচয়। তখন জানতে পারলাম মসজিদটির নাম মুসা খাঁর মসজিদ। আনুমানিক ১৬৭৯ সালে নির্মিত এই মসজিদটির পাশে মুসা খাঁর কবর খানিও আমার নজর কারতে ভুল করেনি।









ইতিহাস ঘেঁটে জানতে পারলাম এটি বাংলার বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈসা খাঁর পুত্র মুসা খাঁ নির্মাণ করেন। তবে এ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। অনেক ইতিহাসবিদই মনে করেন এই মসজিদটি মুসা খাঁর ছেলে মাসুম খাঁ অথবা তার পৌত্র দিওয়ান মুনওয়াব খাঁ নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদটিতে কোন শিলালিপি না পাওয়াতেই অবশ্য এতো মত-দ্বিমত। তবে মসজিদটি নির্মাণের কৌশল শায়েস্তা খাঁর সময়কালীন। এরই ভিত্তিতে অনেকে মসজিদটি মুসা খাঁর পুত্র অথবা পৌত্র দ্বারা নির্মিত বলে দাবি করেন

তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটির দেয়ালে রয়েছে মোঘল আমলের কারুকার্য। যা এই মসজিদটির শেষ সৌন্দর্য। গা ঘেঁষা ছোট্ট এক সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠে গিয়ে নামাজের স্থানে যেতে হয়। মসজিদটির পশ্চিম দেয়ালে একটি প্রধান ও পাশে দুটি ছোট মেহরাব রয়েছে। পূর্ব দেয়ালে রয়েছে তিনটি দরজা আর উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে একটি করে খিলান দরজা। মূল নামাজের ঘরের বাহিরে ছোট একটি বারান্দাও বিদ্যমান রয়েছে।



মসজিদটির বর্তমান অবস্থাকে আমি এক কথায় ‘ভয়াবহ’ বলে আখ্যা দিতে চাই। দেয়াল ফেটে চৌচির, নেই কোন প্লাস্টার। মনে হচ্ছিল এই বুঝি ভেঙ্গে পরে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে কয়েক শতক পুরনো ঢাকার এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদখানা। বারো ভূঁইয়াদের শেষ এই স্মৃতিচিহ্নটুকু কি শেষমেশ টিকে থাকবে?


-১৮/০৯/২০১৬ ইং, ঢাকা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২০

পুলহ বলেছেন: স্মৃতির মসজিদ নিয়ে লেখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রথমে....
মসজিদটার অবস্থা আসলেই বেশ নাজুক। প্রত্যাশা থাকবে কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১১

ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২১

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ঢাবিতে পড়ার সময় এই মসজিদটি আমার প্রিয় ছিল। আমরা তিন বন্ধু প্রায়ই একসাথে জোহরের নামায আদায় করতাম।পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১২

ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

Bangladeshi Moinul বলেছেন: প্রায়ই এই মসজিদটিতে যেয়ে নামাজ পড়ি। প্রিয় মসজিদটিকে নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ, মসজিদটির পূর্ব-উত্তর দিকে গেলেই, মূসা খাঁ এর কবর দেখা যায়। এখনও আছে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৪

ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। :)

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর এক স্থাপত্যের সাথে পরচিত হলাম !
এদের সংরক্ষণ আমাদের নিজের ইতহাসের স্বার্থেই প্রয়োজন ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৩

ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: আসলেই খুব বেশি প্রয়োজন।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩২

লিট্রিমিসটিক বলেছেন: ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদের বর্তমান অবস্থা দেখে খারাপ লাগল। তবে লিখাটা ভাল লেগেছে। ভাল থাকবেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৯

ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: দেখে যাচ্ছি আর লিখে যাচ্ছি। সঙ্গে থাকবেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.