নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

~ An Average, An Explorer ~

ওমর ফারুক কোমল

অজ্ঞ এক মানবসন্তান

ওমর ফারুক কোমল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোঘল আমলের স্মৃতিচিহ্ন সাত গম্বুজ মসজিদ

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১


(ছবিঃ হারিয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গার গাঁ ঘেঁষে সাত গম্বুজ মসজিদ।)

বুড়িগঙ্গার পানি তখন বড় বড় ঢেউ খেলত। বুক দিয়ে ধীরে ধীরে বয়ে যেত কতশত লঞ্চ-জাহাজ আর নৌকা। এক কূল থেকে আরেক কূলে দেখা যেত শুধুই জল। ভরা যৌবনা এই নদীটির তীর ঘেঁষেই উঠে দাঁড়িয়েছিল একটি মসজিদ। মানুষজন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসে নামাজ আদায় করে ডুব দিত বুড়িগঙ্গার অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে। বলছিলাম ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সাত গম্বুজ মসজিদের কথা (এই মসজিদের নামেই সাতমসজিদ রোড নামকরণ হয়েছে)।


(ছবি কৃতজ্ঞতাঃ স্যার চার্লস ডি'ওইলি)


(ছবিঃ সংগৃহীত)

তবে সেইদিন গত হয়েছে বহু কাল আগেই। আনুমানিক ১৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে শায়েস্তা খাঁর পুত্র উমিদ খাঁর নির্মিত এই মসজিদটির আশেপাশে এখন নদীর কোন অস্তিত্ব নেই। আছে বড় বড় দালানকোঠা আর শহরের চিরচেনা ভিড়।









ঢাকার ঐতিহ্যবাহী যে কয়টি মসজিদ আমি দেখেছি তার মধ্যে এটি অন্যতম মসজিদ যার এখন পর্যন্ত তেমন কোন বিকৃত হয়নি। মসজিদটির মূল গম্বুজ মুলত তিনটি এবং চার কোণায় রয়েছে আরও চারটি অনুগম্বুজ।









মসজিদটির এক পাশে রয়েছে ছোট গোরস্থান। সামনে রয়েছে বিশাল বাগান যা মসজিদটির সৌন্দর্যকে কিঞ্চিৎ বৃদ্ধিই করেছে।





মসজিদটির পূর্ব পাশে (মূল রাস্তার বিপরীত দিকে) রয়েছে একটি মাজার। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ভাষায় বলা যায় ‘অজানা সমাধি’। তবে কথিত আছে এটি শায়েস্তা খাঁর মেয়ের সমাধি। অনেকে ‘বিবির মাজার’ বলেও জায়গাটিকে সম্বোধন করে থাকে।





অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা ঢাকার এই ঐতিহাসিক মসজিদটিকে অক্ষত দেখে বেশ ভালো অনুভব করেছিলাম। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এটি এবং এরকম আরও সকল স্থাপনা যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যেই থাকবে।

-২৭/১২/২০১৬ ইং, ঢাকা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৫

প্রামানিক বলেছেন: ১৯৮০ সালেও এই মসজিদের পশ্চিম পাশে বর্ষাকালের ঢেউ আছড়ে পড়তে দেখেছি, আশেপাশে ঘরবাড়ি ছিল না।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮

জগতারন বলেছেন:

আমি ১৯৭৩ সালে ঢাকায় এসে লালমাটিয়া হাঊজিং সোসাইটি বয়েজ হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেনীতে ভর্তি হয়েছিলাম। একদিন বন্ধুদের কাছে শুনলাম স্কুল থেকে অনতি দূরে মোহাম্মদপুরের সাতগম্বুজ মসজিদ-এর কথা, তাদেরই সাথে একদিন হেটে হেটে আসলাম মোহাম্মদপুর সাতগম্বুজ মসজিদ দেখতে। তখন আমার বয়স ভারিজোর ১২/১৩ বছর, তখন সাতগম্বুজ মসজিদটি দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম! কারন এই সাতগম্বুজ মসজিদ-এর স্থানটি ছিল মোহাম্মদপুর-এর লোকালয় থেকে একদম বিছিন্ন এক পরিত্যাক্ত এলাকায়, এবং সাতগম্বুজ মসজিদ থকে অনতি দূরে এক বিরাট নদি, মসজিদের পশ্চিম পার্শে দেয়াল ঘেসে ঘহীন ও খারাভাবে গভীর হয়ে নদীর সাথে মিলানো। সেখানে অসংখ্য ব্যাবসায়িদের বড় বড় নৌকা মাল বোঝাই করা। লোকা আলয় থেকে এই নির্জন স্থানে এত সুন্দর করে ও পরিকল্পনা করে কার দায় ঠেকেছে আজ আরও কয়েকশত বছর আগে এমন মসজিদ নির্মাণ করা !!!! -এই ভেবে।

তখনকার সেই সময়ে আরেকটি স্মৃতি- ধানমন্ডিতে বিদ্রহী কবি কাজী নজরুলকে দেখা।
আমাদের সকাল বেলার 'ভোরের পাখী' কবিকে দেখে আমি আত্মহারা হয়ে অপক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম অনেক ক্ষন। কবিকে দেখেছিলাম ধব ধবে সাদা মিহীন কাপরের একটি পাঞ্জামী পরা, নীচে হাতাকাটা গেঞ্জিটিও দেখা যাচ্ছিল, সাদা একটি লুংগী পরা। দেখি খাটের উপর শোয়া থেকে একা একা উঠে বসল, বসা থেকে দাঁড়িয়ে হাটার চেষ্টা করতে ছিলেন আর বিরক্ত হয়ে মুখ দিয়ে কেমন যেন শব্দ করতে ছিলেন--"ভা-ব, ভা-ব"।
আমাকে দেখতে আব্বা ঢাকা আসলে, আব্বাকে নিয়া আরেকবার কবিকে দেখতে গিয়েছিলাম এবং আব্বাকেও সাতগম্বুজ মসজিদটি দেখাতে নিয়া গিয়াছিলাম। আব্বাও সাতগম্বুজ মসজিদটি দেখিয়া বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮

জগতারন বলেছেন:

আমি ১৯৭৩ সালে ঢাকায় এসে লালমাটিয়া হাঊজিং সোসাইটি বয়েজ হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেনীতে ভর্তি হয়েছিলাম। একদিন বন্ধুদের কাছে শুনলাম স্কুল থেকে অনতি দূরে মোহাম্মদপুরের সাতগম্বুজ মসজিদ-এর কথা, তাদেরই সাথে একদিন হেটে হেটে আসলাম মোহাম্মদপুর সাতগম্বুজ মসজিদ দেখতে। তখন আমার বয়স ভারিজোর ১২/১৩ বছর, তখন সাতগম্বুজ মসজিদটি দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম! কারন এই সাতগম্বুজ মসজিদ-এর স্থানটি ছিল মোহাম্মদপুর-এর লোকালয় থেকে একদম বিছিন্ন এক পরিত্যাক্ত এলাকায়, এবং সাতগম্বুজ মসজিদ থকে অনতি দূরে এক বিরাট নদি, মসজিদের পশ্চিম পার্শে দেয়াল ঘেসে ঘহীন ও খারাভাবে গভীর হয়ে নদীর সাথে মিলানো। সেখানে অসংখ্য ব্যাবসায়িদের বড় বড় নৌকা মাল বোঝাই করা। লোকা আলয় থেকে এই নির্জন স্থানে এত সুন্দর করে ও পরিকল্পনা করে কার দায় ঠেকেছে আজ আরও কয়েকশত বছর আগে এমন মসজিদ নির্মাণ করা !!!! -এই ভেবে।

তখনকার সেই সময়ে আরেকটি স্মৃতি- ধানমন্ডিতে বিদ্রহী কবি কাজী নজরুলকে দেখা।
আমাদের সকাল বেলার 'ভোরের পাখী' কবিকে দেখে আমি আত্মহারা হয়ে অপক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম অনেক ক্ষন। কবিকে দেখেছিলাম ধব ধবে সাদা মিহীন কাপরের একটি পাঞ্জামী পরা, নীচে হাতাকাটা গেঞ্জিটিও দেখা যাচ্ছিল, সাদা একটি লুংগী পরা। দেখি খাটের উপর শোয়া থেকে একা একা উঠে বসল, বসা থেকে দাঁড়িয়ে হাটার চেষ্টা করতে ছিলেন আর বিরক্ত হয়ে মুখ দিয়ে কেমন যেন শব্দ করতে ছিলেন--"ভা-ব, ভা-ব"।
আমাকে দেখতে আব্বা ঢাকা আসলে, আব্বাকে নিয়া আরেকবার কবিকে দেখতে গিয়েছিলাম এবং আব্বাকেও সাতগম্বুজ মসজিদটি দেখাতে নিয়া গিয়াছিলাম। আব্বাও সাতগম্বুজ মসজিদটি দেখিয়া বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । ভাল লেগেছে ইতিহাস আবারও জেনে এবং ছবিগুলো দেখে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.