নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

~ An Average, An Explorer ~

ওমর ফারুক কোমল

অজ্ঞ এক মানবসন্তান

ওমর ফারুক কোমল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুণীজনদের আড্ডাস্থল সেই \'বিউটি বোর্ডিং\'

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৮



আড্ডা বাঙালির এক প্রাণের বস্তু। আর এই প্রাণের বস্তুকে লালন করার জন্যে চাই উত্তম এক আড্ডাস্থল। এমনই এক প্রাণবন্ত আড্ডাস্থল ছিল পুরান ঢাকার ‘বিউটি বোর্ডিং’। এখানে বসেই আড্ডায় মেতে উঠতেন কবি শামসুর রাহমান, আহমেদ ছফা, জহির রায়হান, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সৈয়দ শামসুল হক, শহীদ কাদরী, নির্মলেন্দু গুণ, বেলাল চৌধুরী, জুয়েল আইচ প্রমুখ গুণীজনেরা। এখানে বসেই চলচিত্র পরিচালক আব্দুল জব্বার খান লিখেছিলেন প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর স্ক্রিপ্ট। তাছাড়া আরও জানা যায়, দেশ ভাগের আগে এখানে পা রেখেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস ও পল্লীকবি জসীমউদ্দীনও।











বাংলাবাজার এলাকার ১নং শ্রীশদাস লেনে দাড়িয়ে থাকা প্রাচীন এই বাড়িটি ছিল স্থানীয় এক জমিদারের। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হবার পর বাড়িটি ভাড়া নেন নলিনী মোহন সাহা ও প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা নামের দুই ভাই। নলিনী মোহন সাহার বড় মেয়ের নাম বিউটি। মূলত তার নামেই গড়ে তুলা হয় এই বিউটি বোর্ডিং। এক পর্যায়ে সেই বাড়িটি তারা পুরোপুরি কিনে নেয় এবং বেশ রমরমা ভাবেই তাদের বোর্ডিং ও ক্যাফেটেরিয়া ব্যবসায় চালাতে থাকে। এদিকে বাংলাবাজার হয়ে ওঠে মুদ্রণ ও প্রকাশনার অন্যতম কেন্দ্রস্থল। তাই ভিড় বাড়তে থাকে বিভিন্ন শিল্পী, কবি-সাহিত্যিকদের। তবে ১৯৭১ সালে বিউটি বোর্ডিংয়ে পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে নিহত হন এর অন্যতম মালিক প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহাসহ ১৭ জন। সেই সময় প্রদাহ চন্দ্রের পরিবার জীবন বাঁচাতে চলে যান ভারতে। দেশ স্বাধীন হবার পর প্রদাহ চন্দ্রের স্ত্রী শ্রমতী প্রতিভা সাহা দুই ছেলে সমর সাহা ও তারক সাহাকে নিয়ে বিউটি বোর্ডিং আবার চালু করেন। বর্তমানে এটি দেখভাল করছেন তারক সাহা।





আগের মত সেই আড্ডা এখন আর নেই। নেই সেই ক্যাফেটেরিয়াও। আছে শুধু বোর্ডিং এবং দুপুরে ও রাতে খাবারের ব্যবস্থা। এখনও মনকাড়া এই পরিবেশে থাকতে এবং খেতে আসেন বাংলাবাজারে কাজ করতে আসা অনেকেই। জনাব তারক সাহার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম বিউটি বোর্ডিং নিয়ে তাদের অনেক ভাবনার কথা। আগের মত সেই পরিবেশ কিঞ্চিৎ হলেও ফিরিয়ে আনার জন্যে মাঝে মধ্যেই এখানে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তা ছাড়া একটি উন্মুক্ত গ্রন্থাগার এবং আগের সেই ক্যাফেটেরিয়াও চালু হতে পারে বলে আশ্বাস দেন বর্তমান এই মালিক।



আশায় রইলাম, হয়ত আবারও এখানে পদচারণা হবে বিভিন্ন গুণীজনদের। জয় গুরু।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ ঐতিহাসিক স্থানটিকে ভালভাবে সংরক্ষন করা উচিত।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ১৯১১ সালে এই বিউটি বোর্ডিং স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৩

ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: ১৯১১ সালে ???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.