![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঐতিহাসিক কারবালার প্রান্তরে শহীদ হওয়া আল-হোসেনকে স্মরণ করে ইমারত (সাধারণত ইমামবাড়া বলা হয়) নির্মাণ করা মুসলিম-শিয়া সম্প্রদায়ের একটি সাধারণ রীতি। এই রীতিকে ধারণ করেই ১৭শ শতকে (আনুমানিক ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দে) পুরান ঢাকার দিকে নির্মিত হয় হোসেনী দালান। এই ইমামবাড়া নির্মাণে সম্পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা করেন সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজা। যদিও তিনি শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ছিলেন না তবে কোন এক ভালোবাসার টানেই তিনি এই ইমামবাড়া নির্মাণে অগ্রসর হন।
পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছানোর পর খুব একটা বেগ পেতে হয়নি এই ঐতিহাসিক জায়গাটি খুঁজে বের করতে। লোহার গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢোকার পর মনে হল চক্ষুদ্বয় আমার সার্থকই হল।
মাটি থেকে খানিকটা উঁচু প্লাটফর্মে মূল ভবনটি অবস্থিত। পূর্ব দিকে একটি গেট রয়েছে যার সাহায্যে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। ভেতরে প্রবেশ করার পর দালানের দেয়ালের নানা রকমের কারুকাজ দেখে আমার মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল। কি অপরূপ সৌন্দর্য এখানে! জানতে পারলাম ২০১১ সালে ইরান সরকারের উদ্যোগে এই হোসেনী দালান সংস্কার করা হয় আর তখনই ইরাকী বিভিন্ন কারুকাজে সজ্জিত হয় এই ভবন।
ভবনের ভেতরের একটা অংশ দেখলাম বিশাল কালো পর্দা দিয়ে ঢাকা। এছাড়াও একটা নির্দিষ্ট অংশে কিছু মানুষ ইবাদতে মশগুল। আরও দেখতে পেলাম একটি তরবারি। তবে এটি কিসের তরবারি বা কার তরবারি সে সম্পর্কে কিছু জানতে পারিনি।
ভবনের ঠিক পেছনেই রয়েছে একটি পুকুর। শুনেছি ১০ই মহররম মানুষজন তাজিয়া মিছিল শেষে এখানে এসেই স্নান করে।
(১৯০৪ সালের হুসনি দালান)
প্রায় সাড়ে তিনশত বছর আগে নির্মিত হওয়া এই ঐতিহাসিক স্থানটি আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় সুবেদার শাহ সুজার মহত্ত্বকে। সেই মহত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝেই। অক্ষত অবস্থায় টিকে থাকুক শিয়াদের এই পবিত্র স্থানটি। অধমের এই প্রত্যাশা।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন দাদা
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওখানে সুন্নীদের জন্য কিছু নেই।
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৫
কিরমানী লিটন বলেছেন: ভালো লাগলো, চমৎকার বলেছেন।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪
ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন দাদা
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২২
বিজন রয় বলেছেন: একদিনে দেখি সব ইতিহাস তুলে ধরেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৮
দিলের্ আড্ডা বলেছেন: ইরান সরকারের উদ্যোগে হোসেনি দালানে সংস্কার কাজ হয়।
খুব পবিত্রতার একটি ছাপ সেখানে সবসময় থাকে। হোসেনের প্রতি ভালোবাসা থেকে প্রায়ই সেখানে যাই।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৮
ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: Thanks Sir.
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শাসক হলে এমনই হতে হয়।।
ভাল লাগলো জানতে।।