![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে ঘুমটাই ভেঙ্গে গেল। জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখি মাত্র সিরাজগঞ্জ। রাতে টেনশনে ঘুমাতেই পারিনি, সকালে উঠতে পারব কিনা এ ভয়ে। যে ছেলেটার প্রতিদিন সকাল হয় দুপুর ১ টায়, সে যদি একদিন ভোর ৬ টায় ওঠে তাহলে মহাভারত অশুদ্ধ না হলেও একটুখানি ভুল তো হবেই। সকাল ৭.৩০ এ বাস। জীবনের সব কিছু মিস করা যাবে, কিন্তু এই বাস মিস করা অসম্ভব। গত ১৮ দিন থেকে অপেক্ষা করছি আজকের জন্য। ১৮ দিন দেখিনা সেই মানুষটিকে, নিজের স্বপ্নদেবী কে। আজ স্বপ্ন পাশে বসিয়ে পারি দিব শত কিলোমিটার।
পাশের মানুষটির দিকে তাকালাম। তখনও ঘুমাচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করা জিনিস হল, সে নিদ্রাদেবীর কোলে নয়, আমার কাধে। জানি ও ইচ্ছা করে দেয়নি, কিন্তু ওর অনিচ্ছাই আমার শত বছরের ইচ্ছা পূরণ করে দিয়েছে। জানালার ফাক গলিয়ে তপ্ত রোদ বার বার ওর শরীর, মুখমণ্ডল ছুয়ে দিয়ে যাচ্ছিল। বার বার জানালার পর্দা দিয়ে চেষ্টা করছি রৌদ্রের উত্তাপ থেকে তাকে আগলে রাখার। কখনও বা পর্দা টেনে দিয়ে, কখন বা নিজেই পর্দা হয়ে যতটা সম্ভব ওর ঘুম না ভাঙ্গিয়ে। লোকে বলে মেয়েদের প্রকৃত সৌন্দর্য দেখা যায় স্নান করার পর, আমি মনে করি কথাটা ভুল। আমি তাকে স্নান করার পর কোনদিনও দেখিনি, সে সুযোগও হয়নি। কিন্তু আমার মনে হয়, যখন সে আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিল, সে সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করার মত পৃথিবীর কোন তুলনীয় বস্তুই নেই।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘পার্থিব’ বইটা তখনও আমার হাতে। বইটা এর পরেও পড়তে পারব। কিন্তু ওকে তো এত কাছ থেকে আর কবে দেখব কে জানে। দুর্দমনীয় বাতাস বারবার ওর অবাধ্য চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে। কখনও স্পর্শ করছে ওর ঠোঁট, কখনওবা ওর চিবুক, ওর গাল , কখনওবা আমায়। আমায় স্পর্শ করে চুলগুলো বারবার অনুরোধ করছে তাদের আগলে রাখতে। কিন্তু আমার তাদের স্পর্শ করার সে সাহস নেই। যদি ওর ঘুম ভেঙ্গে যায়...
পাশে বসা মেয়েটিকে যে কবে থেকে ভালবাসা শুরু করেছি নিজেও জানি না। কিভাবে কিভাবে জানি হয়েই গেল। ওর চোখগুলো কেমন জানি। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মত বারবার আমাকে টেনে নিয়ে আসে। আজ সকালে যখন ওকে দেখি, প্রথমেই দেখেছিলাম ওর ওই চোখ দুটোর দিকে। কাজল দেয়া ওই চোখ দুটো। ইসস, ওই চোখ দুটো দেখার জন্য আমার চোখে যে কত রাত ঘুম আসেনি সেটা যদি বলতে পারতাম। আমি আসলেই একটা গাধা, একটা বারের জন্যও বলতে পারিনি তোমার চোখ দুটো কে কতটা সুন্দর লাগছে। এত মায়াবী চোখ মানুষের হতে পারে না। এত সুন্দর কেন তোমার চোখ। স্বপ্নের মত, অথৈ সাগরের মত । অথৈ সাগরের নাবিক আমি, তুমি ছাড়া আমি হয়ে যাই, একা- একাকী পথ হারা। হয় তুমি ভিন গ্রহের মানবী না হয় স্বর্গের দেবী।
ওর কানের দুল বারবার শিহরণ জাগিয়ে দিচ্ছে আমার কাধে। সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর মত তোমার ওই গোলাপি ঠোঁট আমার হৃদকম্পন বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে। তার হাত কখনও স্পর্শ করা হয়নি, হ্যা অসাবধানতা বশত দুই একবার লেগে গিয়েছে। কিন্তু সে স্পর্শে অসাবধানতাই ছিল, ইচ্ছা বা ভালবাসা কোনটাই ছিল না। চাইলে এখন হয়তো ধরতে পারতাম। কিন্তু ইচ্ছে হচ্ছিল না। কারণ, আমি ওর বিশ্বাস ভাঙ্গতে চাই না। হয়ত সে একদিন আমার হাত ধরে বলবে, ’শক্ত করে ধরো কারণ আমি জানি আমার হাত তুমি কোনদিনও ছাড়বেনা’। সত্যিই তোমাকে এতটা বিশ্বাস করি যেন তুমি আমার মন ভাঙ্গতে ভয় পাও, এতটাই ভালবাসি যেন তুমি আমাকে হারিয়ে ফেলতে না চাও।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
ত্যাজ্যপুত্র বলেছেন: কল্পনা তে সব সময় নতুন কেউ তো আসবেই
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩
সজীব বলেছেন:
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রাতা
শুভেচ্ছা নিবেন
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৫
ত্যাজ্যপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১০
খেলাঘর বলেছেন:
এবার পড়ার পর বোরিং লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
খেলাঘর বলেছেন:
আগামীবার নতুন কারো কথা শুনবো?