নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য

everything is fair in love and war

ফাইয়াদ ইফতিখার রাফী

নিজের সম্পর্কে নিজে বলা মত বিড়ম্বনা আর নাই, তাই না বলাই শ্রেয় :)

ফাইয়াদ ইফতিখার রাফী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপ্লবিক চেতনার প্রতিক চে গুয়েভারা এর জন্মদিন আজ

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

চে গুয়েভারা এক অবিনাশী বিপ্লবীর নাম। বিশ্বের নিপীড়িত, শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেন। মার্কসবাদী আদর্শের জন্য অপরিসীম আত্মত্যাগের কারণে চে নামটি ষাট ও সত্তরের দশকে ল্যাটিন আমেরিকা, আফিন্সকা ও এশিয়া তথা সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে বিপ্লবের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিল। তিনি জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন, বিপ্লবীর মৃত্যু আছে, কিন্তু বিপ্লবের মৃত্যু নেই। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিকতাবাদের মূর্ত প্রতীক।



আর্নেস্টো চে গুয়েভারা ১৯২৮ সালের ১৪ জুন আর্জেন্টিনার রোসারিও শহরে জন্মগ্রহণ করেন।তরুণ বয়সে ডাক্তারি ছাত্র হিসেবে চে সমগ্র লাতিন আমেরিকা ভ্রমণ করেছিলেন। এই সময় এই সব অঞ্চলের সর্বব্যাপী দারিদ্র্য তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে।এই ভ্রমণকালে তাঁর অর্জিত অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এই অঞ্চলে বদ্ধমূল অর্থনৈতিক বৈষম্যের স্বাভাবিক কারণ হল একচেটিয়া পুঁজিবাদ, নব্য ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ; এবং এর একমাত্র সমাধান হল বিশ্ব বিপ্লব। এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে চে রাষ্ট্রপতি জাকোবো আরবেনজ গুজমানের নেতৃত্বাধীন গুয়াতেমালার সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সালে সিআইএ-এর ষঢ়যন্ত্রে গুজমানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে চে-র বৈপ্লবিক আদর্শ চেতনা বদ্ধমূল হয়। পরবর্তীকালে মেক্সিকো সিটিতে বসবাসের সময় তাঁর সঙ্গে রাউল ও ফিদেল কাস্ত্রোর আলাপ হয়। চে তাঁদের ছাব্বিশে জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন। মার্কিন-মদতপুষ্ট কিউবান একনায়ক ফুলজেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করার জন্য গ্রানমায় চড়ে সমুদ্রপথে কিউবায় প্রবেশ করেন।অনতিবিলম্বেই চে বিপ্লবী সংঘের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড পদে তাঁর পদোন্নতি হয় এবং বাতিস্তা সরকারকে উত্খাত করার লক্ষ্যে দুই বছর ধরে চলা গেরিলা সংগ্রামের সাফল্যের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।চে বিপ্লবের প্রয়োজনে ছুটে গেছেন গুয়াতেমালা, কিউবা, পেরু, কঙ্গো, কোস্টারিকা, ইকুয়েডর, পানামা, এল সালভেদর, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম এবং বলিভিয়ায়। আর এই বিপ্লব সংগঠিত করতে গিয়ে ১৯৬৭ সালের ৮ অক্টোবর মার্কিন সমর্থনপুষ্ট বলিভীয় সেনাবাহিনীর হাতে আহত অবস্খায় বন্দি হন চে গুয়েভারা। পরদিন ৯ অক্টোবর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার মৃতদেহ গুম করে ফেলা হয়।







চলো যাই

মুক্তির মত রং মাখা ভোরের নিশানায়

গহন দুরূহ পথ পেরিয়ে

সেই সবুজ প্রান্তরকে সাজিয়ে দিতে

যাকে তুমি এঁকেছো ভালোবাসায়।

­ফিদেলের গান, চে গুয়েভারা










মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

যোগী বলেছেন:
জন্মদিনে চে কে শুভেচ্ছা
প্রান্তিক মানুষের বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক

২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শুভেচ্ছা তাকে যার বিপ্লবী গর্জনে শোষকের সিংহাসন দেবে গিয়েছিল
বিপ্লব বেচে থাক বারবার

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

তাসজিদ বলেছেন: শুভ জন্মদিন, চে।

যেখানেই থেকে থাকুন, ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.