![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামনের সিটে বসা তরুণী তার প্রেমিককে সমানে ঝারি দিয়ে যাচ্ছে। চাপা বকাঝকা। তবে তাদের কথোপকথন ভালোই শোনা যাচ্ছে... "তুমি রুমানার ফোন ধরছো ক্যান... ব্লা ব্লা ব্লা...?!"। আমরা আশেপাশের যাত্রীরা আগ্রহ নিয়ে তাদের কথা শুনছি। ছেলেটা খুব একটা কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না। সে বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য ইতি উতি তাকাচ্ছে।
বাস জ্যামে আটকে আছে। আমি রুমানার কথা চিন্তা করা শুরু করলাম। রুমানা এখন কি করছে? সে কি জানে তাকে নিয়ে বাসে গোল টেবিল বৈঠক বসেছে? সে কি জানে বাসশুদ্ধ মানুষ তাকে নিয়ে চিন্তিত, 'রুমানা কেন ফোন করলো'?
মিরপুর কখন পৌছাব কে জানে। বাসে এক খেলনাওয়ালা উঠেছে। তার খেলনার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই খেলনা পানিতে দিলে এগুলো ফুলে বিশাল আকার ধারণ করবে। নানাধরনের জীব জন্তুর আকৃতি, পানিতে ভাসমান চিড়িয়াখানা! খেলনাওয়ালার চমৎকার ক্যানভাসিং 'বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাবার সময় পাচ্ছেন না এই নিন চলন্ত চিড়িয়াখানা, পানিতে ছেড়ে দিলেই বাঘ, হাতি, ভাল্লুক। বাচ্চা খুশিতে দিবে তালি তালি"।
আমি দুইটা মিনি টিকটিকি (টিকটিকি ফুলে ড্রাগন হবে), দুইটা মিনি বাঘ আরও কয়েকটা জন্তু জানোয়ার নিয়ে বাসায় আসলাম। মাত্র বিশ টাকায় ঘরের সবাই মিলে চিড়িয়াখানা যাবার সুযোগ।
গা ম্যাজম্যাজ করছে। কয়েকদিন বৃষ্টিতে আবহাওয়া বেশ আরামের ছিল। আজ বৃষ্টি নাই, আজকে আবার গরম। বাসে এখন আম মাখা বিক্রি হচ্ছে। সামনের সিটে বসা যুগলদ্বয়ের ঝগড়া এখন মিলন পর্যায়ে রূপান্তরিত। তারা আম মাখা খাচ্ছে। আম দেখলে আপনাআপনি জিভে জল আসে। আমারও আম মাখা খেতে ইচ্ছে করছে। খাবো কিনা বুঝতে পারছি না। বাসে আম টাম খাওয়া কি ঠিক হবে? চিকিৎসা শাস্ত্র কি বলে?
বাসায় ফিরেছি। মিনি চিড়িয়াখানা একঘন্টা ধরে পানিতে ডুবিয়ে বসে আছি, কোন কাজ হচ্ছে না। সবাই আগ্রহ নিয়ে চিড়িয়াখানার অপেক্ষায় আছি।
টিকটিকি ড্রাগন হচ্ছে না।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
মি রুমি বলেছেন: রুমানার কোন খবর পাওয়া গেলে অবশ্যই আপনার চিন্তা দূর করা হবে
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
শায়মা বলেছেন: ইয়া খোদা!
এইসব তো ছেড়াবেড়া টিকটিকি, ছেড়াবেড়া বাঘ হবে !
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
মি রুমি বলেছেন: সেইটাই!
শেষ পর্যন্ত বাঘ ভর্তা, টিকটিকি ভর্তা হবে মনে হয়!
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
নায়না নাসরিন বলেছেন: মজার লিখা
+++++++্
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮
মি রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: বিশেষ করে রাজনৈতিক ক্যাচালওয়ালা পোস্ট না হলে কম মন্তব্য হয়।
এই যে বাসের ভেতর ঘটে যাওয়া অতি সাধারণ একটা ঘটনাকে আরো ত্রিশ জনের মত না দেখে আপনি অন্যরকমভাবে দেখলেন, চিন্তা করলেন এবং খুব সুন্দর করে প্রকাশ করলেন, এই সৃজনশীলতার মূল্যায়নটা গৌণ হয়ে গেছে এখন।
লিখতে পারাটাই একটা ক্ষমতা, যে কোন ধরণের লেখা হোক না কেন। তবুও আমার ভালো লাগে যেগুলোতে সৃজনশীলতার সাথে কিছুটা সাহিত্যও থাকে।
ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
মি রুমি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন।
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২৩
ইসমত বলেছেন: আমিও প্রথমে রুমানাকে নিয়ে ভাবছিলাম কিন্তু শেষে এসে আপনার বিপদের কী সমাধান হতে পারে সেদিকেই মন চলে গেলো। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঝে কি মিনি চিড়িয়াখানা গড়তে পেরেছিলেন?
না পারলে কী করতে হবে ভেবেছেন কি?
আমি ভেবেছি, আপনার খরচায় ঘরের সবাইকে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে নিয়ে যান, সম্ভবত মিরপুরে থাকেন খরচ খুব লাগবে না।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫২
মি রুমি বলেছেন: চিড়িয়াখানা শেষ পর্যন্ত বাঘ ভর্তা, টিকটিকি ভর্তায় টার্ন নিয়েছে।
রুমানা হয়ত ভালো আছে, কিংবা ভালো নেই। রুমানা নেটওয়ার্ক জালে হারিয়ে গেছে। রুমানা, ভালো থেকো ।
৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভাল লেগেছে।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
মি রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪
ভিটামিন সি বলেছেন: আমিও রুমানাকে নিয়ে চিন্তা করছি। রুমানা কি দিয়ে দুপুরে ভাত খেলো না খেলো, চিন্তা তো মাথা থেকে নামছে না। আচ্ছা ভাই এক প্যাকেট আম মাখা রুমানাকে পাঠিয়ে দিলে কেমন হয় উইথ বাঘ ভর্তা??
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
মি রুমি বলেছেন: আইডিয়া অতি চমৎকার! রুমানা খাবে কিনা জানি না, আমার ই খেতে ইচ্ছা করছে। তবে বাঘ ভরতা একটু তিতা হতে পারে মনে হচ্ছে। সিরকাতে ভিজিয়ে নিলে কি তিতা ভাবটা কাটবে?
৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
রুরু বলেছেন: টিকটিকি বড় হয়ে ড্রাগন হলে জানবেন। অপেক্ষায় রইলাম।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৩
মি রুমি বলেছেন: টিকটিকির growth rate খুব খারাপ। শেষ পর্যন্ত সে বন সাই হয়ে থাকে কিনা কে জানে! পানিতে সামান্য ভিটামিন মিশিয়ে দিলে কি লাভ হবে, কি বলেন?
৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল লেগেছে।
০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬
মি রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৫
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: খুব সাধারণ একটা ঘটনা।তবে,অসাধারণ করে তুলেছেন।
রুমানা কে নিয়া চিন্তা বাদ দেন।টিকটিকি রে খাওন দেন।আপনি তো দেখি ব্যাপক কিপটা মানুষ।টিকটিকি খাওয়ার অভাবে বড় হইতেছে নাহ,আর উনি ১ঘণ্টা তামাশা দেখে।
মজা করলাম।গোসসা কইরেন নাহ।
০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:০০
মি রুমি বলেছেন: টিকটিকি কে কি খাওয়ানো যেতে পারে? কোন ভিটামিন সিরাপ
চিড়িয়াখানার জন্য অল রেডি বিশ টাকা ইনভেস্ট করে ফেলেছি, আরও করতে বলেন!
নারে ভাই, বাজেট নাই
১১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: চলন্ত চিড়িয়াখানা বটে
০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:০১
মি রুমি বলেছেন: সেটাই। চিড়িখানাটা বাসেই ছিল।
১২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগের পাঠকেরা বিশ্বের সবচেয়ে আগ্রহী পাঠক; তাঁরা তিলকে মাল মনে করেন?
০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:০২
মি রুমি বলেছেন: পাঠকের কল্পনাশক্তি অবশ্যই সীমাহীন হতে পারে
১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: খুব খুব ভালো লাগলো আপনার চমৎকার সাবলীল বর্ণনার পোস্টটি। আগাগোড়া রসে মোড়া! ওয়াও! ধন্যবাদ। লিখে চলুন সতত।
০৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০
মি রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬
ওমেরা বলেছেন: আমি ও তো এখন রুমানাকে নিয়ে চিন্তায় পড়লাম ।বব