![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।
বছরের দুইটা দিন, ইদের দিন, এই দিনগুলোতেও পোলাপাইন বাজি ফুটাইতে পারবে না, একটু চিল্লাচিল্লি করতে পারবে না, আনন্দ উল্লাস করতে পারবে না এটা কোন ধরনের কথা? এগুলো মানুষের বাচ্চা না? নাকি রোবটের বাচ্চা যে তাদের মধ্যে কোনো আনন্দ উল্লাসের লেশমাত্র থাকবে না।
স্কুল প্রতিষ্ঠান বন্ধ, এমনিতেই তো পোলাপান ছন্নছাড়া জীবন পার করতেছে তার মধ্যে তাদেরকে ২৪ ঘণ্টা মোবাইলে পাবজি আর ফ্রী ফায়ার গেমস খেলার ব্যবস্থা কইরা মানসিকভাবে বন্দী বানাইয়া দিয়া ভাবছেন পোলাপান লালন পালন করার সকল দায়িত্ব পালন করছেন। পোলাপাইন পালন করা কি এতোই সোজা?
একটু চিল্লাচিল্লি আনন্দ উল্লাস করতে গেলে এমনভাবে বলেন, "বাড়িতে মুমূর্ষু রুগী আছে" মনে হয় যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরেই দু'চারজন করে মুমূর্ষু রোগী আছে, মুমূর্ষু অবস্থাতেই সব পরিবারে একজন কইরা জন্ম নেয়!!!
দু'একদিন তাদের জন্য নিজেদের মূহুর্তটাকে সেক্রিফাইস করতে না পারলে কিভাবে আশা করেন যে তারা মনুষ্যত্ববোধ নিয়ে বেড়ে উঠবে? আমি আপনি সময় মতো তাদেরমধ্যে ভাতৃত্ব বন্ধনের, সহমর্মিতার বীজ বপন করতে পারি নাই তাহলে তারা বড় হয়ে কিভাবে আদর্শ মানুষ হবে?
আর একটা কথা সবচেয়ে বেশি শোনা যায়, ' বাজি ফটকা ফুটাইলে ইবাদতে ডিস্টার্ব হয়।' আমার আপনার ইমান এতো কাঁচা কেন রে ভাই ইদের রাতে বাচ্চারা হইহোল্লোড় করলে আমার মনোযোগটা ঐ দিকে যাবে, নামাজ চার রাকাতের জায়গায় তিন রাকাত পড়েই সালাম ফিরিয়ে ফেলবো? নিজের ইমানের ব্যপারে আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবো বরং সেটা নিয়েই চিন্তা করা উচিৎ।
সবাইকে ইদের শুভেচ্ছা। ইদ হোক আনন্দময়। হইহোল্লোড়, চিল্লাপাল্লা বাজি ফটকায়, অনুজদের ছত্রছায়ায়, ফিরে আসুক শৈশবের হারিয়ে যাওয়া উল্লাসপূর্ণ সেই ইদের আমেজ
২| ২১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৮
পুলক ঢালী বলেছেন: এখন কেউ কিছু মানে ? ছোটবেলায় আমরা ছোট ছোট পটকা ফোটাতাম সন্ধ্যা থেকে বড়জোর দুই ঘন্টা, তারপর মূরুব্বীরা বাজী ফোটাতে নিষেধ করতেন আমরাও যে যার বাসায় চলে যেতাম।
এখন ভীষন শব্দ দূষনকারী বাজী ফুটানো হয়, নিষেধ করলেও কেউ শোনেনা। গতকাল রাত ২টা পর্যন্ত আমাদের এলাকায় বাজী ফুটানো হয়েছে, আমরা অসভ্য সমাজে বসবাস করছি।
এখন করোনা সারা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে, শিশুদের জন্য সচেয়ে বড় সমস্যা তৈরী করেছে। বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি বেড়েছে এবংং খেলধুলাও বেড়েছে।
আপনি বিপদজনক বাজী পোড়াবার কথা কেন তুললেন বুঝতে পারলাম না।
এমন ঘটনা ঘটেছে যে বাচ্চারা হাউই বাজীতে আগুন দিয়েছে ওটা ডিরেকশন চেঞ্জ করে আরেক ফ্ল্যাটের তিন তালার বারান্দায় ঝুলানো কাপড়ে পড়ে বাড়ীতে আগুন লেগে যায়।
বাজীর ভীষন শব্দে ঘুমন্ত শিশু চমকে জেগে যায়। হার্টের রোগীর এ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।
চারিদিকে করোনা আক্রান্ত পরিবেশে একবাড়ীতে মৃতদেহ ঘিরে কান্না আরেক বাড়ীতে সাড়ম্বরে ঈদ উদযাপন এমনিতেই দৃষ্টিকটু, এর মধ্যে বাজী পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করে ঈদ উদযাপন কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে বৈকি।
ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪০
আজব লিংকন বলেছেন: যুগের সাথে স্বভাবের পরিবর্তন মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়। এমন কিছু করতে হয় যা অন্যদের আকৃষ্ট করে তা না করতে পারলে কোন নিষেধ বা উপদেশ কারই কান পর্যন্ত পৌচ্ছে না।
ঈদ মোবারক।।