নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইব্রাহীম খলিল মাসুম

পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয়।

ইব্রাহীম খলিল মাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামিক সংগঠনগুলোর দাবি সংখ্যালোঘুদের উপর হামলা আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার

ঘটনায় ক্ষুব্ধ

প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত

করেছে ইসলামপন্থি দলগুলো।

তারা বলছে, এটা আওয়ামী লীগের

সাজানো নাটক। ভোটারবিহীন

নির্বাচনকেধামাচাপাএবংআন্তর্জাতিক

মহলকে বিভ্রান্ত করতে এই

নাটক সাজানো হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব

অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ

আহমাদ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের

ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ

প্রকাশ করে বলেন, ইসলাম

যে কোন সমপ্রদায়ের ওপর

জুলুম-নির্যাতন সমর্থন

করে না। সংখ্যালঘুদের ওপর

যারা হামলা করেছে তারা দেশের

শত্রু, ইসলামের শত্রু। সংখ্যালঘু

সমপ্রদায়কে নিয়ে কোন

নোংরা রাজনীতি না করার জন্য

তিনি সরকার এবং বিরোধী দলের

প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘু

সমপ্রদায়ের ওপর হামলার

ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির

আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব

ও কর্তব্য। তিনি বিচার

বিভাগীয় তদন্ত

করে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার

সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার

জন্য সরকারের

প্রতি দাবি জানান। গতকাল

পুরানা পল্টন নগর

কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায়

তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ

খেলাফত আন্দোলনের

ঢাকা মহানগরীর আমীর

মাওলানা মুজিবুর রহমান

হামিদী বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর

নির্যাতন আওয়ামী লীগের

সাজানো নাটক। ভোটারবিহীন

নির্বাচনকে ধামাচাপা দিতে ও

আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত

করা এবং আলেম ওলামা ও

ইসলামী নেতৃবৃন্দের ওপর দোষ

চাপানোর জন্য এই নাটক

সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন,

সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের

সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-

কর্মীরাই জড়িত।

ভুক্তভোগীরা অপরাধীদের

চিহ্নিত করায় থলের বিড়াল

বেরিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ

এসব

ঘটনাসাজিয়েবিশ্ববাসীকেজানাতেচায়

যে, সংখ্যালঘুদের

নিরাপত্তাবিধানেআওয়ামীলীগের

বিকল্প নেই। তিনি এই ধরনের

মিথ্যা প্রতারণা ও

নোংরা রাজনীতি পরিহার করার

জন্য ক্ষমতাসীনদের

প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,

এদেশের আলেম সমাজ ও

ইসলামী দলসমূহ মিথ্যা, ভোট

ছিনতাই, মানুষ খুন ও লুটপাটের

নোংরা রাজনীতি করে না। এই

সব অপকর্মের

সঙ্গে ইসলামী জনতার

সামান্যতম কোন সম্পর্ক নেই।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির

সভাপতি মাওলানা মো. আবদুর

রকিব এডভোকেট ও মহাসচিব

মাওলানা মো. আবদুল লতিফ

নেজামী দেশের বিভিন্ন

স্থানে সংখ্যালঘু জনগণের

বাড়িঘরে হামলার বিরুদ্ধে তীব্র

ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার দায়

ইসলামপন্থিদের ওপর

চাপানো একশ্রেণীর লোকদের

বাতিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ

পাকিস্তান আমল থেকে বিভিন্ন

সময়ে সংঘটিত সামপ্রদায়িক

দাঙ্গায় ইসলামপন্থিদের

সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ নেই।

এমনকি কক্সবাজারের রামু

এবং পাবনার সাঁথিয়াসহ দেশের

বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত

সামপ্রদায়িক দাঙ্গায়

ইসলামী কোন দল, সংগঠন ও

ব্যক্তিত্বের জড়িত থাকার

কোন প্রমাণ নেই। বরং ধর্মীয়

শিক্ষাহীন লোকরাই এধরনের

কাজে প্রবৃত্ত হতে পারে।

তারা বলেন- ইসলামের সর্বজনীন

সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা,

মানবিকতা ও কল্যাণের শিক্ষায়

শিক্ষিত ইসলামপন্থি রাজনৈতিক

দল, সংগঠন ও ব্যক্তিত্ব

সামপ্রদায়িক নন, বরং তারা

দেশের হিন্দুসহ সংখ্যালঘু

সমপ্রদায়ের

সঙ্গে সদ্ব্যবহারসুলভ আচরণের

মাধ্যমে ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল

ইতিহাসকে অম্লান রাখার

ক্ষেত্রে যে সদা সচেষ্ট,

তা অতীতে বহুবার

সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত

হয়েছে। সমাজে ইসলামী অনুশাসন

প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত

ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে আনিত

অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেন

না সমাজে ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস

প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত

লোকজন সংখ্যালঘুদের ওপর

হামলার কাজে অবতীর্ণ

হতে পারেন না। একদলীয়

ভোটারবিহীন নির্বাচনে পরাজিত

প্রার্থীদের রাজনৈতিক

প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার

লক্ষ্যে প্রতিপক্ষের

সমর্থকদের ওপর চড়াও হওয়ার

ঘটনাকেসামপ্রদায়িকতাহিসেবেচিহ্নিত

করার অপপ্রয়াসের তীব্র

নিন্দা করে নেজামে ইসলাম

পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন

যাচাই বাছাই ও তদন্ত

না করে সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের

ওপর হামলার দায়

ইসলামপন্থি দলসমূহের ওপর

চাপানো নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর মাধ্যমে ভোটারবিহীন

নির্বাচনের আয়োজন

করে ব্যর্থতার

গ্লানিতে আচ্ছন্ন সরকার

ইসলামপন্থিদের দেশে-

বিদেশে হেয়প্রতিপন্ন করার

কাজে প্রবৃত্ত হয়েছে। জনগণের

দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত

করার হীন প্র্রচেষ্টায়

মেতে উঠেছে। এছাড়া,

ইসলামী শক্তির অপ্রতিহত

প্রভাব থেকে জনগণকে বিচ্ছিন্ন

করা এবং ইসলামের ধারক-

বাহকদের

প্রতি জনগণকে শত্রুভাবাপন্ন

করে তোলা। তারা এসব ঘটনায়

অবিলম্বে বিচার বিভাগীয়

তদন্ত দাবি করেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
তিনটি কেস ষ্টাডিঃ সংখ্যালঘুদের উপর হামলাঃ মিডিয়ার প্রচার বনাম বাস্তবতা
যশোরের বিষয়টি ছিল, পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রার্থি প্রবল ক্ষমতাধর আব্দুল ওহাব বনাম একই দলের এমপি রনজিতের বিরোধ। ওহাব তার প্রতিপক্ষ বিজয়ী রনজিতের সাথে পেরে না ঊঠে হামলা পরিচালনা করে। যেহেতু ওহাব নাম ধারী মুসলমান, বিজয়ী রনজিত হিন্দু, তাই সহজেই এটাকে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বলে চালিয়ে দেয়া গেছে।

Also Click this
আওয়ামী লীগের আবারও হিন্দু নির্যাতন

কিংবা এখানে দেখুনতো ঘটনা কি ....
"আসামী পাশের পূজা কমিটির একজন সদস্য! অর্থাৎ সে একজন হিন্দু!কি কারণে সে এই ঘটনা ঘটাল জিজ্ঞেস করলে সে বলে যে, অপর পাশের পূজা কমিটির সাথে মনমালিন্য হবার কারণে সে ঐ কাণ্ডটা করেছে ... ."


মিডিয়ার জন্য কেষ্টা বেটা জামাত-বিএনপি তো রেডি! হায়রে মিডিয়া, হায়রে জাতি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!



আসুন আমরা এই সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার নিন্দা জানাই। দাবি জানাই দায়ী ব্যক্তি যে দলেরেই হোক প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হোক। শাস্তি দেয়া হোক, বন্ধ হোক এই মিডিয়া সন্ত্রাস। বন্ধ হোক আওয়ামী লীগের ধর্মীয় উস্কানিমূলক ডাবল গেম খেলা!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.