নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশবছরের একজন ক্ষুধার্ত মানুষ তবে সুখি ও বিস্ময়কর! যার অতীত ঘোলাটে, বর্তমান ধূসর আর ভবিষ্যৎ অন্ধকার.....

মো:দেলোয়ার হোসেন

বিশ বছরের একজন ক্ষুধার্ত মানুষ তবে সুখি ও বিস্ময়কর! যার অতীত ঘোলাটে, বর্তমান ধূসর আর ভবিষ্যৎ অন্ধকার.....

মো:দেলোয়ার হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩১শে অক্টোবর রাত/০১লা নভেম্বর (হলোইন)

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৭



(হলোইন)
৩১শে অক্টোবর রাত অথবা ০১লা নভেম্বর

হলোইন আসলে কোন যথাযথ বৈশিষ্ট্য মূলক ছুটির দিন নয়। অন্যান্য ছুটির দিন যেমন যিশুখ্রিস্টের জন্ম দিন এবং Shavout এর মত কোন ঘটনা উৎযাপন মূলক ছুটির দিন নয়। হলোইন এ অনেকগুলি ব্যাপার উৎযাপন করা হয়, যেমন এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত থাকে ঐ সব মানুষদের নিয়ে উৎ্যাপন যারা আর আমাদের মাঝে নেই। হলোইন এর ইতিহাস সম্পূর্নরূপে পরিস্কার নয়।


হলোইন কিভাবে শুরু হলোঃ

অনেক শত বছর আগে কিছু লোক ব্রিটিশ দ্বীপপূঞ্জে বসবাস করত যাদের বলাহত সেল্টস (Celts)। সেল্টসরা বিশ্বাস করত যে অক্টোবরের শেষ দিনে মৃত ব্যক্তিদের আত্মারা পৃথিবীতে বিচরন করতে আসে। তারা মৃত ব্যক্তিদের সম্মানে একটি উৎসব করত, এবং এই উৎসবকে বলাহত সেমহেইন (Samhain)। এই সময় রোমান সম্রাট সেল্টসদের জয় করেন এবং সেল্টসদেও কিছু বিশ্বাস নিজের ভেতর গ্রহণ করেন। এই বিশ্বাসগুলোর মধ্যে সেমহেইন (Samhain) ও ছিল। রোমানরা এটাকে তাদের উৎসবের সাথে সংযুক্ত করে। রোমান সম্রাজ্যের বিস্তৃতির সাথে অক্টোবরের শেষ দিনে মৃত আত্মাদের পৃথিবীতে বিচরনের ধারণাটি দূর দুরান্তে ছরিয়ে পরে। রোমানদের অনেক ধারণা যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোয় এখনো টিকে আছে। এগুলোর মধ্যে হলোইন একটি।


কিন্তু আমরা কিভাবে হলোইন নামটা পেলাম?

অষ্টম শতাব্দিতে ক্যাথলিক চার্চ ঘোষনা করল ১লা নভেম্বর হচ্ছে সমগ্র সাধু দিবস (All Saints Day)। তখন চার্চ দিনপঞ্জিতে ইতিমধ্যে অনেকগুলো সম্মানিত সাধু দিবস ছিল। ১লা নভেম্বর সমগ্র সাধু দিবস হিসেবে আসন করে নেয় যা আগে ছিলনা। ১লা নভেম্বরকে পালন করা হয় সমগ্র সাধুদের সম্মানে। ক্যাথলিক চার্চ ১লা নভেম্বরকে (Allhallowmas) নামে উৎযাপন করত। এটার মানে হলো (Mass of all the hallowed [saintly people]) এটাকে সবাই All Hallows Day বলে ডাকত। কোথাও বলাহতো সর্ব সাধু দিবস আসার আগের সন্ধ্যা (evening before all hallows day) পরবর্তীতে এটা সংক্ষেপে Halloween নামে বলতে থাকে।


কেন লোকজন ভূত, প্রেত, দানব বা অন্যান্য ভূতুরে পোশাক পরে?

অনেক বছর আগে লোকজন যখন হলোইন ব্যাবসা চালুকরে তখন তারা বিশ্বাস করত যে এই সব পোশাকে তারা আত্মাদের অবিভূত করবে এবং তারা যদি মৃত আত্মার সাথে দুঃখিত হয় এবং তাদের জন্য খাবার নিয়ে শহর প্রদক্ষিন করে তাহলে আত্মারা সেগুলো খাবে এবং তাদের গ্রামে আকস্মিক হামলা থেকে বিরত থাকবে।

জেক ও লন্ঠন এর কাহিনীঃ

জেক ছিল একজন খারাপ লোক। সে তার সমস্ত টাকা তার নিজের কাছে রেখেছিল। সে তার সারা জীবনেও কোন মানুষকে সাহায্য করেনি। জেক এর মৃত্যুর পর সে স¦র্গে যাওয়ার অনুমতি পেলনা, কারণ সে ছিল কৃপন। তখন জেক শয়তানের সাথে একটা চালাকি করল এবং তাকে নরকে নিতে পারলনা। তার পর থেকে জেক শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত লন্ঠন হাতে পৃথিবীতে ঘুরে বেরাবে। এই গল্পটি ১৮০০খ্রিঃ দিকে আইরিস জনগনের মাধ্যমে আমেরিকায় চলে আসে। জনগন কৃপন জেক ও লন্ঠন এর চেহারা বোঝাতে তারা সালগমকে বাঁকা করে কাটত। জেক ও লন্ঠন এর চেহারা এবং পতন বেঝাতে বাঁকা করে কাটার জন্য কুমরা সবচেয়ে সহজ।

তথ্যসূত্রঃ ব্লগ এবং উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শেয়ারটি আমাদের কিছু জানাচ্ছে অবশ্যই।।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: জানলাম

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ভাল লাগল জেনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.