নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইল্লু

ইল্লু › বিস্তারিত পোস্টঃ

Paulo Coelho এর adultery (পরকীয়া)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৯

(১৬)
সময় খুব একটা বদলায়নি,জেকবের কথা ভেবে ষোল বছরের যে মেয়েটা,দিনে বেশ কবার হস্তমৈথুনে ব্যাস্ত থাকতো,সেই মেয়েটাই জেকবের মাথাটা বুকে জড়িয়ে বলছিল, ‘দুধের বোঁটার কামড়ে তছনছ করে দাও,ইচ্ছামত।

আমার শরীরে কিছুই ছিল না-আর জেকব তখনও পোষাক গায়ে।ওর মাথাটা বুক থেকে আরও নীচের দিকে ঠেলে বললাম, ‘মুখটা যোনীদ্বারে নিয়ে যাও’।কথাটা মেনে নিল না জেকব,কাপড় খুলে উঠে গেল আমার উপরে।হাতটা বিছানার পাশের টেবিলে কিছু একটা খুঁজছিল,ভারসাম্য হারিয়ে দুজনেই মাঠিতে পড়ে গেলাম,এ খেলায় আমরা দুজনেই নতুন তাই লজ্জা না পেয়ে হেসে উঠলাম দুজনেই।

জেকবের হাতে একটা কনডম,দরকারটা ঠিক বুঝতে পারিনি,এমন তো না আমি যেখানে সেখানে যার তার সাথে শুয়ে বেড়াচ্ছি।এই প্রথম বারের মত কনডম ব্যাবহার করছি,
কনডমটা খুলে জেকবকে পরানোর পর তার আদেশ ছিল চারপায়ে জন্তর মত দাঁড়ানোর জন্যে।জানি না,কি করতে চাচ্ছে জেকব!তবুও আমি খুশী।

অবাক হলাম দেখে যোনীদ্বারে সঙ্গম না করে জেকব আরম্ভ করলো পেছন দিয়ে,ভঁয় লাগছিল বেশ।জিজ্ঞাসা করলাম এটা কি করছে সে,উত্তর দিল না জেকব,বিছানার পাশের টেবিল থেকে কিছু একটা নিয়ে আমার পেছনে লাগিয়ে দিল।আমাকে বললো হস্তমৈথুন করতে আর লিঙ্গটা ধীরে ধীরে আমার পেছনে ঢোকানো আরম্ভ করলো।

জেকবের কথামত সব কিছুই করছিলাম,আমি যেন একটা কিশোরী যার কাছে যৌনতা
একটা নিষিব্ধ এলাকা।প্রচন্ড ব্যাথা।প্রচন্ড ব্যাথায় আমি কাতর।আমার হস্তমৈথুন করার শক্তিটাও ছিল না,চাদরটা টেনে ঠোঁট কামড়ে ব্যাথাটা ভোলার চেষ্টা করছিলাম।

‘ব্যাথা লাগছে,মনে হয় এ ভাবে কোনদিন করনি,চীৎকার করতে পার’,জেকব বললো।
যদিও সেটা আমার প্রথম না,এর আগেও আমি দু তিনবার পেছন দিয়ে সঙ্গম করেছি,তবে একেবারেই অপচ্ছন্দের আমার।

জেকবের চলাচলের তীব্রতা বেশ বেড়ে গেছে তখন,আনন্দে চীৎকার করছিল সে আর আমি যন্ত্রনায়।একটা জন্তর মত ও আমার চুলটা টেনে ধরলো,একটা ঘোড়া যেন,আর ওর দ্রুততা বাড়ছিল আরও।এক সময় লিঙ্গটা বের করে,কনডম ছিঁড়ে আমার মুখে বীর্যপাত করলো জেকব।তারপর এক সময় আমাকে জড়িয়ে শুয়ে পড়লো,ভয় পেলেও বেশ অবাক হয়ে গেছি আমি।বাথরুমের জঞ্জালে কনডমটা ফেলে দিল জেকব।

একটা সিগারেট ধরালো জেকব,আমার পেটে রাখা ভদকার খালি গেলাসটা হলো এশট্রে।কথা না বলে দুজনেই তাকিয়ে ছিলাম হোটেল রুমের ছাদে,লজ্জায়,না অনুশোচনায়,জানা নেই আমার।তখনও আমাকে এলেমেলো আদর করে যাচ্ছিল জেকব,ক্ষন কয়েকের আগের সেই অজানা মানুষটা না শান্তশিষ্ট নতুন এক চেহারা,অনেকটা যেন কৈশোরের সেই ছেলেটা অবাক হয়ে যার কাছে শুনতাম সৌরজগত আর জোতিষবিদ্যার কথা।

‘ঘরটায় কোন গন্ধ যেন না থাকে’,জেকবের কথা আমাকে নিয়ে গেল বাস্তবতার নিষ্টুরতায়,
বোঝাই যাচ্ছিল এটা জেকবের প্রথম খেলাঘর না।বিছানার পাশের কনডম সব কিছুর প্রস্ততি কেন জানি জানান দিচ্ছিল জেকবের অভিজ্ঞতার কথা।একটা ঘৃনায় ভঁরে ছিল মনটা,তবু হাসি মুখেই জেকবকে জিজ্ঞাসা করলাম,মনের আত্মগ্লানির গন্ধ দূর করার কোন পদ্ধতি তার জানা আছে নাকি।

কথাটা এড়িয়ে আরেকটা উপদেশ দিল জেকব,স্বামীকে জড়িয়ে ধরার আগে কোনভাবেই যেন গোসল করতে না ভুলি,আর প্যান্টি,আন্ডারওয়ারগুলো ফেলে দেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

‘বাড়ীতে ফিরে বলবে,তাড়াতাড়ি বাথরুমে যেতে হবে’।নিজেকে ঘেন্না করতে ইচ্ছা হচ্ছিল,ইচ্ছা ছিল বাঘিনী হওয়ার,শেষ পর্যন্ত হলাম ঘোড়া।এটাই সত্যি,কৈশোরের স্বপ্নগুলো মানায় কৈশোরে,অসময়ে কৈশোর খোঁজার চেষ্টা করে,নতুন এক দুঃস্বপ্নের রাজ্যে আঁটকে যাই আমরা,ফিরে যেতে পারি না আর স্বপ্ন শান্তির আকাশে।
জেকব যা যা বলছে তাই করবো।
‘তোমার সাথে আবার দেখা করতে চাই’।
ঐ কটা কথা ক্ষন কয়েকের আগের নরকের যন্ত্রনা থেকে সরিয়ে নিয়ে গেল আমাকে,চরম ভুল ছেড়ে মধূর একটা পর্ব যেন।
আমিও তোমার সাথে দেখা করতে চাই,এটা প্রথমবার হয়তো তাই লজ্জা,ভঁয়ে অস্থির হয়ে ছিলাম,তবে এর পরের বার আনন্দে যোগ দিতে আমার কোন দ্বিধা হবে না।
‘সত্যি কথা বলতে কি এ ধরণের আনন্দ অনেকদিন কপালে জোটেনি আমার’।
হ্যা,সত্যিই আনন্দদায়ক ছিল,এখন আমিও সেটা বুঝতে পারছি।জানি এই সম্পর্ক একসময় তাসের বাড়ীর মত একসময় ভেঙ্গে যাবে।
কথা না বাড়িয়ে জেকবের সিগারেট খাওয়াটা দেখছিলাম,কাপড়চোপড় পরে জেকবের আগেই বের হয়ে গেলাম।ঢোকার দরজা দিয়েই বের হয়ে যাব,একই গাড়ী নিয়ে আবার একই বাড়ীতে ফিরে যাব।বাড়ীতে গিয়ে পেট খারাপের অজুহাত দিয়ে বাথরুমে ছুটে গিয়ে,জেকবের যা কিছু আছে আমার সাথে সেটা ধুয়ে ফেলবো,হয়তো ধুয়ে ফেলবো আমার আত্মস্মমান বোধটাও।স্বামী আর ছেলেমেয়েদের চুমু খেয়ে পুরোনো হবো,নতুন ভাবে।

হোটেলের ঘরে আমাদের দুজনের মানসিকতা ছিল না একই আঙ্গিনায়।আমি খুঁজছিলাম কিশোরীর হারানো ভালবাসার স্বপ্নরাজ্য,আর জেকব খুঁজছিল কামনার নতুন শিকার।আমি খুজছিলাম কৈশোরের ছেলেটাকে,জেকব খুঁজছিল বয়স্কা সুন্দরী রির্পোটারকে যে ইলেকশনের আগে তার সাক্ষাৎকারে ব্যাস্ত ছিল।

আমি জীবনের মোড়টা ঘোরানোর চেষ্টা করছিলাম,আর জেকবের চেষ্টা ছিল সন্ধ্যার উত্তেজনায় নীরস রাজনীতির জগতটাকে কিছু সময়ের জন্যে ভুলে যেতে।তার জন্যে এটা ছিল বিপদজনক সহজ একটা অবকাশ।আমার জন্যে ক্ষমাহীন,নিষ্ঠুর স্বার্থ মেশানো নারসিসম।
পুরুষদের রক্তে মেশানো পরকীয়া সম্পর্ক,আর মেয়েরা নিজেকে খুঁজতে গিয়ে শুধু শরীর না তার সাথে তুলে দেয় মনটাও,হারায় নিজেকে।একটা চুরি।কোন প্রমান ছাড়া আদর্শ খুন।এটা একটা ব্যাঙ্ক ডাকাতির চেয়েও বড় অপরাধ,কেন না জানাজানি হলে(আর জানাজানি হয়ই),চারপাশটা হয়ে যায় অবিশ্বাস্য যন্ত্রনার এক পৃথিবী।পুরুষদের জন্যে,এটা ‘একটা অবুঝ বোকামী,পা ফসকানো’।মেয়েদের জন্যে একটা আত্মার যন্ত্রনা,চারপাশের পৃথিবীতে যে ছিল মা,বৌ এর এক আর্দশ চেহারা।

স্বামীর পাশে শুয়ে ভাবছিলাম,জেকবও শুয়ে আছে মারিয়ানের পাশে,তার মন জুড়ে আছে আরও অনেক চিন্তা,রাজনীতিবিদদের সাথে আলোচনা সভা,কাজের লিষ্ট,এটা ওটা অনেক কিছুই।আর আমি বোকা মেয়েটা,ছাদের দিকে তাকিয়ে দিনের পুরোনো সময়টায় জাবর
কাটছি,আমি যেন একটা ব্লু ফিল্ম দেখছি যার প্রধান চরিত্র,আমি।

জানালার বাইরে তাকিয়ে ভাবছিলাম,এমনও হতে পারে বাইনোকুলার দিয়ে হোটেলের পর্দা সরানো জানালায় কেউ উঁকি মেরে দেখেছে,ঐ হস্তমৈথুন আর পেছন দিক দিয়ে সঙ্গমের দৃশ্যটা।কথাটা ভেবেই আমার সারা শরীর উত্তেজনায় ভিজে গেছে তখন!নতুন এক অস্বাভাবিক উত্তেজনা,যা সম্পূর্নই অজানা ছিল আমার।আমি যেন নতুন

তিরিশ ছাড়িয়ে চল্লিশের কাছাকাছি আমি,অবাক চোখের কোন কিশোরী না,ভাবতাম আবিষ্কার করার নতুন তেমন কিছুই নাই হয়তো,তবে সেটা ভুল শরীর খেলার অনেক জানাই আমার অজানা।আমি নিজের কাছেই একটা রহস্য;জোয়ারের নতুন একটা দরজা খুলে গেছে আমার জীবনে,নতুন কিছু জানতে কোন দ্বিধা নাই আর,জানি আছে sadism,group sex আরও অনেক কিছু।বলতে পারিনি,আর জড়াতে চাইনা,ভালবাসি না আমি জেকবকে,তবে এই আনন্দ পর্ব আমার একাকীত্বের যন্ত্রনার ফসল।

ওটা ভালবাসা না,তবু ভালবাসি আমি,আমার এই নতুনকে।জেকবের কাছে কোন সম্মান ছিল না আমার,আত্মসম্মান বলতে যা ছিল সেটাও কেঁড়ে নিয়ে আমাকে একেবারে ন্যাংটা করে দিয়ে গেছে,সে।একটুকুও বিচলিত না হয়ে সে তার আনন্দ পূরণ করে গেছে,আর আমি সেই পুরোনো সুরে অন্যকে খুশী করার জন্যে উদগ্রীব হয়ে ছিলাম।

আমার মনটাকে নিয়ে যেতে চাই নতুন আরেক জায়গায়,সেখানে আমিই প্রধান চরিত্র।জেকব উলঙ্গ,আর আমি তাকে আদেশ করছি কি করবে,করবে না বলে দিয়ে।তার হাত পা বেঁধে দিলাম,আমার যোনী নিয়ে গেলাম তার মুখে,আদেশ করলাম তাকে যোনীতে বারবার চুমু দিতে,আমি ভেসে যাচ্ছিলাম আনন্দের চরমে।তারপর আমি জেকবকে উপুড় করে তার পেছন দিকে আঙ্গুল ঢোকানো আরম্ভ করলাম,প্রথমে একটা,তারপর দুটা,তারপর তিনটা।ব্যাথায় কাতর হয়ে ছিল জেকব,আনন্দে চীৎকারও করছিল,আমার খোলা হাতটা ব্যাস্ত ছিল তার হস্তমৈথুনে।জেকবের গরম বীর্য বের হওয়ার আগে লিঙ্গটা মুখে নিলাম আমি।আরও আনন্দ খুঁজছিল জেকব,তবে ওখানে তো আমিই কত্রী।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে আবার হস্তমৈথুন করলাম।

প্রতিদিনের মত আজকের সকালেও কোন বদল ছিল নাঃস্বামী খবর দেখছিল তার টেবলেটে,ছেলেমেয়েরা প্রস্তত হয়ে ছিল স্কুলে যাওয়ার জন্যে;জানালা দিয়ে সূর্যের আলো চুমু দিয়ে পৃথিবীকে নতুন করায় ব্যাস্ত তখন,যদিও আমি ভঁয়ে কাতর,তবে তার খুব একটা প্রকাশ ছিল না চোখেমুখে।
‘তোমাকে আজ বেশ খুশী খুশী লাগছে’।
(আমাকে খুশী খুশী লাগছে,আমি তো বেশ খুশীই আজকে,কিন্ত খুশী হওয়ার মত তেমন কিইবা ছিল।আমার গতকালের অভিজ্ঞতা তো দুঃখজনকই বলা যায়।স্বামীর মন্তব্যে কি কোন গোপন ইঙ্গিত ছিল?মনে হয় না।আমার স্বামী তো আমি যা বলি সেটাই বিশ্বাস করে।এটা না যে সে একজন বোকা মানুষ,বরং আমার প্রতি প্রচন্ড বিশ্বাস তার।ওটা আমাকে আরও যন্ত্রনা দিচ্ছে,আমি যে বিশ্বাসযোগ্য না।

না ওটা বললে ভুল হবে।কেননা ঐ হোটেলে আমাকে অনেকটা ঠকিয়ে নিয়ে যাওয়া।এটা কি একটা ভাল অজুহাত?না।কেন না ওটা তো সত্যি কথা না,আমাকে তো কেউ জোর করেনি হোটেলে যাওয়ার জন্যে।খুব সহজেই আমি বলতে পারি,একাকীত্ব আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল,
আমাকে কেউ বোঝার চেষ্টা করে নি।আমি নিজেকে বলতে পারি,কারও না কারও আমাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল,যন্ত্রনাটা কোথায়?

তবে এটাই সত্যি আর সহজ একটা ব্যাখা,আমি অন্য একজন পুরুষের সাথে যৌন খেলায় মত্ত ছিলাম,কেননা ওটাই আমার চাওয়া ছিল।ওর মধ্যে মানসিক কোন আতলেমি নাই,আমার যৌনসঙ্গম দরকার ছিল,ওখানেই গল্প শেষ।

এটা তো জানাই অনেকেই বিয়ে করে,শুধু টাকাপয়সা,সম্মান-না হয় জীবনে স্থিতিশীলতার জন্যে,ঐ লিষ্টের মধ্যে ভালবাসাটা থাকে একেবারেই শেষের দিকে।আমি তো ভালবেসেই বিয়ে করলাম।তবে এটা কেন ঘটলো আমার জীবনে?আমার নিজেকে একা মনে হচ্ছিল,কিন্ত কেন?)
‘তোমাকে খুশী দেখে খুবই ভাল লাগছে’,আমার স্বামী আবার বললো।
আমি আবার বললাম,খুশী,আমি সত্যিই খুশী।শরতের স্নিগ্ধ একটা সকাল, বেশ সাজানো ছিমছাম ঘরে,বসে আছি মানুষটার সাথে যাকে ভালবাসি,আমি।

আমার স্বামী একটা চুমু দিল আমাকে।ছেলেমেয়েরা আমাদের কথাবার্তা না বুঝে মুচকি হাসছিল।
‘আমিও বসে আছি সেই মেয়েটার সাথে ভালবাসি যাকে।তবে হঠাৎ এ সব কথাবার্তা কেন’?
কেন বলতে অসুবিধা হচ্ছে?
‘এখন তো সকাল,রাতে বলো যখন বিছানায়’।
(এই আমি এটা কে?এ সব কথাবার্তা কেন বলছি,আমি?যাতে আমার স্বামী কোন সন্দেহ না করে?কেন আমার স্বামী অন্যান্য দিনের মত ব্যাবহার করলো না,আমি যেন সুখী সংসারের সবকিছু নিঃশব্দে সেরে যাচ্ছি?এই ভালবাসা,স্নেহ দেখানোর খেলা কেন?আমি যদি বেশী ভালবাসা,স্নেহ দেখাই-সেটা সন্দেহটাই বাড়াবে অযথা।)
‘তোমাকে ছাড়া আমার বাঁচা সম্ভব না’,স্বামী টেবিলে ফিরে বললো।
সব কিছু অদ্ভুত মনে হচ্ছিল আমার কাছে,আরও অবাক হচ্ছিলাম গতকালের ঘটনায় কোন অপরাধবোধ ছিল না আমার।
কাজে সম্পাদক বেশ প্রশংসা করলো,আমার লেখাটা নিয়ে লোকজনের মধ্যে বেশ একটা নাড়াচাড়া পড়ে গেছে।‘অনেক ই-মেইল জমা হয়ে আছে,ঐ কিউবান ওঝার আলাপ আলোচনা নিয়ে।লোকটা যদি তার ঠিকানা দেয়,তবে তার কয়েক বছর ব্যাস্ত থাকার বন্দোবস্ত হয়ে যাবে’।
কিউবান ওঝা!
লোকটা খবরের কাগজ দেখলে বেশ অবাকই হয়ে যাবে,লেখার অনেকটাই তো তার কথা না।ওঝাদের সমন্ধে নানান আলোচনা থেকে সংগ্রহ করে আমার লেখা।আমার যন্ত্রনা শুধু বিবাহিত জীবনে না,ছড়ানো আমার কাজেও।সম্পাদককে বুঝিয়ে বললাম,কিউবান ওঝার পরিষ্কার বলে দেয়া ছিল,কোন ভাবে তার নাম ঠিকানা প্রকাশ হলে,সে আমাকে ছেড়ে কথা বলবে না।সম্পাদক বললো,ওগুলো শুধু কথার কথা, ‘আমার বৌ বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছে,অন্তঃত তার জন্যে যদি ঠিকানাটা দাও,তা হলে খুব উপকার হয়’।

সবাই মানসিক অস্থিরতায় ভুগছে,এমন কি ওঝারাও।আমি কোন কিছু বলতে পারবো না এখন,ওঝার সাথে কথা বলে দেখি।
সম্পাদক অনুরোধ করলো,সাথে সাথে call করে দেখতে।আমি কল করলাম কিউবান ওঝাকে আর তার উত্তরে বেশ অবাকই হলাম।আমাকে অনেক ধন্যবাদ জানালো তার সমন্ধে বিস্তারিত কিছু না লেখার জন্যে,এটাও বললো বিষয়টায় আমার জ্ঞান দেখে সে বেশ কিছুটা অবাকও।আমি তাকে পাঠকদের প্রতিক্রিয়ার কথা জানালাম,আর আরেক বার যদি তার সাথে দেখা করা সম্ভব হয়।
‘আমরা তো প্রায় ঘন্টা দুয়েক কথা বললাম।আর তোমার কাছে যা বিষয়বস্ত আছে সেটা নিঃসন্দেহে যথেষ্ট’!
তবে জার্নালিজম ওভাবে কাজ করে না,তাকে বুঝিয়ে বললাম।কাগজে যা কিছু লেখা,তার বেশীর ভাগ আমার গবেষনা,এখন এ বিষয়বস্ত আমাকে সম্পূর্ন অন্য দৃষ্টিতে উপস্থাপনা করতে হবে।
সম্পাদক পাশে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনলো।ওঝা ফোন রেখে দেয়ার পর,আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম,লেখার জন্যে ওঝার সাথে আমার দেখা করা খুবই দরকার।
ওঝাকে বললাম, ‘আধ্যাকিতার কথা যখন আসে’,মেয়েদের অবস্থান নিয়ে তার মতামত,আমার জানা দরকার আর তা ছাড়া আমার সম্পাদকের বৌও তার সাথে দেখা করতে চায়।একটু হাসলো,কিউবান ওঝা।আমি বুঝিয়ে বললাম,দেয়া প্রতিশুত্রি আমি কোন দিনই ভাঙ্গবো না,তবে অনেকেই জানে সে কোথায় থাকে,আর কোথায় সে কাজ করে।

‘তবে যদি এ ব্যাপারে কোন আলাপ আলোচনা না করতে চাও,তা হলে আমাকে অন্য কাউকে খুঁজে বের করতে হবে।এ ধরনের লোকের খুব একটা অভাব নাই যারা মানসিক যন্ত্রনার মানুষদের চিকিৎসা করে।হতে পারে তোমার পদ্ধতিটা ভিন্ন,তবে তুমিই আধ্যাতিক ভাবে মানসিক চিকিৎসার একমাত্র ওঝা না।অনেকেই বিশেষ করে আফ্রিকান ওঝারা সকাল থেকে যোগাযোগ করে যাচ্ছে যাতে ওদের সমন্ধে কিছু আলাপ আলোচনা করা হয়,আর ওদের আর্থিক লাভও হবে তাতে নিঃসন্দেহে,তা ছাড়া এ দেশে অবৈধ ভাবে আছে তারা,যদি কিছু এ সুবাদে কিছু রাজনীতিবিদদের সাথে আলাপ হয় তাতেও সুবিধা হবে অনেক’।

প্রথম দিকে তেমন একটা উৎসাহ না দেখালেও সব কিছু শোনার পর কিউবান ওঝা ঠিকই রাজী হলো।ভেইরিয়ার নামে শহরের একপাশের ছোট্ট এক এলাকায় কিউবান ওঝার বাড়ি,
ওর বাড়ীতেই দেখার আয়োজন করা হলো।আমারও জানার ইচ্ছা ছিল ওর জীবন যাত্রার পদ্ধতি-সেই অভিজ্ঞতায় লেখাটায় নতুন জীবন আসবে একটা।


০০০০০০০০০

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: এটা কি অনুবাদ?!

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৫

ইল্লু বলেছেন: অনুবাদ-তবে আক্ষরিক না

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২০

বিটপি বলেছেন: ক্লাস নাইনে থাকতে রসময় গুপ্ত পড়েছিলাম। এটা মনে হচ্ছিল সেরকম কিছু একটা, কিন্তু কোন গালাগালি নেই। চটিতে যৌনতার সাথে গালাগালি থাকত।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৬

ইল্লু বলেছেন: হতেই পারে-দেখার চোখ,দেখার মন সাজানো একেক ভাবে একেক সুরে,ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.