নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Habib Imran, B.A. & M.A. (Philosophy), University of Chittagong. Current City : Riyadh, Kingdom Of Saudi Arabia. Email: [email protected]

হাবিব ইমরান

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলোকে আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি। তারা ধ্বংস হোক।

হাবিব ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ইতিকথা, এবং একটি সোনার হরিণের হাতছানি

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০



জানুয়ারির ১ তারিখ।
চারিদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। বেশ শীতল। পাশাপাশি অসাধারণ। আবার ভয়ানক ৷যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্লাস। ভয়, আবেগ সবমিলিয়ে একটা অন্যরকম অবস্থা ৷
চোখে মুখে আনন্দের পাশাপাশি যথেষ্ট ভয়, সংকোচ আর চারদিকে সতর্ক দৃষ্টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার অবস্থা কি ধরনের? শিক্ষকরা কেমন? পাশাপাশি স্টুডেন্টরাও বা কেমন? - এসব ভাবতে ছেলেটি ক্লাসের সামনে পৌঁছে গেল। দরজার সামনে দাঁড়াতেই ভিতর থেকে স্যারের কর্কশ ধ্বনি এবং বিরক্তিকর দৃষ্টি।
: আসবো স্যার ?
: এসো, আমি না বললে কি তুমি আসতেনা?
প্রথম ক্লাসে তোমার ১৫ মি. লেট, কি করবে জীবনে? এখন পর্যন্ত ডিসিপ্লিন শিখতে পারলেনা।
: সরি স্যার, আর দেরি হবেনা।
: ঠিক আছে, এসো, প্রথম প্রথম সবাই এরকম বলে ৷কিন্তু কিছুদিন পর খুঁজে পেতেও কষ্ট হয়ে যায় ৷

ছেলেটি প্রথম দিনের ধাক্কায় যথেষ্ট মর্মাহত হলো ৷ কারণ, সে জানত বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশুনা নেই বললেই চলে। সারাদিন আড্ডা, গান, ঘুরাঘুরি এসব করেই কেটে যায়। মাঝেমধ্যে অনেকে নাকি আবার গাঁজা সিগারেটও খায়। আবার কেউ কেউ নাকি প্রেমও করে। এসব ভেবে সে আরো হতাশ হলো। যেরকম জানতাম সেটা ঠিক নাকি আজকেরটা!

ছোটবেলা থেকে সে দেখলো,
প্লে নার্সারীতে বইয়ের ভারে শিশুদের আর খুঁজে পাওয়া যেতনা। তারপর সেই বোঝা কিছুটা হালকা হত প্রাথমিকে গিয়ে। তারপর হাই স্কুলে গিয়ে আরো অনেকটা হালকা হয়ে যেত। কলেজে যাওয়ার পর তো বই ই থাকতো না, শুধুমাত্র একটা খাতা প্যান্টের পেছনের পকেটে পুরে আসা যাওয়া করলেই হয়ে যেত। তার খাতা দেখলেই সবাই বুঝে নিত সে কলেজে পড়ছে ৷
বিশ্ববিদ্যালয়কে অতীতের সিরিয়ালে নিলে এখানে পড়াশোনা একেবারেই নাই হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু ব্যাপারটা ঘটলো ঠিক উল্টো।

কিছুটা মন খারাপ করে সেদিনের বাকি ক্লাস সেরে বাসায় চলে আসলো।
তারপরদিন একটু আগেই ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো, যাতে করে স্যারের আবার বকা শুনতে না হয়।
দ্বিতীয় দিন ক্লাসে ঢুকে এবার তার অজ্ঞান হবার উপক্রম।
গিয়ে দেখলো পেছনের সব বেঞ্চ আগেই ফিলাপ হয়ে গেছে। শুধু সামনের বেঞ্চগুলোই খালি। বেচারা হতাশ হলো, শেষ পর্যন্ত বসে বসে ভাবতে লাগলো স্কুল, কলেজ লাইফে কখনো সামনে বসার ইচ্ছেও করতাম না। ইচ্ছে করলেও মেধাবীদের জন্য আর জায়গা পাওয়া যেতনা ৷আর এখন বাধ্য। না জানি কখন আবার আগে স্যারের কথা শুনতে হয়।
ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার মনে পড়লো,
এক গুরুজন বলেছিলেন,
জীবনে একমাত্র পেছনের বেঞ্চের ছেলেরা উন্নতি করতে পারে। আর সব বুংবাং।
সামনের বেঞ্চের পোলাপান একেবারে খালি কলসির মতো ঝনঝন করে, কাজের বেলায় ফাও। মন খারাপ করে সামনে বসে সেদিনের মতো কেটে পড়লো ৷

সে আরো ভাবলো এজন্য মনে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে পেছনের বেঞ্চ ফিলাপ হয় তারপর সামনের বেঞ্চ। যে যত ভালো স্টুডেন্ট সে তত পেছনে বসে। ৹৹৹৹
আর এভাবেই চলতে থাকল তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন।
শেষ পর্যন্ত এভাবেই চললেই বোধহয় ভালো হতো! কিন্তু কিছুদিন পরের ঝড় তুফানের কথা মোটেই ভাবতে পারলো না, - ক্লাস টেষ্ট, এ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশান এগুলোর কবলে পড়ে সে একজন দার্শনিকে পরিণত হয়ে গেল। জীবন আর জীবনের জায়গায় রইলো না । সবই শেষ । ....

আর এভাবেই তৈরি হয়ে থাকে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। সবাই না, যারা মেনে চলে তারা ৷
কঠোর পরিশ্রম আর শিক্ষকদের চাপের মুখে দেশের জন্য তৈরি হওয়াও বেশ ভালো লাগার মতো।
ঝড়, বৃষ্টি, হাসি, আনন্দ বিসর্জন দিয়ে জীবনের জন্য তৈরি হতে পারে কয়জন?

শুভ কামনা সবার প্রতি!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

শুভ্র বিকেল বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন, শুভ কামনা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫২

হাবিব ইমরান বলেছেন: ভালোবাসা রইলো।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

সনেট কবি বলেছেন: ভাল বলেছেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

হাবিব ইমরান বলেছেন: সালাম নিবেন!
দোয়া চাই।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: শিশুদের জগতকে স্পর্শ করার জন্য সবচে আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে একটি শিশুসুলভ সুন্দর মন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো বলেছেন।
পাশাপাশি ভালো খারাপ বিষয়গুলো স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়া উচিৎ।
তবে আন্তরিকতার সাথে। শিশুসুলভ মন নিয়ে। তাহলে তারা আর কখনো খারাপ বিষয়ের দিকে যেতে আগ্রহী হবেনা।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮

তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: আর এভাবেই তৈরি হয়ে থাকে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। সবাই না, যারা মেনে চলে তারা এই কথাটুকুর সাথে সহমত পোষণ করছি না ভাই :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভিন্নমত থাকবেই। কিন্তু চেষ্টা করলে অবশ্যই কোথাও না কোথাও হবে।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আরাম দিয়ে বড় কিছু হওয়া যায় না। কষ্ট করতেই হবে...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫১

হাবিব ইমরান বলেছেন: বাস্তব সত্য। কিন্তু মানুষ শর্টকার্ট খোঁজে। শর্টকার্ট ভালোবাসে।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো বলেছেন।
পাশাপাশি ভালো খারাপ বিষয়গুলো স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়া উচিৎ।
তবে আন্তরিকতার সাথে। শিশুসুলভ মন নিয়ে। তাহলে তারা আর কখনো খারাপ বিষয়ের দিকে যেতে আগ্রহী হবেনা।

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক অনেক ভালোবাসা নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.