![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেধা হলো একজন মানুষের মধ্যকার সুপ্ত এবং প্রকাশিত প্রতিভা; যা তার যোগ্যতা ও ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। আর এইগুলো ব্যবহার করে সে তার নিজের এবং অপরের কল্যাণ সাধন করতে পারে। আর এর জন্য চাই সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা।
মেধা বিকাশের পিছনে যে সকল বিষয়গুলো লক্ষ্য করা যায় তার মধ্যে পৃষ্ঠপোষকতা অন্যতম। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পরিচালিত হয়; একজন আদর্শ পৃষ্ঠপোষকের হাত দিয়ে। যে কিনা একজন মানুষের মধ্যকার ঘুমিয়ে থাকা মনুষত্যকে জাগিয়ে তোলে, তার নিস্তেজ যোগ্যতাকে কর্মক্ষম ও কর্মঠ আলোতে ফিরিয়ে এনে প্রদান করে সুবর্ণ সুযোগ। আর এই গুরুত্বপূর্ণ ও মহৎ পৃষ্ঠপোষকের চরিত্রটির দ্বায়িত্ব পালন করতে পারে যে কেউই। হতে পারে সে মা, হতে পারে বাবা, হতে পারে ভাই-বোন কিংবা কোন শুভাকাঙ্খি। যাইহোক, আজ আমরা দেখবো সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা কিভাবে মেধা বিকাশের প্রধান
যদি শৈশবকাল থেকেই কোন শিশুকে নেতিবাচক কথা শুনানো হয়, যদি তাকে সব সময় অন্যের সাথে তুলনা করা হয়। কিংবা তার সাথে নেতিবাচক আচরণ করা হয়, তাহলে তার মেধার সঠিকভাবে বিকাশ হবে না। কারণ যখন তাকে সব সময় নেতিবাচক কথা বলা হচ্ছে, অন্যদের সাথে তুলনা করা হচ্ছে তখন তার নিজের সম্পর্কেও নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়ে যায়। ফলে সে যা পারে, তার যে ক্ষমতা আছে, সেই আত্মবিশ্বাস সে হারিয়ে ফেলে। একটা সময় এসে তার মধ্যে হতাশা, হীনম্মন্যতা, নেতিবাচকতা সৃষ্টি হয়। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যায়, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। যার জন্যে সে মানসিক সমস্যায়ও আক্রান্ত হতে পারে। অনেকে আবার এ হীনম্মন্যতা, হতাশা থেকে মুক্তির জন্য মাদকে আসক্ত পর্যন্ত হয়। তাই এই সময় সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা খুবই জরুরী।
শিশুকে যদি তার নিজের কাজ করতে না শেখানো হয়, তাহলে সে তার মেধার সঠিক বিকাশ করতে পারে না। একটি পাচঁ বছরের মেয়ের হাত থেকে চিরুণী পড়ে গেছে। মা তাকে তা তুলে দিচ্ছেন। যখন ওনাকে বলা হলো, ও তুলে নিক। তিনি বলেন, না ও পারবে না। এর ফলে কাজ করার যে মেধা তার মধ্যে আছে তা ঠিকমতো বিকশিত হতে পারে না। তার মধ্যে নির্ভরশীলতা তৈরি হয়ে যায়। আবার পরবর্তীতে যদি কাজ করার সুযোগ সৃষ্টিও হয় সে করতে চায় না বা করার চেষ্টা তার মধ্যে থাকে না।
আমরা মহিয়সী নারী হেলেন কেলারের কথা জানি। শিশুকালে তিনি তার দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি হারিয়ে ছিলেন। কিন্তু তার বাবা-মায়ের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতায়, আন্তরিক চেষ্টাতে তিনি সন্ধান পেলেন অন্ধদের লেখাপড়া শেখানো হয় এমন এক স্কুলের। আজ হয়তো এমন স্কুলের সংখ্যা একেবারে কম নয়। কিন্তু তার সময়কালে তা এতো সহজ বিষয় ছিলো না। মা-বাবার এই সমর্থন কিংবা পৃষ্ঠপোষকতার ফলেই হেলেন কেলার পড়ালেখার জগতে প্রবেশ করতে পারেন এবং বিকশিত করেন তার মেধা।
আজ সমাজে নারী শিক্ষার হার দিন দিন বাড়ছে, যদিও এগুলো পর্য্প্ত নয়। তাই নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধির ও তাঁদের মেধা বিকাশের জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতা। পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা পেলে মেধার বিকাশ হতে পারে তার উদাহরণ হিসেবে আমরা বেগম রোকেয়ার কথা বলতে পারি। তার সময়ে মেয়েদের পড়াশোনার কোন সুযোগ ছিলো না অথচ তিনি তার ভাইয়ের সহযোগিতায় ইংরেজি পড়তে শেখেন। পরবর্তীতে স্বামীর অনুপ্রেরণায় ও সহযোগিতায় তার পড়াশোনা চালিয়ে যান। তিনি নিজের পরিচয় সৃষ্টি করেন। বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজ করেন। নারী শিক্ষায় অবদান রাখেন। আর এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে কেবল আদর্শ পৃষ্ঠপোষকদের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতার ফলে।
আমার একটি Technology বিষয়ক Virtual aia নামক একটি Website আছে; সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫
imran157 বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ! যেহেতু আমার অভিমতের সাথে আপনার অভিমত একত্রিত হলো, এতে আমি অত্যন্ত খুশি।
আমার চৈতন্যের প্রতি আপনার শুভকামনায়, আপনাকে আরও একবার ধন্যবাদ!
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬
[email protected] বলেছেন: ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
আপনার অভিমতের সাথে আমি একমত । আপনার এই লিখাটি আমি সংগ্রহে (প্রিয়তে) রাখলাম ।
আপনার চৈতন্য আরও সুন্দর হোক কামনা করি ।