![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।
বিলটার নাম "হাড়ি ভাঙ্গা"......।। বিশাল বড় বিল। এই মাথা থাকে ঐ মাথা দেখা যায়না এমন একটা অবস্থা। সরকারি বিল। এই বিলের উপর নির্ভর করেই চলে পুরো গ্রামের মানুষ। সরকারি হলেও বিলটার যত্নের অভাব নেই। সবদিকে উচু করে পাড় উঠানো, পাড়ে বড় ছোট নানা রকমের গাছ। বিলের এক পাশ দিয়ে চলে গেছে পাকা রাস্তা। আগে যখন রাস্তাটা কাচা ছিলো মানুষজনের অনেক কম যাতায়াত ছিলো, কিন্তু এখকার কথা ভিন্ন। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ইঞ্জিল চালিত ভ্যান রিক্সা। ছবির মত সুন্দর গ্রাম। ইস, যদি আকাশে উঠে দেখা যেতো তাহলে হয়ত আরও সুন্দর লাগতো।
এই গ্রামে নয়নের আসার প্রায় ৬ মাস হতে চলল। বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র সে। বাড়ি থেকে কলেজ অনেক দূর বলেই এখানে এক বাসায় লিজিং উঠেছে সে। লজিং মাস্টার বলতেই আমাদের চোখে যে অভাবি ছাত্রের চেহারা ভেসে ওঠে নয়নের ব্যাপারটা এমন নয়। বাড়ির অবস্থা বেশ ভালো কিন্তু কলেজ থেকে বাড়ি অনেক দূরে। হোস্টেলে থাকার চেষ্টা করেছিলো প্রথমে, টিকতে পারে নি। পরে এক আত্মীয় এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। প্রথম দিন থেকেই নয়নের ভালো লেগে যায় গ্রামটা।
তাছাড়া যে বিলটার কথা বললাম, সেই বিলের মাঝ বরাবর একটা বাঁধ টাইপের আছে। পানিকে শান্ত রাখার জন্য ক্রিত্তিমভাবে এটা বানানো হয়েছে। প্রচুর গাছপালা আছে যায়গাটাতে! বাশ আর গাছের গুড়ি দিয়ে বানানো বসার জন্য বেশ বড় সাইজের একটা মাচা আছে!
নয়নের বেশ ভালো লাগে জায়গাটা। বিকেলের দিকে ২ টা সিগারেট আর একটা গল্পের বই নিয়ে নয়ন চলে যায় সেখানে। শান্ত নিবিড় যায়গা। এখানে বসে শুয়ে গল্পের বই পড়তে কি যে ভালো লাগে ওর! বলে বোঝানো যাবে নাহ। সত্যি, মন ভালো করার মত একটা যায়গা।
কিন্তু আজ ওর মন কোন ভাবেই ভালো হচ্ছে নাহ এবং সে সিধান্ত নিয়ে ফেলেছে, আজ রাতেই সে চলে যাবে। ঘটনা গতকাল রাতের,
মিনু আর মানিক নামের দুই ভাইবোনকে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে পড়াতে হয় নয়নের। মেয়েটা ছোট এই ৫ বছর হবে, আর ছেলেটা ৬-৭ হবে। বাচ্চা দুটো যেমন ই কিউট তেমন ই বাদর। কথা বলে গ্রামের ভাষায় এবং মুখ প্রচুর খারাপ। গালাগালির উপর থাকে সব সময়। -_- একদম ই পড়তে চায়না।
নয়ন মাঝে মাঝে নানা কৌশল করে ওদের পড়ানোর জন্য। কালও ঠিক তেমনি একটা কৌশল নিয়েছিলো সে। উদ্দেশ্য দুই আর দুই কত হয় সেটা শেখাবে। সে দুই ভাই বোনকে দুই টাকার করে দুইটা নোট দিলো। তারপরে সে বড় ভাইটাকে বলল, ধরো তোমার ছোট বোনের কাছথেকে দুই টাকা নিয়ে তোমাকে দিলাম, তাহলে তোমার আর তোমার ছোট বোনের টাকা মিলে তোমার কত টাকা হল?
দুই ভাইবোন ই চিন্তা করছে। হুট করে ছোটটা বলে উঠলো, কইস না ভাই কইস না, জারুয়া মাস্টার হামাক পড়াওচে! -_-
পরিস্থিটা মনে করেই নয়নের গা আরেকবার গুলিয়ে উঠলো। প্রিয় জায়গায় সিগারেটে শেষ টান টা দিয়েই উঠে পড়লো নয়ন। এই পরিস্থিতি মেনে নেয়া কি কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব? -_-
-----------
বিদ্রঃ ঘটনা সত্য। স্থান-কাল-পাত্র কাল্পনিক। -_-
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৬
অন্তহীন পথিক বলেছেন: হুম। তখন ব্লাক খেতাম। -_- কেন ভাই?
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এমন গল্প আগেও শুনেছি।
তবে এটা যে আপনার উপর দিয়ে
গেছে ভাবতেও পারিনি!!
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৮
অন্তহীন পথিক বলেছেন: নাহ, আমার উপর দিয়ে যায় নি। আমার বউ বলেছে কৌতুক হিসেবে। আমি সেটা দিয়ে একটা ছোট গল্প লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তা হলে ঘটনা সত্যি হলো কি করে?
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২
জগতারন বলেছেন:
পরিস্থিটা মনে করেই নয়নের গা আরেকবার গুলিয়ে উঠলো। প্রিয় জায়গায় সিগারেটে শেষ টান টা দিয়েই উঠে পড়লো নয়ন। এই পরিস্থিতি মেনে নেয়া কি কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব? -_-
এত্ত ছোট্ট বাচ্চা মেয়ের ভাষা এ রকম (!)
বিস্ময় (!)
নাঃ মানিয়া নেওয়া যায় না।
'' -_- ''
এ-ই চিহ্ন ব্যাবহারের হেতু বুঝিলাম না।
বিস্ময়, আর্শ্চায্য বুঝাইতে ''(!)'' ব্যাবহার করা যায়, কিন্তু
''-_- '' ব্যাবহার করিয়া আপনি কী বুঝাইতে চাহিয়াছেন ?
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
অন্তহীন পথিক বলেছেন: -_- চোখ চিকন করে তাকানো। ছোট বাচ্চার মুখের ভাষা কি রকম হতে পারে তা জানার জন্য রংপুরে আমন্ত্রণ রইলো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন:
এই ছবিটা আপনার??
ছবিতে ধোয়া দেখা যাচ্ছে?? সিগারেটের ধোয়া নাকি??