![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।
গ্রাম!
সুন্দর আর বিভীষিকাময় একটা জায়গা। "Oldboy" মুভিতে এরকম একটা ডায়ালগ আছে, "I am feeling so much pain but i love it." গ্রাম জায়গাটাও ঠিক এমন!
যে সকল ফরজ কাজ আছে গ্রামে সেগুলি সবাই সবার দায়িত্ব মনে করে করে ফেলে। যেমন "খতনা"! কোন একজনের খতনা করানোর জন্য লোক এসেছে, ব্যাস হয়ে গেছে কাজ!
যেমন কুত্তা মারা কমিটি যখন যে গ্রামে ঢোকে, খুঁজে খুঁজে সব কুত্তাকে মেরে ফেলে, এখানেও কাহিনী এক ই। খতনা করানোর লোক আসলে সবাই মিলে খোঁজে, গ্রামে আর কার কার করানো বাকি আছে। অনেক বাচ্চার যদি করানো থাকে তাহলেও অনেক সময় বিশ্বাস করতে চায় না। বলে প্যান্ট খোল। -_-
যদি পেয়েছে যে খতনা করানো নেই, তাহলেই হয়েছে! চ্যংদোলা করে নিয়ে চলে গেলো। সে তুমি যতই চিল্লাই গলা ফাটাও। সমস্যা হচ্ছে তুমি যে চিল্লাবা, সেটা তো আসলে বাবা বা মা কে ডাকার জন্যই তো নাকি?
লাভ নাই, কারন তারা পান খাচ্ছে আর দাত কেলিয়ে বলছে, ঐ দেখিস ভালো করে যেন দেয়। ব্যাথা যেন কম পায়! -_- তখন বান্দার আর কি বা করার থাকে!
...............
আপিকুলের মুসলমানি হচ্ছে। সবাই দেখতে গেছে। পুরা গ্রাম ছেলেবাচ্চা শূন্য! মাল-সামান সব রেডি! ও ল্যান্টা হয়ে বারান্দার পিলার ধরে কাঁদছে। ওকে কোন ভাবেই আনা যাচ্ছে নাহ। হুট করে একজন করে ওকে আনতে যাচ্ছে, ওর পা ধরে টান দিচ্ছে আর ও জগত ফাটিয়ে চিৎকার দিচ্ছে! সাথে সাথে সবাই বাদর খেলা দেখে যেমন হাঁসে, সেই রকম উচ্চস্বরে হাঁসি দিচ্ছে।
এই রকম অনেকক্ষণ ধরে ওর সাথে মজা নিলো। তারপরে এক ভাই বলল, অনেক মজা নিছো মিয়ারা! ওকে নিয়ে আসো। ওকে নিয়ে আসা হল। একজন ওর মাথা আর চোখ ধরলো আর দুইজন ধরলো ওর দুই পা। ও চ্যাত করাই আগেই কাজ শেষ! ও টের ও পেলো নাহ।
সবাই গোল করে ধরে আছে ওকে। আমিও আছি। হুট করে এক ভাই কপ করে আমার হাত ধরে ফেললো। আমি কিছু বোঝার আগেই আমাকে চ্যংদোলা করে নিয়ে চলে গেলো। প্লেসমত বসিয়ে দিলো আমাকে। আমার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে গেলো! কি হচ্ছে এ সব? চিন্তা করেন একবার?
জাহাজে করে একজন সুন্দর মত সাগর দেখছে, আর একজন হুট করে ওকে ধাক্কা মেরে পানিতে ফেলো দিলো। পানিতে আবার কুমিরে ভরা। কেমন লাগবে? আমার সেইম অবস্থা!
চোখ ধরেছে, পা ও ধরে ফেলেছে। আমার আর নড়াচড়া করার শক্তি নাই! হুট করে যিনি মুসলমানি দিচ্ছেন উনি বললেন, এর বাপ মায়ের নাম কি? একজন বলল, রোজ আম্মার(খালার) ছেলে! ওনার চোখ চিকন হয়ে গেলো!
সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলাম।
তবে পরে মনে হয়েছিলো যা হবার তা হয়ে যেতে দেয়াই ভালো ছিলো। আজ অথবা কাল, হবেই তো! মিছেমিছে ছোটাছুটি করে লাভ আছে?
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
মা.হাসান বলেছেন: রোজ আম্মার ছেলে হবার সাথে বেঁচে যাবার সম্পর্কের বিষয়টা বুঝলাম না। বর্ননা ঝাক্কাস হয়েছে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৪
অন্তহীন পথিক বলেছেন: আম্মা প্রভাবশালী। তার ছেলের মুসলমানি হবে অনুষ্ঠান করে। এইটাই কারন। গ্রামে এই সব একটু আধটু চলে। :প
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহা হাহাহাহ
কী মন্তব্য করবো বুঝতাছি না
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৫
অন্তহীন পথিক বলেছেন: আমি একটু সাহায্য করি তাহলে। এই যেমন বলতে পারেন, ভাই চরম লিখেছেন, আবার কবে আপনার লেখা পাবো? আপনার পুরাই ফ্যান হয়ে গেলাম। পরের লেখা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম। :প
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: এখনও কি গ্রামে এইভাবে মুসলমানি হয়??
ঢাকাতে তো হাসপাতালে করে। কোনো ঝামেলা নাই ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৭
অন্তহীন পথিক বলেছেন: ৯৫ এর দিকের কথা বলেছি বাই। এখনকার কথা জানি নাহ! খোজ নিয়ে দেখবো। সম্ভবত এই লোক গুলোকে এলাকায় বাংড়ি বলে। ওদের পেশায় ওরা আছে কি না কে জানে।
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
অধীতি বলেছেন: বাপরে ,আমি ফুটানি দেখাতে গিয়ে ধরা খাইছিলাম।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৭
অন্তহীন পথিক বলেছেন: হাহাহাহা.....।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দুইবার না করার ঝামেলা থেকে
বেঁচে গেলেন !!