![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পকেটে কিছু খুচরো স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে জানার চেষ্টায় আছি। মাঝে মাঝে শব্দ দিয়ে দাগাদাগি করি। অসামাজিক।
রাতের একটার দিকে দেখি বিছানাতে বালিশ নাই। কি মুসিবত। মাকে গিয়ে বললাম। মা বলল বালিশ ছাদে দেয়া হয়েছিল, আনার কথা খেয়াল নেই। বাইরে ততক্ষনে বেশকয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। তাই সকালে উদ্ধার ছাড়া গতি নেই। মায়ের কাছে দুইটা বালিশ ছিল। ছেলে শক্ত বালিশে ঘুমাতে পারেনা, তাই নিজের মাথার নিচের বালিশটাই দিল। বলল যে অন্যটা শক্ত হবে, ঘুমাতে পারবি না। আমি মেনে নিলাম।
ঘুমাতে ঘুমাতে বেশ দেরি হয়। প্রায় ভোররাতের দিকে, যখন কিনা মোরগদের ঘুম ভাঙ্গার প্রস্তুতি চলে। চারিদিকে আবছা আবছা আলো। বাতি নিভিয়ে মায়ের দেয়া বালিশে মাথা রাখলাম। আজকে ঘুমাতে বেশি দেরি হয়ে গেছে, তাড়াতাড়ি ঘুমানো উচিৎ। কিন্তু বালিশ থেকে একটা বেশ মিষ্টি গন্ধ আসছে। সেই গন্ধটা চেনা।
ছোটবেলায় খুব দুপুরে মায়ের সাথে ঘুমাতে হবে। মা জড়িয়ে বেঁধে রাখত। পালানোর পথ থাকত না। মায়ের বুকের সাথে লেপ্টে থেকে নির্ঘুম বিরক্ত চোখে মাথার উপরের দেয়াল দেখতাম। উপরের সিলিংটা যেন তখন আকাশ হয়ে যেত। এই গন্ধে ডুবে ডুবে আকাশটুকুতে ভাবনার নৌকাগুলো ভাসানো। সেই সবুজ গন্ধটা এতদিন পরে এই নষ্ট আমাকে এই প্রায়মাঝরাতে প্রায় চমকে দিল।
বালিশটার আরো কাছে যেতে চাই, পারি না। এরচেয়ে কাছে যাওয়া যায় না। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে নিকোটিনে কালচে হওয়া ফুসফুস ভর্তি করি শৈশবের গন্ধে। বুক ভরে, মন ভরে না। আমার সেই ভোররাতে খুব ইচ্ছা করে মায়ের পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ি। ছোটবেলার মতো জড়িয়ে ধরে ঘুমাই। সবসময় রোবট সেজে থাকাটা ক্লান্তিকর। ইদানিং খুব রোবট হয়ে যাচ্ছি। মানবিক আবেগ টাবেগ সব ঝেড়ে বিদায় নিচ্ছে।
চিন্তারা গাছের মতো, সুযোগ পেলেই ডালপালা মেলে। চিন্তা আসে- আর কতদিনইবা এই চিন্তা করার ক্ষমতা থাকবে। এখনো তাও জানি, চাইলেই গিয়ে স্পর্শ করা যায়। একদিনতো মানুষটার সাথে সাথে এই চিন্তাটাও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। তখন? ভাবতে থাকি, আকাশ-পাতাল ভাবি, কূলকিনারা পাই না। প্রচন্ড অসহায় লাগে।
ভোররাতে বালিশের কষ্টেই হোক বা অন্য কোন কারনেই হোক এই শহরের একজন রোবটের চোখের পাতা আদ্র হয়ে ওঠে। ভেজা পাঁপড়ি চোখে নিয়ে ঘুমানোটা বেশ কঠিন একটা কাজ। খুব গরমে পাহাড় বেয়ে ওঠার চেয়েও কঠিন। তবু ঘুমানোর চেষ্টা থেমে থাকে না।
[অনুগল্প নাম দিলেও এটা মূলত নিজের একরাতের কথাই, নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে মেরে দেয়া।]
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
ইমরান নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনাকে অনেকদিনপর দেখে ভালো লাগল।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
অন্য পুরুষ বলেছেন: ভালো লাগলো।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
ইমরান নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬
জুয়েলইসলাম বলেছেন: অন্যরকম হয়েছে ভাই মায়ের কোলে শুয়ে থাকার স্মৃতিটুক স্বরন করিয়ে দেওয়ায় ধন্যবাদ ।
চার নাম্বার
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
ইমরান নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। স্মৃতিটুকুর যত্ন নিবেন।
৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ভাল লিখেছেন ৷
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
ইমরান নিলয় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: মায়া ভরা লেখা ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৯
ইমরান নিলয় বলেছেন: টপিকে আবেগ থাকলে সেটা লেখায়ও আসে। লেখকের কেরামতি খুব সামান্য থাকে। ধন্যবাদ মামুন ভাই।
৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০২
জাফরুল মবীন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২১
ইমরান নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।
৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
সুমন কর বলেছেন: গল্পের অন্তনিহিত কথাটা বেশ সুন্দর। ভাল লাগল।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২২
ইমরান নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ছুঁয়ে গেলো ভ্রাতা ।
ভালো থাকবেন
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৩
ইমরান নিলয় বলেছেন: শুনে আমি সম্মানিত ভ্রাতা।
আপনারও ভালো থাকা হোক খুব।
৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: মিষ্টি অনুভূতি । ভাল লাগলো অনেক ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
ইমরান নিলয় বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ
১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর। মন আর্দ্র হলো।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৩
ইমরান নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই।
১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
ডি মুন বলেছেন: ভালোলাগলো স্মৃতিকথা।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯
ইমরান নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
শায়মা বলেছেন: সুন্দর একটা গল্প! জীবনের গল্প!