![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পকেটে কিছু খুচরো স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে জানার চেষ্টায় আছি। মাঝে মাঝে শব্দ দিয়ে দাগাদাগি করি। অসামাজিক।
কয়দিন আগে একটা বই পেয়ে আগ্রহভরে সূচি উল্টালাম। কারন বইটায় বাংলাদেশের নির্বাচিত গল্পগুলো স্থান পেয়েছে। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চোখ বুলালাম। গল্পগুলোর নাম পড়লাম। অনেক হাতি-পাতি লেখকের গল্প আছে। তবে ভাসুরের নাম সেখানে নাই।
মজার ব্যাপার এই যে বাংলা সাহিত্যের একজন ভাসুর আছেন। ভাসুরের নাম হুমায়ুন আহমেদ। তার নাম আমাদের মুখে নিতে মানা। ভুলেও না। আধুনিক চেতনাব্যবস্থা ঠিক যেভাবে নেরুদার নাম শুনলে আবেগে গলা কেঁপে উঠতে হবে শেখায়, ঠিক সেভাবেই হুমায়ুন পড়লে ক্ষ্যাত হয়ে যেতে হবে- সেটাও শেখায়। হুমায়ুনের পাঠকদের দোষে হুমায়ুন নিজেই একজন মিডিওকার লেখক হয়ে আমাদের দরজায় কড়া নাড়ে।
অথচ বাংলা ছোটগল্পের ৫ জনের লিস্ট করতে বললে ছোটগল্পের হুমায়ুন না চাইতেও ঢুকে পড়বে। শুধুমাত্র ছোটগল্পের জন্যই সে মানুষের মনে থাকতে বাধ্য। অবশ্যই ব্যক্তিগত চিন্তা। এবং বাকীসব কিছু ফেলে দিলাম।
আমার আশেপাশের যেসকল 'হুমায়ুন একটা বাল' মনে করা মার্কেজ দেখসি তারা মোটামুটি চারপ্রকার-
১) তাদের প্রিয় লেখক আরেকজন, হুমায়ুনের প্রচন্ড বাজারে বেল পায় নাই
২) এরা হুমায়ুন পড়ে নাই, পড়লেও লাস্টের দিকের 'অগা-মগা' পড়সে
৩) এরা হুমায়ুন পড়সেই সমালোচনা করার সুবিধার জন্য
৪) এরা ইয়ো ইয়োটাইপ। 'হেই ড্যুড দেখ আমার ক্যাপে চে গুয়েভ্রা, আমার বুকে গ্লোবালাইজেশন, কে হুমায়ুন? চিনলাম নাতো ঠিক। কবিতা লিখত নাকি? আচ্ছা তুমি অজয়ডার কবিতাটা পড়েচ?'
হুমায়ুনের মৃত্যুর পর আমার জন্য একটা সারপ্রাইজ ছিল। আমি প্রথম জানতে পারলাম যে সে নাস্তিক ছিল। কি আশ্চর্য ব্যাপার! আমি ধরতেই পারি নাই। অবশ্য দেশের অধিকাংশ নাস্তিকই যখন জানেনা যে তারা আসলে নাস্তিক না- agnostic, তখন আর সাধারন মানুষের দোষ কি। atheist রা আসলে naturalist দের কাছাকাছি, agnostic দের সাথে তাদের যতটা না মিলে, তার চেয়ে অধিক অমিলে।
তারপর আছে দ্বিতীয় বিয়ে। উপমহাদেশের বাঙ্গালীদের একটা বৈশিষ্ট্য আছে। এরা ইন্ডিভিজুয়ালি যতটা ক্ষুদ্র মানসিকতার, এজ এ সোসাইটি তারা প্রিটেন্ড করে তারা ভীষন জোস, তাদের মোরালিটির কোন তুলনা নাই। একেকজন সাধুবাবা। রাস্তায় টিজ করা ছেলেটাকেই রমজানে সবার আগে মসজিদে পাওয়া যাবে। এরা নিজেরা নিজেদের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, সাহসহীনতায় শেষ বয়সে একটা কচি হাত ধরতে না পারার হতাশা কেউ পেলে তার উপর ঝাড়ে। শুনতে রুড লাগতে পারে। কিন্তু পুরুষমাত্রই জানে লিপ্সার তীব্রতা কেমন।
এসব মোরালিটির পয়েন্ট বাদ দিলেও আরেকজনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমার ব্যক্তিগতভাবে কোন আগ্রহ নাই, অনেকেরই নাই, অধিকাংশের আছে। একদিন যেদিন অধিকাংশের থাকবে না সেদিন আমরা সভ্যতার দিকে হাঁটা শুরু করব।
হুমায়ুনের ব্যাপারে একমাত্র দুঃখ- হুমায়ুন নিজেকেও অতটা আবিষ্কার করতে পারেন নি। পারলে সাবধানী হতেন।
তবে হ্যাঁ। হুমায়ুন সহজপাচ্য। কিন্তু সেটা তার দোষ না, বৈশিষ্ট্য। দড়ি কাটার ম্যাজিক সহজ ম্যাজিক। উধাও করার ম্যাজিক কঠিন। তাতে কি দড়ি কাটার ম্যাজিক দেখে মানুষ অবাক হয় না? হয়। কিন্তু আমরা হই না। হলেও না হওয়ার ভান করি। বাঙ্গালী ভান করার প্রায় অলৌকিক ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬
বটপাকুড় বলেছেন: সহমতহাইপারসনিক বলেছেন: সেটা শুধু আপনার চিন্তা শক্তির প্রকাশ...
উনি নাস্তিক ছিলেন না। আর লুকিয়ে পরকীয়া করার চেয়ে বিয়ে করাটা পজিটিভলি দেখা উচিত
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬
অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: উনি নাস্তিক ছিলেন বলে মনে হয় না ।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার লেখা। হুমায়ুন আহমেদকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ছোটগল্প, উপন্যাস ,সাই-ফাই, ছোটদের জন্যে গল্প সবখানেই তিনি উজ্জল। তবে আস্তিকতা নাস্তিকতা নিয়ে লেখা অল্প কয়েকটা বাক্য অপ্রোয়জনীয় মনে হয়েছে। লেখার মূল মেসেজটা না ধরে অনেকেই আস্তিক-নাস্তিক; সেই ক্লিশে তর্কে মেতে উঠবে
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৬
ইমরান নিলয় বলেছেন: মেতে উঠে নাই, এইটা একটা আশার ব্যাপার।
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৩
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আমার মনে হয় আশির দশকের পর হুমায়ূন আহমেদ অন্যতম ব্যক্তি যার বই বাংলার ঘরে ঘরে ছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
হাইপারসনিক বলেছেন: সেটা শুধু আপনার চিন্তা শক্তির প্রকাশ...