![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পকেটে কিছু খুচরো স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে জানার চেষ্টায় আছি। মাঝে মাঝে শব্দ দিয়ে দাগাদাগি করি। অসামাজিক।
আমাদের ভার্সিটি জীবনের শেষ দিনটায় অডিটরিয়ামে বসে আছি। সব ডিপার্টমেন্টের গুরুত্বপূর্ন স্যারট্যাররা আছেন। আমরা বসে আছি আমাদের জীবনের শেষ শিক্ষকদের শেষ উপদেশ শুনব বলে।
প্রায় সবাই, উহু প্রায় না, সব কয়জন শিক্ষকই আমাদের উদ্দেশ্যে মোটামুটি যা বললেন, তার সারমর্ম ছিল এই যে আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা পাশ করে মোটামুটি ভালই চাকরি পেয়ে যায়। চাকরির বাজারে তাদের প্রোডাক্টের মানে আমাদের ভালো সম্ভবনা আছে। এই একই ভাতের ফ্যান একেকজন একেক সুরে বললেন।
অথচ আমরা বেশ উৎসাহ নিয়ে শুনতে বসেছিলাম। আশা করেছিলাম, ইইই এর স্যারটা বলুক নতুন কিছু বানাতে। সিএসইর স্যারটা বলুক এমন কোন সফটয়্যার বানাও, যেটা পৃথিবীকে আরো বড় স্বপ্নের দিকে নিয়ে যাবে। কিংবা আর্কির স্যারটা বলুক এমন একটা ডিজাইন কোর, সারা পৃথিবী অবাক হয়ে যাবে। বা মেকানিকালের স্যারটা নতুন ধরনের রোবট বানানোর কথা বলবে।
আমরা একটু সাহসের কথা শুনতে চেয়েছিলাম।
বিনিময়ে আমরা শুনলাম, চাকর হিসেবে আমাদের সম্ভবনা কতটুকু। আমাদের সাহস দেয়া হল, না খেয়ে মরব না। কি ট্র্যাজেডি।
ইভেন আমাদের দেশের হটকেক ভার্সিটি যেগুলো, সেগুলোও নতুন কোন স্বপ্ন দেখায় না, কারন ঐসব জায়গায় খুব কম মানুষই স্বপ্ন দেখতে যায়। অধিকাংশের মনেই থাকে একটা ভালো চাকরি মাত্র। যারা স্বপ্ন দেখতে যায়, অচিরেই তাদের স্বপ্নের গলা টিপে ধরে আমাদের সতীদাহ যুগের শিক্ষাব্যবস্থা, কারিকুলাম।
"তোমাদের সকল যোগ্যতা কেড়ে নেয়া হল। এখন অন্তত একটা চাকরি পেয়ে যাবে।"
প্রতিটা ভার্সিটির সার্টিফিকেটে এটা লেখা থাকা উচিৎ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
ইমরান নিলয় বলেছেন: অপ্রিয় সত্যে ভরে যায় দেশ
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫
মাতাল রাজ্জাক বলেছেন: "তোমাদের সকল যোগ্যতা কেড়ে নেয়া হল। এখন অন্তত একটা চাকরি পেয়ে যাবে।"
অসম্ভব সত্য কথা
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০
ইমরান নিলয় বলেছেন: পরিহাস
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সাহস দেখানোই এখানে পাপ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৫
ইমরান নিলয় বলেছেন: কি এক আজব ছাগলের লেজ ধরে ঝুলছে দেশ
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
কালীদাস বলেছেন: কারণ এইদেশে ক্রিয়েটিভিটির মূল্য খুব একটা ভাল না। দিন শেষে যার পকেট গরম তাকেই সবাই প্রেফার করে, মেধাবি রিসার্চারকে এক পয়সার দামও দেয়া হয়না এখানে। যেকারণে সবাই দল বেঁধে ইন্জিনিয়ারিং/ডাক্তারি/বিজনেসের সাবজেক্ট পড়ে, বেসিক সায়েন্সে মহাবিপদে না পড়লে কেউ পড়তে চায় না, যায় না।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১০
ইমরান নিলয় বলেছেন: দিনশেষে যার পকেটে যত কাগজ, সেই রাজা। পড়াশুনা করবা? কি ফ্যাশন চলছে?
ফ্যাশনের প্রতি এত প্যাশনওয়ালা জাতি কমই বোধহয়।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৭
ডি মুন বলেছেন: যারা স্বপ্ন দেখতে যায়, অচিরেই তাদের স্বপ্নের গলা টিপে ধরে আমাদের সতীদাহ যুগের শিক্ষাব্যবস্থা, কারিকুলাম। ----------- শেষমেষ এটাই সত্য ।
কেমন আছেন নিলয়?
নির্ঘুম রাত পার করছেন , নাকি খুব ভোরে জেগে গেছেন ?
শুভকামনা সবসময়।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫২
ইমরান নিলয় বলেছেন: আপনার গল্পটা পড়ব বলে আলাদা ট্যাবে ওপেন করে রাখা। নির্ঘুম রাতের ভোরের দিকে লেপের তলায় ঢুকে গিয়েছিলাম।
আপনিও ভালো থাকুন। সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
কল্পলোকের রাজপুত্র বলেছেন: খুবই অপ্রিয় কিছু সত্য কথা ।