![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পকেটে কিছু খুচরো স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে জানার চেষ্টায় আছি। মাঝে মাঝে শব্দ দিয়ে দাগাদাগি করি। অসামাজিক।
একবার অনামিকার প্লেটের দিকে, একবার নিজের প্লেটের দিকে তাকিয়েই ছোটখাটো একটা চিৎকার দিয়েছিল হাসান।
'আমার রান কই?'
'দুপুরে না খাইসিস। একটা মুরগীর কয়টা রান হয়?'
'ওওতো খাইসিল'
হাসান অনামিকাকে দেখিয়ে মায়ের যুক্তি খন্ডন করে।
এবার মা আর কোন রিস্ক নেন না। আগের অনেকবারের মত যথারীতি পিন খুলে গ্রেনেডের মত বয়সের দোহাই ছুঁড়ে মারেন।
'ওতো ছোট। তোরে যেটা দিসি ঐটাও ভালো।'
হাসানের দুঃখ তাতে কমে না। সে অনামিকার দিকে যতটুকু অগ্নিদৃষ্টি না হানলেই না, ততটুকু হেনে ভাত মাখাতে শুরু করে। ওর যে অনেক দুঃখ তাও না। মুরগী ব্যাপারটাইতো বেশ চমৎকার একটা ব্যাপার। সে আলুগুলোর মাঝখানে আঙ্গুল দিয়ে কায়দা করে দুইভাগ করে ফেলে। আলুর ফাটলের মাঝখান দিয়ে ঝাল ধোঁয়া উঠছে।
মধ্যবিত্তের মাঝারি সাইজের জীবনে মুরগীর একটা ভালো ভূমিকা আছে। সপ্তাহের-দুই সপ্তাহের একটাদিন, যেদিন মুরগীর মাংস রান্না হয়, ছোটরা বেশ উত্তেজিত থাকে। খেতে বসেও উত্তেজনা। মুরগীর রানের বিলিব্যবস্থা ঠিকমত হবেতো। আমি পাবোতো।
পৃথিবীর সব শিশুরা পৃথিবীর সব মুরগীর রানের বৈধ মালিক।
অধিকাংশ সময়ই মুরগী রান্নার দিনটা শুক্রবার হয়। এসময় বাবারা সকাল থেকে আয়েশ করেন। আর দুপুরে খেতে বসে বাচ্চাদের মুখ দেখে আরো একসপ্তাহ বাঁচার ব্যাটারিতে চার্জ করে নেন। তবে শিশুদের আনন্দটা ভিন্ন ছিল। এটা মুরগীর মাংস খেতে পারার অতটা না। তারচেয়ে বাবা-মা'র সবকিছু খাইয়ে দেয়া কর্মসূচীর হাত থেকে বাঁচার আনন্দের জন্য। বিস্বাদ খাবারের হাত থেকে মুক্তির আনন্দ।
'আর কিছু নিবেন?'
ওয়েটারের এই তুমুল প্রশ্নে হাসান অতীতের ঘোড়া থেকে হোটেলের ভাতের প্লেটে এসে পড়ল। সে মাথা নাড়ে। আর কিছু লাগবে না।
এখন হাসান ইচ্ছা করলেই সপ্তাহে কয়েকবার মুরগী খেতে পারে। বাবা-মা জোর করে সবজী খাওয়াতে পারবে না। তারা সব অধিকার নিয়ে চলে গেছেন অন্ধকারে। চাইলেই নাম পালটে লেগপিস হয়ে যাওয়া রান পাওয়া যায়। অনামিকা এখন আর সেটার জন্য বায়না ধরে না। বাসায় গেলে হাসানের প্লেটে নিজেই সবার আগে মুরগীর রানটা তুলে দেয়। তবু তা নিয়ে হাসান কোন উত্তেজনায় ভোগে না। এটা এখন আর ছেলেবেলার ফ্যান্টাসি নেই, খাবারের আর দশটা আইটেমের মত শুধুই একটা কেমন জানি ব্যাপার হয়ে গেছে।
তাই মুরগীর মাংস সামনে নিয়ে হাসান হঠাৎই কেমন একটা বিপন্নতা অনুভব করে। পৃথিবীর আকাশে সব ভালোবাসারা কালো হয়ে লেপ্টে গিয়ে সন্ধ্যা ডেকে আনছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭
ইমরান নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: লক্ষ লক্ষ সত্যি ঘটনা অবলম্বনে...
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮
ইমরান নিলয় বলেছেন: অথবা একটাই সত্যি ঘটনা। আমরা সবাই একটা গল্পই বলি। নানাভঙ্গিতে... হয়ত
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭
খোলা হাওয়া বলেছেন: ভালো লাগলো। ছোটবেলায় ভাইয়াই বেশি পেত মুরগির রান আর নিজে যেদিন পেতাম ঈদ ঈদ লাগতো। ঘরে যেমন তেমন বিয়ের দাওয়াতে গেলে চেয়েই নেই নাহলে খেয়ে মনে হয় সুবিধা হলো না
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২
ইমরান নিলয় বলেছেন: আগে কত সহজে ঈদ আসত।
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
কাক ??? বলেছেন: দিলেন তো পুরান কথা মনে করাইয়া....
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২
ইমরান নিলয় বলেছেন: ঠিকই আছে। ভুলে যাইতে চান ক্যান।
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনুগল্প কতোটা হয়েছে জানি না। তবে সুন্দরভাবে মধ্যবিত্তের ভিতরটা তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে যে উত্তেজনা আছে, তা কিনতে থোরাই পাওয়া যায়।
লিখেছেন ভাল।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪
ইমরান নিলয় বলেছেন: মানুষ পড়ার আগে ট্যাগ দেখতে চায়। ব্যাপারটা কি। আসল ব্যাপার হচ্ছে কথা। সেটা অনু বলেই গপ বললাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: অনু-পরমাণু যাই বলেন, অনুভূতিটা ধরাটাই বড় ইস্যু। ভালই।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬
ইমরান নিলয় বলেছেন: সেইটাই
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার ভাবনা । এমন ভালোবাসা আর আবেগ ক্ষণিকের অমূল্য সম্পদ হয়েই চলে যায় ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭
ইমরান নিলয় বলেছেন: ভালো থাকবেন
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩
পুলহ বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার গল্প। মনে হয় রানের মত এ ধরণের অনেক কয়টা ফ্যাসিনেশন মানুষের থাকে- যেটা এক সময় তার সব রঙ হারিয়ে স্রেফ সাদাকালো হয়ে পড়ে।
শুভকামনা রইলো
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৮
ইমরান নিলয় বলেছেন: আপনার রঙরা রঙিন থাকুক- কামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭
ঘুম হ্যাপি বলেছেন: সুন্দর।