![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেখানটায় দাঁড়িয়ে আছি, দেখো, পায়ের নিচে
শক্ত কোন মাটি নেই, নূড়ি-পাথর আর কঙ্কর, অমসৃণ
বর্তমান সময়টা এমনি, দুঃসময় অতিদীর্ঘ
আর একটু, কিছুটা সময়, অপেক্ষার প্রহর শেষে
সামনের বিশাল দুঃখের সমুদ্রজল পার হয়ে যাব, দু'জন।
ওই দেখো চেয়ে দূরে সমুদ্রের পরে
কমনীয় সবুজের হাতছানি; ডাকছে কাছে নিঃসঙ্গতায়
মনে হতে পারে, সমুদ্রতট খুবই স্নিগ্ধ, সুধীর
ভীষণ আপন করে নেবে কাছে কিন্তু
মোহনীয়তার মাঝেই থাকে অনবদ্য শোক-প্রলাপ, দুঃখ-বিলাস
পার হয়ে যেতে পারাটা সার্থকতা ; সবাই পারে না,
হারিয়ে যায় অতলে, অথৈ সাগরে।
চেয়ে দেখো, ওই মোহমুগ্ধ সবুজের পরে আশার ঝলক,
দিগন্তহীন অনাদি স্বপ্নের সূচনা সেখানে
ওপারে যাওয়ার নির্দেশক, সারি সারি পথ
ভ্রম কিংবা বিভ্রম, সরল কিংবা সোজা, শুধু আলো আর আলো
তার মাঝে লুকানো আঁধার- কালো মেঘের ছটা
শুভ্র যেন সফেদি ডানা ছড়ানো, সেখানে আসল ঠিকানা
সবুজাভ ডুপ্লেক্স পরম-শান্ত নিবাস সোনালি আভা ছড়ানো
নীলাদ্র স্বচ্ছজলের প্রতিচ্ছায়াঃ
পেছন ফিরে চাও, পাঁচ বছরে কতটা পথ অতিক্রান্ত হয়েছে?
সেখানেও নিরেট কোন মাটি নেই, এবড়ো-থেবড়ো, কর্দমাক্ত ;
পিছলে গেছে! মাঝেমাঝে হাঁটাও যায় নি, স্থবিরতা যেন,
সেই নিশ্চলতার মাঝে তোমার হাত আমার হাতে
এখনও যেমন আছে নির্ভরতার হাত তোমার কাঁধে,
উপরে শক্তিমান ছায়া, প্রবলতম ঘূর্ণি -বায়ু এসে
ওপারে যাবার নিমন্ত্রণ যেন দিয়ে যায় হেসে, উর্ধ্বাকাশে।
সেতুবন্ধন রচে না কেউ যেচে,অলৌকিক রাস্তা হবে না কোন সমুদ্রমাঝে
তুমি থেকো ঠায় দাঁড়ায়ে, পাঁচ নয় আরো বারো গুণ বছর, সন্ধ্যা-সাঁঝে
কঠিনতম দুঃসময়েও দুখঃ-প্রাচিরে মূর্তমান,
বৃষ্টিময় হাওয়া স্বাক্ষী ঝিরঝিরে কম্পমান
খরস্রোতা সময় বয়ে যাক, সে যাবেই
নিকষকালো শেষে আলোকে, স্বর্গসুখ - সে আসবেই।
©somewhere in net ltd.