নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সর্ম্পকে বিবরন দেওয়ার মত তেমন কিছু নেই।শুধু এটুকু বলতে পারি একজন ভাল মনের অধিকারী হিসেবে নিজেকে মনে করি এবং সেটা আজীবন থাকতে চাই>লেখালিখি কারো কাছে নেশা, আর কারো কাছে হয়তোবা পেশা।আর আমি লিখি নিতান্তই শখের বশে, শুধুমাত্র আমার জন্যে।কারণ,এই শব্দর

অশ্রু সিক্ত তোমার স্মৃতি

অশ্রু সিক্ত তোমার স্মৃতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কান্নার রঙ

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২১

কান্না। তার আবার অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি!
আপনাকে যদি আচমকা জিজ্ঞেস করা হয় যে, "ভাই, ও ভাই, আপনার কান্নার অনুভূতি টা একটু বিস্তারিত ভাবে বলবেন??"
নিশ্চই প্রশ্নকর্তার চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করা আপনার এতক্ষণ এ শেষ হয়ে যাবে। হয়তোবা এতক্ষণে আমার ও চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করা শেষ আপনার।
আপনি হয়তোবা আপনার সুখের মুহূর্তের কথা, সুখের অভিজ্ঞতা, কষ্টের অনুভূতি, রোমাঞ্চকর কোনো ঘটনায় আপনার নায়ক হয়ে উঠার কাহিনী আরব্য রজনীর মতো লোভনীয় করে উপস্থাপন করেছেন।
কিন্তু কখনো কি কাওকে বলেছেন, কাঁদতে আপনার কেমন লাগে? কান্নার সময় আপনার কেমন লাগে? ঠিক যেই মুহূর্তে কাঁদতে শুরু করবেন তখন কেমন লাগে? কান্না শুরু করার কিছুক্ষণ পর কেমন লাগে? যখন আপনার কান্নাটা মাঝামাঝি সময়ে এসে দাড়িয়েছে ঠিক তখন কেমন অনুভুতি আপনার? যখন কান্নার শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন তখন কি অনুভূতি হয় আপনার?
নিশ্চই কাওকে কখনো এমন কিছু বলেন নি। কেউ আপনাকে কখনো জিজ্ঞেসও করে নি এসব।
আমার নিজেরও কখনো মনে হয় নি। কাল হঠাৎ কাঁদার সময় মনে হলো, আরেব্বাস। কান্নার অনুভূতি তো চরম মাত্রায় বিচিত্র। খরস্রোতা পাহাড়ি নদীর মতো এর সময়ে সময়ে বাঁক।
শুনবেন, কেমন ছিল আমার কান্নার অনুভুতি?

চলুন বলি,
আমি কখনো চিৎকার করে কাঁদিনি। আমি নীরবে কাঁদি। আমার কান্নাটা শুধু আমার। আমি চিৎকার করে কাঁদি না। এমনকি আমি কাঁদার সময় কোনো শব্দই করি না। কান্নার শুরতেই আমার গলা ধরে আসছিল। মনে হচ্ছিলো কেউ যেন আমার গলাটা টিপে ধরছে। একদম ভেতর থেকে টিপে ধরছে। শক্ত কঠিন কোনো হাত। তাতে আঙুল হয়তোবা ১০ টা নয়। তার চেয়ে অনেক বেশি। ঠিক সেই মুহূর্তে আমার তার কথাই মনে পড়ছিল শুধু যার জন্য কাঁদতে বসেছিলাম। ভাবছিলাম সেই কি এসে গলা টিপে ধরলো? রাগ হচ্ছিলো তার উপর। যাই হোক, এরপরই চারপাশটা ঝাপসা হয়ে আসতে থাকে। একি ভয়ানক ব্যাপার বলুন তো। মরতে বসেছি নাকি? চারপাশ ঝাপসা। মনে হচ্ছিলো কোনো অথৈ সমুদ্রের তলায় তলিয়ে যাচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই সমুদ্রে ঝড় উঠলো। বিশাল ভয়ানক ঝড়। জলোচ্ছ্বাস এ ফুলে উঠতে লাগলো সেই শান্ত সমুদ্র। কোনো বাঁধাই মানছে না। আমি প্রাণপণ যুঝতে লাগলাম। কিন্তু অবধারিত ভাবেই পরাজিত হলাম। আমার চোখের কোণ বেয়ে নেমে এলো রাশি রাশি অশ্রু। সমুদ্রই বটে। সমুদ্রের জলের মতো নোনতা।খেয়াল করলাম, বাঁধ ভাঙা অশ্রু বিসর্জনের সাথে সাথেই অনেক কিছু বদলে গেল। গলা ধরে আসাটা আর নেই। শরীরটা অনেক হালকা লাগছিল। এবং তার উপর ওই মুহূর্তে আর কোনো রাগও নেই। তখন মনে হচ্ছিলো, আমার জন্যই তো সব সমস্যা। যত অশ্রু বের হচ্ছিলো শরীর ততই হালকা হচ্ছিলো। ততই চাঙ্গা ভাব আসছিল। ধীরে ধীরে একটা সময় চোখ দিয়ে পানি পড়া বন্ধ হলো। কিন্তু একটু একটু হেচকি উঠছিলো। কিছুক্ষণের মধ্যে সেটাও বন্ধ হলো। ঠিক সেই মুহূর্তে, ঠিক সেই মুহূর্তে নিজেকে অনেক ফ্রেশ লাগছিল। এতোটা ফ্রেশ নিশ্চই ফ্রেশ পানির বোতল কিনে খেলেও লাগে না। তারপর দেখলাম খানিকটা সর্দির মতো মতো লাগছে। নাক ঝাড়লাম, পানি খেলাম।
আমি কখনো শব্দ করে কাঁদি না। আমি নীরবো কাঁদি। একেকজন একেকভাবে কাঁদে। সবার অনুভূতিতেই নিশ্চই বৈচিত্র্যতা থাকবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.