![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোরের সময়টা ঘড়ির কাটার বৈষয়িক সময়ের মতো না। এটা একান্তই মনের সময়। এই সময়ে নিজের হৃদস্পন্দনের ভাষাটা বোঝা যায়।
আকাশ জুড়ে লাল রঙের স্নিগ্ধতা মাখা শান্তিদায়িনী শীতল আলোর প্রচ্ছদ। এমন প্রশান্তিময় স্থির শীতল আলো পায়ে মেখে হাঁটতে ইচ্ছে করে।
হুট করে মনে হয়, চার দেয়ালের সীমিত পরিসরে নিজের ঠিক জায়গা হচ্ছে না। নিজের সাথে নিজের বেশ ঠেসাঠেসি, জড়াজড়ি হয়ে থাকতে হয়।কৃত্রিম আলো ঝলমলে দিনের বিভ্রমে পড়ে নিজের সাথে আঁটোসাটো হয়ে থাকা মানসিক অস্তিত্বের বিপন্ন বিশালতা ভোরে টের পাওয়া যায় নতুন করে।
আমার প্রায়ই মনে হয়, প্রকৃতির কিছু দৃশ্য আছে যেগুলো একা দেখার জন্য না। মানুষ নিজের মুগ্ধতা অপরের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করে। সাথে আরেকজন মানুষের দরকার হয় নিজের মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। "দেখো দেখো কী সুন্দর!"- বলে উচ্ছ্বাসিত হওয়ার জন্য আরেক জন মানুষ পাশে থাকা চাই।খুব মনের কাছের কেউ। অর্থাৎ আত্মিক যোগাযোগ ভালো এমন কেউ।
অন্ধকার ফিকে হতে হতে আলো হয়ে যাওয়া দেখতে দেখতে এক ঝলকে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত রহস্য হঠাৎ যেন একটা অর্থবহ সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেয়। তখন সৃষ্টি জগতের সৌম্য রূপের ভেতর কেমন যেন খুব কাছে স্রষ্টাকে অনুভব করা যায়। এই অনুভবটুকুও অদ্ভুত। একাকি প্রশান্তি খানিকটা স্থির অস্থিরতা নিয়ে হাজির হয়। সৃষ্টিকর্তার কাছে স্বগতোক্তি প্রার্থনা আসে অজান্তেই। নিজের, পরের, সমগ্র বিশ্ব চরাচরের মঙ্গল কামনায় মন আর্দ্র হয়।
"এই পৃথিবীতে এমন কেউ কি আছে, যে আমার যথার্থ মঙ্গল চেয়েছে? আমাকে তবে তেমন একটা শীতল হাত দান করুন, যে হাতে স্পর্শ করা মাত্র সব শান্ত হয়ে আসবে।"
মানুষের হাত। স্রষ্টাকে উপলদ্ধি করে তাঁর কাছে মানুষের হাতের জন্য পার্থনা করাই মানুষের ধর্ম। মানুষের ভেতরে কল্যাণময়তা খোঁজা।
মানুষের সাথে মানুষের আত্মার বন্ধুতায় সব শান্ত হয়ে আসুক। এমন হোক মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের চিরন্তন স্বরূপ।
©somewhere in net ltd.