নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
এই গল্পটি কাল্পনিক। কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে আমি দায়ী না।
একদেশে এক ছেলে ছিল। নাম নুরা। সবাই তাকে নুরা পাগলা বলে ঢাকতো। যখন সে ৩য় শ্রেণীতে পড়তো তখন থেকে তার স্বভাব অন্য রকম ছিলে। ৭ দিনের নাম, বাংলা বারো মাসের নাম, ইংরেজী ১২ মাসের নাম যখন তার সহপাঠীরা খুব সহজেই মুখস্ত করে নিয়েছিল তখন নুরা পাগলা এগুলা মুখস্ত করতে ১ মাস সময় নিয়েছিলো।
আর তার স্বরণ শক্তি ছিলো দুর্বল। এখন একটি কথা বলিলে ৫ মিনিটে তা ভুলে যেতো।
গণিত পরীক্ষাতে সবাই পরীক্ষা দিতে ব্যাস্ত তখন সে কি যেন চিন্তা করছিলো। অন্য ছাত্ররা গণিত প্রশ্ন দেখে বুঝতে পারতো এটা যোগ হবে ঐ টা ভাগ হবে অথবা ঐ টা গুন হবে। সে স্থানে ঐ নূরা পাগলা মনে মনে ভাবতো যে “এটা কি অনুশীলনী ২ এর অংক। তাহলে এটা যোগ হবে।”
তার বানান ভুল হতো প্রচুর। “বাড়ি” কে লেখতো “বাড়”। এই ভুলটি অবশ্য অজ্ঞতার জন্য নহে। এই ভুল অবচেতন মন থেকে।
সে বোকা দেখে তার সহপাঠীরা তার সাথে মিশতো না। ক্লাসের সবাই তাকে নিয়ে মজা করতো। তার সাথে ইতরামানি করিতো। সহপাঠীদের এমন আচরণের জন্য নুরে আলম সবাই কে শত্রু মনে করতো।
বাসায় এসেও তার শান্তি নাই্। প্রতিটি ভুলের জন্য তাকে অনেক বকুনি সহ্য করতে হয়। একদম ছোট ছোট ভুলের জন্যও ৫ থেকে ১০ মিনিট কথা শোনা লাগতো। আর পাশের বাসার আন্টি এর ফায়দা নিতো। “ভাবী জানেন, আমার ছেলে না এই জিনিস টা করেছে।” এই কথা শুনার পর নূরার মা নূরা কে খুব কথা শুনাতো। “তোর মত পোলার দরকার নাই”, “তুই কিয়ারে হইছোত, তুই না হলে ভালো হতো” ইত্যাদি কথা নূরাকে খুব যন্ত্রণা দিতো। ক্লাসের সহপাঠীদের কটু কথা আর বাসায় সবার বকুনি সব মিলিয়ে নূরা “ভয়” এবং “আতঙ্ক” নিয়ে বড় হতে লাগলো।
এক সময় কোন কাজ করতে গেলে সে প্রথমেই ভয় পেয়ে যেতো। যদি আমি এই কাজে অসফল হই তাহলে সবাই হাসবে, আম্মু ধমক দিবে। এই চিন্তা তাকে গ্রাস করে ফেলতো।
এর মাজে তার একদিন শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। খুব কঠিন শ্বাস কষ্ট। এখন নূরা দুঃচিন্তায় পড়ে গেলা। এখন কি হবে? আবার ধমক খামু না তো!
যে যাত্রায় সে বেচে গেলো।
এক সময় সে এক মেয়েকে পছন্দ করতে লাগলো। তার পছন্দের কথা ফাস হয়ে গেলো। পরে মেয়েটি শিক্ষক কে নালিশ করলো। শিক্ষক ও তাকে যা তা হাবিজাবি বললো। রাতে সে খুব কান্না করতে লাগো।
এই ঘটনা আর নুরা পাগলা বাড়ির লোকেরা জেনে যায়। তার পর সে হয়ে গেলো ঘর ছাড়া। ঘর ছাড়া হয়ে যেন সে নতুন জীবন পেলো। তাকে কেউ কটু কথা বলে না। কি শান্তি। কেউ যদি মায়া করে খাবার দিলে, খায়; না হয় না খেয়ে থাকে।
একদিন তার শ্বর কষ্ট হলো। এবার সে চিকিৎসার অভাব মারা গেলো।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২১
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: এই ধরণের গল্প পড়ার জন্যই ব্লগে আসা উচিত।
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দুঃখজনক
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২
কামাল১৮ বলেছেন: এটাকি হাইকোর্টর মাজারের নুরা পাগলা।
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: হুম। দুঃখজনক।
৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৬
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আহারে নুরা পাগলা।
সারাজীবন ভয়ে ভয়েই কাটলো।
৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি একজন কচ্ছপ (কাউডা, কেটো, কাইট্টা, কাছিম, Tortoise) স্বভাবের ব্লগার।
ডিম পেরে চলে যান, ডিমের আর খবর নেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আগাগোড়া প্রেজেন্ট টেন্স গল্প।