নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মা নদীর মাঝি

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯



পদ্মানদীর মাঝি ১৯৯৩ সালের একটি বাংলা ভাষায় নির্মিত বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথভাবে নির্মিত চলচ্চিত্র। বাঙালি কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে গৌতম ঘোষ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। এতে অভিনয় করেন - রাইসুল ইসলাম আসাদ, চম্পা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত প্রমূখ।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশের বিক্রমপুর-ফরিদপুর অঞ্চল। এই উপন্যাসের দেবীগঞ্জ ও আমিনবাড়ি পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম। উপন্যাসে পদ্মার তীর সংলগ্ন কেতুপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের পদ্মার মাঝি ও জেলেদের বিশ্বস্ত জীবনালেখ্য চিত্রিত হয়েছে। পদ্মা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী। এর ভাঙন প্রবণতা ও প্রলয়ংকরী স্বভাবের কারণে একে বলা হয় 'কীর্তিনাশা' বা রাক্ষুসী পদ্মা। এ নদীর তীরের নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। শহর থেকে দূরে এ নদী এলাকার কয়েকটি গ্রামের দীন-দরিদ্র জেলে ও মাঝিদের জীবনচিত্র এতে অঙ্কিত হয়েছে। জেলেপাড়ারর মাঝি ও জেলেদের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না-অভাব-অভিযোগ - যা কিনা প্রকৃতিগতভাবে সেই জীবনধারায় অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তা এখানে বিশ্বস্ততার সাথে চিত্রিত হয়েছে। তাদের প্রতিটি দিন কাটে দীনহীন অসহায় আর ক্ষুধা-দারিদ্র‍্যের সাথে লড়াই করে। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই যেন তাদের জীবনের পরম আরাধ্য। এটুকু পেলেই তারা খুশি ।


আসল কথা:
এই উপন্যাসের নায়ক কুবের। তার স্ত্রি এর নাম মালা। যে ছিলো পঙ্গু। আর একজন মেয়ে ছিলো।

হোসেন মিয়া নামের এক ব্যাক্তি ছিলো। একদিন হোসেন মিয়া কুবেরের বাড়িতে যায়। তাই কুবের হোসেন মিয়া এর জন্য খাসির গোস্ত আনে। গোস্ত রান্না হয়। গোস্ত আবার বিলাই খেয়ে ফেলে।

এই অংশ আমার পড়া ছিলো। আর কুবেরর বাসায় একজন আসতেই পারে। কুবের অতিথি আপ্যায়নের জন্য গোস্ত আনতেই পারে। সেই গোস্ত বিলাই খেতেই পারে। এই সব জিনিস ভাবিয়া আমি অন্য মনস্ক হয়ে গেছিলাম। মেডাম আমার অন্য মনস্ক ব্যাপারটি বুঝতে পারে।

তখন ম্যাডামের একটি কখ্ আমার দৃষ্টি আকর্ষন করে।

“গরিব মানুষ সহজে গোস্ত খেতে পায় না। অনেকদিন পর গোস্ত রান্না হয়েছে। তারা কি এতটাই অসতর্কতা থাকার কথা না যে বিলাই খেয়ে নিবে??”

আমি তখন ভাবলাম। ঠিকই তো। বিলাই খাবার কথা না। বাড়িতে ভালো রান্না হলে আমিও সতর্ক থাকি যাতে বিলাই না খায়। তার তাদের তো আমার থেকে বেশী সতর্ক থাকার কথা। কারন তারা দুই বছরেও একদিন গোস্ত দিয়ে ভাত খেতে পারে না।

এখন আমি চিন্তা করি, মেডাম কত দক্ষ ছিলো।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৮

উদারত১২৪ বলেছেন: বাহ সুন্দর

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিলাই মাংস খেতেই পারে৷ তারও তো পেট আছে। বহুদিন ভালোমন্দ খায় নি।

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ইহাকে দক্ষ বলে না; বলে সন্দেহ বাতিকতা!

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০

Abida-আবিদা বলেছেন: পদ্মা নদীর মাঝির হোসেন মিয়া ও কুবেরের চরিত্রটা খুব অনবদ্য ছিল। যদিও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ময়না দ্বীপে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ আপনি সাবধান থাকুন। সাবধান থাকার দরকার আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.