নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইফতারি নিয়ে আমার স্মৃতিচারন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৫

রমজান মাসে বাঙ্গালীরা সুস্বাদু খাবার খেতে পছন্দ করে। বিশেষ করে ইফতারির সময় বাহরি খাবার খেতে পছন্দ করে। মূলত আমরা ইফতারির সময় ভাজা পোড়া খাবার খেতে বেশী পছন্দ করি। তবে আমার আম্মুও বেশ মজা করে ইফতারি বানাতে পারে। তাহার রান্না ভালই।

আর আমি মূলত নানার বাড়িতেই বড় হয়েছি। আমার বেড়ে ওঠা নানার বাড়িত। শুধু মাত্র সিক্স থেকে এইট পযর্ন্ত আব্বু আম্মুর সাথে ছিলাম। আর বাদ বাকি সময় আমি নানী বাড়িতেই ছিলাম।

এটা বেশ আগের কথা। ২০০১ সাল। আমি তখন নানা নানীর সাথে ঢাকাতে ছিলাম। নান তখন সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস (মতিঝিল শাপলা চত্বর) এ চাকরি করতেন। সে সময় আমার নানা খুব শক্ত সামর্থ্য লোক ছিলেন। একদিন নানা একটি মিষ্টি আনে। ইফতারির সময় সেটা খেয়েছিলাম। খুব টেস্টি ছিলো সেই মিষ্টি টা।

তারপর ২০০৯ সাল আর ২০১০ সাল। আমি যথাক্রমে ৯ম আর ১০ম শ্রেনীতে পড়ি। তখনও নানা বাড়িতে থাকি। তখন নানা অবশ্য গ্রামের বাড়িতে ট্রান্সফার হয়ে চলে আসেন। তখন আমর নানী বেগুনী, আলুর চপ, ডাইলের বরা বুট ইত্যাদি রান্না করতেন। তখন খুব মজা করে খেতাম।

তারপর ২০১৫ বা ২০১৬ সালের দিকে আমার নানী ইফতারির সময় খিচুরী রান্না করেছিলেন। খুব স্বাদ হয়েছিলো। আর ২০১৭ সালে আর ২০১৮ সালে একবার মামার বাসাতে ইফতারি করতে যাই। আমার মামার শ্বশুর আবার সোনারগাওঁ হোটেল (এখন এশিয়া পেসিফিক সম্ভবত) এ চাকরি করতেন। সে বার আমি সোনারগাওঁ হোটেল এর জীলাপি আর হালিম খেয়েছিলাম। হালিম তেমন টেস্টি হয়নি। এর চেয়ে আমার আম্মু টেস্ট করে রান্না করতে পারতো। কিন্তু জিলাপীটা ছিলো খুব মজার।

২০১৯ সালে আমি নানীর বাড়িতে থাকলেও আমার নানী খালার বাসাতে ছিলেন। আমিও খালার বাসাতে গিয়ে এসে ইফতারি করতাম। ২০১৯ সালে আমার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা থাকার কারনে সব সময় যে খালার বাসায় গিয়ে খেয়ে আসতে পারতাম না। মনে করেন কালকে পরীক্ষা। তাই আজ যেতে পারলাম না। তখন একটু পানি আর বিস্কুট খেয়ে ইফতারি করতাম। আর বেচে যাওয়া বিস্কুট দিয়ে শেহেরী করতাম। পরীক্ষা দিয়ে আসতাম। আবার কিছু ইফতারি ক্রয় করে বাসায় ফিরতাম। গোছল করে মোবাইল টিপতাম। এক্কেবারে ইফতারি করে আবার মোবাইল টিপতাম।

আমার ছোট বেলা থেকে বিয়ের আগ পযর্ন্ত আনন্দধায়ক রোমাঞ্চকর দিয়ে গিয়েছি। আমার নানীকে নেক হায়াত দান করুক। এবং নানাকে আল্লাহ বেহেস্তবাসী করুক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: রমাজানে একে অন্যের ঘরে ইফতার পাঠানো ব্যাপার টা খুবই সুন্দর।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: আমি খুব বেশি রোজা রাখতে পারি না। বড় জোর দশ বারোটা রোজা রাখি। এবার প্রায় পুরো রোজার মাস স্কুল খোলা। রোজা রেখে স্কুলে পড়ানো ভীষণ কষ্টকর তারপর টিউশনি তো আছেই। তবে আর চার বছর স্কুলের চাকরি আর টিউশনি করবো তারপর থেকে সব রোজা রাখার চেষ্টা করবো।
# আপনি কি সব রোজা রাখেন? ইফতারে ভাজাপোড়া কম খাবার চেষ্টা করবেন।ফল বেশি খাবেন।আমি অবশ্য ভাজাপোড়া বেশিই খেয়ে ফেলি। খাবারের ব্যপারে নিজেকে কন্ট্রোল করা ভীষণ কষ্টকর।তাই বলে আমাকে আবার পেটুক ভাববেন না হা হা হা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.