নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
আগে আমরা পিতা পুত্রের বয়স এর অংক করিতাম। সেখানে পুত্রের বয়স থাকতো বেশী। পিতার বয়স হয়ে যেতো কম।
আজ একটি খবর পড়লাম। মায়ের চেয়ে সন্তান তিন বছরের বড়। মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্রে যদি ১৯৯০ সাল দেয়া থাকলে মেয়ের জাতীয় পরিচয় পত্রে দেয়া আছে ১৯৮৭ সাল। সুতরাং মায়ের চেয়ে মেয়ে তিন বছরের বড়। এই ভুলটি কার? আমার, আপনার নাকি সরকারের?
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পর জন্মনিবন্ধন এবং পাসপোর্ট সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ন ডকুমেন্ট অনলাইনে ঢুকায়।
এখন দেখি কিভাবে জন্মনিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল থাকে:-
০১। ২০০৭ সালে যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে জন্মনিবন্ধনের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। আমি এমনটি শুনেছি যে “রাকিব ও তার পরিবার কে খুজে পায় নি। তাই রাকিবের প্রতিবেশী এর কাছ থেকে রাকিবের তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।” এখন রাকিবের প্রতিবেশী কি রাকিবের জন্ম তারিখ জানে? এখানে নিশ্চই রাকিবের প্রতিবেশী রাকিবের জন্ম তারিখ অনুমানে বলেছে। তাই এখানে রাকিবের জন্ম তারিখ ভুল হয়েছে। এখন রাকিবের বাসায় এসে ইউনিয়ন/ পৌরসভা/ কাউন্সিলরের অফিসে গিয়ে নিজের তথ্য যাচাই করে আসা উচিত ছিলো।
০২। আরেটি ভুল করেছে আমার নানা। মনে করেন আমার আম্মুর নাম মোছা: আসিয়া ইসলাম। আমুর আম্মুর জন্ম নিবন্ধনে আর জাতীয় পরিচয় পত্রে মোছা: আসিয়া ইসলাম। নানায় আবার আমার জন্ম নিবন্ধনে লিখেছেন “আছীয়া ইসলাম। মোছা: আসিয়া ইসলাম থেকে আছীয়া ইসলাম হয়ে গেছে। ক্লাস নাইনে আমি তেমন সচেতন ছিলাম না। আমি আমার জন্মনিবন্ধন দেখে দেখে এসএসসি রেজিষ্ট্রেশন আর জাতীয় পরিচয় পত্র করেছি। এখন পাসপোর্ট করতে এসে দেখি এর জন্ম নিবন্ধনে এই অবস্থা। এখন জন্ম নিবন্ধন জাতীয় পরিচয় পত্র আর এসএসসি সার্টিফিকেট সব সংশোধন করার চেষ্টা করছি।
০৩। আরেটি ভুল করেছে আমার নানী ও তার বোনেরা । আমার নানী তার বাপের এর নাম লিখেছেন “লাল মিয়া সরকার।” তার বড় বোন আবার লিখেছে “সৈয়দ লাল মিয়া চৌধুরি।”
০৪। ডাটা এন্ট্রি অপারেট হয়তো দু একটি ভুল করতে পারে এন্ট্রি করার সময়।
০৫। যারা ফরম পূরন করেন তারা বেশী ভুল করেন। যেমন আমি বলনাম “আনিস সরকার”। আর উনি পূরন করলেন “আনিছ শরকাড়” বুঝছেন ব্যাপারটা।
ভুল না করার উপায়।
অটোফিল সিস্টেম: এটা একটি নতুন প্রযুক্তি। এতে করে আপনি আপনার তথ্য অটোমেটিক ফিলাপ হয়ে যাবে। শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট অফিসে এই সিস্টেম চালু করা উচিত। আমি জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিবো। আমার সকল তথ্য অটোমেটিক ফিলাম হয়ে যাবে। মনে করেন আমি এসএসসি রেজিষ্ট্রেশনে আমার আমার জন্ম নিবন্ধন কম্পিউটারে ঢুকালাম। আমার রেজিষ্টে্রশন ফরম অটোমেটিক ফিলাপ হয়ে গেলো। পাসর্পোট ফরমেও আমার জন্মনিবন্ধন নাম্বার ঢুকালে পাসপোর্ট ফরম অটোমেটিক ফিলাপ হয়ে যাবে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
নাহল তরকারি বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই নামের ভুলের খেশারত মেলাদিন দিতে হবে।
আমার এবং আমার পরিবারের কারো ইনফোতে কোনো ভুল নেই। সকলের সকল তথ্য একই।
সমাজের উপকার করার আগে নিজে সচেতন হন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮
নাহল তরকারি বলেছেন: এখন আমি সচেতন। আপনিও সচেতন। অন্য কেউ সচেতন তো?
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০২
রানার ব্লগ বলেছেন: এই সমস্ত ভুলের জন্য সাধারন মানুষের যে যন্ত্রনা হচ্ছে তার দায়ভার কে নেবে ?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি ১ নং, ২ নং এবং ৩ নং এর ক্ষেত্রে জণগণ এর অসচেতনতা দায়ী।
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: এখন আমি সচেতন। আপনিও সচেতন। অন্য কেউ সচেতন তো?
আপনার কি মনে হয়? সামুর ব্লগারা সবাই এই বিষয়ে অসচেতন?
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮
বিটপি বলেছেন: মোছাঃ শব্দের মানে কি?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
নাহল তরকারি বলেছেন: মোছাম্মদ কে সংক্ষেপে অনেকে মোছাঃ বলে।
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১১
বিটপি বলেছেন: মোছাম্মদ শব্দের মানে কি?
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৩
নাহল তরকারি বলেছেন: তা তো জানি না।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটাও ভালো বিষয়ের উপর পোস্ট।
ভুল হওয়ার কারণ যা লিখেছেন তা অন্যতম। সে-সময় কেউ ধারণা করেন নি এই এনআইডির গুরুত্ব এত বেড়ে যাবে। যারা নাম সংগ্রহ করেছেন, ভুল শুধু তারাই করেন নি। যিনি নিজের নাম দিয়েছেন, তিনিও করেছেন। তিনি নিজের নাম কালাম হোসেন, বাবার নাম জামাল হোসেন দিয়েছেন, মায়ের নাম আমেনা বেগম দিয়েছেন। আবার বাবার কাছে যাওয়ার পর বাবা তার নিজের নাম দিয়েছেন জামাল মিয়া, মা তার নিজের নাম দিয়েছেন আমেনা খাতুন, আর স্বামীর নাম দিয়েছেন আব্দুল জামাল, এভাবে দেখুন, একই বাড়িতে কীভাবে কতগুলো ভুল হয়ে গেল। টাইপ করার সময়ও বানান ভুল হয়েছে অনেক। কোথাও আকার বাদ, কোথাও ই-কারের জায়গায় ঈ-কার, কোথাও নামের একটা অংশই বাদ পড়ে গেছে। অনেক সংগ্রহকারী আবার আন্দাজে বাবা-মায়ের নাম বসিয়ে দিয়েছেন। আমার কয়েক ভাইবোন ও শ্যালক-শ্যালিকাদের এই বিপত্তি। তাদের গুলো সংশোধন করতে যেয়ে জান শেষ হয় আর কী
নতুন প্রজন্মের জন্য যা করতে হবেঃ সবার আগে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। তার জন্ম নিবন্ধনের সময় মা-বাবার জন্ম নিবন্ধন বা এন আই ডি'র সাথে শতভাগ মিল রেখে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে হবে। বাচ্চা স্কুল ভর্তে হবার সময় জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী নাম লিখতে হবে। বাচ্চার পিইসি/জেএসসি/এসএসসির সময়ও পুনিরায় সতর্কতার সাথে জন্ম নিবন্ধনের সাথে মিলিয়ে নিতে হবে। অনেকে এখানে ভুল করে বসে। জন্ম নিবন্ধন থেকে আলাদা জন্মতারিখ দিয়ে বসে। বর্তমান কালে এটা চেঞ্জ করা অনেক ঝামেলার। জন্ম নিবন্ধন, এন আই ডি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টি আই এন, বি আই এন, ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, জমি ক্রয়-বিক্রয়-রেজিস্ট্রেশন, ইত্যাদি - সবগুলোতেই ব্যক্তিগত তথ্য এক হতে হবে। আর এগুলোর জন্য চাওয়া হবে মূলত এন আই ডি কার্ড, তার সাথে পাসপোর্ট বা অন্যান্য সনদও। মানুষ সমস্যায় না পড়লে এগুলো সঠিকভাবে মেইনটেইন করার গুরুত্ব বুঝবে না। আমাকে এগুলোর সবগুলো নিয়াই ডিল করতে হয়, তাই আমার এগুলো সময়মতো ঠিক করে নেয়া হয়েছে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪১
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনি কি সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। আমি যদি আপনার মত গুছিয়ে লেখতে পারতাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৫
ককচক বলেছেন: এইসব ব্যাপার গভমেন্ট জানে। সংশোধনের সহজ প্রসেসও আছে। কিন্তু ইউনিয়ন ও পৌরসভার লোকজন সহজ প্রসেসটা জটিল করে তুলেছে। তারা অতিরিক্ত টাকাসহ বিভিন্নভাবে মানুষকে হয়রানি করে, সংশোধনের চেষ্টা করলে হয়রানির কোনো শেষ নাই।