নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
একদেশে ছিলো এক শিক্ষিত ছেলে। সে পকেটমার ছিলো। একদিন সে পকেট মারতে গিয়ে ধরা খায়। এবং জেলে যায়। জেলে গিয়ে দেখে টাইপ রাইটার। এই টাইপ রাইটার সে টিপতে লাগলো। অল্প দিনে সে এই টাইপ রাইটারে দক্ষ হতে লাগলো। এবং জেলখানার সব অফিসিয়াল কাজ করতে লাগলো। এটা দেখে জেলার সাব লর্ড হারি ওয়াল ছেলেটিকে একটি টাইপ রাইটার ও কাগজ উপহার দেয়।
তারপর সে এই টাইপ রাইটার নিয়ে কোর্টে চলে যায়। একটি ভাঙ্গা টেবিল ও চেয়ার নিয়ে বসে পড়ে। প্রথম দিনে পাচ টাকা ইনকাম হলো। এ এক বিশাল টাকা। এক দিন, দুই দিন এভাবে করতে করতে সে কোর্ট এর সামনে একটি দোকান ও একটি হোটেল দিয়ে দিলো। হোটেল এবং তার দোকান বেশ চলতে লাগলো।
তারপর সে কোর্টের সামনে একটি সাইকেল এর গ্যারেজ দিলো। কোর্টে আসা দর্শনার্থীরা এখানে টাকার বিনিময়ে সাইকেল রেখে যেতো। এতে করে তার খুব ইনকাম হতে লাগলো। ১৯৪৭ সাল। পুরো দেশজুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বিরাজ করছে। হিন্দুরা পুরছে মুসলিম এর সম্পদ। আর মুসলিম পুরছে হিন্দুদের সম্পদ। এতে করে ঐ ছেলেটিরও দোকান পুরে যায়।
১৯৪৭ সাল। দেশ ভাগ হয়েছে। ধর্ম অনুযায়ী সে তার দেশে গিয়েছে। এবং নতুন করে শূন্য থেকে শুরু করেছে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০১
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনি খুব ভাগ্যবান।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪১
বিটপি বলেছেন: কি নিয়ে লিখতে চেয়েছেন? টাইপরাইটার? আত্মনির্ভরশীলতা? সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা? নাকি অন্য কিছু?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০২
নাহল তরকারি বলেছেন: এটা শুধু মাত্র জীবনের একটি গল্প মাত্র।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: আমাদের বাসায়ও এই টাইপ রাইটার ছিলো।
আমিও পারি কারণ আমার সামনে যা পড়ে আমি তাই শিখতে চাইতাম।
তখন আমাকে আমার বাবা শিখিয়েছিলো। সেমিকোলন এফ ডি এস পি কি কি যেন সব নিয়ম মানে ওভাবেই আঙ্গুল দিয়ে কি চেপে শিখতে হয়। আর উপরের একটা অংশে এক রকমের পেপার দিয়ে দিতে হয় সেটা সরে সরে যায় লেখার সাথে সাথে।
আহা কি আনন্দের শত স্মৃতি।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৩
নাহল তরকারি বলেছেন: টাইপ রাইটারের আওয়াজ খুব মধুর ছিলো।
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনিও একটি টাইপ রাইটার নিয়ে বসার চিনতা করছেন নাকি?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
নাহল তরকারি বলেছেন: আগে মানুষ গরুর গাড়ি দিয়ে যাতায়াত করিতো। এখন মানুষ হোন্ডা দিয়ে চলাচল করে।
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাহ! অল্প কথায় সুন্দর লিখেছেন। বাক্য গঠন ভালো, কোনো বানান ভুল নেই, এজন্য পড়তেও ভালো লেগেছে।
শূন্য থেকে শুরু করে সে কি সফল হতে পেরেছিল দ্বিতীয়বার? সেটা বলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা থেকেই বোঝা যাবে জীবন সংগ্রামে সে জয়ী, নাকি বিজয়ী। বিজয়ীরাই অন্যান্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়।
নাহোল, আপনার এ পোস্টে আমার একটা কমেন্ট ছিল। সময় করে ওটার রিপ্লাই দেবেন আশা করি।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৬
নাহল তরকারি বলেছেন: সে দ্বীতিয় বার জয়ী হয়েছিলো কিনা এটা না হয় রহস্যতেই থাকুক। আমি এটা রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন ছোট গল্পের মত করে লিখতে চেয়েছিলাম।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০২
মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যের জন্য দুঃখিত। আমি ৮/১০ দিন আগে ব্লগার হিসেবে রেজিস্ট্রার করি। লিখা পোস্ট ও করেছি কিছু৷ কিন্তু এগুলো প্রপ্রথম পাতায় আসছে না কেন? ঠিক কয়দিন পর লিখা প্রথম পাতায় আসবে?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার লেখা মনে হয় এডমিন প্যানেল এর পছন্দ হয়নি।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি এটা রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন ছোট গল্পের মত করে লিখতে চেয়েছিলাম।
না। এ ধরনের লেখায় ব্যক্তির সাফল্যগাথাটায় কোনো রহস্য রাখা যাবে না। একজন মনোবল হারানো মানুষ সেই সাফল্যগাথায় উজ্জীবিত হবে। গল্পের রহস্য অন্য জিনিস- শেষ হয়েও হবে না শেষ। আদতে সেটা শেষই হয়ে যায়, কিন্তু শেষটা হলো এরকম যে, আরো কিছু কেন হলো না? বা, আর কী কী ঘটতে পারতো।
ধন্যবাদ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩
নাহল তরকারি বলেছেন: এখন থেকে গল্পে Happy ending থাকিবে।
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩১
শেরজা তপন বলেছেন:
'আপনার 'না হল ভাত- না হল তরকারি' বড় ভাই ফের ব্লগে সচল হয়েছেন! একটু দেখা সাক্ষাত করে হাল হকিকত জিজ্ঞেস করে আসবেন। না হলে ফের এমন কোন ঐতিহাসিক মন্তব্য কখন ফের আপনার পাতে পড়বে আল্লা মালুম!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩
নাহল তরকারি বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এই টাইপ রাইটারে টাইপ করতে পারি। এক সময় করেছি।
আমার বাবার এই টাইপ রাইটারে টাইপিং স্পিড ছিল প্রায় ৬০ টা শব্দ প্রতি মিনিটে। এত দ্রুত টাইপ করতে আমি আর কাউকে দেখিনি। এখন অবশ্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপে দেশে বিদেশে অনেকের টাইপিং স্পিক মিনিটে ৬৫-৭০ পর্যন্ত হয়। যদিও এই স্পিড খুব কম লোকেরই থাকে।