নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
ফেরাউন কোন ব্যাক্তি বিশেষ এর নাম নয়। বরং প্রাচীন মিশরে রাজাদের ফেরাউন বলা হতো। কেউ ফেরাউন বলে আবার অনেকে ফারাও বলে। বিভিন্ন ইতিহাসবিধ ও মুসলিম ওলামাগণ Ramesses II এর কাছে মূসা (আঃ) কে পাঠান, হেদায়েত এর উদ্যেশ্যে। বা আমরা কোরআন শরীফে যে ফেরাউন এর বর্ণনা দেয়া আছে তার নাম Ramesses II. তার রাজত্ব ছিলো আনুমানিক ১২৭৯ বিসি থেকে ১২১৩ বিসি। তাঁর রাজত্বের প্রথম অংশটি শহর, মন্দির এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দিকে মনোনিবেশ করেছি। তিনি শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাই-রামেসেস ইন নীল ডেল্টা তার নতুন রাজধানী হিসাবে এবং এটি তার প্রচারের মূল ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করেছে সিরিয়া।
আজ জেনে নেই তার পতনের কারনঃ
০১। তার পতনের প্রধান কারন ছিলো ক্ষমতার ক্ষুধা। সে চেয়েছিলো সবাই তাকে সৃষ্টিকর্তা ভাবুক। নাউজুবিল্লা। তাই তিনি সর্বপ্রথম তার রাজ্যে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়। যার কারণে ৫ বা ৬ বছরের মধ্যে তরুন প্রজন্ম মূর্খ হয়ে যায়। এই তরুন প্রজন্ম যদি মূর্খ হয়ে যায় তাহলে ভবিষৎ এ দেশ চালাবে কে? দেশ চালানোর জন্য শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী দরকার। এখন যদি বিদ্যালয় বন্ধ থাকে তাহলে মূর্খরা দেশ চালাবে। আর মূর্খরা দেশ চালালে দেশ দুর্নীতি, অজারকতা এবং বহ্নি শক্তির আক্রমন হবেই।
০২। ফেরাউন দ্যা Ramesses II এর আমলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা যায়। অতিরিক্ত খরা এর জন্য খাদ্য শস্য উৎপন্ন হয় নি। আর পরে আবার অতিবৃষ্টির জন্য বন্যা হয়ে ছিলো। যার ফলে দেশের দুভিক্ষ দেয়া দেয়। ফেরাউন ও তার প্রশাসন দুর্ভিক্ষের আবাস পায় নি। তাই তারা সু দিনে তারা খাদ্য মজুদ করে রাখে নাই। যার ফলে প্রাকিতিক দুর্যোগ এ ফেরাউন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে নি।
০৩। দুর্ভিক্ষের পর দেশে মাহামারি দেখা দেয়। দুর্ভিক্ষের রেশ না কাটতেই নমরুদের রাষ্ট্রে মহামারি দেখা দেয়। যা নমরুদের ক্ষমতার ভিত দেখা দেয়। ফেরাউন বিদ্যালয় বন্ধ রাখার কারনে কোন ডাক্তার কবিরাজ তৈরি হয় নি। এই সামন্য রোগ মহামারিতে রুপ নেয়।
০৫। দুর্ভিক্ষের পর। সব কিছু স্বাভাবিক। এখন সবাই ক্ষেত ক্ষামারে কাজ করতে যায়। এর কিছুদিন পর পঙ্গাপাল ও ব্যাঙ সকল ফসল কে নষ্ট করে দেয়। যার ফলে দেশের খাদ্য সংকট এবং অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়।
০৬। ফেরাউন দ্যা Ramesses II এর আমলে সুপেয় পানির অভাব দেখা যায়। যা সে সময় মানুষদের বেশ কোনঠাসা করে দিয়েছিলো।
০৬। সে সময় সংখ্যা লঘু ছিলো বনী ইজরাইল। আমরা যাদের বর্তমানে ইহুদি বলি। ফেরাউন দ্যা Ramesses II এই বনী ইজরাইল এর অনেক পুত্র সন্তানদের মেরে ফেলে। ফেরাউন দ্যা Ramesses II এর এলিট লোকজন বনী ইজরাইলদের দাস বানিয়ে রাখতো। বনি ইজরাইল এর পুত্র সন্তান মেরে ফেলার জন্যে এক সময় তারা কাজ করানোর জন্য দাস খুজে পায় না। অতছ ফেরাউন দ্যা Ramesses II এর অর্থনীতি দাড়িয়ে ছিলো এই বণী ইসরাইল দাসদের উপর।
ফেরাউন দ্যা Ramesses II এর এক সন্তান মৃত্যুর পর পরই বনি ইজনাইল দের দাসত্ব থেকে মুক্তি দেয়। এবং মূসা (আঃ) এর সাথে বনী ইজরাইল এর লোকেরা ফিলিস্তীনির দিকে চলে যায়।
পরে ফেরাউন দ্যা Ramesses II এর হুস আসে। কারন এই দাসগুরো ছেড়ে দিলে তো ওর রাজত্বের অথনৈতিক ধস নামবে। পরে ফেরাউন দ্যা Ramesses II সৈন্য নিয়ে বনী ইসরাইলদের এরেস্ট করার জন্য বাহির হয়। মূসা (আঃ) এবং বনী ইজরাইল নীল নদ পার হতে পালেও। ফেরাউন দ্যা Ramesses II নীল নদ পার হতে পারনে নি। ফেরাউন দ্যা Ramesses II নীল নদে ডুবে মারা যান।
ফেফেরাউন দ্যা Ramesses II এর পরে হয়তো সুদান এর লোকেরা মিশর আক্রমন করে। মিশর সুদানের কাছে পরাধীন হয় যায়। এভাবে ধ্বংস হয়ে গেলো একটি রাষ্ট্র। দেশে দুর্নীতি, অজরকতা না থাকলে Ramesses II মৃত্যুর পর মিশর সুদানের অধীনে চলে যায় না। শাকস কে একটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। সেটা তিনি করতে পারেন নাই। আবার তার সময় অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা দুর্বল হয়ে যায়। বহিঃ শক্তি আক্রমন করলে কিভাবে প্রতিরোধ করবে, তেমন পরিকল্পনা মিশরীয়দেরর ছিলো না। যার ফলে Ramesses II এর মৃত্যুর পর মিশর সুদানের অধীনে চলে যায়। যদিও এসব আল্লহর গজব বলে কথা।
তথ্যসূত্র:
ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআন এবং বাইবেল।
এবং Wikipedia.
মোঃ নাহল ইমরোজ
অনার্স(রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মাষ্টার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
নাহল তরকারি বলেছেন: কোরআন শরীফ।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭
সোনাগাজী বলেছেন:
রেমেসিস কি নীল নদের পানিতে ডুবেছে, নাকি লোহিত সাগরের পানিতে ডুবেছে?
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৩
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি তো জানি নীল নদে লিখেছেন।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভাই কোরাণের কোথাও বলা নেই যে ফেরাউন মানে হলো রামেসিস ২ । আপনি হয়তো তাফসির পড়ে এটা বলছেন । তবে বেশ ভালো লিখেছেন আপনি !
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৪
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি শুধু ধর্মের দিকটি তুলে ধরে নি। আমি শুধু চেষ্টা করেছি কেন সেই লোকের পতন হয়েছে।
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি মাষ্টার ডিগ্রি শেষ করেছেন, অভিন্দন। এখন আপনি প্রাইমারী স্কুলে ফিরে যাবার কথা ভাবছেন?
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৫
নাহল তরকারি বলেছেন: ভর্তি করাবেন?
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনাকে আগেও বলেছি পেটে ক্ষধা নিয়ে লিখবেন না।
এই সব কি আবল তাবল লেখেন মিয়া!!
বিভিন্ন ইতিহাসবিধ ও মুসলিম ওলামাগণ Ramesses II এর কাছে মূসা (আঃ) কে পাঠান, হেদায়েত এর উদ্যেশ্যে।
কি খেয়ে লিখেন এইসব?
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৫
নাহল তরকারি বলেছেন: কোন ভুল থাকলে লিখে দিন। আমি সংশোধন করে দিবো।
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩
আরইউ বলেছেন:
তরকারী সাহেব, আপনি অন্যের লেখা চুরি না করে নিজের মত লিখছেন। আপনার লেখার স্বাধীনতা আছে; আপনি যা খুশি লিখতেই পারেন, তা যত দূর্বল মানের, ভুল তথ্য ও ধারনায় ভরপুর হোকনা কেন। াল ছাল লেখা পড়ে অন্যেরা বিরক্ত হলেও আপনি আপনার মত লিখে যান।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৬
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক আছে। আপনি শিখিয়ে দিন আমি কিভাবে লিখবো।। আমি আপনার কাছ থেকে শিখতে চাই। শিখাবেন, কিভাবে লিখে।
৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: পড়লাম
৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি কি ভুল লিখেছেন সেটিতো পরিষ্কার ভাবে লিখছি আমি।
মুসাকে বিভিন্ন ইতিহাসবিধ ও মুসলিম ওলামাগণ পাঠিয়ে ছিলো নাকি আল্লাহ পাঠিয়েছিলো?
৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: যাই হোক আপনার লেখার মান একটু হলেও বেড়েছে।
এত বকা-ঝকা বৃথা যায়নি। আপনিও রেগে মেগে কিংবা অভিমানে ব্লগ ছেড়ে নাদিয়ে, ধৈর্য ধরে লিখে গিয়েছেন।
চেষ্টা করে যান- অবশ্যই একদিন সবার প্রিয় ব্লগার হবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩১
রানার ব্লগ বলেছেন: তথ্য সুত্র দিলে ভালো হতো নতুবা ইহা কল্প কাহিনী মনে হচ্ছে । কাহিনীতে গোজামিল মনে হচ্ছে ।