নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
১৯৫২ সাল, ২১ শে ফেব্রুয়ারি। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে, বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করার জন্য মিছিল নিয়ে বাহির হয় অনেক বাঙ্গালী। এর মধ্যে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিউর সহ আরো অনেকে। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল আসলে, পুলিশ মিছিলের উপর গুলি বর্ষন করে। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিউর শহীদ হয়।
সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিউর সহ নাম না জানা সকল ভাষা শহীদের প্রতি রইলো আমার ভালোবাসা। সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের আত্নার শান্তি কামনা করি।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সূত্র: Wikipedia
২১ শে ফেব্রুয়ারি। মাজে মাজে আমার মনে প্রশ্ন জাগে? আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কি শুধু আমাদের দেশে আবেগের সাথে পালন করা হয়? অন্যান দেশ কি এই দিন কে স্মরণ করে?
তবে আমার কাছে ভালো লাগে ইলেকট্রনিক জগতে বাংলা অক্ষরের ব্যাবহার। ২০০৭ সালে আমাকে আমার নানা একটি মোবাইল গিফট করে। নকিয়া ১৬০০. আমার কাছে এই মোবাইল ভালো লেগেছিলো, কারন এখানে বাংলা তে এসএমএস করা যেতো। তখন আমার বন্ধু রাফসান এর মোবাইলেও বাংলা অক্ষর সাপোর্ট করতো। বাংলালিং সিমে তখন ২০ টাকার ১০০ এসএমএস দিতো। আমরা এই অফার নিতাম। আর দুই বন্ধু বাংলায় এসএমএস করতাম।
২০১১ সালে আমি এসএসসি পরীক্ষা হয়। আমার এসএসসি পরীক্ষার সেলামী দিয়ে একটি মোবাইল ক্রয় করি। নকিয়া ৫১৩০। এটাতে ইন্টারনেট ছিলো। সে সময়ের জন্য সেটা ছিলো এক প্রকার স্মর্ট ফোন। সেই নকিয়া ৫১৩০ দিয়ে ফেসবুক চালাতাম। বাংলায় অক্ষরে পোস্ট করতমা। বাংলা অক্ষরে চ্যাটিং করতাম। Ami bhat khay. জাতীয় ম্যাসেজ করতাম না।
২০১৪ সালে 3G ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের হাতে এন্ড্রোয়েট ফোন। রিকমী কি বোর্ড ও বিজয় কী বোর্ড দিয়ে এন্ড্রোয়েট মোবাইলে বাংলা টাইপ করা যেতো।
এখনো অনেকে আছে যারা বাংলা অক্ষরে কোন কিছু টাইপ করতে পারে না। তাদের বাংলা টাইপ করা অভ্যাস করা উচিৎ।
©somewhere in net ltd.