নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
ফেসবুকের নতুন রুপ আমার কাছে একটু ও ভালো লাগে না। আমি যখন প্রথম প্রথম ফেসবুক চালাতাম তখন ফেসবুক চালানো একটা আভিজাত্যের ব্যাপার ছিলো। ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষার শেষের দিকে একটি নকিয়া মোবাইল ক্রয় করি। Nokia 5130। এটা দিয়ে তখন ইন্টারনেট চালানো যেতো। গান শুনা যেতো।
সেই Nokia 5130 এ বাই ডিফল ওয়েব ব্রাউজার ছিলো ওপেরা মিনি। ওপেরা মিনি দিয়ে ঠিক এমন ভাবে নিউজ ফিড আসতো।
আমাদের ২০১১ সালের এসএসসি বেইসে, ২০১১ সালে মুষ্টিমেয় কিছু ছেলে ফেসবুক চালাতাম। তখন ফেসবুকে পোস্ট দিতাম। বন্ধুদের হাই হ্যালো করতাম। প্রায় অধিকাংশ সময়ে বন্ধুরা একে অপরের টার্চে থাকতাম। এখন অধিকাশ বন্ধুরা কর্মজীবন ও পারিবারিক কাজে ব্যাস্ত। তাই আগের মত যোগাযোগ হয় না। আমিও তেমন চ্যাটিং করার সময় পাই না। অধিকাংশ সময়ে ইনবক্স এ কোন ম্যাসেজ থাকে না। একটা সময়ে ফেসবুক ম্যাসেজ অপসনে ৫ থেকে ৬ ম্যাসেজ জমা থাকতো।
২০১১ সালে আমরা তখন গল্প লিখে পোস্ট করতাম। ছবি পোস্ট করতাম। তখন 2G ছিলো, আর সবার কাছে স্মার্ট ফোন ছিলো না। তাই কেউ ফেসবুকে ভিডিও দেখতো না।
২০১৪ সালে 3G আসলো। এন্ডোয়েট এর মত স্মার্ট ফোন আসলো। ফেসবুক app আসলো। অনেকের জন্য ফেসবুক চালানো সহজ হলো। তখন আমাদের এসএসসি বেইসের অনেক বন্ধুদের ফেসবুকে দেখলাম। তখনও ফেসবুক একটি ভালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিলো।
২০১৬ সালের দিকে 4G আসলো। ঐ সময় ইউটুবে ভিডিও দেখার এক প্রকার ঝোক সৃষ্টি হয়। তখন ফেসবুকেও সবাই ভিডিও দেখতো। কেউ ভিডিও ছাড়তো। এই সময় থেকে আসতে আসতে আমার কাছে বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ায়। তখন গ্রামের ছোট ভাই ব্রদারেরাও ফেসবুক চালাতে থাকে।
তখন তাদের মধ্যে একটা নেশা সৃষ্টি হয়। সেটা হচ্ছে ভাইরাল হবার চেষ্টা। এই ভাইরাল হবার জন্য সবাই নোংরা, আজেবাজে, মানহীন কনটেন্ট বানাতে থাকে। এগুলা আমার মজার ছলে ভাইরালও হতো। যে জিনিসটা একবার ভাইরাল হয়, দেখা গেছে নেই জিনিসটা বারবার নিউজ ফিডে ভাসতে থাকে। কিছু দিন আগে সম্ভবত কোন এক ছাত্রীর ছবি ভাইরাল হয়। আমি ফেসবুকে ঢুকলেই দেখতাম ঐ মেয়ের ছবি।
আর টিকটকের দেখাদেখি ফেসবুক রিল বাহির হয়েছে। এখন ভাইরাল হবার জন্য অশালীন ভাবে ভিডিও করে। ডাবল মিনিং ওয়ালা শর্ট ভিডিও বানায়। আর ওরা যে সকল ড্রেস পড়ে সেগুলো দেখলে যে কারো কাম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আধুনিকতার নামে বেহায়া এর মত চলে। কাপড়ে কোন স্মর্টনেস নাই। এই কাপড়ে ধর্মের কোন ছোয়া নাই। এমনকি মর্ডান ধাচের কাপড়ও সেগুলা না।
আর এখন ফেসবুকে বেশী ছড়াচ্ছে গুজব। ২০১৫ সালে বা ২০১৬ সালে। ছেলে ধরা নিয়ে একটি গুজব সৃষ্টি হয়। এই ছেলে ধরা সন্দেহে এক অভিবাবক কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একই সময়ের দিকে কোন এক বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা চালানো হয়। আবার ফেসবুকে ধর্মীয় অববাননা বেশী হয়। হিন্দুরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। আবার মুসলিমরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। যার প্রভাব পড়ে রাজ পথে। দাঙ্গা সৃষ্টি হয়। অনেক মানুষ মারা যায়। অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়।
আমাদের সময়ে এসব ছিলো না। আমরা আমাদের মনের আবেগ প্রকাশ করতাম। নিজেদের ছবি প্রকাশ করতাম। কোন বাজে কমেন্ট করতাম না। এখন মানুষ কোন কিছু শেয়ার করার নামে নিজেদে প্রাইভেসি নষ্ট করছে।
যাই হউক। আমাদের সময় রিল ছিলো না, ভাইরাল হবার নেশা ছিলো না, আজে বাজে মানহীন কনটেন্ট ছিলো না, অহেতুক কোন কিছু ভাইরাল হতো না। আমাদের সময় ফেসবুকে একে অপরের খোজ খবর নিতাম। বাপ মা কে সময় দিতাম। বাস্তব বন্ধুদের বেশী সময় দিতাম। তাই আমাদের সময় এর ফেসবুক খুব ভালো ছিলো।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নাহল তরকারি বলেছেন: খারাপ জিনিস গুলো এরিয়ে যেতে হবে।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নাহল তরকারি বলেছেন: খারাপ জিনিস গুলো এরিয়ে যেতে হবে।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- লেখার মান খুবই ভালো হয়েছে। চালিয়ে যান।
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩২
বিটপি বলেছেন: ফেসবুক এবং এর স্রষ্টা মার্ক জুকারবার্গের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ফেসবুকের কারণেই আমার মনের সাথে মিলে - এরকম অনেকের খোঁজ পেয়েছি। আমার স্কুলের পুরনো বন্ধু বান্ধবদের খুঁজে পেয়েছি। আমার অনেক আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগের বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমার ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতেও ফেসবুকের কিছুটা অবদান আছে। খারাপ কিছু [রভাব থাকলেও ফেসবুক ওভারঅল ভালোই করেছে বেশি।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১১
শায়মা বলেছেন: সব সময় সবাই ভাবে আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!
আসলে আগে না মানুষ বর্তমানে যে দিন কাটায় সেটাই সবচেয়ে ভালো।
আগের এবং পিছের সবখানেই সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনার পাাশাপাশি শালীন অশালীন সবই থাকে। যুগের সাথে পরিবর্তন থাকে। এই পরিবর্তনেরও ভালো মন্দ দুইটা দিক থাকে।
যে যেটার মানুষ সেটাই বেছে নেয়।
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ফেসবুকের ভাল মন্দ দুই দিকের ই প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে । সময়ের সাথে সবকিছুতেই এমন হয়। শুধু ভালো টা গ্রহণ করতে হয় মন্দ বর্জন করতে হয়। আমাদের কাজ হলো ভালো কে উৎসাহিত করা আর মন্দকে নিরুৎসাহিত তথা বর্জন করা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সময়ের চাহিদা অনুসারে সবকিছুকে আপডেট তো করতেই হয়।