নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
সড়ক দুর্ঘটনায় কয় জন লোক মারা গেছে সেই পরিসংখ্যানে যাবো না। মুন্সীগঞ্জ জেলার, গজরিয়া উপজেলার ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে রাস্তা পার হতে গিয়ে অনেক লোক মারা গেছে। ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে রাস্তা পার হবার সময় কয়জন লোক মারা গেছে সেটার কোর পরিসংখ্যান নাই।
৩০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ। আমি সন্ধ্যায় গাইবান্ধা রেল স্টেশন গিয়েছিলাম ট্রেনের টিকেট আনার জন্য। আব্বুর সরকারি কোয়াটার এ আসার সময় একটি দুর্ঘটনা থেকে বেচে গিয়েছিলাম। হোন্ডা দিয়ে বাসায় আসতে ছিলাম। হোন্ডা চালাচ্ছিলেন আমার আব্বুর এক কলিগ। আমি পিছনে বসা। গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস এর সামনে তিনজন মহিলা রাস্তা পার হচ্ছিলো। আমার আঙ্কেল হোন্ডার হর্ন বাজাচ্ছিলো। হোন্ডার হর্ন শুনিয়া তারা হকচকিয়ে গেলো। মনে হচ্ছিল যেন তারা “পাগলা গরু দৌড়াতে দেখতাছে।” এই ভয়ে একজন দৌড়ে রাস্তা পার হয়েছে। একজন ভয়ে পিছনে চলে গেছে। আরেকজন হোন্ডার দিকে “হা” করে কিম্ভূতকিমাকার হয়ে দাড়িয়ে আছে। আমার আঙ্কেল এই পরিস্থিতি দেখে কষে ব্রেক করেছে। এখন যদি আমাদের পিছনে বাস, ট্রাক, প্রাইবেট কার থাকতো তাহলে আমরা দুর্ঘটনার স্বীকার হতাম। বা হোন্ডার ব্রেক না কষলে ঐ তিনজন বোকা মহিলা (যারা রাস্তা পার হতে জানে না।) তারা মারা যেতো। দুঘর্টনার পরি ঐ তিন জন মহিলা হয়ে যেতো ভদ্র মহিলা। দোষ হতো হোন্ডা চালকের।
নারায়ণগঞ্জ জেলার নাম সবাই শুনেছেন। নারায়ণগঞ্জ এর ঐতিয্যবাহী উপজেলা আছে। নাম সোনারগাওঁ উপজেলা। এই উপজেলাতে মোগরাপাড়া নামক একটি বাস স্ট্যান্ড আছে। যেটা ঢাকা চট্টগ্রাম হাই ওয়ের একটি অংশ। আমি সোনারগাওঁ সরাকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেছি। আমি মোগরাপাড়া থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম। সেখানে একটি ফুট ওভার ব্রীজ আছে। অধিকাংশ লোক এই ফুট ওভার ব্রীজ ব্যাবহার করে না।
এখন আমাদের ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে ফুট ওভার ব্রীজ হলে কি আমাদের গজারিয়াবাসী কি সেটা ব্যাবহার করিবে?
০২ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাঙালী পৃথিবীর যে প্রান্তে যায় সে প্রান্তেই এই ধরনের কাজ করে বেড়ায়। প্রতিদিন যখন বাইরে হাটতে বের হই, তখন অবশ্য শুধু বাঙালী নয়, সকল বাদামী চামড়ার একই স্বভাব চোখে পড়ে। সিগন্যালের তোয়াক্কা না করেই হাটা শুরু করে। আমেরিকায়, বিশেষ করে নিউ ইয়র্কে প্রচুর বাঙালী লোক ট্যাক্সি চালায়, তাদেরকেও দেখি নিয়ম না মানার প্রতিযোগীতা। সাধারান আমেরিকানদের দেখি তারা মানুষ রাস্তা পার হচ্ছে দেখলে সবুজ সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও গাড়ি থামিয়ে দেন, বাদামীরা চেষ্টা করে কিভাবে মানুষ রাস্তা ক্রস করার আগে তাদের এড়িয়ে গিয়ে পার পাওয়া যায়। জাতিগত খাসিলত বার বারই চোখের সামনে এসে ধরা দেয়। সিগন্যাল না মেনে একজন বাঙালী এমন করতে গিয়ে তার ঠ্যাং হারিয়েছে। মামলা করেও হেরেছে। এ ধরনের খবর শুনতে পেলে যতটানা খারাপ লাগে তার পরিবারের জন্য তার চেয়ে বেশী আনন্দ পাই তার গাধামির ফল দেখে।
প্রতিদিনই যখন আইন মান্য করার তাগিদে আমি রাস্তার এক পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকি, তখন অন্যান্য বাদামী চামড়ার লোকজন আমাকে দেখে চোখ ফেরায়, ভাবে এই লোক মনে হয় নতুন এসেছে আমেরিকায়। আমি অবশ্য ভাবি অন্যকিছু। রাস্তায় নিয়ম না মেনে চলা লোকজনদের খারাপ পরিণতি দেখে আমি কষ্ট পাইনা, মনে হয় আইন মেনে চলার কারনেই হয়তো এখনো ঠিকঠাক আছি। শুধু বলবো, মাইক দিয়ে এ্যানাউন্স করে বা বিজ্ঞাপন দিয়ে কাজ হবে না, তাৎক্ষণিক ধোলাই ছাড়া বাঙালী ঠিক হবে না। লিখার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
০৪ ঠা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০
নাহল তরকারি বলেছেন: বাঙ্গালি বলে কথা।
৩| ০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাসা থেকে বের হলে মৃত্যু টা হাতে নিয়ে বের হতে হয়।
০৪ ঠা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০
নাহল তরকারি বলেছেন: মৃত্যু এমন এক জিনিস। এটা কখন আসবে, সেটার কোন গ্যারান্টি নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭
শাওন আহমাদ বলেছেন: অনেক মানুষই ফুট ওভার থাকা সত্যেও রাস্তার বাঁধ ডেঙ্গিয়ে চলাফেরা করে, ভাই আমরা বিশৃঙ্খল জাতি, আমাদের শৃঙ্খল করা এতো সহজ না।