নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুল কলেজে আর শিক্ষা পাওয়া যাবে না।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০১



ফেসবুকের এই ভিডিওটি আগে দেখুন। উনার কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে যে এখানে সার্কাস চলছে। নতুন কারিকলামে পরীক্ষা ব্যাবস্থা বাদ দিয়ে দিয়েছে। এখন আমি কতটুকু শিখেছে যেটা যাচাই করবেন কি দিয়ে? আগে তো পরীক্ষাতে নম্বর এর মাধ্যমে যাচাই করা যেতো যে আমরা কতটুকু শিখেছি। এখন পরীক্ষা ও নাম্বার ছাড়া কিভাবে যাচাই করবেন যে আপনি কতটুকু শিখেছেন।

আর এখন এগুলো কি শিখানো হচ্ছে? নাচানাচি? এই নাচ করে কি সে সার্কাসে যোগ দিবে? নাকি কোন থিয়েটারে গিয়ে নিজের টেলেন্ড দেখাবে? কর্মমুখী শিক্ষা দিতে চাইলে কৃষি কাজ শিখান। গাড়ি কিভাবে মেরামত করে সেটা শিখান। কিভাবে বাড়ি বানায়, কিভাবে বেসিন ফিট করে, কিভাবে লাইট, ফ্যান লাগায় ওগুলো শিখান। এই নাচানাচি করে শুধু টিকটক করা যায়। হুমায়ুন আহম্মেদ বা হানিফ সংকেত হওয়া যাবে না।

এত এত পরীক্ষা, এত এত মডেল প্রশ্ন মুখস্ত করার পরেও কোনটা Main Verb আর Auxiliary Verb এগুলো শিখেছি ইন্টারে ইংরেজিতে ফেইল করার পর। এত পরীক্ষা দিয়েও সাধারণ একটি জিনিস আমি জানতাম না। এখন পরীক্ষা ছাড়া বর্তমান ছাত্রদের কি অবস্থা হবে সেটা একটু চিন্তা করেন।

এখন একজন এসএসসি পাশ করা ছাত্রকে জ্ঞিগাসা করিয়েন `a, an, the' কে কি বলে? Part of speech কত প্রকার? Noun কি Part of speech এর অন্তর্ভক্ত? the paper ........ the table. শূন্যস্থানে কি হবে? বাংলা ১২ মাসের নাম লিখতে দিবেন। ইংরেজিতে ৭ দিনের নাম লিখবে দিবে। Sunday, Monday, Tuesday, Wednesday, Thursday, Friday, Saturday এগুলো কেউ লিখতে পারবে না।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২১

শায়মা বলেছেন: হুম এই তো অবস্থা!!


তবে সত্যি কি জানো ভাইয়া।

এটাই সঠিক আছে। এইভাবেই আমরাও ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াই। আমরা টিচারেরা একদম শিশুদের লেভেলে গিয়েই তাদের বুকের মধ্যে ঢুকে পড়ে পড়াই। আমাদের স্কুলে ক্লাস ৪ পর্যন্ত পরীক্ষা নেই। আছে ক্লাস এসেসমেন্ট।

পরীক্ষায় সকল শিক্ষার পুলসেরাত পার হবার পথ নয়।


ছোটদের জন্য পরীক্ষা তেমন কোনো মানে হয় না। শুধু শুধু পরীক্ষায় ফার্স্ট সেকেন্ড হবার ভয় দেখানো ছাড়া।

শিক্ষা হবে আনন্দময়। শিক্ষা ভয়ের হলে শিখতেই দেরী হবে। বাচ্চারা জানবেই না কেমনে শিখছে কিন্তু সবই শিখে যাবে। তারা কোনো উত্তর মুখস্থ করবে না তারা ব্রেইন স্টর্মিং করবে নিজের মত করে ভাবতে শিখবে ......


যাইহোক সে অনেক কথা। এই দিয়ে শুরু হলেও অনেক বেশি ট্রেইনিং দরকার এসব টিচারদেরকে। সবাই যত বেশি অনুৎসাহিত করবে তত বেশি মন থেকে নিতে পারবে না টিচারেরা এই সঠিক শিক্ষা পদ্ধতিকে। বরং নেটে সার্চ দাও। দেখোতো উন্নত বিশ্বে বাচ্চাদেরকে কিভাবে পড়ানো হচ্ছে কিভাবে লাইফ স্কিল শেখানো হচ্ছে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৪

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি অবশ্যই দেখবো।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: নতুন করে আর কিছু বলার নেই ।যা বলার শায়মাই বলে দিয়েছে।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪২

পাজী-পোলা বলেছেন: আপনি কি সম্পূর্ণ কারিকুলাম পড়েছেন? শুধু ফেসবুকে কিছু ভিডিও দেখে হুটহাট ডিসিশন নিবেন না। আগে পড়ুন, বুঝুন তারপর কথা বলুন। এই ভুলটা অনেকেই আমরা করি। কোন কিছু সম্পর্কে সম্পূর্ণ না জেনে কিছু একটা পেলেই সেটা নিয়ে সমালোচনা শুরু করে দেই, এতে নিজের মূর্খতামি ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায় না।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ব্লগার শায়মার মন্ত্যব্যের সাথে একমত।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৩

আরোগ্য বলেছেন: রোগ এক হলেও সবক্ষেত্রে এক ওষুধ চলে না। অনেক কিছু বিবেচনা করে ওষুধ দিতে হয়। গণহারে এক ওষুধ দিলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২২

শায়মা বলেছেন: ৫. ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৩০

আরোগ্য বলেছেন: রোগ এক হলেও সবক্ষেত্রে এক ওষুধ চলে না। অনেক কিছু বিবেচনা করে ওষুধ দিতে হয়। গণহারে এক ওষুধ দিলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে।


এই কথাটাও ভেবে দেখবার কথা।


শুধু ব্যাঙ লাফ আর খরগোস লাফ দিলেই চলবে না।

পুরা ক্লাসকে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ভাগ করে নিতে হবে। যেমন এ বি সি এই তিন গ্রুপের একই পড়া টিচার এবং এসিসট্যান্ট টিচার যখন পড়াবে শুধু তারাই জানবে কেনো সবগুলো এক্সসেলেন্ট এক সাথে বসানো হয়েছে বা কেনো উইকগুলা মেইন টিচারের কাছে রাখা হয়েছে। এবং শুধু তাই না কখনও কখনও পিয়ারদের থেকেও শিখবে বাচ্চারা খেলতে খেলতে । তখন মিক্সড গ্রুপ হবে।

পুরো পড়ালেখায় হবে খেলা খেলা। স্পেশালি প্রাক প্রাথমিক আর প্রাথমিকে।

এছাড়াও বাচ্চাদের মাল্টিপল ইন্টেলিজেন্স বিচার করেও লেখাপড়ায় নানা রকমের ওয়ার্কশিট হতে পারে। বিভিন্ন বাচ্চার বিভিন্ন ইন্টারেসট অনুযায়ী যখন ওয়ার্কশিট বা লার্নিং যে কোনো রিসোরসেস হবে তখন যে বাচ্চা মুখস্ত করতে পারে না কিন্তু ছবি এঁকে দিতে পারে সে সেটাই করবে এবং শিখবে এবং যে বাচ্চা ছবি আঁকতে পারে না কিন্তু খেলনায় সেটা গড়তে পারে সেভাবেই দেখাবে। এরপর একে অন্যের দেখে সমস্ত ক্লাস নিজেরদের নলেজ ছাড়াও অন্যদের সাথে থট শেয়ারিং করবে।


বুঝতে পারছি এখনও অনেক দেরী। সামান্য ব্যঙ লাফ আর বিচাণা গুছানো শেখানো হলো কেনো এই নিয়ে এত কথা। এত উপহাস। কোনোভাবেই এতে বাংলা মিডিয়ামের টিচারেরা এনকারেজ হবে না। :(

শিক্ষার ঐ মান্ধাতা আমলের ব্যবস্থাও চেইঞ্জ হবে না।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপরে শায়মা আপুর কথার মধ্যে যুক্তি আছে।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫০

করুণাধারা বলেছেন: আমি শায়মার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। আমি এই শিক্ষা ব্যবস্থার আদ্যপান্ত জেনেই দ্বিমত করছি।

এই শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমান বিশ্বের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, এর নাম International Baccalaureate. এই শিক্ষা ব্যবস্থার মূলকথা আনন্দের সাথে শিক্ষা দান এবং গ্রহণ, একই সাথে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক বিজ্ঞান খুব ভালো করে শেখার কথা। আমাদের অথচ আমাদের দেশে যে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে তাতে নাচ-গান আনন্দ ইত্যাদির ব্যবস্থা ৮০% এবং বিজ্ঞান,গণিত, ভাষা ইত্যাদির জন্য বরাদ্দ ২০%। তাই এটা International Baccalaureate নয়। International Baccalaureate এ শিক্ষকরা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত থাকেন যেন প্রতিটি ছাত্রকে সঠিকভাবে জ্ঞান দান করতে পারেন, এবং ছাত্রের মানসিক অবস্থা অনুযায়ী তার অগ্রগতিতে শরিক হতে পারেন। সেজন্য এই ব্যবস্থায় প্রতিটি শিক্ষকের দায়িত্বে সর্বোচ্চ ২০ জন ছাত্র থাকতে পারে। ‌

আমাদের রাজধানী ঢাকার নামী স্কুলগুলোতে এক একটি ক্লাসে অন্ততপক্ষে ৮০ জন ছাত্র থাকে, অনামী স্কুলগুলোতে ১০০ এর উপরে ছাত্র থাকে। এই অবস্থায় একজন শিক্ষক ৪০ মিনিটের ক্লাসে প্রতিটি ছাত্রকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে পারে? শায়মার বিদেশী কারিকুলাম এর স্কুলের প্রতি ক্লাসে কতজন ছাত্র থাকে? নাচগান শেখাতে ১০০/২০০ জন ছাত্র সমস্যা না, কিন্তু জ্ঞানাশীলনের ক্লাসে এটা অসম্ভব!

এই কারিকুলামের বিরুদ্ধে অভিভাবকেরা কথা বলছেন, কারণ বিজ্ঞান শিক্ষা বন্ধ করার আয়োজন করেছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা। এতকাল ধরে নবম শ্রেণীতে বিভাগের বিভাজন ছিল। সেখানে যে যার পছন্দ অনুযায়ী বিজ্ঞান মানবিক বা বাণিজ্য পড়তে পারতো। মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রদের জন্য বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা দেবার জন্য একটা সাধারণ বিজ্ঞান বই ছিল, যাতে পদার্থ- রসায়ন- জীববিদ্যা একসাথে পড়ানো হতো। এখন বিজ্ঞান বিভাগ তুলে দিয়ে, গণিত শিক্ষা সংকুচিত করে, সেই সাধারণ বিজ্ঞান বইটি সবার জন্য পাঠ্য করা হয়েছে। এই বই পড়ে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে ছাত্ররা অকূল পাথারে পড়বে।

শায়মার মতো এতটা জ্ঞান না থাকলেও, আমি কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ নই। :( আমি বিদেশের একটা বৃটিশ স্কুলে কিছুদিন গণিত আর বিজ্ঞানে শিক্ষকতা করেছি।

তাই বিজ্ঞান শিক্ষার এই দুরবস্থা, এবং সার্বিক ভাবে এই শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা দেখে আমি শংকিত। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গুগল সার্চ করাটা কখনোই একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞানার্জনের মাপকাঠি হতে পারে না।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: আমার ধারণা শায়মার ছাত্ররা সকলেই ইংরেজি ভাষা, এবং আরো কোন ভাষাতেও সড়গড়। অথচ এই নতুন ব্যবস্থায় ইংরেজি ব্যাকরণ পুরো বাদ দেয়া হয়েছে। ব্যাকরণ ছাড়া কোন ভাষা শেখা যায়!! বাংলা মাতৃভাষা, এটা সম্ভব।

১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২০

শায়মা বলেছেন: এই শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমান বিশ্বের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, এর নাম International Baccalaureate. এই শিক্ষা ব্যবস্থার মূলকথা আনন্দের সাথে শিক্ষা দান এবং গ্রহণ, একই সাথে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক বিজ্ঞান খুব ভালো করে শেখার কথা। আমাদের অথচ আমাদের দেশে যে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে তাতে নাচ-গান আনন্দ ইত্যাদির ব্যবস্থা ৮০% এবং বিজ্ঞান,গণিত, ভাষা ইত্যাদির জন্য বরাদ্দ ২০%। তাই এটা International Baccalaureate নয়।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাতেও ৮০% হ্যান্ডস অন একটিভিটি আর ২০% খাতা বই পত্তরই। তবে হ্যাঁ টিচারদেরকে ট্রেইনিং এর উপর ট্রেইনিং এ রাখা হয় যা আমার ধারনা হাজার চাইলেও বাংলা মিডিয়ামের বা গ্রামাঞ্চলের টিচারদের এত অল্প ট্রেইনিং এ হবে না।



আমাদের রাজধানী ঢাকার নামী স্কুলগুলোতে এক একটি ক্লাসে অন্ততপক্ষে ৮০ জন ছাত্র থাকে, অনামী স্কুলগুলোতে ১০০ এর উপরে ছাত্র থাকে। এই অবস্থায় একজন শিক্ষক ৪০ মিনিটের ক্লাসে প্রতিটি ছাত্রকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে পারে? শায়মার বিদেশী কারিকুলাম এর স্কুলের প্রতি ক্লাসে কতজন ছাত্র থাকে? নাচগান শেখাতে ১০০/২০০ জন ছাত্র সমস্যা না, কিন্তু জ্ঞানাশীলনের ক্লাসে এটা অসম্ভব!


না এটা ভুল আপুনি। আমি নাচ শিখাই বটে তবে আমি নাচের টিচার না। জ্ঞানশীলনের ক্লাসেরও হ্যান্ডস অন একটিভিটি থাকে তবে উপরের ক্লাসে ওঠার সাথে সাথে এই হ্যান্ডস অন একটিভিটির ধরণ চেইঞ্জ হয়। আর আমাদের কোনো সেকশনেই ২০ এর উপর বাচ্চা নেই তাতে ব্লক টিচারস হলে দুইজন টিচার থাকে এবং সাবজেক্ট টিচার হলে তারা আলাদা আসে। ১০০ জন ছাত্র একটা ক্লাসে একজন টিচার কখনও তাদের দিয়ে সঠিকভাবে কিছুই করাতে পারবেন না। ২০ জন স্টুডেন্ডদের মধ্যে আমরা ছোট গ্রুপ করে নিলেও ৪/৫ জন পড়ে। আর যেমন ধরো শিখবে একটা লেটার এ সেটা খাতায় লেখার আগে এক সপ্তাহ ধরে স্যান্ড ট্রে তে লিখে, ট্রেসিং বোর্ডে রঙিন মার্কারে আঁকিবুকি করে, এ লেটার এ গল্প শুনে, ফ্লাস কার্ড দেখে সেসবের উপরে হাত ঘুরায়, ক্লাসে কি কি জিনিস এ দিয়ে হয় সেসব খুঁজে বের করে, বন্ধুদের নাম কার কার এ দিয়ে, এরপর আর্টস এন্ড ক্রাফটস এ এরোপ্লেন বানালে তাতে ডট দেওয়া এ লেটার জয়েনকরে খেলার ক্লাসে ব্যাং লাফের মত আমরা ওদের সাথে এরোপ্লেন হয়ে দৌড়াই। :)

এরপর আছে আমাদের ওয়ে অব রাইটিং এর গান আর হাতের মুদ্রা। সে সব দেখে দেখেই বাচ্চারা ততদিনে মাথায় নিয়ে নেয় এরপর লাস্ট দিন খাতায় আনা হয় লেখাটা সপ্তাহে। আমাদের ক্লাসে ২০ বাচ্চারাই প্রতিটা লেটার ওয়ার্ডস এত সুন্দরভাবে শিখে কেহো কারো থেকেই খুব একটা কম না। হয় উনিশ আর বিশ। কারণ বাচ্চা সংখ্যা প্রতি ক্লাসেই ২০ এবং সাথে টিচারদের উপযুক্ত প্রশিক্ষন ও ইচ্ছা।

১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাহল তরকারি,



আলোচনা চলুক।
শিক্ষা নিয়ে শায়মার বলা কথাগুলো হয়তো ঠিক। কাদের জন্যে ঠিক ? শায়মার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রেক্ষাপটে হয়তো চলে। আমাদের পাবলিক বিদ্যালয়গুলোর হাট-বাজারের মতো কিলবিল করা ছাত্র-ছাত্রীদের বেলায় সেটা কার্যকর নয় মোটেও। যেটা করুণাধারাও বলেছেন - আমাদের রাজধানী ঢাকার নামী স্কুলগুলোতে এক একটি ক্লাসে অন্ততপক্ষে ৮০ জন ছাত্র থাকে, অনামী স্কুলগুলোতে ১০০ এর উপরে ছাত্র থাকে। এই অবস্থায় একজন শিক্ষক ৪০ মিনিটের ক্লাসে প্রতিটি ছাত্রকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে পারে? শায়মার বিদেশী কারিকুলাম এর স্কুলের প্রতি ক্লাসে কতজন ছাত্র থাকে? নাচগান শেখাতে ১০০/২০০ জন ছাত্র সমস্যা না, কিন্তু জ্ঞানাশীলনের ক্লাসে এটা অসম্ভব!

হাতে কলমের সাথে সাথে আনন্দ সহকারে শেখানোর বিকল্প নেই, ঠিক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, বেসিক বিষয়গুলোর মূল শিক্ষাকে বাদ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আনন্দের সাথে শেখানোর জন্যে "ঠাকুরমার ঝুলি" বইটির গল্প মঞ্চস্থ করে দেখাতে হবে।

আরোগ্য বলেছেন: রোগ এক হলেও সবক্ষেত্রে এক ওষুধ চলে না। অনেক কিছু বিবেচনা করে ওষুধ দিতে হয়। গণহারে এক ওষুধ দিলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে।
আমরা মনে হয় সেদিকেই ঝুকছি। আরবদেশের খেজুর বাংলাদেশে ফলাতে হলে আরবের আবহাওয়াই লাগবে, চট্টগ্রামের নোনা আবহাওয়ায় তা সম্ভব নয় । পুকুরে যেমন ইলিশ মাছ চাষ করা যায়না তেমনি আমাদের আর্থ-সামাজিক, কর্মস্ংস্থান, কর্ম পরিবেশের চাহিদা, মন-মানসিকতা ইত্যাদি সব উপাদান মেলালে দেখা যাবে এ জমিতে বিদেশী শিক্ষার ( শিক্ষা মানে শিক্ষাই) বীজ চাষ করা ফলদায়ক হবেনা।

আনন্দের সাথেই, খেলার ছলে যদি ছাত্রছাত্রীদের শেখাতেই হয় তবে আমাদের পুরোনো কারিকুলামকে ( বিষয়গুলোকে) সেভাবেই সাজিয়ে নেয়া যেতো;
শানকিকে হাত দিয়ে ভাত খাওয়া ছাত্রছত্রীদেরকে কাঁটাচামচ ধরিয়ে বিভ্রান্তিতে ফেলা হতোনা ।

১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

শায়মা বলেছেন: এই কারিকুলামের বিরুদ্ধে অভিভাবকেরা কথা বলছেন, কারণ বিজ্ঞান শিক্ষা বন্ধ করার আয়োজন করেছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা।

অভিভাবকরা না হয় নতুন কিছু দেখে শংকিত হয়েছে কিন্তু একটা দেশের সরকার কেনো শিক্ষা বন্ধ করার আয়োজন করবে এটা তো আমি বুঝতে পারছি না আপুনি। সরকারের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি দেশের শিক্ষাবিদদের? আমাদেরই একজন পুরানো ব্লগার ভাইয়া ভাইয়া প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের নতুন বই পরিকল্পনার এক সেমিনারে আমাকে নিয়ে গেছিলেন। তিনি সচীব ছিলেন। সেই খানে আমি শিক্ষাবিদদের জ্ঞান দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম! এত জানেন তারা আমি সত্যি আগে এটা জানতাম না। আমি ভাবতাম যারা বাংলা মিডিয়ামের বই বানায় তারা তেমন কিছুই জানেনা। পরে মনে হয়েছিলো যত রকম করেই বই বানানো হোক না কেনো উপযুক্ত প্রশিক্ষনের অভাবে এই শিক্ষা ব্যবস্থা কার্য্যকরি হবে না বা হতে অনেক সময় লাগবে। এসব আমার মতামত আপু। যাইহোক

এতকাল ধরে নবম শ্রেণীতে বিভাগের বিভাজন ছিল। সেখানে যে যার পছন্দ অনুযায়ী বিজ্ঞান মানবিক বা বাণিজ্য পড়তে পারতো। মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রদের জন্য বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা দেবার জন্য একটা সাধারণ বিজ্ঞান বই ছিল, যাতে পদার্থ- রসায়ন- জীববিদ্যা একসাথে পড়ানো হতো। এখন বিজ্ঞান বিভাগ তুলে দিয়ে, গণিত শিক্ষা সংকুচিত করে, সেই সাধারণ বিজ্ঞান বইটি সবার জন্য পাঠ্য করা হয়েছে। এই বই পড়ে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে ছাত্ররা অকূল পাথারে পড়বে।

ইংলিশ মিডিয়ামে একজন ছাত্র বিজ্ঞানের পাশাপাশি চাইলে কমার্সের সাবজেক্ট পড়তে পারে তাই বলে সংকুচিত গনিত বা বিজ্ঞান তো নয়ই বরং আমি ভাবি বাপরে ভাগ্যিস আমাকে এত বিশদ করে আমার জীবনে পড়তে হয়নি। বেঁচে গেছি। তবে আমি ক্লাস নাইনের এই বিজ্ঞানের বিষয়টি জানতাম না বা জানার চেষ্টা করিনি। তুমি যখন এমনটা বলছো আমি অবশ্যই সেটা জেনে বুঝবার চেষ্টা করবো।




শায়মার মতো এতটা জ্ঞান না থাকলেও, আমি কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ নই। :( আমি বিদেশের একটা বৃটিশ স্কুলে কিছুদিন গণিত আর বিজ্ঞানে শিক্ষকতা করেছি।

আমি শুধু চাইল্ড স্পেশালিস্ট আপুনি! বাচ্চাদের সাথে কাজ করতে করটে বুড়ি হয়েছি তো তাই তবে হ্যাঁ আমি গনিত শুনলে সেই ছোট থেকেই ভুই পাই তবে বিজ্ঞানে ভয় পাই নাই। পড়ানো তো দূরের কথা নিজেই পড়তে চাইতাম না। সব অংকের টিচারেরা আমার শত্রু ছিলো। তবে আমার কিন্তু তোমার একটা কথা শুনে আমার একজন অতি প্রিয় ভাইয়ার বাণী মনে পড়ছে। তোমার শিক্ষা বিষয়ক লেখা নিয়ে তিনি কি কমেন্ট করে বেড়াচ্ছিলো সেটা! হা হা হা হা হা হা :P এইখানে বলবো না আপুনি। কানে কানে বলবো!! ধ্যাৎ এই সিরিয়াস লড়াই লড়াই পোস্টেও আমার হা হা হিহি শুরু হয়ে গেলো। ছোটদের টিচার হলে এমনই হয়।:(

তাই বিজ্ঞান শিক্ষার এই দুরবস্থা, এবং সার্বিক ভাবে এই শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা দেখে আমি শংকিত। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গুগল সার্চ করাটা কখনোই একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞানার্জনের মাপকাঠি হতে পারে না।

না না আমি নাহোল ভাইয়াকে বলেছি উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন তাহা নেটে সার্চ দিয়ে দেখতে জানতে। তার জন্য জ্ঞানার্জনের এই মাপকাঁঠি। :) তাকে তো আর স্কুলে পাঠানো যাবে না।


তবে যত যাই বলো আপুনি আমরা কিন্তু পরিবর্তন মেনে নিতে চাইনা। পারি না। এক পা সামনে না বাঁড়ালে কেমনে জানবো সামনে কি আছে?? হয়ত সাফার করবে কিছু বাচ্চারা যাদেরকে সাফার করাবার অধিকার কারো নেই। তবুও একটা কিছু করা উচিৎ এই মান্ধাতার আমলের মুখস্থ বিদ্যা কোচিং মোচিং স্টাইল ছেড়ে।

১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪২

করুণাধারা বলেছেন: আমি কখন বললাম তুমি নাচের টিচার? X( তুমি খুব ভালো টিচার, কোন সন্দেহ নেই।

নাচগানের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক একসাথে অনেককে শেখাতে পারেন, আমি নিজে নাচ-গান না জানিনা, (কিন্তু ভিডিওতে এমন দেখেছি) কিন্তু এটা সব বিষয়ে হয় না।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাতেও ৮০% হ্যান্ডস অন একটিভিটি আর ২০% খাতা বই পত্তরই। তবে হ্যাঁ টিচারদেরকে ট্রেইনিং এর উপর ট্রেইনিং এ রাখা হয় যা আমার ধারনা হাজার চাইলেও বাংলা মিডিয়ামের বা গ্রামাঞ্চলের টিচারদের এত অল্প ট্রেইনিং এ হবে না।

প্রতি বিষয়ে ৮০% হ্যান্ডস অন এক্টিভিটির থাকলে তো ভালই হতো। আমি বলেছি, এখন যেসব বিষয় শিক্ষায় যোগ হয়েছে, তার ৮০ ভাগ ব্যবহারিক শিক্ষা যেমন বিরিয়ানি রান্না, আলুভর্তা, বিছানা গোছানো ইত্যাদি। ছাত্ররা এখন বই পড়ার প্রয়োজন হয় না একেবারেই।

যাকগে। এখন খেতে যাই। তোমার সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে খুব দেরি করে ফেলেছি।


১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫১

শায়মা বলেছেন:

নাহ আহমেদ জি এস ভাইয়া আর করুনাধারা আপুনি তোমাদের জ্বালায় মনে হয় আমাকেই যেতে হবে লাঠি হাতে ঐ টিচারদেরকে ট্রেনিং দিতে। :)


আমি কত খুশি হয়েছিলাম এটা দেখে যে যাক বাবা এত দিনে আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের বাচ্চারাও স্কুলের ভয়ে ভীত না হয়ে আনন্দের সাথে শিখবে,পড়বে। আমাদের বাচ্চাদের মত বলবে স্কুল ইজ ফান। বাসয় যাবোই না। আমরা জোর করে ধরে বাসায় পাঠাই তারা আমাদের জামা কামড়ে ধরে থাকে তাদের কাছে স্কুলই মজার জায়গা। আর আমি তো আমার অংকের টিচারের ভয়ে বাংলা ইংলিশও ভুলে যেতাম তার মৃত্যু কামনা করতাম রোজ সকালে। :(


এখন দেখছি সে সব সম্ভব নহে। :(

বাবামায়েরা বাচ্চাদেরকে একটু শান্তিতে থাকতে দেবেনা। হাসি খুশি খেলাধুলাতে পড়তে দেবে না। জোর করে ধরে এক গাদা মুখস্ত করাতেই আসল পড়ালেখা মনে করবে। আচ্ছা বলতো ভাইয়া আর আপুনিরা এই মুখস্থ বিদ্যা কার কার জীবনে কতখানি কাজে লেগেছে?? হ্যাঁ এটা সত্য লাইফ স্কিল শিখতে ভুলে যাচ্ছে শহুরে বাচ্চারা মোবাইল আর গেমস এ ডুবে থেকে তাদের জন্য যতটা জরুরী এই সব লাইফ স্কিল শেখা গ্রামের একজন ছেলের জন্য হয়ত সেটা তেমন দরকার নেই। তবে হ্যাঁ মুখস্ত বিদ্যা পড়েও অকারণে মাথা নষ্টেরও তেমন আসলে দরকার নেই বলেই আমার মনে হয়।

কেনো মনে হয় সে সম্পর্কেও তাইলে বিশদ বর্ণনা এসে যাবে।

যাইহোক আহমেদ জী এস ভাইয়া , এই যে বললে পুরানো কারিকুলামকে নতুন ভাবে সাজানো? এই সাজাবেটা কে?? শুধু বললেই হবে? সাজাতে গিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে গেলেই তো বাবা মায়েরা ধরে মাইর দিতে আসবে। বলবে আমাদের বাচ্চাদেরকে কি গিনিপিগ পেয়েছো? :(


কোথায় যাবে আর কোথায় যাবো তাইলে আমরা??

১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বরং নেটে সার্চ দাও। দেখোতো উন্নত বিশ্বে বাচ্চাদেরকে কিভাবে পড়ানো হচ্ছে কিভাবে লাইফ স্কিল শেখানো হচ্ছে। - নেটে সার্চ দিলে দেখা যায়, বর্তমানে পশ্চিমা অনেক দেশে ড্রাগ কুইনদের স্কুলে এনে বাচ্চাদের "জেন্ডার আইডিওলজি" পড়ানো হচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হলে খুব সম্ভবত এটাও করতে হবে!

১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০০

শায়মা বলেছেন: @ আপুনি

যাক বাবা আমি ভাবলাম তুমি ভেবেছো আমি শুধু নাচি আর তাই ভূমিকম্প হয়! :( সেটা তো এনুয়াল শো এর প্রাকটিস ছিলো। সেই এনুয়াল শো এর আইটেম করতে গিয়েও কিন্তু আমরা শুধু একটা নাচ বা গান করে দেই না এই যে নাচটা শেখানো হচ্ছে সেখানেও এসেছে বাংলাদেশের নৃ গোষ্ঠির সংস্কৃতি চেতনা ও সংহতি বিষয়ক জ্ঞান। আচ্ছা এই বিষয়ে একটা পোস্ট লিখবোনে পরে। মানে বলতে চাচ্ছি নাচ গান কবিতাকেও চাইলে টপিকে ফেলা যায়। এটা অবশ্য তুমি ভালোই জানো। যাইহোক-


প্রতি বিষয়ে ৮০% হ্যান্ডস অন এক্টিভিটির থাকলে তো ভালই হতো। আমি বলেছি, এখন যেসব বিষয় শিক্ষায় যোগ হয়েছে, তার ৮০ ভাগ ব্যবহারিক শিক্ষা যেমন বিরিয়ানি রান্না, আলুভর্তা, বিছানা গোছানো ইত্যাদি। ছাত্ররা এখন বই পড়ার প্রয়োজন হয় না একেবারেই।


হায়হায় কি বলো তাহলে তো সর্বনাশের পথেই গেছে। :( তবে হ্যাঁ এই সব শিখলে বিদেশে গিয়ে আমাদের নন্দদুলালদের আর খানা পিনার চিন্তা নেই। বাবা মা না থাকলেও নিজেরাই বিছানা গুছাবেন ভাত রাঁধবেন বিরিয়ানী বানাবেন। :) বুঝেছি এসবই মনে হয় উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ যাবার জন্যই ছোটবেলা থেকে জ্ঞান দান তাইনা? :)



যাকগে। এখন খেতে যাই। তোমার সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে খুব দেরি করে ফেলেছি।


আচ্ছা যাও খাও। দেখো এসব কিন্তু কেউ আড্ডা বললে তার গলায় চাকু ধরা হবে। কত জ্ঞান অর্জন হলো আমাদের। :)

যাইহোক জানো আমরা ইদানিং অনলাইন ক্লাসে বাচ্চাদেরকে টি শার্ট ফোল্ড করো, গ্লাসে পানি ঢালো এই সব বাড়ির কাজ করাই নিচ্ছি! :) ব্যাগের চেইন লাগাও, জুতার ফিতা বাঁধো! :)

অনেক আল্লাদী হইসে এখন নিজের কাজ নিজে করা শিখুক।

১৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৮

শায়মা বলেছেন:

ঋণাত্মক শূণ্য ভাইয়া নেটে সার্চ দিয়ে এই পেলে বুঝি?? নাহ আমাকে দেখছি এখন সার্চের লিঙ্কও এনে দিতে হবে। মানে যে সব লিংকে বাচ্চাদেরকে লাইফ স্কিল শেখাতে বা হ্যান্ডস অন একটিভিটিতে কিভাবে পড়ানো হয় সেটা জানতে বলেছিলাম।


এই কারনেই বলি মুখস্থ বিদ্যা ভালো নহে :(

আর ড্রাগ কুইনদের স্কুলে এনে বাচ্চাদের "জেন্ডার আইডিওলজি" পড়ানো হচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হলে খুব সম্ভবত এটাও করতে হবে! আমি এত কিছু পড়ি সারাদিন স্কুল টিচিং এসব নিয়ে এই জিনিস তো কখনও দেখিনি। :(


ড্রাগ কুইন কিং কে জানিনা তবে হ্যাঁ আমাদের স্কুলেও কে মেয়ে কে ছেলে কে হিন্দু কে মুসলমান এই সব ভেদাভেদও শিখানো হয় না। :)

১৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: @শায়মা.... গত ২/৩ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষা পরিমন্ডলে সবচাইতে বড় পরিবর্তন ও সব চাইতে বেশী আলোচিত-সমালোচিত বিষয় নিয়ে আপনি যদি মন্তব্য করেন "এই জিনিষ তো কখনও দেখিনি", তাহলে বুঝতে হয় আপনার উপরের মন্তব্য গুলির সবই যাষ্ট কথার কথা; এর আসল কোন ভিত্তি নেই!

ড্রাগ কুইনস ইন স্কুলস লিখে সার্চ দিন। ১০-১৫দিন যদি দিন রাত পড়তে থাকেন, তাহলেও কন্টেন্ট শেষ করতে পারবেন না। এই জিনিষ ২০১৫তে শুরু হয়েছে আর এটা একটা রেগুলার ইভেন্ট!

আপনি কি সত্যিই জানেন না নাকি, না জানার ভান করছেন?

১৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

শায়মা বলেছেন: সত্যিই জানিনা মানে ড্রাগ কুইনস ইন স্কুল এমন শিরোনাম দেখেছি হয়ত কিন্তু সেটাই আমাদের লেখাপড়াতে এনে ফেলতে হবে এমনটা ভাবতে পারিনি। এই টাইপ সার্চ ছাড়াও আরও অসংখ্য লিঙ্ক আছে যেখানে নানা রকম উন্নত শিক্ষার কথা আছে আমি সেগুলিই দেখেছি এবং ভাইয়াকেও সেরকমই দেখতে বলতে চেয়েছিলাম। যাইহোক এবার দেখে নেবো ড্রাগ কুইনরা কেমনে শিখায়। তারপর সেই নিয়ে কথা বলবো।

উপরের মন্তব্যগুলি কথার কথা হত যদি আমি নিজেই না স্কুলে জব করতাম। কাজেই তর্কের খাতিরে তর্ক করছি না। আমি ইংলিশ মিডিয়ামের বিশেষ করে আমার স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থায় হ্যাপী। আমার মনে হয়েছে এমনটা বাংলাদেশের প্রতিটা স্কুলে হলে বাচ্চাদের জন্য শিক্ষা আনন্দময় হয়ে উঠতো। যেই ভীতি এবং মুখস্থবিদ্যা নিয়ে আমরা বড় হয়েছি সেই ভীতি কাটিয়ে আনন্দময় শিক্ষা পরিক্রমা কি জীবনেও আমাদের দেশে আসবে না?

২০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪০

আরোগ্য বলেছেন: এদেশে সরকারি স্কুলে এক ক্লাসে একসাথে অনেক স্টুডেন্ট পড়ে, তাদের সকলের আর্থিক ও পারিবারিক অবস্থা মোটেই এক নয়। প্র্যাকটিকালি সব কিছু শেখা কিন্তু অনেকের নিকট ব্যয়বহুল হবে, সেটা একটা ডিম ভাজা হউক কিংবা কাথা সেলাই। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় ' অনেকের অবস্থা।
আরো জানতে পারলে ক্লাসে সর্বসমক্ষে adult বিষয় শিখানো হবে, সেটাও কি প্র্যাকটিকালি!!! আমাদের সময় ক্লাস সেভেনে সম্ভবত বিজ্ঞান বইতে মেয়েদের ঋতু নিয়ে একটা অধ্যায় ছিল, যেহেতু সহশিক্ষা ছিলো তাই টিচার বলেছিল এটা বাসায় তোমরা পড়ে নিও। এসব সেনসিটিভ বিষয়গুলো স্কুলে একসাথে পড়ালে কিন্তু মারাত্মক নৈতিক অবক্ষয় হবে।
কোচিং সেন্টারের পড়ালেখা আমি মোটেই সমর্থন করি না, আমি অনার্স পর্যন্ত কখনোই কোন কোচিং করিনি। বাসায় টিউটর ছিল কিন্তু স্কুলের কোন টিচার না।
এক ধাপে গাছে লাফ দিলে পড়ে হাত পা ভাঙবে। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, spare the rod, spoli the child :(.

আমার মন্তব্যে সমর্থন পেয়ে আমিও বড়দের মাঝে পাকামো করতে এসে গেলাম। :P

২১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: @ শায়মা



আজকাল মুখস্ত বিদ্যার কথা মনে হয় কেউই বলছেননা। অবশ্য আমাদের বাপ-দাদারা এমনকি আমারও তো মুখস্ত বিদ্যাই করেছি। তখন সেখানে কি আজকের এই নব্য ও ভয়ঙ্কর হাতে কলমে শেখানোর ব্যবস্থা ছিলো ? আপনিই বা করেছেন কি? আমাদের বাপ-দাদাদের জ্ঞানের সাথে এখনকার ছেলেমেয়েদের জ্ঞানের কোনও তুলনা চলে কি? আমাদের দেশের প্রখ্যাত সব ব্যক্তিরা কি সবাই হাতে কলমে, নাচ-গানের মাধ্যমে বিরিয়ানী রান্না শিখে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়েছিলেন ?
করুণাধারা লিখেছেন - এই শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমান বিশ্বের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, এর নাম International Baccalaureate. এই শিক্ষা ব্যবস্থার মূলকথা আনন্দের সাথে শিক্ষা দান এবং গ্রহণ, একই সাথে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক বিজ্ঞান খুব ভালো করে শেখার কথা। অথচ আমাদের দেশে যে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে তাতে নাচ-গান আনন্দ ইত্যাদির ব্যবস্থা ৮০% এবং বিজ্ঞান,গণিত, ভাষা ইত্যাদির জন্য বরাদ্দ ২০%।
এই কথার সূত্র ধরে বলি - নাচ-গান আনন্দের সাথে ব্যবহারিক শিক্ষা যেমন বিরিয়ানি রান্না, আলুভর্তা, বিছানা গোছানো, মাঠে গিয়ে দড়ি দিয়ে ত্রিভূজ-চতুর্ভূজ বানানো শেখার যৌক্তিকতা কতোটুকু ? নাকি বিজ্ঞান,গণিত, ভাষা, শিল্প ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নাচ-গান আনন্দের সাথে হাতে কলমে শেখানোর যৌক্তিকতা শতভাগের উপরে ?

পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন - আমরা কিন্তু পরিবর্তন মেনে নিতে চাইনা। পারি না।
পরিবর্তন যদি গ্রহনযোগ্য হয় তবে মেনে নিতে কেউ দ্বিধা করেননা। কিন্তু পরিবর্তন যদি কিম্ভুতকিমাকার কিছু হয় তবে তা কে মানবেন ? যেমন , পরিবর্তনের কথা বলে আমরা কি আমাদের মা-দাদী-নানিকে ছেঁড়া জিন্সের প্যান্ট ,টপলেস টপস পড়িয়ে দেবো ? সেটা কতোখানি গ্রহনীয় হবে ? পরিবর্তনের ঢেউ তুলে তাদের মান্ধাতা আমলের ছায়া-সেমিজহীন আলুথালু ভাবে শাড়ী পড়ার অভ্যেসটাকে পাল্টে কুঁচি দিয়ে শাড়ী পড়াটা হয়তো শিখিয়ে দিতে পারা যেতে পারে! এটাই তো যুক্তিযুক্ত হবার কথা!

বলেছেন - এক পা সামনে না বাঁড়ালে কেমনে জানবো সামনে কি আছে??
হ্যা অবশ্যই শিখতে গেলে পা সামনে বাড়াবেন তবে প্রথমে একা একা, সদলবলে নয় কখনই। কারন সামনে গর্ত থাকলে সবাইকে নিয়েই গাড্ডায় পড়তে হবে, মানে আম-ছালা দু’টোই যাবে। আর একা হলে বিপদটা একজনের উপর দিয়েই যাবে। যদি সেই একজন সহি সালামতে গর্ত থেকে ফিরে আসতে পারেন তবেই নেচে-গেয়ে আনন্দের সাথে তার অভিজ্ঞতা আমাদের হাতে কলমে শিখিয়ে দিতে পারবেন, কি করে গর্ত পেরুতে হয়!

আমি পুরানো কারিকুলামকে নতুন ভাবে সাজানোর কথা বলেছি। আপনি বলেছেন - এই সাজাবেটা কে?? শুধু বললেই হবে? সাজাতে গিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে গেলেই তো বাবা মায়েরা ধরে মাইর দিতে আসবে। বলবে আমাদের বাচ্চাদেরকে কি গিনিপিগ পেয়েছো?
আমরা কি বাচ্চাদেরকে গিনিপিগই বানাচ্ছিনা ? দেখুন, আমাদের নীতিনির্দ্ধারকদের বুদ্ধিবৃত্তি থাকলে আলুভর্তা বানানোর প্রাকটিস নামে সার্কাস করাতে হতোনা। ওটা প্রায় সবাই জানে। কিন্তু আমাদের নীতিনির্দ্ধারণকারীরা যদি ভেবে থাকেন, এই জাতিটাকে আনাগত দিনে আলুভর্তা খেয়েই জীবন পার করতে দেবো তবে তাদের পরিকল্পনা ঠিক আছে। যদি তারা ভেবে থাকেন, তাদের ঘরের বিছানাপত্তর সাজিয়ে রাখতে এই আবাল জাতিটাকেই চিরকালের গৃহকর্মী বানিয়ে রাখবেন তবে নেচে-গেয়ে আনন্দের সাথে বিছানাপত্তর সাজিয়ে রাখার কারিকুলামটাও ঠিক আছে।
কিন্তু কেউ কি নেই যে হাতে কলমে- নেচেগেয়ে বিজ্ঞান, অংক ইত্যাদি শেখার একটা কারিকুলাম তৈরী করবেন ? আমি বিরানী নয় আলুভর্তা খাওয়া মানুষ, বুদ্ধিসুদ্ধিও তাই সেই কিসিমের তারপরেও ভাবতে অবাক লাগে, খিচুড়ী রান্না শেখার জন্যে, পুকুর কাটা শেখার জন্যে জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে প্রশিক্ষন নেয়ার দূর্বুদ্ধি যেসব মাথা থেকে বের হয় সেসব মাথা থেকে কেন একটাও সুবুদ্ধি বের হয়না ? কাগজ কেটে ক্লাশেই জ্যামিতিক ফর্ম, তাদের ক্ষেত্রফল, পরিধি ইত্যাকার বিষয়গুলোর সাথে সাথে সম্পাদ্য –উপপাদ্য গুলিও তো শেখানো যায়, দড়ি নিয়ে মাঠে-ঘাটে যেতে হয়না। ক্লাশে বসেই তো আলোর প্রতিসরণ-প্রতিফলন, আলোর ধর্ম শেখানো যায়, দুপুরের রোদে মাঠে নামতে হয়না। ক্লশে বসেই আনন্দের সাথেই এসব করা সম্ভব।

নিজের প্রতি, দেশের প্রতি, আগামী প্রজন্মের প্রতি নির্মল ভালোবাসা, মমত্ববোধ, দায়িত্ববোধ থাকলেই শুধু এই সার্কাস থেকে বের হওয়া সম্ভব হলেও হতে পারে।

২২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৪৯

জিকোব্লগ বলেছেন:



দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় চলিতেছে সার্কাস ... B:-) B:-) B:-) হাসিও পাচ্ছে .. =p~ =p~ =p~ দুঃখও লাগছে ... :(( :(( :((



দেখুন ইউটিউব লিংক

শিক্ষিককে সার্কাসের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। আর এরপরে বাচ্চারা হবে গিনিপিগ।

হবে না কেন। যারা শিক্ষা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়াচ্ছে , তাদের ছেলে মেয়েরাতো
বিদেশেই থাকে। তাই ঐসব লোকদের মাইন্ড সেট, এখন দেশকে নিয়ে খেল।

২৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২১

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: এই সাইকেলের ভিডিওটা বাংলাদেশের নয়। একটু খেয়াল করলে বুঝা যায় ভাষাটাও ঠিক বাংলা না। এই শিক্ষক ভারতের আসামের, এবং ভিডিও সেখানখার। ছড়াকারের নিজের পোষ্ট দেয়া অরিজিনাল ভিডিওটা ফেসবুকে তার প্রফাইলে দেখতে পারেন নিচের লিংকেঃhttps://fb.watch/oIUwSuPON2/

২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৮

শায়মা বলেছেন: ভিডিওগুলো দেখে আমি মুগ্ধ!!! একদমই সঠিক পদ্ধতিতেই আগানো হচ্ছে।
যাইহোক -
আমরা যখন দেখি বিদেশের বাচ্চারা কাগজ কুড়াচ্ছে, ড্রেইন সাফ করছে তখন বলি দেখো দেখো শেখো শেখো। আহা এই না হলে জাতি! কি করে ছোট বেলা থেকে ট্রেইনিং দিয়ে এদেরকে তৈরী করা হয়েছে? বাহবাহা ...... কিন্তু আমাদের বাচ্চারা কুটো ভেঙ্গে দুটো করলেও আমরা ভাবি ওরা তো বড় হয়ে অফিসে টেবিলে বসবে। বউ বা কাজের লোকজন রেঁধে দেবে ঘর ঝাড়ু দেবে। ওরা কি কাজের লোক হবার জন্য এসব শিখবে নাকি? এটাই শ্রেনী বৈষম্য শেখাবার প্রথম ধাপ যা পরিবার থেকেই হয়।

যখন এই আমাদের বাচ্চারাই বিদেশ যাচ্ছে তখন ম্যাকডোনাল্ডসে জব করছে ওসি ডিসি হচ্ছে তখন সেটা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই কিন্তু দেশে আসলেই হয়েছে কে এফ সি পিজ্জাহাটেও এক দল ইংলিশ শেখা গরীব ঘরের ছেলেমেয়েরাই জব করে কোনো চাকুরিজীবি একটু স্বচ্ছল ফ্যামিলীর ছেলেমেয়েদেরকে করতে দেওয়া হয় না। করলে মান যায়। এইখানেও বৈষম্য পেশা দিয়েই মানুষকে বিচার করি আজও তাই এই অবস্থা পরিবার থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কারণ স্কুল কলেজ সমাজ যুগের পর যুগ ধরে এমনই শিখিয়ে আসছে।

নতুনকে এক্সসেপট করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে এবং বাচ্চাদেরকেও সেটাই শেখাতে হবে। আমার ধারণা মা বাবা যাই ভাবুক বাচ্চারা খুবই এনজয় করছে ক্লাসে এবং এই এনজয় এই খুশিটাই বাবা মায়ের সহ্য হচ্ছে না। বাচ্চারা থাকবে বেতের উপরে । সব সময় গুরু গম্ভীর হয়ে পড়তে বসবে। এইভাবে আবার হা হা হি হি করে পড়াশুনা কিসেররে?? এমনই চিন্তার ফল এসব। এর প্রভাব ব্লগেও দেখি। কারো আনন্দ কারো যে সহ্য হয় না সেটা সেই ছোট থেকেই শিখে আসছি আমরা।


এই নতুন শিক্ষাক্রমের মত একটি অত্যন্ত মর্ডাণ ও কার্য্যকরী শিক্ষাব্যবস্থা। এর সাথে অভ্যস্ততা বড়ই জরুরী।

@ জিকোভাইয়া তুমি বলেছো-
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় চলিতেছে সার্কাস ... B:-) B:-) B:-) হাসিও পাচ্ছে .. =p~ =p~ =p~ দুঃখও লাগছে ... :(( :(( :((

সত্যিই হঠাৎ দেখলে হাসি পাবার মতনই। কারণ এই রকম বুড়া বুড়া মানুষেরা দাঁড়ি গোফ ভুড়ি নিয়ে লাফ দিচ্ছে তিড়িং বিড়িং লাফাচ্ছে এসব দেখলে সার্কাসই মনে হবে। তবে সারা পৃথিবীতে বাচ্চাদের টিচিং এভাবেই হয়। ঠিক বাচ্চাদের মনের মত করে শিখাতে পারবে সেই শিক্ষা তাদের কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য হয়। এই টিচারেরাই যদি ইংলিশ মিডিয়ামের সুন্দর সুন্দর জামাকাপড় সাজুগুজু করে আসা টিচারদের মত করে ভিডিও দিত সেটা ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই বলছি। মানে ছেলেরাও স্মার্ট কাপড় চোপড় পরে ভিডিও করে দেখাতো সবার কাছে ১০০% না হলেও ৯০% গ্রহনযোগ্য হত।
আমার কিছু প্রিয় ভিডিও যা আমি ইউজ করি ক্লাসে এবং নিজেই এইভাবেই শিখে নিয়ে সেটাও করাই
ভিডিও ১
ভিডিও ২
video 3

২৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: @শায়মা আপনি আমাদের এই নতুন কারিকুলাম নিয়ে একটি পোস্ট দিন। অনেক কিছু ক্লিয়ার হবে। আমি আপনার আইডিতে গিয়ে এ ধরনের পোস্ট খুঁজেছি বেশ কয়েকবার পাইনি।

২৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

শায়মা বলেছেন: ২৫. ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: @শায়মা আপনি আমাদের এই নতুন কারিকুলাম নিয়ে একটি পোস্ট দিন। অনেক কিছু ক্লিয়ার হবে। আমি আপনার আইডিতে গিয়ে এ ধরনের পোস্ট খুঁজেছি বেশ কয়েকবার পাইনি।


আমিও এমনটাই ভাবছি ভাইয়া। আর আমি এই পোস্ট মতামত এবং আমার বুঝা না বুঝা জানা না জানা নিয়ে আরও কিছু আমাদের ব্লগার ভাইয়া আপুরা যারা ছোটদের শিক্ষাব্যবস্থায় জড়িত তাদেরকে নক করেছি। তারা লগকরতে পারলে আসবে নিজেরাই নয়ত মতামত জানাবে।

আসল কথা যতটুকু দেখেছি বা জেনেছি আমার কাছে অনেকখানিই সঠিক মনে হয়েছে কিন্তু আরও না জেনে কিছু বলাটা তেমন কার্য্যকরী হবে না। কারণ অযথা তর্ক করে তো লাভ নেই । লাভ কিসে আমাদের শিশুদের লাভ হবে।

এই যে দড়ি নিয়ে ত্রিভুজ চতুর্ভূজ বানানোর ব্যপারটা? এটাও আমরা করি আমাদের খেলার ক্লাসে।যেখানে খেলাধুলাও হয় টপিক রিলেটেড। যখন ত্রিভূজ চতুর্ভূজ শিখে তখন শুধু পেনসিলে না এঁকে যতভাবে দেখানো যায়, দড়ি দিয়ে আঙ্গুল দিয়ে স্ট্র দিয়ে বা ক্রেয়ন জোড়া দিয়ে। এসবই হয় ছোটদের ক্লাসে। শেখানোর সময়। তারপর বড় হতে হতে এই সব ব্যবহারিক বিদ্যার ধরণ পাল্টায় কিন্তু সে সব আসলেও কার্য্যকরী।

২৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: কখনো কোন দিন ট্রনিং প্রগ্রামে অংশ গ্রহন করেছেন? করলে এমন অদ্ভুত যুক্তি দেখাতেন না। প্রশিক্ষন কালীন সময় অনেক ধরনের কার্যক্রম হয় যা শেখার জন্য জরুরী।

এই ভিডিও যে প্রকাশ করেছে তার উদ্দেশ্য ভালো না। প্রশিক্ষিন কক্ষে মোবাইল ও ভিডিও ক্যামেরা বহন নিষদ্ধ করা উচিত। সব সুবিধা সবার জন্য নয়।

২৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

শায়মা বলেছেন: @রানারব্লগ ভাইয়া আমি তো জানি স্কুল টিচিং ট্রেইনিং ছাড়াও আইস ব্রেক বা মানুষের হেসিটেশন কাটাতে বা আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নরমাল অফিসগুলোর ট্রেইনিং এও এমন অনেক খেলাধুলা টাইপ আয়োজন করা হয়।

ট্রেইনিং করতে করতে করতে করতে আমি বুড়ি থুত্থুড়ি হয়ে গেলাম। কত শত লম্ফ ঝম্ফ দিলাম। তবে সবাই যেভাবে ভিডিওগুলো নিয়ে হাসি তামাশা করছে ভাগ্যিস আমাদের ট্রেইনিং গুলো তারা হাতে পায়নি! :(

২৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪

নতুন বলেছেন: যেকোন ট্রেনিং সেসনে আইস ব্রেকার এবং অংশগ্রহনকারীদের এটেনসন ধরে রাখতে এমন সব মজার একটিভিটি করা হয়ে থাকে।

সেইগুলির ভিডিও করে যদি ভিউ পাবার জন্য আপলোড করে এবং সেটা নিয়ে ব্লগারেরা মজা করে তবে সেটা দুখজনক।

যেই সব ছাগল এই সব ভিডিও বানিয়েছে এবং আপলোড করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

৩০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

শায়মা বলেছেন: নতুন ভাইয়া একদম ঠিক বলেছো। এটা আসলেই দুঃখজনক।

আর নাহোল ভাইয়া তোমার জন্য কিছু ভিডিও মহসিন ভাইয়ার পোস্ট থেকে


৩১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সাম্প্রতিক আলোচিত বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গতকালের মন্তব্যঃ অতীতে আমাদের শিক্ষকদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণের ফাঁকে বিনোদনের জন্য তাদের অংশগ্রহণে এসব ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলো এখন ছড়িয়ে দিয়ে বিশেষ গোষ্ঠী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।অনেকে অপপ্রচার চালাতে নতুন করে এসব ভিডিও তৈরিও করছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এমন একটা যুগ পার করে এসেছি, যেখানে পরীক্ষার হল থেকে বের হলেই অভিভাবকরা জিজ্ঞাসা করতেন, ‘কয়টা প্রশ্ন কমন পড়েছে?’। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেশি কমন প্রশ্ন বলে দিতে পারতেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে সেরা বলা হতো। আমরা সেই মুখস্তনির্ভর পড়া থেকে বের হতে চাই।

নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা একদিনে তৈরি করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি। আটশোর বেশি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। বিভিন্ন পর্যায়ে পাইলটিং করেছি। ২০১৭ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ১১ বছরের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের বইগুলো এখনো পরীক্ষামূলক সংস্করণ। এখানে পরিবর্তন-পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে।

৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

শায়মা বলেছেন: সাধুভাইয়া ঠিক ঠিক আমিও এক মত! :)

৩৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: যারা শিক্ষকদের মাইর গুতো খেয়ে বড় হয়েছে, তারা তাদের পোলা মাইয়ারাও মার গুতো খাক এটাই চাইবে।
যে সব শাশুড়ীরা তাদের শাশুড়ীদের কাছে লাঞ্ছনা গঞ্জনা খেয়েছে, তারা তাদের বঊমাদের উপর প্রতিশোধ নেবেই।
আমরা কষ্ট করে মাইর গুতো খেয়ে বড় হয়েছি, আর তোরা নাচন কোদন করবি? হতেই পারে না।
আমাদের সময়ে বাপ মা শিক্ষকদের নিকট আমাদের সমর্পন করার সময় নিবেদন করে বলত, স্যর মাংস আপনার, হাড্ডি আমার, মানুষ করে শুধু হাড্ডি ফেরত দিলেই হবে। ভয়ঙ্কর ব্যাপার স্যাপার।

৩৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা হলাম গোমড়ামুখো, আনন্দবিমুখ জাতি। আমরা হাসতে জানি না, নাচতে জানি না, গাইতে জানি না। এসব আমাদের কালচারের মধ্যেই নাই। এজন্যে হাস্যকর লাগছে। এই একই জিনিস আফ্রিকার কালোরা অথবা জাপানের হলদেরা অথবা আমেরিকার সাদারা করলে সবাই বাহবা দিয়ে বলতো যে শিক্ষা এমনই আনন্দময় হওয়া উচিত!

যারা এসব ভিডিও শেয়ার করছে, তারা নিশ্চিতভাবেই ম্যানিপুলেট করছে। তারা বোঝাতে চাইছে যে এইসব ছাড়া আর কিছুই নাই কারিকুলামে। আদতেই কি ব্যাপারটা তাই? আমি নিজেও ভালোভাবে জানি না, তবে বাংলাদেশের মানুষের সমস্যাটা কোথায় তা তো জানি! সেথেকে অনুমান করা যায় কারা কী করছে আর কী বলছে আর কী চাইছে।

৩৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: শায়মা বলেছেন: সত্যিই জানিনা মানে ড্রাগ কুইনস ইন স্কুল এমন শিরোনাম দেখেছি হয়ত কিন্তু সেটাই আমাদের লেখাপড়াতে এনে ফেলতে হবে এমনটা ভাবতে পারিনি................... - এই লেখাটা বুকমার্ক করে রাখেন। দেখবেন আমাদের দেশেও যদি কখনও এদের আনা হয়, তখন আপনি সাফাই গাইবেন এগুলির পক্ষেই :) ;)

৩৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

নতুন বলেছেন: @নাহল তরকারি

একটা ট্রেনিং সেসনের উদ্দেশ্য অংশগ্রহন কারীরা যেন মনযোগের সাথে বিষয়টা শেখে।

মানুষ সাধারনত লম্বা ট্রেনিং এ খুবই বোরিং ফিল করে।

তাই ট্রেনিং এর ফাকে ফাকে তাদের মনযোগ ধরে রাখার জন্য অনেক টেকনিক ব্যবহার করতে হয়। যাতে সবাই বোরিং ফিল না করে/ ঘুমিয়ে না পড়ে।

ট্রেইনার যদি ভালো না হয় তবে ট্রেনিং বোরিং হয়, অংশগ্রহনকারীরা কিছুই শেখে না। সময়/টাকা সবই নস্ট হয়।

বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে এখন যদি আপনি স্যর মাংস আপনার, হাড্ডি আমার, মানুষ করে শুধু হাড্ডি ফেরত দিলেই হবে। যুগে ফিরে যেতে চান তবে সেটা ভন্ডামী মাত্র।

আপনি নতুন উন্নত বিশ্বের সুবিধা নিতে চেস্টা করবেন কিন্তু আপনার নতুন প্রযন্মকে নতুন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রস্তুত করবেনা না সেটা একটা ভন্ডামী মাত্র।

৩৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ অগ্নিবেশভাইয়া আর হামা ভাইয়া মনের কথা বলেছো।

যারা এসব ভিডিও শেয়ার করছে, তারা নিশ্চিতভাবেই ম্যানিপুলেট করছে। তারা বোঝাতে চাইছে যে এইসব ছাড়া আর কিছুই নাই কারিকুলামে। আদতেই কি ব্যাপারটা তাই? আমি নিজেও ভালোভাবে জানি না, তবে বাংলাদেশের মানুষের সমস্যাটা কোথায় তা তো জানি! সেথেকে অনুমান করা যায় কারা কী করছে আর কী বলছে আর কী চাইছে।


আদতেই তাই না!!!!!!!!!! কিছুতেই না.......... অনেক কিছুই আমাদের মেন্টালিটি যেমন তেমনভাবে ধরেই নিচ্ছি যে এসব কি পাগলামী ছাগলামী।

আগে যেমন মা বলতো এসব কি মানুষ পরে ...... মানুষ এমনে জামা পরে ওমনে কাপড় পরে আবার এইভাবে খায় নাকি এর সাথে এই দিয়ে খেতে হয় তার সাথে তই দিয়ে।

এখন এসবের বালাই আছে??? মানুষ তই এর সাথে দই খই মই দিয়েও নতুন কিছু বানিয়ে ফেলছে , সৃজনশীলতা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মান্ধাতার আমলের সেই আদি আদিখ্যেতা আঁকড়ে নেই মানুষ আর।

সহজে ই সরলে অল্প ইনপুটে বেশি আউটপুট কেমনে পাওয়া যায় তাই নিয়ে গবেষনা করছে। সময়কে কাজে লাগাচ্ছে।

আর ঋণাত্মক শূণ্য ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!!! জীবনেও না!!!!!!!!!!!!! এই কাজ আমি করবোনা কিছুতেই.......

তবে হ্যাঁ সত্যি তাদেরকে স্কুলে আনার কারণ কি আমাকে জানতে হবে। তুমি নেগেটিভ দেখছো আমি দেখি কিছু পজিটিভ খুঁজে পাই কিনা।

তারপর যদি দেখি দাঁগ থেকে যদি কিছু ভালো সৃষ্টি হয় কিনা ....... :)

৩৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের শিক্ষকরা ট্রেনিং বলতে বুঝে কিছু গম্ভীর আলোচনা ঘুম ঘুম চোখে নিয়ে শুনতে হবে। এরপর আসার সময় পকেটে কিছু টাকা দেবে এবং একটা সার্টিফিকেট দেবে। আমাদের সময় এক টিচার ট্রেনিংয়ে গিয়েছিলেন, ফেরার সময় দেখলাম উনাকে একটি শার্টের পিস ও প্যান্টের পিস দেওয়া হয়েছিল, সাথে একটা ছাতা ও ব্যাগ ছিল। উনি সেগুলি নিয়েই আমাদের কাছে গল্প করলেন। কি শিখে এসেছেন সেটা কিছুই বলেননি। উনি উনার আগের মতোই শিক্ষকতা চালিয়ে গিয়েছেন।

৩৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

শায়মা বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: @ শায়মা
আজকাল মুখস্ত বিদ্যার কথা মনে হয় কেউই বলছেননা। অবশ্য আমাদের বাপ-দাদারা এমনকি আমারও তো মুখস্ত বিদ্যাই করেছি। তখন সেখানে কি আজকের এই নব্য ও ভয়ঙ্কর হাতে কলমে শেখানোর ব্যবস্থা ছিলো ? আপনিই বা করেছেন কি? আমাদের বাপ-দাদাদের জ্ঞানের সাথে এখনকার ছেলেমেয়েদের জ্ঞানের কোনও তুলনা চলে কি? আমাদের দেশের প্রখ্যাত সব ব্যক্তিরা কি সবাই হাতে কলমে, নাচ-গানের মাধ্যমে বিরিয়ানী রান্না শিখে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়েছিলেন ?


ভাইয়া
আমাদের বাপ দাদারা তো অনেক কিছুই করেননি যা আমরা করি। এবং এটাই হবার কথা সারাজীবন কি আমরা বড় হয়ে শুধু বাপ দাদাই হবো নাকি?? আমরা কি আমরা হবো না!!!! :( না আমি আমার জীবনে বাপ দাদাদের মত অনেক কিছুই করেছি আবার করিনিও অনেকটা দিন। ওদের মতই পড়ালেখার পাাশাপাশি গান নাচ এই সব শিখেছি। কিন্তু এই জীবনেই ইন্টারনেট ব্যবহার শিখেছি। বক্স টিভি থেকে এল ইডি দেখেছি। পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয়েছি। তারপরেও নিজের সংস্কৃতি কিছুটা হলেও ধরে রেখেছি। আমাদের দেশের প্রখ্যাত ব্যক্তিরা একেবারেই অন্যভাবেই পড়ালেখা শিখেছিলো এবং তা মোটেও যে আনন্দময় ছিলো না তা নানা গল্পে উপন্যাসে পড়েছি। জালি বেত টালি বেত আরও কত বেতের বাড়ি খেয়েই তারা বড় হয়েছে। তবে কি সেই নিয়ম পরিবর্তিত হয়নি? আজও আমরা বলি বেতের বাড়ি খেলে তাড়াতাড়ি শিখতো। তাই কি ঠিক? এই বুড়াকালে কিছু শিখতে গেলেও যে ঝক্কি পোহাতে হয় তা ছোটকালে কেমন কঠিন ছিলো ভাবি না কেনো? নতুন দিনে একটাই শ্লোগান হওয়া উচিৎ, শিক্ষা যত আনন্দময় হবে তত তাড়াতাড়ি শিখবে মানুষ। :)

আর এই নাচ গান বিরিয়ানী রান্না নিয়ে যে সব ট্রল শুরু হয়েছে তার কিছু কারণ খুঁজে পেলাম। বিরিয়ানী নাকি রান্না হয়েছিলো বিজ্ঞান ক্লাসে তাপ সঞ্চালন শিখাতে গিয়ে তাকে মানুষঃ বানিয়ে দিয়েছে বিরিয়ানি রান্না শেখানো বাবুর্চি বানিয়ে। যাইহোক বুঝা যাচ্ছে এই জটিল বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাকে এখন ঐ বিরিয়ানী রান্নার চ্যাপ্টার পড়তে হবে। আগে পড়ে আসি।



পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন - আমরা কিন্তু পরিবর্তন মেনে নিতে চাইনা। পারি না।
পরিবর্তন যদি গ্রহনযোগ্য হয় তবে মেনে নিতে কেউ দ্বিধা করেননা। কিন্তু পরিবর্তন যদি কিম্ভুতকিমাকার কিছু হয় তবে তা কে মানবেন ? যেমন , পরিবর্তনের কথা বলে আমরা কি আমাদের মা-দাদী-নানিকে ছেঁড়া জিন্সের প্যান্ট ,টপলেস টপস পড়িয়ে দেবো ? সেটা কতোখানি গ্রহনীয় হবে ? পরিবর্তনের ঢেউ তুলে তাদের মান্ধাতা আমলের ছায়া-সেমিজহীন আলুথালু ভাবে শাড়ী পড়ার অভ্যেসটাকে পাল্টে কুঁচি দিয়ে শাড়ী পড়াটা হয়তো শিখিয়ে দিতে পারা যেতে পারে! এটাই তো যুক্তিযুক্ত হবার কথা!




হা হা এই কথা পড়ে সাত সকালে আমার হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়েছিলো কারণ কদিন হলো খুব কাশী হচ্ছে। যাইহোক আমার মতে কুঁচি দিয়ে শাড়ি পরানো না। মানে উচিৎ ছিলো একবারে পুরা ছোটদের থেকে বড়দের জন্য কারিকুলাম চেইঞ্জ না করে শুধু কয়েক বছর প্রাথমিক তারপর মাধ্যমিকে পরিবর্তন আনার চেষটা করা। ঐ যে তাতে আবার পেডাগোজিকাল ট্রানজিশন বিঘ্নিত হত আর কি।

বলেছেন - এক পা সামনে না বাঁড়ালে কেমনে জানবো সামনে কি আছে??
হ্যা অবশ্যই শিখতে গেলে পা সামনে বাড়াবেন তবে প্রথমে একা একা, সদলবলে নয় কখনই। কারন সামনে গর্ত থাকলে সবাইকে নিয়েই গাড্ডায় পড়তে হবে, মানে আম-ছালা দু’টোই যাবে। আর একা হলে বিপদটা একজনের উপর দিয়েই যাবে। যদি সেই একজন সহি সালামতে গর্ত থেকে ফিরে আসতে পারেন তবেই নেচে-গেয়ে আনন্দের সাথে তার অভিজ্ঞতা আমাদের হাতে কলমে শিখিয়ে দিতে পারবেন, কি করে গর্ত পেরুতে হয়!


হায় হায় একা একা কি করে এইখানে পা বাড়াবে আর কে বাড়াবে?? সরকার নাকি শিক্ষামন্ত্রী? তারা তো সব লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে ফেলেচেন।
দেখো তারা কিন্তু সার্ভে করেছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে কি করে এইভাবেই পড়িয়ে সুফল পাচ্ছে। এক লাফেই শুরু করে দেয়নি। :(

আপাতত এইটুকু। আবার আসছি।

৪০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

মৃতের সহিত কথোপকথন বলেছেন: ধন্যবাদ

৪১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সবই ঠিক আছে কিন্তু পরিকাঠামো কোথায়? সেটা কে ঠিক করবে?

৪২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: শায়মা সঠিক বলেছেন।

৪৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: @ শায়মা,

এই পোস্টে এতো মন্তব্য করেছ, যে বিশাল একটা পোস্ট হয়ে যেত ঠিকমতো লিখলে! মনে হয় তুমি অনেক ভালো লিখতে পারবে এই কারিকুলাম নিয়ে, অনেকের মতো আমিও চাই যে তুমি বিস্তারিত লিখো। সেখানে আবার আলোচনা হতে পারে, এই কারিকুলামে আমার প্রিয় বিষয় গণিত আর বিজ্ঞানের সংকুচিত আকার আর তার পরিণাম নিয়ে।

আমি আনন্দময় লেখাপড়ার বিরোধী নয়, কিন্তু মনে করি লেখাপড়া এমন হওয়া উচিত যেন শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের আলোকে আলোকিত হতে পারে, সেটাই বলতে চেয়েছি।

ধরো এলিমেন্টারি ক্লাসে বিভিন্ন রং, বস্তুর আকার ইত্যাদি শেখানো হয়। যার তিনটি কোণ আছে তাকে বলে ত্রিভুজ, চার কোন থাকলে চতুর্ভুজ, গোলাকার হলে চতুর্ভুজ। তুমি বলেছ, শিক্ষাকে আনন্দময় করতে তুমি শেখাও দড়ি দিয়ে, এই কারিকুলামে যেভাবে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রদের দড়ি দিয়ে ত্রিভুজ শেখানো হয় সেভাবে । কিন্তু বলতো, সপ্তম শ্রেণীর যে ছাত্রটি আগের শ্রেণীতে খাতা কলমে জ্যামিতি করেছে, সে এবছর এভাবে নতুন করে ত্রিভুজ শিখে কি অর্জন করবে? তুমি কি সপ্তম শ্রেণীর কিশোরদের এভাবে ত্রিভুজ শেখাও, নাকি এলিমেন্টারি ক্লাসের শিশুদের?

আমি বলেছি তো আমি একসময় শিক্ষকতা করেছি, সেখানে প্রাইমারি লেভেল পর্যন্ত খেলাধুলার মাধ্যমে লেখাপড়া করানো হতো কিন্তু তারপর থেকে লেখাপড়ার চাপ থাকতো। সেটাও কিন্তু আনন্দময় লেখাপড়া। ধরো একদিন ইতিহাস ক্লাসে পড়ানো হলো সপ্তদশ শতকের ইউরোপ নিয়ে। ছাত্রদের এমন কোন প্রশ্ন করা হতো না যে উত্তর মুখস্ত করতে হয়। বরং প্রশ্নটা এমন হতো, সেই সময় রোমে বাসকারী একজন ডাক্তারের একদিনের ডায়রি লিখো। প্রতিটি ছাত্রর উত্তর হতো আলাদা! অঙ্ক বইগুলো ছিল চমৎকার। নিয়মিত পড়াশোনা আর অনুশীলন করতে হতো, সপ্তম শ্রেণীতে। তোমার স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে কি কেমন লেখাপড়া হয়, শুধু খেলাময় লেখাপড়া?

এই যে নতুন কারিকুলাম, এর নাম International Baccalaureate, এটা আধুনিকতম শিক্ষা ব্যবস্থা যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়কার বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার, নেতৃত্ব দেবার উপযোগী নাগরিক তৈরি করবে। এজন্য এই পদ্ধতিতে শিক্ষারদানকারী শিক্ষকদের আগে নিবিড় প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়, যেন তারা প্রতিটা ছাত্রের মানসিক শারীরিক এবং জ্ঞানের বিকাশ সঠিকভাবে যাচাই করতে পারেন, তার aptitude অনুযায়ী তাকে গড়ে তুলতে পারেন। এজন্য একজন শিক্ষকের অধীনে বড় জোর ২০ জন শিক্ষার্থী থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে মূলধারার বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে কতজন ছাত্র থাকে সেটা জানো? ছাত্রদের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করার উপযোগী প্রশিক্ষণ কি শিক্ষককে দেয়া হয়েছে? এইসব যাচাই করে বলো তো, লক্ষ লক্ষ ছাত্রদের সঠিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে তোমার?

বাচ্চাদের মাল্টিপল ইন্টেলিজেন্স বিচার করেও লেখাপড়ায় নানা রকমের ওয়ার্কশিট হতে পারে বিভিন্ন বাচ্চার বিভিন্ন ইন্টারেস্ট অনুযায়ী যখন worksheet বা লারনিং যে কোন রিসোর্সের হবে তখন যে বাচ্চা মুখস্ত পারে না কিন্তু ছবি এঁকে দিতে পারে সে সেটাই করবে এবং শিখবে এবং যে বাচ্চা ছবি আঁকতে পারে না কিন্তু খেলনা সেটা করতে পারে সেভাবেই দেখাবে। কিন্তু খেলনা সেটা করতে পারে সেভাবেই দেখাবে এরপর একে অন্যের দেখে সমস্ত ক্লাস নিজেদের ছাড়াও অন্যদের সাথে থট শেয়ারিং করবে।

বড় সুন্দর শিক্ষা ব্যবস্থা চিত্র, এসব আমরা তো জানতামই না। ভাবতে খুব ভালো লাগছে, আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোতে খালি পেটে, খালি পায়ে পড়তে যাওয়া শিশুরাও এমন চমৎকার ভাবে ছবি এঁকে, খেলনা দিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে!

অভিভাবকেরা না হয় নতুন কিছু দেখে শঙ্কিত হয়েছে কিন্তু এটা দেশের সরকার কেন শিক্ষা বন্ধ করার আয়োজন করবে এটা তো আমি বুঝতে পারছি না আপুনি। সরকারের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি দেশের শিক্ষাবিদদের?

না, এদের কারোরই মাথা খারাপ হয়নি। ওরা এটা করেছেন আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন বলে। যে কারণে ব্যবসায়ীরা নির্দ্বিধায় খাবারে বিষ মেশাতে পারেন, ঠিক সেই কারণেই উচ্চ পদাধিকারীরা এদেশের সাধারণ মানুষের সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে খেলা করতে পারেন। কারণ তাদের সন্তানেরা পড়ে অথবা পড়েছে আইএসডি, আগা খান স্কুল ইত্যাদিতে। (আমি এটা খোঁজ নিয়ে দেখেই বলছি।)

অর্থ কম না মোটেও, কয়েক হাজার কোটি টাকা। শিক্ষা নিয়ে গবেষণা, পরিবর্তন, পরিবর্ধন একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস, এর জন্য বিদেশ থেকে এই অর্থ সহায়তা আসে। সেই টাকায় কর্মকর্তারা বিদেশে যান, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা শিখে আসেন, কিছু গবেষণা হয়, সমস্ত টাকা খরচ করে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়। এমন আগেও বারেবার হয়েছে, প্রতিবারই বলা হয়েছে যে, এটা সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থা। এভাবে একসময়কার ফলাফলের ডিভিশন পদ্ধতি বাদ হয়ে এলো জিপিএ এবিসিডি পদ্ধতি শিক্ষা ব্যবস্থা এসেছিল। এখন বলা হচ্ছে জিপিএ ভুল, ফলে এবার চালু হচ্ছে ফলাফলের জন্য পরীক্ষা বিহীন ত্রিভুজ, বৃত্ত , চতুর্ভুজ পদ্ধতি যা বিশ্বে অনন্য। (তুমি যখন এই কারিকুলাম নিয়ে লিখবে, তখন তোমার সেই পোস্টে একটু জানাও তো এই বৃত্ত ত্রিভুজ চতুর্ভুজ পদ্ধতি দুনিয়ার আর কোথায় চালু আছে, আর এর সুফল কী! এটা নিয়েও অভিভাবকেরা আপত্তি করছেন। আমি গুগল করে কোথাও এটা পেলাম না।)

আমরা পরিবর্তন মেনে নিতে পারছি না বলে বড় রুষ্ট হয়েছ তুমি। তুমি হয়তো জানো না, মূলধারার শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় গত কয়েক বছর ধরে কেবল পরিবর্তনের মাঝে দিয়েই যাচ্ছে। জিপিএ প্রবর্তনের পর ক্লাস ফাইভ এবং ক্লাস এইট এর বৃত্তি পরীক্ষা তুলে দিয়ে প্রাথমিক সমাপনী এবং জেএসসি নামের পাবলিক পরীক্ষা চালু হলো। আট দশ বছর চলার পর বলা হলো যে এটা খারাপ পদ্ধতি, অতএব বাতিল। একই ভাবে, সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করে বলা হলো এটা সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। এটা বাচ্চাদের মুখস্ত বিদ্যার হাত থেকে বাঁচাবে, কোচিং দরকার হবে না, গাইড দরকার হবে না।‌ দেখা গেল এই পদ্ধতিতে এগুলো আরও বেশি দরকার হচ্ছে। এটাও বাতিল হল কয়েক বছরের মধ্যে।

দেখতেই পাচ্ছো মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছুদিন পর পর আমূল পরিবর্তন করা হয় যথাযথ গবেষণা ও প্রস্তুতি ছাড়া, তারপর সেটা বাতিল করে নতুন পদ্ধতি আসে। অথচ এদেশে ও লেভেল এ লেভেল চলছে একই পরিবর্তন ছাড়াই। কেন??

এই যে ডিভাইস নির্ভর কারিকুলাম, সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কিন্তু সামর্থ নেই স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার কিনে দেবার, ইন্টারনেট সংযোগ নেবার, তারপর প্রিন্ট নেবার। আমাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষা ব্যবস্থাপকদের উচিত ছিল অভিভাবকদের উপর চাপ না দিয়ে কম্পিউটার সমৃদ্ধ লাইব্রেরি করা, যেখানে বসে শিক্ষর্থীরা প্রয়োজনীয় লেখাপড়া ও প্রিন্ট করতে পারে।

বলেছ বিজ্ঞানে তাপ সঞ্চালন শেখাতে বিরিয়ানি রান্না করেছে!! বিরিয়ানি রান্না করতে কত সময় লাগে বলতো? দুই ঘণ্টা। শুধু তাপ সঞ্চালন শিখতে দুই ঘন্টা লাগালে, তাপের অন্যান্য বিষয় শিখতেই তো বছর চলে যাবে। আলোক, চুম্বক, শক্তি, বিদ্যুত আরো অনেক বিষয় যা এতদিন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ানো হতো, সেসব কখন পড়াবে?

বলেছ, বিরিয়ানি রান্না শেখার সুফল হচ্ছে বিদেশে পড়তে গেলে নিজে রেঁধে বিরিয়ানি খেতে পারবে। আচ্ছা বলতো, বিদেশে পড়তে যাবে কিভাবে? স্যাট, জিআরই টোফেল আইএলটস পাশ না করে বিদেশে পড়তে যাওয়া যায়? কিন্তু এসব পাশ করতে তো পরীক্ষা দিতে হয়, মুখস্ত করতেও হয়। :(

আগামী বছর নবম শ্রেণীতে কোন বিভাগ থাকবে না। এতদিন মানবিক শাখার ছাত্ররা যে সাধারণ বিজ্ঞান বই পড়তো এখন সবাই সেই বই পড়বে। বাদ হয়ে যাবে উচ্চতর গণিত, অথচ গণিত হচ্ছে বিজ্ঞানের ভাষা। তুমি নিশ্চয় জানো ও লেভেলে কত বিস্তারিত গণিত অনুশীলন করতে হয়।‌ তাহলে মূলধারার শিক্ষায় গণিত বাদ দিয়ে বিজ্ঞান পড়া কিভাবে সম্ভব?

৪৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: উপরে বেশ সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য থেকে অনেক তথ্যই জানা হলো। আমরা মনস্ত্বাত্বিক ভাবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন মেনে নিতে অনেক ক্ষেত্রেই সক্ষম হইনা, অনেকের মন্তব্যে সেই বিষয়টি ফুটে উঠেছে, আবার তথাকথিত ফেবু বিশেষ-অজ্ঞদের দ্বারাও অনেকে প্রভাবিত বলে মনে হলো। যাইহোক সকল আলোচকদের নিকট আমরা কৃতজ্ঞ।

ব্লগার শায়মার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি পোস্ট আশা করছি।

৪৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:০২

কাঁউটাল বলেছেন: বোংগাল জাতির ভবিষ্যত বংশধর সর্বোচ্চ চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারি হইবে। ইহার উপরের শ্রেনী সমূহে ভাঁড়তিয়রা উচ্চ বেতনে চাকুরি করিবে। ড়বিন্দ্রনাথ ট্যাগোর এইজন্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করিয়াছিলেন। বেকুব বোংগালরা উহা বুঝিতে পারে নাই। এই চাষা-ভুষার জাত এত বিজ্ঞানি শিখিয়া কি করিবে? ডেঁপো মনিকে ধইন্যবাদ। উনি ট্যাগোর সাহেবের মনের মত একখানা শিক্ষা ব্যবস্থা বোংগাল জাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হইয়াছেন।

৪৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের ৮০ ভাগ অভিভাবক এর পড়াশুনা শূন্যের কোঠায় । বাকি যারা আছেন তাদের ধ্যান ধারনা নিয়ে আলোচনা না করাই উত্তম তাতে আমার আপনার অভিভাবক ফেঁসে যেতে পারেন । যে ট্রেনিং প্রোগ্রাম নিয়ে এরা অক্কা পাচ্ছে বা যে কারিকুলাম নিয়ে রাস্তায় ঠ্যাং চেগিয়ে হায় হায় করে মাথা চাপড়াচ্ছে একি কারিকুলামে যদি তাদের পোলাপাইন আমেরিকায় পড়তো দেখতে ডাত দেখিয়ে চোখ বাকিইয়ে বলতো আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে ।

আগে এই সব অভিভাবক যারা রাস্তায় নেমে অসভ্যের মতো পান খাওয়া দাত জিভ দেখিয়ে ঘেন্না ছড়াচ্ছে এদের সভ্যতা শেখানো । পাব্লিক প্লেসে পান খেয়ে দাত দেখাতে নাই বা সিগারেট খেয়ে ফু মারতে নাই এরা এটা জানে ? জানে না কারন এদের প্রিবার শেখায় নাই । স্কুল তো আরো না । এখন যদি স্কুল শেখায় যে পাব্লিক প্লেসে পান খেয়ে লাল দাত সহযোগে জিভ দেখানো অভদ্রতা , সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে অন্য কে যন্ত্রনা দেয়া টা ক্রিমিনাল এ্যাক্ট আর এই সব দেখে যদি কোন আভিভাবক মুখ খিঁচিয়ে বলে কি শেখায় ও তো আমি জানি । এটা আবার শেখাতে হয় নাকি? তখন ওই অভিভাবকের কান ধরে পঞ্চাশ বেত্রাঘাত করে বলা উচিৎ তাহলে ব্যটা তুই কেনো অভদ্র আছিস ।

৪৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

শায়মা বলেছেন: করুনাধারা আপুনি........

নিজের স্কুলের হাফ ইয়ার্লী রিপোর্ট কার্ড নিয়ে এমনই ঝামেলায় আছি। সারাদিন মুখ তুলে তাকাতে পারিনি। কালকে আমি ইংলিশ মিডিয়ামের টিচার আরও দুজন অনেক পুরান ব্লগার আপুদের সাথে ফেসবুকে কথা বলছিলাম। তারাও বললো এই সিস্টেমে নতুন করে পুরান টিচারদের খাপ খাওয়াতে শুধু সমস্যাই না এসেসমেন্ট এভালুয়েশন রিপোর্ট কার্ড এসব করতে গেলে টিচারেরাই এবারে আন্দোলন শুরু করবে কারণ ইহা মোটেও সহজ কর্ম নহে।

হঠাৎ করে সেই আদি আমল থেকে চলে আসা পদ্ধতিতে নাম্বার যোগ করে দেওয়া সহজ ও অতি পরিচিত পরীক্ষা উপায় ছেড়ে হঠাৎ এমন এসেসমেন্ট গ্রেড এসব কি বুঝতে বুঝতেই তো অবস্থা কাহিল হয়ে যাবে। এই সব কারণে ট্রেইনিং শুধু জরুরী না। একজন হিজাব নেকাব পরা বয়স্ক প্রাইমারী টিচারকে প্যাক প্যাক করে খেলাধুলা করতে বললে সেটা সে তার ব্যক্তিত্বের সাথে মোটেও যায় না মনে করে খুবই বিরক্ত হবে। টিচারেরা গুরু গম্ভীর শ্রদ্ধার আসনে আছেন। তাদের সাথে ছোট বাচ্চাদের মত খেলাধুলা মোটেও যায়না বরং হাতে বেত হলেই বেশি মানায় এই তো আমাদের চেনা টিচারের চেহারা। তবে কি করে এই টিচার বেত ছেড়ে বা হুংকার ছেড়ে সাইকেল চালানোর অভিনয় করে তিরিং বিরিং করে অভিনয় করবে?

এসব চিন্তা করে আমারও খারাপ লাগছে। কিন্তু পরিবর্তন আসলেও জরুরী ছিলো। হয়েছে এবং অনেক ভুল ভ্রান্তি সংশোধনও প্রয়োজন রয়েছে।

আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এই বিষয়ে বিশেষ করে তুমি যেই পোস্ট লিখেছিলে সেটার উপর বেইস করে আমার যতদূর সম্ভব কিছু লেখার। শুধু সময় বড় প্রয়োজন আমার। কাল আবার বাসায় অনুষ্ঠান আছে তাই আমিও বিরক্ত! :(

৪৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

শায়মা বলেছেন: করুনাধারা আপুনি,

হ্যাঁ আমি আমার বেস্ট ট্রাই করবো যখনই সময় পাবো তখনই এই বিষয়ে লিখতে। তুমি যা যা প্রশ্ন করেছো সেসবেরও উত্তর দিতে তবে কাল আমি কারিকুলাম স্পেশালিস্ট আমাদেরই পুরান একজন সন্মানীত ব্লগারভাইয়ার সাথে কথা বলেছিলাম- ভাইয়ার বক্তব্য এখানে তুলে দিলাম-

শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল তবে একেবারেই নতুন করা সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। পুরাতন শিক্ষাক্রম ও অ্যাক্টিভিটি বেইজড ছিল। কিন্তু সামেটিভ অ্যাসেসমেন্ট থাকায় পরীক্ষাটাই প্রধান হয়ে গিয়েছিল। School based assessment চালু হয়েছিল ২০১০ থেকে। কিন্তু সেটা সফল হয়নি। কেন হয়নি সেটা গবেষণা সাপেক্ষ। ২০১২ কারিকুলামেও ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা ছিল।
আমাদের দেশে যে কোনো রকমের কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো পয়েন্ট আকারে বললে এমন:
১. প্রয়োজনীয় মেয়াদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ (ওয়ান্স ইন এ লাইফ টাইম তিন দিন পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে কারিগলাম বাস্তবায়ন করা যায় না)
২. পুরাতন ধ্যান ধারণার শিক্ষকদের মাইন্ড সেট পরিবর্তন (বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় যারা আছে তাদের অধিকাংশই মেধার দিক থেকে নিম্নমান)
৩. ছাত্র শিক্ষক অনুপাত (activity বেইজড শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি)
৪. অভিভাবকদের মাইন্ড সেট পরীক্ষা মুখী
৫. প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের অপ্রতুল সরবরাহ

৪৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০১

বিজন রয় বলেছেন: অনেক ভালো আলোচনা চলছে।

তবে আমি নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা বা পদ্ধতির পক্ষে, এটি আমার অনেক উপকার করছে।

৫০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: জনাব, আপনি যে ভিডিওখানির লিংক দিয়াছেন, উহা আসামের ভিডিও। বাঙ্গালদেশের না।

https://www.youtube.com/watch?v=ks8AUYWhFc0

৫১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

নতুন বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.