নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
আমার নানার নাম আঃ মালেক ঢালী। মৃত্যু ১২-ডিসেম্বর-২০১০। তাহার গেজেট নং 348। লাল মুক্তিবার্তা নং ০১০৩০২০০১০।
তিনি ১৯৭১ সালে যুবক। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ এর ভাষণ শ্রবণ করার পর থেকে তিনি কোন কিছুর জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পাবার পর থেকেই তিনি ভারতে যাবার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। সে সময় মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রাম ছিলো হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। সে সময় কিছু হিন্দু ভারতে চলে যাচ্ছিলেন, রাজনৈতিক আশ্রয় এর জন্য। আমার নানা তাদের সাথে যোগ দেন। এবং ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসেন। আমার নানা যখন মারা যান, তখন আমি কিশোর। সে বছর আমি এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। যার জন্য তার অপারেশন, তিনি কার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন, কত নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, বিভিন্ন ইনফরমেশন আমার মাথায় আসে নি। এখন উনি জীবিত থাকলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ইনফরমেশন, বিভিন্ন সত্য ঘটনা শুনতে পারতাম।
তবে যতটুকু শুনেছি ততটুকু বলছি।
মুক্তিযুদ্ধের জন্য ট্রেনিং করার সময়, একটি দল গজারিয়া তে পাঠায়। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্ত্র সাপ্লাই। গজারিয়া কালিপুরা ঘাটে সব সময়, রাজাকারদের ডিউটি পড়ে। সেদিন পাক মিলিটারি সেই ঘাটে ডিউটি করছিলেন। রাতের আধার। নৌকা বোঝাই অস্ত্র। নৌকার ইনচার্জ রাতের অন্ধকারে, নৌকাতে সিগারেট উপভোগ করছিলেন। পাকিস্তানের আর্মিরা সিগারেট এর আলো কে নিশানা করে গুলি ছুরে। শহীদ হয় একজন মুক্তিযোদ্ধা।
এই খবর আবার আমার নানার ট্রেনিং সেন্টারে আসেন। এবং আমার নানা যার কাছে ট্রেনিং করতেন, সেই ট্রেইনার কে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলেন। ট্রেইনার ছিলেন একজন শিক। তিনি বললেন “সেদিন সেখানে কোন রাজাকার ডিউটিতে ছিলেন না। সেখানে পাকিস্তানের ট্রেনিং প্রাপ্ত সৈন্যদল ডিউটি করছিলেন। যেহেতু তারা সৈনিক, সেহেতু তারা ট্রেনিং প্রাপ্ত। তাই এমন নিখুত নিশানা করেছেন। আর তারা হয়তো এই অস্ত্রের চালান এর খবর আগে থেকে জানতেন। তাই সেদিন রাজাকারদের ডিউটি না দিয়ে নিজেরা ডিউটি করেছেন”
ট্রেনিং শেষ হবার পর যশোর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। প্রথম বা দ্বীতিয় অপারেশন এর সময় নানা জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন। হঠৎ এক সাপ নানাকে কামড় দেয়। স্থানীয় কবিরাজ প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর, গজ্ঞের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই যাত্রায় নানা বেচে যান।
নানা আফসোস করে বলতেন “অস্ত্র জামা দেওয়ার আগে কিছু রাজাকারদের গুলি করে মারার দরকার ছিলো।” তবে অন্যান মুক্তিযোদ্ধারা কিছু রাজাকারদের অপহরন করেন। বস্তার ভিতর ঢুকিয়ে নদীতে ফেলাইয়া দেয়।
বানান ভুল হলে মাফ করবেন।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সকল মুক্তিযোদ্ধাদের (পরবর্তী যারা রাজাকার দের দলে যোগ দিসে ওদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলার পতাকা লাইগাইছে ওরা ছাড়া) বিনম্র শ্রদ্ধা।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:০০
জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ নাহল, আপনার প্রয়াত বীর-মুক্তিযোদ্ধা নানা'র জন্য অনেক শ্রদ্ধা রইলো।
বেশ অনেকবার অনেক লেখায় আপনি আপনার নানা'র কথা উল্লেখ করেছেন। নানা'র অনেক আদরের নাতি ছিলেন, বোঝা যায়। ছবিতে ছোট্ট বাচ্চাটা কি আপনি?
যদি বোঝেন যে বানান ভুল হতে পারে, সেক্ষেত্রে কয়েকবার রিভিউ করার পর নিশ্চিত হয়ে তারপর পোস্ট করা ভালো। সেল্ফ (লারনিং+ডেভেলপমেন্ট) এর ক্ষেত্রেও এটা অনেক কাজে দেবে।
আর ভুল এখানে সবারই হয়। অপ্রয়োজনে যারা পান্ডিত্য দেখায়, তাদেরকে নিয়ে চিন্তিত না হওয়াই বেটার। মনে রাখবেন , কেউ জন্ম থেকেই শুদ্ধ-বানানে লেখা শিখে এখানে আসেনি। এবং এটাও এক ধরণের প্রাকটিস।
ভালো থাকবেন।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য। ঐ ছোট ছেলেটি আমি।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার নানার প্রতি রইল শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫২
প্রামানিক বলেছেন: নানা আত্মার শান্তি কামনা করি।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার নানাকে শ্রদ্ধা জানাই।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক ঢালীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।