নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্ণালী স্টুডিও।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫



৮০ বা ৯০ শতকে আমাদের দেশে স্টুডিও ক্যালচার ছিলো। সবাই স্টুডিও তে গিয়ে টিভির সাথে, কাদে রেডিও নিয়ে বা টেলিফোন কানে নিয়ে ছবি তুলতেন। কোন অনুষ্ঠানে, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি লাইফের শেষ দিন কে স্মরণীয় করার জন্য ক্যামেরাম্যান ভাড়া করে আনতেন। বা বন্ধুরা গ্রুপ মিলে স্টুডিও তে যেতেন ছবি তুলতে। স্বামী স্ত্রীরা একটু সেজেগুজে স্টুডিও তে যেতেন ছবি তুলতে।
১৯৮০ সাল বা ১৯৯০ সালের দিকে টিভি ও টেলিফোন ছিলে একটি গর্বের বিষয়। তাই তারা এইভাবে ছবি তুলতেন। এবং মানুষ তাদের বাহবা দিতেন। তখন ছবি তুলা আজকের মত এত সহজলভ্য ছিলো না। স্টুডিও এর মালিকদের কাছেই শুধু ক্যামেরা ছিলো। একটি জেলার ভিতরে ২০ বা ৩০ জন শৌখিন ব্যাক্তি ক্যামেরা রাখতেন। তাই অনেকে শুধু বছরে একবার, খুব প্রস্ততি নিয়ে, স্টুডিও তে ছবি তুলতে যেতেন।



আগেরদিনে স্টুডিও ব্যাবসা ছিলো জমজমাট। ছবি প্রিন্ট, ফ্রেমে ছবি বাধাই সহ আরো অনেক কাজে মানুষ স্টুডিও তে যেতেন। ২০০৫ সালে যখন বাংলাদেশে ক্যামেরা ওয়ালা মোবাইল আসা শুরু করলো, তখন থেকে স্টুুডিও ব্যাবসা তে ভাটা পড়তে শুরু করে। ২০১১ সালে নকিয়া ৫১৩০ এর মত মোবাইল আসার পর এই মার্কেট এ কিছুটা সুধিন আছে। কারন এই মোবাইল দিয়ে ছবি তুলার পর অনেকে সেই ছবি প্রিন্ট করতে যেতো।

এখন আমাদের দেশে 4G নেটওয়ার্ক চলছে। ব্রডবেন্ড ইন্টারনেট সমগ্র বাংলাদেশ পৌছে গেছে। অনেক গুগল ড্রাউভ, ড্রপবক্স এর মত ক্লাউড সার্ভার ব্যাবহার করে। এখন ছবি ক্যাপচার করে সাবাই ঐ ক্লাউড সার্ভারে জমা রাখে। তারপরে মনে করেন ফেসবুক, ইন্ট্রাগামে আপলোড দেয়। এখন আর কেউ স্টুডিও তে গিয়ে কেউ ছবি তুলতে চায় না। বা সময় পায় না।

২০১৯ সালেও চাকরির আবেদন করতে পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগতো। বা বিভিন্ন কাজে পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রিন্ট করতেন। ২০২০ সালের করোনা ভাইরাসের সময় সরকারি চাকরির আবেদন সব অনলাইনে হয়। তাই এখন কেউ স্টুডিও তে গিয়ে ছবি প্রিন্ট করে না। যদিও ৪ বা ৮ কপি ছবি প্রয়োজন হলে এলাকার ফটোকপি দোকানে গেলেই ছবি প্রিন্ট করে দেয়। সব মিলিয়ে এখন এই ব্যাবসা এখন সুবিধার না

ছবি সংগ্রহ: ফেসবুক।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১০

মায়াস্পর্শ বলেছেন: পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আপনি। ধন্যবাদ সুন্দর লিখার জন্য।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৬

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: নস্টাল্জিক ব্যাপার-স্যাপার।

আগের জীবনের সাথে জড়িত।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০১

প্রামানিক বলেছেন: আগের দিনে একটি ছবি তোলার জন্য টাকা যোগাড় করতে হতো।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০২

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: নস্টালজিক হয়ে গেলাম...

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি প্রতি বছর ইদের দিন স্টুডিও তে গিয়ে ছবি তুলতাম।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

নাহল তরকারি বলেছেন: কোথায় হারিয়ে গেল সেই দিনগুলো!!

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: লেখার মান বাড়ছে। ছবির কালেকশান ভাল। দ্বিতীয় ছবির মাঝের জন কি টাইপ পোশাক পরেছে বোঝা মুশকিল! :)
প্রথম ছবিটা চমৎকার!

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩১

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমার সেজো চাচার ক্যামেরা ছিলো, ছবি তোলার দিন কত কত আয়োজন করতাম আমরা। আহা সেই ছেলেবেলা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২২

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: গুলিস্থানে বাক্সে হাত দিয়ে ছবি তোলা হত, আমার তেমনি একটা ছবি আছে!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১

নাহল তরকারি বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.