নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
আমি আগেই বলে রাখি, আমি ২০০৯ সালে নবম শ্রেনীতে ভর্তি হই। এবং এসএসসি পাশ করি ২০১১ সালে। আমি ব্যাবসায় শিক্ষা থেকে এসএসসি পাশ করেছি। মানবিক শাখা থেকে ইন্টার পাশ করেছি। এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে অনার্স ও মাষ্টার্স পাশ করেছি।
এসএসসি তে আমার অফসনাল বিষয় ছিলো কম্পিউটার। ইন্টারেও অফসনাল বিষয় ছিলো কম্পিউটার। এখন এসএসসি তে কম্পিউটার সাবজেক্ট টি মনে হয় ওঠিয়ে দিয়েছে। আমি যখন কম্পিউটার সাবজেক্ট টি ঐচ্ছিক হিসেবে গ্রহন করি সবাই আমাকে টেলেন্ড স্টুডেন্ট হিসেবে মনে করছিলো। আমাদের বেইসে মোট ৩ জন কম্পিউটার কে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে নিয়েছিলো।
আমাদের বেইসে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলো ১০ থেকে ১২ জন। মানবিক বিভাগ থেকে একজন পরীক্ষা দেয়। বাকি ১০০ জন ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয়। আজ আমি আলোচন করবো আমি সহ মোট ১০০ জন কেন ব্যাবসায় শিক্ষা থেকে এসএসসি পাশ করি।
আমি পাশ করি ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। কারন আমি ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পযর্ন্ত আব্বু আম্মুর এখানে থেকে পড়ালেখা করেছি। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পযর্ন্ত আমার আব্বু জয়পুরহাট জেলায় পোস্টিং ছিলো। ২০০৯ সালে আব্বুর বদলী হবার সম্ভবনা ছিলো। যার কারনে ২০০৯ সালে ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় এ ভর্তি হই। প্রথমে আমি সাইন্স নিছিলাম। রসায়ন বিষয় এর পর্যায় সরনী দেখে ভয় পাই। পরে আমি মানবিক বিভাগে যাবার মনস্থির করি। পরে এক মামা আমাকে উপদেশ দেয় “কমার্স নেও। কমার্স নেও।” কর্মাস নেওয়ার কথাটি উনি এমন ভাবে বলেছিলো, আমি আর না করতে পারি নাই।
আমরা যারা ১০০ জন, কর্মাস নিয়েছি তাদের মধ্যে ৭০% কে কেউ না কেউ কমার্স নেওয়ার জন্য মোটিভেশনাল স্পিচ দিয়েছিলো। কর্মাস খুব সোজা। দশ লাইন লিখলেই A+। হিসাববিজ্ঞান খুব সোজা। প্রাইবেট পড়লেই পাশ। বাকি ৩০ জন কমার্স নিয়েছিলো বন্ধুর দেখাদেখি। মনে করেন আমার দেখাদেখি মেহেদী কমার্স নিয়েছে। রাবেয়ার দেখাদেখি সাদিয়া কর্মাস নিয়েছে। “আমি বড় হয়ে একাউন্টিং এ মাষ্টার্স করে গ্রামীনফোন কম্পনির চীফ একাউন্ট অফিসার হবো, উমুক কম্পনির হিসাব রক্ষক হবো, আমি উমুক ফ্যাক্টরির ম্যানেজার হবো, বা আমি তমুক কম্পনির মার্কেটিং অফিসার বা সেলস ম্যান হবো” এই চিন্তা করে কেউই কমার্স নেয় নাই।
সকল বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা ডাক্তার ইজ্ঞিনিয়ার হবার জন্যেই সাইন্স নেয়। আর আমাদের বেইসের যে একজন মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে তার একটাই কথা “আমি গণিত এ কাচা। তার মধ্যে যদি হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট আমার সিলেবাসে আসে, তাহলে আমি পাশই করবো না।”
ব্যাবসায় শিক্ষাতে গিয়ে আমি ভুল করেছিলাম। কারন আমি সাইন্স নিয়ে পড়লে কম্পিউটার ইজ্ঞিনিয়ার, পোগ্রামার, সাইবার সিকিউরিটি থেকে স্নাতক পাশ করতাম। একটি ক্যারিয়ার করতাম। এসএসসি তে মানবিক নিয়ে পড়লে ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় আরো দক্ষতা অর্জন করতে পারতাম। যাই হউক। এসব বিষয়ে এখন আসফোস করি না। পারিবারিক সমস্যা থাকার কারনে এখন ব্যাবসা শুরু করতে পারছি না। ব্যাবাসা শুরু করলে কম্পিউটার কম্পোজ, ফটোকপি ইত্যাদির দোকান দিবো। আমার দোকনে কী-বোর্ড, মাউস, হেডফোন চার্জাও থাকবে। জন্মনিবন্ধন এর কাজ, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন, ভোটার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মাইগ্রেশন ইত্যাদি আমার প্রিয় কাজ।
আমাকে যদি জ্ঞিগাসা করে সে কোন বিষয় নিবে? আমি আগে তাকে প্রশ্ন করি সে গণিত এ কেমন? সরকারি চাকরি করবে কি না? নাকি বিদেশ চলে যাবে?
সে যদি গণিতে কাচা হয়, যে যদি মেট্রিক পাশ করে পুলিশ আর্মি তে যোগদান করে বা বিসিএস পরীক্ষা দিবে, বা ভবিষৎ এ প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক হবে তাহলে আমি তাকে মানবিক নিতে বলি।
আমি তাদের কেন মানবিক নিতে বলি সেটা আমি পরে বলবো!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৭
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ, সঠিক কমেন্ট টি লিখে দেবার জন্য।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৩
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: পারিপারিক সমস্যা মিটে, আপনার ব্যবসা শুরু হোক এইটাই কামনা করি...
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৭
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কমার্সটা অপ্রয়োজনীয় মনে হয় এখন। বাংলায় পড়ে লোকে ব্যাংকে চাকরি করে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশে যেকোনো বিষয়ে পড়ে যেকোনো চাকরি করা যায়।
তাই কি নিয়ে পড়লাম এটা নিয়ে বেশি ভাববার দরকার নেই।
আজব দেশ আমাদের।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৯
নাহল তরকারি বলেছেন: তা ঠিক।
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৩
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০০
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: মানুষজন তো এখন যে সাবজেক্টই পড়ুক সবাই সরকারি চাকরির পিছনে ছুটে৷ যাতে একাডেমিক সাবজেক্ট খুব একটা প্রভাব ফেলে না।।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বেলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আর্স না এটা আসলে আর্টস।