নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
আমাদের ছোটবেলা থেকেই রচনায় পড়ানো হতো যে ডাক্তার ইজ্ঞিনিয়ার হও। এর বাহিরে কিছু হইও না। যাই হওক সেটা আমার আলোচনার বিষয় বস্তু না। এসএসসি পাশ করার পর অনেকেই ক্যারিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরি চায়? ভালো ছাত্ররা সরকারি বিসিএস উত্তীর্ন ডাক্তার ও ট্যাকনিক্যাল ক্যাডারে বিসিএস পাশ করে অফিসার হতে চায়। এক কারন কি জানেন? আমাদের জামাই হিসেবে বিসিএস ক্যাডারদের অনেক দাম। আজ যদি বিলগেটস নিজে এসে কোন বাংলাদেশীদের বলে আমি পৃথিবীর ধনীদের একজন। আমার সাথে আপনার মেয়ের বিয়ে দিন। মেয়ের বাপ বিল গেটস এর সাথে মেয়ের বিয়ে দিবে না। মেয়ের বাপ ২০ হাজার টাকা বেতন প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বিয়ে দিবে কিন্তু বিলগেটস এর মত বড়লোকের সাথে বিয়ে দিবে না। একজন মেয়ের বাপ, জামাই হিসেবে বিসিএস ক্যাডারদের যে সম্মান দিবে, একজন বিজ্ঞানী কে সেই সম্মান দিবে না। কারন বিজ্ঞানীর বিসিএস ক্যাডারদের মত ক্ষমতা নাই। বিজ্ঞানীর মত সামাজিক মর্যাদা নাই। তাই বাংলাদেশের তরুন বিয়ে করার জন্য বিজ্ঞানী না হয়ে বিসিএস ক্যাডার হয়।
মনে করেন বিসিএস ক্যাডার পুরুষ কর্মকর্তার বিয়ে ঠিক হলো। শ্যালীরা, ছেলের পরিচয় জানতে পারলেই গেইট আটকিয়ে ১ লাখ টাকা দাবি করবে। মেয়ের বাপ ১০ লাখ টাকা কাবিন চাইবে। বিয়ে পর, বৌ ভাতের পর যে শ্বশুড় বড়ি যেতে হয়, সেখানে সস্তা ও কম বাজার করলে শরম। সেখানে মিনিমাস ১০ হাজার টাকার বাজার না করলে হয় না। প্রতিটি পদে পদে শ্যালীদের মোটা অংকের বকশিস দিতে হয়। মোট মিলিয়ে একটি বিয়েতে পুরুষেই ৫০ লাখ টাকার কাছাকাছি খরচ হয়ে যায়। এর চেয়ে কম খরচ করলে মান ইজ্জত থাকে না।
এত টাকা বিসিএস কর্মকর্তা পাবে কই? তাই সে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। এই দুর্নীতির টাকা দিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ইয়া বড় মছ দিযে যায়। ভালো ভালো বাজার করে। খু্ব খরচ করে। প্রচুর খরচ না করলে শ্বশুড় বাড়িতে আদর পাওয়া যায় না।
তাছাড়া অধিকাংশ বিসিএস ক্যাডার গরিব, চাষী, রিস্কা চালক এর সন্তানেরা হয়। তারা চিন্তা করে, আমি কোন রকম ভাঙ্গা বাড়িতে রাত্রি যাপন করেছি। আমার বউ কে কিভাবে ভাঙ্গা বাড়িতে রাখি। তার জন্যে হলেও ৬ তালা বাড়ি বানাতে হবে। এই ছয় তালা বাড়ি বানানোর জন্য ঘুস খাওয়া শুরু করে দেয়।
এখন দেশে কাচা বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের যা দাম, তাতে ঘুস না থেলে বাজার করা যাবে না। অসুস্থ হলে চিকিৎসা করা যাবে না।
যে সব তরুন সৎ থাকতে চায়, যারা গবেষণা কে পেশা হিসেবে নেয় তারা বিদেশ চলে যায়। এবং সে সকল পুরুষদের আত্নসম্মানবোধ আছে তারাও বিদেশ চলে যায়। আমাদের দেশ থেকে যে সব তরুন বিদেশ চলে যায় তারা খুব মেধাবী ও আত্ন সম্মান বোধ প্রচুর।
আশা করি আপনারা বুঝছেন এই দেশে কেন দুর্নীতি কমে না।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২০
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। এই দেশে দু্ষ্টু লোক বেশী।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: এ দেশে পেশাকে একই চোখে না দেখা অনেক বড় সমস্যা।
একজন মানুষ সৎ উপায়ে উপার্জন করছে কি-না তার চেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়, কত টাকার মালিক সে। সামাজিক মর্যাদা কী।
এসব দুঃখজনক।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০
অগ্নিবেশ বলেছেন: ধর্মের সাথে দুর্নীতি আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা, ধার্মিক দেশগুলোই দুর্নীতির আখড়া। বাংলাদেশ মসজিদে ভরে গেছে, ভারতে একের পর এক মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্নীতি। ধার্মিকেরা আকাম কুকাম করে মন্দির মসজিদে দান করে পার পেয়ে যায়, সারা জীবন হারাম খেয়ে পীর গুরুর পা ধরে সমাজের বাহবা কুড়ায়। বেহস্তে গিয়ে শরাব খাওয়ার খোয়াব দেখে।
এদিকে ধর্মহীন দেশে চার্চগুলো খাঁখাঁ করছে আসামীর অভাবে জেলখানা গুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যারা ঈশ্বর মানে না তারা আকাম করে ঘুষ খাওয়াবে কাকে? বিবেকের দংশনেই তারা আকাম কুকাম থেকে দূরে থাকে।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৮
বিজন রয় বলেছেন: যে দেশে বিজ্ঞান পড়নোর শিক্ষককে অপমান করা হয় সেদেশে বিজ্ঞানী হবে কিভাবে?
তবে আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে।
স্বপ্ন থাকতে হবে।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দুর্নীতি যাবে না, বাড়বে।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৬
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: অগ্নিবেশ,
আপনার কথাটা পুরোপুরি সঠিক নয়। ধর্মের সাথে নয় বরং আইনের শাসনের সাথে উন্নত বিশ্বে দুর্নীতি প্রতিরোধের সাথে মূল সম্পর্ক।
এখানে অপরাধ করলে আইনের চোখে সবাই সমান। শাস্তি রাখা হয়েছে কঠিন এবং তা কার্যকর করা হয়। এরা ধর্ম অনেকে না ই মানতে পারে, কিন্তু আইন মানতে বাধ্য। একইভাবে সরকারও জনগনের কাছে দায়বদ্ধ।
এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে ধর্মের প্রয়োজন হয় না।
অনেকে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চড়ান, সব দোষ ধর্মের কাধে দিয়ে দিলেন।
মানুষ নিজে স্বার্থপর ও অসত তাই সে সমাজ-আইন-ধর্ম সব কলুষিত করে রাখে।
সব দোষ আমাদের নিজেদেরই।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে দুষ্টলোকের সংখ্যা বেশি।
এখানে বিজ্ঞানী পাবেন নাম, পাবেন শুধু ইতর।